OrdinaryITPostAd

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ২০২৩

আপনি কি নিজেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাইছেন অনলাইনে? অথবা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফরম পূরণের পর ২০২৩ পিডিএফ কিভাবে ডাউনলোড করবেন বুঝতে পারছেন না। আপনার মনে যদি এমন নানা ধরনের প্রশ্ন চলে আসে তাহলে দুচিন্তার কিছু নাই আমি আপনাকে সহজ ও স্বাভাবিকভাবে বুঝিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। চলুন আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

অনলাইনে-জন্মনিবন্ধন-সংশোধন-করার-নিয়ম

পেজ সূচিপত্রঃ

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন? এমন কোন ওয়েবসাইটে ঠিকানায় রয়েছে কিনা? এমন অনেক প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে। আপনি মোটেই বিচলিত হবেন না আমি আপনাকে সহযোগিতা প্রদানে উদ্দেশ্য এই পোস্টটি লিখতে বসেছি। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবদনের প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন পিসি বা ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোন যেকোনো থাকলে এই পোস্টটি আপনার জন্য নিশ্চিতে ধরে নেন।

আপনার ব্রডব্যান্ড সংযোগকৃত ইন্টারনেট অথবা মোবাইল ফোনে ডাটা অন করুন। আপনার পিসি বা মোবাইল ফোনে থাকা যেকোনো ব্রাউজারটি অপেন করুন অথবা গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি ট্যাবটি অপেন করুন (আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ গুগল ক্রোম) । Pc or Laptop গুগল ক্রোম ট্যাব অপেন করুন অথবা গুগলে লিখুন https://bdris.gov.bd/br/correction । আপনাকে নিচের এমন পেজে নিয়ে আসবে আমাদের সকলের প্রিয় মামা “গুগুল মামা”

জন্ম-তথ্য--সংশোধনের-জন্য--আবেদন-F

লালদাগ চিহ্ন তথ্যটি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধনের আবেদনের উপরে লিংক করুন। আপনার সামনে নিচের স্কিনশর্ট মতো পেজ অপেন হবে।

জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন উপরে লিংক করলে আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এবং মোবাইলে যেকোনোটি ব্রাউজারে ব্রাউজিং করলে নিচের ছবির মত একটি পেজ খুলে যাবে আপনার স্কিনে। যেহেতু আপনি জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধন করতে চাইছেন তাহলে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন উপরে লিংক করুন। পরবর্তী ধাপ আমি স্কিন দিয়েছি নিচে দিকে একটু লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন।

জন্ম-তথ্য--সংশোধনের--জন্য-আবেদন--১ম--ইন্টারফেস

আপনি আপনার নিজের জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখে অনুসন্ধান বাটনে চাপ দিলে এমন অপশন পাবেন।

এতক্ষণে আমি নিশ্চিত যে উপরে ছবির মত দেখতে আপনার সামনের স্কিনে ভেসে রয়েছে। আপনি ভালো করে লক্ষ্য করেছেন আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্মতারিখ দেওয়ার পরে স্কিনে মতই আপনার সামনে থাকা স্কিনটা একুই দেখাচ্ছে। সকল তথ্য নিবন্ধিত ব্যক্তি বা আপনার তথ্য সামনে দেখতে পারছেন?  ** লালচিহ্নকৃত ঘরগুলো লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন নিচের দেয়া তথ্য মতন।

  • আইডি নং
  • আপনার বা যার জন্ম তারিখ দিয়েছেন সেটার জন্মতারিখ।
  • নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম
  • পিতার নাম
  • মাতার নাম
  • একশন

*** ঠিক চিহ্ন বাটন (নির্বাচন অপশনে) লিংক করুন।

এই ছবিতে প্রশ্ন করা হচ্ছে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন করতে চাইছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করছে। আপনি নিশ্চিত হয়ে চোখ বন্ধ করে (কনফার্ম) লিংক করুন। তারমানে হল পরবর্তি ধাপে যাওয়ার জন্য অনুমতি পেলেন।এরপরে জন্মসূত্রে নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা দিবেন(যে ঠিকানা আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক সেই অনুযায়ী ঠিকানা নিবার্চন করবেন)। আমি আপনার কাজের সহযোগিতা জন্য নমুনা লিখে  দিয়েছি এবং ছবির স্কিন শর্ট। জন্মসূত্রে ঠিকানায় যা যা লাগবে তা ছবি এবং লেখাগুলো মনোযোগ করে পড়েন তারপরে আবেদন ফরমটি পূরণ করা শুরু করেন। আগে ছবির কাল্পনিক অংশের ফরম পূরনকৃত অংশ দেখে নিন  এরপরে আপনি আপনার নিজ নিবন্ধিত কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে পূরন করুন।

