OrdinaryITPostAd

পবিত্র ইদুল-ফিতর ২০২২ অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি কবে শুরু

মাহে রমজান দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ইদুল ফিতর ২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে গৃহীত পরিকল্পনা হিসাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এইবার পবিত্র ইদুল ফিতর রাজধানী ছেড়ে যাবে প্রায় ৬০ লাখ বেশি মানুষ। তার অংশ হিসাবে রেলওয়ে সুদূঢ়প্রসারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ইদুল-ফিতর ২০২২  ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কবে শুরু হবে অফলাইন অথবা অনলাইনে  তা এই পোস্টের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জেনে নিব। কোথায় থেকে টিকিট ক্রয় করতে তা জানবো কোন কোন এলাকার টিকিট কোন স্টেশনে কাউন্টারে সহজে পেতে পারি তা দেখে নিবো বিস্তারিত আলোচনার আলোকে। এইবার অগ্রিম টিকিট বিক্রি কিভাবে তা দেখবো এবং ক্রয় করবেন কোন কোন স্টেশন কাউন্টার মাধ্যমে কোন স্থানের টিকিট দেয়া হবে জানবো এই পোস্টে। 

পোস্টের সূচিপত্রে কি থাকছে একনজরেঃ

ইদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কত তারিখ থেকে বিক্রি হবে

ইদের অগ্রিম টিকিট ৫ দিনের হিসেবে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে দেয়া শুরু হবে। যথাক্রমেঃ-

  • ২৩ তারিখে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন ২৭ তারিখের যাত্রার টিকিট
  • ২৪ তারিখে টিকিট ক্রয় করবেন ২৮ তারিখের গন্তব্যে পৌঁছানোর টিকিট
  • ২৫ তারিখে দেয়া হবে  ২৯ তারিখের অগ্রীম টিকিট
  • ২৬ তারিখে স্টেশন কাউন্টার থেকে পাবেন  ৩০ তারিখের যাত্রার টিকিট
  • ২৭ তারিখে শেষের দিকের টিকিট পহেলা মে বা ১ মে তারিখের গন্তব্যে পৌঁছানোর টিকিট

অনলাইনে সব রুটের টিকিট কমলাপুর বা বিমানবন্দর থেকে পাওয়া যাবে না এইবার। যাত্রী দূভোর্গ  ও ভিড় ও চাপ সামলানো সমস্ত রুট অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান বা স্টেশন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তথাঃ-

আরও পড়েনঃ- 

কমলাপুর থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন

পশ্চিমাঞ্চল অঞ্চলের সবধরনের রুটে ট্রেনের টিকিট  কমলাপুুর থেকে পাওয়া যাবে। আসুন জেনে যাক, যাত্রীদের সুবিধা কথা চিন্তা করে কমলাপুর থেকে কোন কোন রুটের টিকিট দিবে।

  • খুলনা
  • রাজশাহী
  • রংপুর
  • নীলফামারি
  • পঞ্চগড়
  • লালমনিরহাট
  • কুঁড়িগ্রাম

বিমানবন্দ থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন

চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী রুটের সবধরনের অগ্রিম টিকিট যাত্রী সাধারনগণ অফ-লাইনে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন শুধুমাত্র বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে।

তেজগাঁও থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন

সকল আন্তঃনগর রুটে যেসব এলাকা বা গন্তব্যে স্থলে উদ্দেশ্য তেজগাঁও থেকে যাত্রী সাধারনগণ টিকিট  ক্রয় করতে পারবেন। তা-হল

  • ময়মনসিংহগামী
  • জামালপুরগামী
  • দেওয়ানগঞ্জ

ক্যান্টনমেন্ট থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন

ঢাকা সেনানিবাস বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন তা দেখে নিন।

  • মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস শুধুমাত্র মোহনগঞ্জ
  • হাওর এক্সপ্রেস শুধুমাত্র  হাওর।

ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন) থেকে যেসব রুটে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন

পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন (ফুলবাড়িয়া) থেকে যেসকল রুটের যাত্রী সাধারনগণ টিকিট ক্রয় করতে পারবেন তা-হলঃ-