নিবন্ধক কার্যালয়ের জন্য আপনার জন্মস্থানের এলাকা নিবার্চন

নিবন্ধন-কার্যালয়ের-ঠিকানা

  • অবশ্যই পূরণকৃত অংশ আপনার নিজের বা যার জন্য আপনি পূরণ করে দিচ্ছেন তার।
  • দেশ- বাংলাদেশ
  • বিভাগ- রংপুর বিভাগ (অবশ্যই আপনার নিজের বিভাগ সিলেক্ট করবেন)
  • জেলা- লালমনিরহাট (আপনার জেলা নিজের সিলেক্ট করবেন)
  • সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা - লালমনিরহাট সদর (আপনার নিজ সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করবেন)
  • লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজ পৌরসভা/ইউনিয়ন অনুযায়ী সিলেক্ট করবেন)
  • পরবর্তী বাটনে চাপ দিন।
  • সংশোধিত তথ্য নিবার্চন অপশনে আপনি যেগুলো দেখতে পারছেন এইগুলো থেকে আপনাকে তথ্য সংযোজন করতে পারবেন। নিচের ছবিটি ভালো লক্ষ্য করবেন।

সংশোধিত-তথ্য-নিবার্চনের-বিষয়

লালচিহ্ন ঘরের ভিত্তরে তথ্য অনুযায়ী আপনি আপনার তথ্য সংযোজন করে নিতে পারবেন (অর্থ্যাৎ ঘরে তথ্য বাইরে আপনি নতুন কিছু সংযোজন করতে পারবেন না)। বুঝেন নাই তো কোনো সমস্যা নেই আপনাকে বুঝানোর আমার দায়িত্ব। আপনি নিচে ছবি দিকে লক্ষ্য করলে আরও ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন আশাকরি।

বি:দ্র: মনে রাখুন আপনাকে সর্বোচ্চ ৪ বার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন সুযোগ পাবেন এই নিয়মটি আগে ছিল। বর্তমানে আপনি  সর্বোচ্চ ৭ বার সংশোধনের সুযোগ পাবেন। আমার পরামর্শ  আপনার পরিবারে সকল সদস্যের জন্মনিব্ধন করে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি উভয়ই ভার্সন। আর একটা কথা আমার কাছে মনে হয়েছে ঠিকানা (জন্মস্থানের ঠিকানা/স্থায়ী ঠিকানা/বর্তমান ঠিকানা) ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশোধনের জন্য স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করা তবে (বর্তমান ঠিকানা) বেলায় আপনার ইচ্ছে মতন ঠিকানা সংযুক্ত বা ব্যবহার করতে পারবেন। অতএব, যত্নসহকারে ফরমটি পূরন করবেন। (পূরণকৃত অংশ সব কাল্পনিক) জন্ম তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফরমটি যত্নসহকারে পূরণ করুন।

আরো পড়ুনঃ  নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২২- নতুন ভোটার হওয়ার সুযোগ

ডাটাবেইজে সংরক্ষিত তথ্য উপাত্ত সংশোধন

 সংশোধিত তথ্য নির্বাচন

সর্বোচ্চ-৪-বার-জন্ম-নিবন্ধন-সংশোধন-আবেদন-করা-যাবে

আপনি নিশ্চয়ই উপরে অংশে প্রয়োজনীয় সংশোধিত তথ্য সংযোজন করতে পেরেছেন।

নিবন্ধক কার্যালয়ের জন্য আপনার জন্ম স্থানের তথ্য

 জন্মস্থানের ঠিকানা

জন্মস্থানের-ঠিকানা

এতগুলো লালঘর দেখে ভয় পেলেন বুঝি নো টেনশন আমি আপনাকে বুঝিয়ে বলছি এবং নিচে বিস্তারিত লিখে দিচ্ছি। এখানে আপনি আপনার নিজ জন্মস্থানের ঠিকানা পূরণ করবেন।

  • দেশ- বাংলাদেশ
  • বিভাগ- রংপুর বিভাগ (আপনার নিজের বিভাগ অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • জেলা- লালমনিরহাট (আপনার নিজের জেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা- লালমনিরহাট সদর (আপনার নিজের সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • পৌরসভা/ইউনিয়ন - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের পৌরসভা/ইউনিয়ন অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ওয়ার্ড - ১ (আপনার নিজের ওয়ার্ড অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি) - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি)  উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) - লালমনিরহাট (আপনার নিজের গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • বাসা ও সড়ক (নাম,নম্বর) - যদি থাকে দিবেন (যদি না থাকে ০২(বার) স্পেস বার চাপ দিবেন)