শুধুমাত্র সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।কিছুদিন আগেও ঈদের সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ও সারাদিন সময় নষ্ট করে শুধুমাত্র একটা টিকিট পেতে কতই না কষ্ট করতে হয়েছে। সেই দিন কষ্টের সময় লাঘব যাতে হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইনে বা অফলাইনে সমান সমান টিকিট ক্রয় করতে পারবে যাত্রীসাধারণ গণ। 

অনলাইন অথবা অফ-লাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে সাথে কি থাকা লাগবে

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক সিদ্ধান্ত এবার রেল ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক করার লক্ষ্যে টিকিট যার ভ্রমণ তার এই শ্লোগানে জাতীয় পরিচয় পত্র আইডি বা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ব্যতীত কেউ টিকিট ক্রয় করতে পারবেনা। ইনফো ব্যতীত কাউকে টিকিট দেওয়া হবে না। সেইসাথে টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয়। আপনার টিকিটে অবশ্যই আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে। একজনের টিকিটের অন্য কেউ ভ্রমণ করলে অর্থদণ্ড সহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করবে। অতীতেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত ছিল কিন্তু কখনও বাস্তবায়ন করেছে সামান্য পরিমাণ। অর্থদন্ড সহ শাস্তির বিধান যথোপযুক্ত প্রয়োগ করতে পারলে কালোবাজারি বা সিন্ডিকেট হয়রানি বন্ধ করা সম্ভব হবে। আর একজন মানুষ সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। তাই আপনাকে অফ লাইনে(স্টেশন) অথবা অনলাইনে টিকিট কেটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রমাণস্বরূপ এনআইডি পাতার ফটোকপি সাথে রাখবেন।

অফলাইন অথবা অনলাইনে টিকিট কত ভাগ  বরাদ্দ থাকবে

টেনের ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল যে স্লোগানটি “টিকিট ভ্রমণ তার”। নির্দিষ্ট কাউন্টারের পাশাপাশি 50 পার্সেন্ট টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। তবে এবার গুগল প্লে স্টোর অথবা আইফোন স্টোর কোন ধরনের অ্যাপস থেকে টিকিট কাটার সুবিধা থাকছে না। শুধুমাত্র রেলের ই টিকিট কোটাল থেকে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে। ঠিকানা

অফলাইন অথবা অনলাইনে টিকিট কাটার সময় বরাদ্দ থাকবে

যেহেতু স্টেশন কাউন্টার ভিত্তিক ট্রেনের টিকিট ৫০% এবং অনলাইন ভিত্তিক রেলওয়ে ই টিকিট সিস্টেম মাধ্যমে ৫০% টিকিট বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। উক্ত সময়ে কাউন্টার থেকে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এবং অনলাইনে টিকিট কোথায় করতে সকাল ছয়টা থেকে শুরু রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

২৫এপ্রিল থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের অফ -ডে প্রত্যাহার

বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতিবারের ন্যায় এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর যাত্রাকালীন সময় নিরাপদ আরামদায়ক করার লক্ষ্যে সুদুরপ্রসারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ২৫ এপ্রিল থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের অফ-ডে প্রত্যাহার করা হবে জানিয়েছেন। সহজে বোঝা গেল ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রেনগুলো প্রতিদিনের নাই চলবে।

ট্রেন ও টিকিট বিক্রি বন্ধের দিন

পবিত্র ঈদুল ফিতরের উদযাপন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল বিধায় আগামী ২,৩,৪ মে তারিখে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।তবে পহেলা মে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তো তারিখের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আবারো জানিয়ে রাখছি পবিত্র ঈদুল ফিতরের বা ঈদের দিন সকল ধরনের ট্রেন সার্ভিস বন্ধ থাকবে।

ইদ স্পেশাল বা বিশেষ ট্রেনের এক নজরে রুট গুলো

প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে অতিরিক্ত ট্রেন সার্ভিস যাত্রী সুবিধার ও নিরাপদ যাত্রার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঈদের স্পেশাল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস যা এবারো থাকছে ট্রেন সার্ভিস। সকল আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস ছাড়াও কিছু রুটে ঈদের স্পেশাল বিশেষ ট্রেন সার্ভিস বাংলাদেশ রেলওয়ে রুটগুলো হলো-

  • চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে দুটি, চাঁদপুরে স্পেশাল ১ বা ২ টি।
  • ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা এ রুটে সার্ভিসে থাকছে একটি ট্রেন, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল সার্ভিস।
  • খুলনা-ঢাকা-খুলনা সার্ভিসে থাকছে একটি ট্রেন খুলনা স্পেশাল সার্ভিস(এই সার্ভিসটি অবশ্যই স্পেশাল খুলনা রুটে যাত্রী সার্ভিস এর জন্য কিন্তু কেন এ কথা বলছি খুলনায় স্পেশাল সার্ভিস থাকছে একটি মাত্র ট্রেন মৈত্রী (মৈত্রীর ট্রেনটি সম্পন্ন হয় বগি থাকবে এসি কোচ থাকবে)। উক্ত ঈদ স্পেশাল বা বিশেষ ট্রেন গ্রুপগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র খুলনায় স্পেশাল আগামী ২৯ শে এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন বা পহেলা মে তারিখ পর্যন্ত চলবে। 
  • ঈদের স্পেশাল বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চাঁদপুর ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে , ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত চলাচল করবে।

ইদের দিন শুধুমাত্র শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে

  • শোলাকিয়া স্পেশাল সার্ভিস-১, ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার এই রোড দিয়ে চলাচল করবে।
  • শোলাকিয়া স্পেশাল সার্ভিস-২, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুট দিয়ে চলাচল করবে।

ফিরতি টিকিট কত তারিখ থেকে বিক্রি হবে

  • ১ মে ৫ মে তারিখের
  • ২ মে ৬ মে তারিখের
  • ৩ মে ৭ মে তারিখের
  • ৪ মে ৮ মে তারিখের

যাত্রীগণের জন্য কি থাকছে নির্দেশনা সমূহ

  • স্বতন্ত্র কোচ সংযোগ করা হবে এবার ঈদ যাত্রায় প্রতিটি আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে শুধুমাত্র মহিলা ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সুবিধা ও নিরাপদ আরামদায়ক করার লক্ষ্যে এই সার্ভিসটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
  • দেশের সব ধরনের রুট সার্ভিস-এর অফ্লাইন বা অনলাইনে প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা প্রতিবারের ন্যায় করা হয়ে থাকে।
  • এবার ঈদে ব্যতিক্রম ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ তা হল ঈদের অগ্রিম টিকিট অফেরৎযোগ্য অর্থাৎ বিক্রয়কৃত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। আপনারা যারা অফলাইনে বা অনলাইনে টিকিট কাটার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন অবশ্যই এ কথা মাথায় রাখবেন ক্রয় কৃত টিকিট এবার আপনি কোন ভাবে ফেরত দিতে পারবেন না। যদি কোন কারনে ভুলবশত বা কোন কারণে যেতে পারছেন না তারপরেও টিকিট কেটে ফেলছেন কিন্তু সেই টিকিট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আর ফেরৎ নিবে না।
  • স্পেশাল টেনের কোন টিকিট আপনারা কেউই অনলাইনে পাবেন না আপনারা যারা যাত্রী সাধারণ গণ আপনাদের নির্দিষ্ট রোডে ট্রেন সার্ভিস দেখে নির্দিষ্ট কাউন্টার অথবা স্টেশন নিজে উপস্থিত থেকে এন আই ডি অথবা জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট মূল কপি অথবা ফটোকপি সাথে নিয়ে আসবেন টিকিট ক্রয় করার জন্য এর ব্যাতিরিকে ভিন্ন কোন উপায় আপনার আমার সামনে খোলা নাই।
  • টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে রেলের বিশেষ মনিটরিং টিম, নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ, আর এন বি, বি জি বি, র‌্যাব সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক কর্তৃক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে।
  • বড় ধরনের স্টেশনগুলোতে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে বা ইমারজেন্সিতে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সুবিধার্থে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
  • যাত্রী সুবিধার কথা চিন্তা রেখেই প্রতিবারের ন্যায় এবারও আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস নির্বিঘ্নে চলাচল করার লক্ষে ঈদের তিন দিন আগে থেকে অপ্রয়োজনীয়' কন্টেনার ও জ্বালানী তেল ছাড়া সকল পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকিবে। সেইসাথে যে কোন দুর্ঘটনা দূরত্ব মোকাবেলায় নিজ নিজ অবস্থানে রিলিফ ট্রেন বা উদ্ধারকারী ট্রেন তা থাকবে।

“এবারের স্লোগান টিকিট যার ভ্রমণ তার”

ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url