নিবন্ধক কার্যালয়ের জন্য আপনার স্থায়ী ঠিকানা 

  • দেশ- বাংলাদেশ
  • বিভাগ- রংপুর বিভাগ (আপনার নিজের বিভাগ অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • জেলা- লালমনিরহাট (আপনার নিজের জেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা- লালমনিরহাট সদর (আপনার নিজের সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • পৌরসভা/ইউনিয়ন - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের পৌরসভা/ইউনিয়ন অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ওয়ার্ড - ১ (আপনার নিজের ওয়ার্ড অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি) - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি) উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) - লালমনিরহাট (আপনার নিজের গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • বাসা ও সড়ক (নাম,নম্বর) - যদি থাকে দিবেন (যদি না থাকে ০২ (বার) স্পেস বার চাপ দিবেন)

এখানে আপনি আপনার নিজ স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করবেন।

স্থায়ী-ঠিকানা

নিবন্ধক কার্যালয়ের জন্য আপনার বর্তমান ঠিকানা 

  • দেশ- বাংলাদেশ
  • বিভাগ- রংপুর বিভাগ (আপনার নিজের বিভাগ অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • জেলা- লালমনিরহাট (আপনার নিজের জেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা- লালমনিরহাট সদর (আপনার নিজের সিটি কর্পোরেশন,ক্যান্টনমেন্ট/উপজেলা অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • পৌরসভা/ইউনিয়ন - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের পৌরসভা/ইউনিয়ন অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ওয়ার্ড - ১ (আপনার নিজের ওয়ার্ড অনুযায়ী সিলেক্ট করুন)
  • ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি) - লালমনিরহাট পৌরসভা (আপনার নিজের ডাকঘর (বাংলায়/ইংরেজি) উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) - লালমনিরহাট (আপনার নিজের গ্রাম/পাড়া/মহল্লা (বাংলায়/ ইংরেজি) উভয়ই ভাষা অনুযায়ী ঘরগুলো পূরণ করুন)
  • বাসা ও সড়ক (নাম,নম্বর) - যদি থাকে দিবেন (যদি না থাকে ০২(বার) স্পেস বার চাপ দিবেন)

এখানে লালঘরটি ভালো করে দেখেন আপনি আপনার নিজ বর্তমান ঠিকানা পূরণ করবেন।

বর্তমান-ঠিকানা

এতক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা ও ছবির স্কিনশর্ট  দেখে জন্ম নিবন্ধিত কার্যালয়ের ঠিকানা,জন্মস্থানের ঠিকানা,স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানার ঘরগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে পেরেছেন। 

জন্মস্থান ও জন্ম তারিখ সম্পর্কে তথ্যপ্রদানকারীর প্রত্যয়ন

আবেদনকারীর প্রত্যয়ন আবেদনাধীন ব্যক্তির সহিত সর্ম্পক:  

পিতা, মাতা, নিজ, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী, অভিভাবক, অন্যান্য (আপনি যাকে খুশি সিলেক্ট করতে পারবেন)। যদি আপনি তথ্যগুলো পূরণ করছেন সেহেতু আবেদনাধীন ব্যক্তির সহিত সর্ম্পক (নিজ) দিবেন।

আবেদনকারীর-তথ্য

আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর দিবেন ও ই-মেইল ঠিকানা অবশ্যই দিবেন।

এত গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমাকে অনেক বেশি বিম্বড়না মধ্যে পড়তে হয়েছে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই আপনি আপনারা কোনো ভোগান্তিতে না পড়তে হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি বিস্তারিত লিখে ও ছবির স্কিন শর্ট দিয়েছি (মনে রাখুন সংযুক্তি- প্রতিটি ফাইলের জন্য, সর্বোচ্চ ফাইল সাইজ ১০০ কিলোবাইট হবে ১০০ কিলোবাইট নিচে রাখলে আরও ভালো হবে)। ফাইলের সাইজ ১০০ কিলোবাইটের যত কম কেবি নিবেন তত ভালো হবে কম স্পিড ইন্টারনেট হলেও আপলোড হতে সমস্য হবে না। আমি চাই আপনারা কেউ এমন কষ্টের মধ্যে না পড়েন। আমি কিভাবে এই সমস্যা সমাধান করেছিলাম তা শেয়ার করছি আপনি ও আপনাদের শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গে থাকুন। নিচে ছবির স্কিনশর্ট দিকে লক্ষ্য রাখুন।

(নোট: এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করছি তা লক্ষ্য রাখুন)।

১ম ধাপ

ফাইল-অপেন
Open.......

*** Export অপশন সিলেক্ট Save For Web (Legacy).  অপশনটি মাউস দিয়ে সিলেক্ট করুন। 

২য় ধাপ

Save For Web:

Export-Save-For-Web-Legacy

এরপরে নিচের অংশের ছবিটি ভালো লক্ষ্য করলে আপনার ধারণা পরিস্কার হয়ে যাবে।

৩য় ধাপ

১০০-কেবি-নিচে-ছবি-তৈরি-অপশন

  • JPG
  • hIGH
  • Quality -60%
  • W: - 810 এই অংশটি বাড়িয়ে কমিয়ে দেখবেন (JPEG ছবিটির ৭০-৮০ কেবি উপরে না যায়)
  • H: - 611 (W:-  অংশের সাথে অটোমেটিক সেট হবে)
  • Percent: - 91.95% (W/H:-  অংশের সাথে অটোমেটিক সেট হবে)
  • JPG (80.02 kb)  আমার কাছে আর্দশ ছবি সাইজ (ছবি ১০০ কেবি বেশি হওয়া যাবে না)

সংযুক্তি (প্রতিটি ফাইলের জন্য, সর্বোচ্চ ফাইল সাইজ ১০০ কিলোবাইট বেশি নয়) । ছবির স্কিনশর্ট দিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনি এখানে সিলেক্টকৃত অপশন বাছাই করতে পারেন অথবা লিস্টে থাকা আপনার কাছে সংরক্ষিত অরজিনাল কপি আপলোড করতে পারেন। অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যে ফাইল বা ছবি আপলোড করুন না ক্যানো সেটার সাইজ হবে কিন্তু ১০০ কিলোবাইটে পর্যন্ত। আর কিভাবে ১০০ কিলোবাইটের ছবি বা ফাইল কেবি কমিয়ে আনবেন তা ছবির স্কিনশর্ট দ্বারা দেখেয়েছি। আমার মতে, যেকোনো ছবি বা ফাইল সাইজ ৮০ কেবি হলো ভালো হয়। 

৪র্থ ধাপ

সিলেক্টকৃত অপশন থেকে আমি নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির এস এস সি সার্টিফিকেটের স্ক্যান করা কপি সংযুক্ত করে দেখালাম আপনার বুঝার জন্য আপনি আপনার কাছে থাকা (কাগজপত্রাদি) লিস্ট অনুযায়ী যেকোনোটি কাগজপত্র আপলোড করতে পারবেন। অরজিনাল কাগজপত্র অনুযায়ী ফাইল বা ছবি আপলোড করবেন সেইসব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ রেখে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে (সাকসেসফুল বার্তা আসার পরে) অংশে নির্দিষ্ট তারিখ দেয়া থাকবে সেই তারিখ (মূল কাগজ) জমা প্রদান করবেন ইউনিয়ন/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন যেকোনোটিতে। তবে আপলোডকৃত ফাইল ৭০-৮০ কিলোবাইটের বেশি না হলে ভালো হয়।

৫ম ধাপ

NID-Card

সিলেক্টকৃত অপশন থেকে আমি নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির  জাতীয় পরিচয় পত্র স্ক্যান করা কপি সংযুক্ত করে দেখালাম আপনার বুঝার জন্য আপনিও আপনার কাছে থাকা বা নিজেই নিবন্ধনকারী ব্যক্তি হন তাহলে আপলোডকৃত ফাইলে লিস্ট অনুযায়ী আপনার কাছে মূল কাগজপত্র থাকা সাপেক্ষে যেকোনো টি ফাইল/কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড দিতে পারবেন।

৬ষ্ঠ ধাপ

সাবমিট

জন্ম নিবন্ধন তৈরীর ফি

বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন শুরু হয় পর 2010 সালের জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার সুবিধা দিয়েছিল সরকার তবে শিশু জন্মের 45 দিন পর্যন্ত বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগ এখনো আছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন 2004 অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য বাধ্যতামূলক(ধারা ৫(১),৬ক এবং ৮(১)। আইনের এই নির্দেশনা কেউ না মানলে তিনি আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে গণ্য হবেন এবং অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তাছাড়া এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্রসহ ১৯ টি ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। আবার জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে না। মৃত্যুনিবন্ধন না হলে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা যাবে না। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি পেমেন্ট ক্ষেত্রে আপনি দুইটি পদ্ধতি ধার্যকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারবেন তা বলে দেয়া রয়েছে।

  • জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন জন্য আবেদন ফি জমা দিতেন পারবেন সরাসরি(আপনি যখন পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে ইউনিয়ন পরিষদে অরজিনাল কাগজপত্রসহ জমা প্রদান করবেন তখন টাকা জমা দিলে হবে) ।
  • জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি চালান এর মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন (ব্যাংকের মাধ্যমে তবে আমি এটা রিফার করবো না আপনাকে) ।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি (সাবমিট বাটনের চাপ দিন)
সাবমিট বাটনের চাপ দেওয়ার পরে আপনাকে Success, আপনার আবেদনপত্রটি সফলভাবে সাবমিট করা হয়েছে। সাবমিট হয়ে মোবাইল নম্বরে ও ই-মেইল ঠিকানায় ক্ষুদেবার্তা চলে আসবে। ক্ষুদেবার্তাটি আপনার আবেদন পত্রের নম্বর: উদাহরণ- ১২৩৪৪৮৯ 

সফলভাবে-সাবমিট-করা-হয়েছে

সাকসেস বা সফল বার্তা আসলে বুঝতে হবে, আবেদনপত্রটি সফলভাবে সাবমিট করা হয়েছে। আবেদন দাখিল হওয়ার পর প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করে, আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কাছে (ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় কিংবা সিটি কর্পোরেশন দাখিল করুন।

এরপর নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয় আপনার আবেদনটি যাচাই বাছাই করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। নিবন্ধন সঠিক হওয়ার পর আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনটি হাতে পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুনঃএপ্রিল মাসের সরকারি ছুটি ২০২২-এপ্রিল মাসের ক্যালেন্ডার২০২২

শেষকথা

পরিশেষে এই কথা বলতে পারি যে,ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন নিয়ে এ টু জেড আলোচনা চেষ্টা করেছি। বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষে বলতে পারি জন্ম তথ্য সংশোধনের শুদ্ধ, ডাটাবেজ এর জন্য ফ্যামিলি ট্রি আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত উত্তম চর্চা। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন এর সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন যুক্ত করে পারিবারিক কাঠামো তৈরি করা জাতির পিতা মাতার সন্তানের সংখ্যা এবং তাদের ক্রমিক নাম্বার জানা যায় এর মাধ্যমে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে অনৈতিক লুকোচুরির মাধ্যমে অন্যান্য তথ্য গোপন করার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ পপুলেশন রেজিস্টার প্রণয়নের সহায়ক হবে। এরই প্রেক্ষিতে নাগরিককে আহ্বান জানানো যাচ্ছে যে জন্ম নিবন্ধন আবেদন, জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের উদ্দেশ্যে আরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান নিবন্ধন করে নিতে ভুল করবেন না। জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধনের আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলী ও প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করবেন কিভাবে তাহা বিস্তারিত লিখে এবং ছবির স্ক্রিনশট সহ আমি উপস্থাপন করেছি।

আমি চেষ্টা করেছি ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় প্রিয় পাঠক আপনাদের সম্মানার্থে পরিষ্কার ধারণা দিতে পেরেছি। আমি বলতে চাই অন্য কোনো মাধ্যমে হোকবাআপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব এবং স্মার্টফোন ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অবস্থায় অন্য কারোর সহযোগিতা ছাড়াই আপনার নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজটি অতি সহজে সেরে নিতে পারবেন নিমিষে। জন্ম নিবন্ধন সরকার কর্তৃক ঘোষিত আইন বিদায় প্রত্যেকের জন্য এটা করা বাঞ্ছনীয়। আপনি এই পোস্টটি যখন দেখছেন তখন ভাবছেন কাল করব পরে করব নানা সিদ্ধান্তহীনতায় মধ্যে দিনটি পার করে যাচ্ছেন। আপনি হয়তো সময় পাচ্ছেন না বা সঠিক ধারণা ও তথ্য বা কিভাবে করবেন তার কূল খুঁজে পাচ্ছে না। প্রিয় পাঠক, আবারও অনুরোধ করছি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পোস্টটি আরো একবার মনোযোগ দিয়ে পরে আসুন। এবং আপনার সুবিধা সময় মতন নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন,জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন এখনই ফর্মটি ফিলাপ করে নিন। প্রিয় পাঠক, আমার স্বল্প জ্ঞানে অতি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি কিভাবে অতি সহজে করতে পারবেন তা আমি দেখাতে পেরেছি, আপনাদের মনে এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারেন। আমি আমার টিম চেষ্টা করব অতি দ্রুততার সহিত আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিবে। এতক্ষন যাবৎ যারা পোস্টটি পড়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url