OrdinaryITPostAd

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২২ | Bangladesh Railway E-Ticketing Service


২০ মার্চ ২০২২ থেকে ২৫ শে মার্চ ২০২২ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন টিকিট বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুনরায় ২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট ২০২২ অনলাইন টিকিট সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রায় একই রকম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট কার্যক্রম আগের মতন সেবা নিতে পারবে এমনটি বলেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়মে ও নতুন ওয়েবসাইট কিভাবে অনলাইনে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করবেন তা নিয়ে জনমনে অনেকটা সংশয় রয়েছে।

বাংলাদেশ-রেলওয়ে-অনলাইনে-টিকিট-কাটার-নতুন-নিয়ম-২০২২

২৬ শে মার্চ ২০২২ তারিখ হতে চালু হওয়া বাংলাদেশ ই টিকেটিং সিস্টেমে কিছুটা নিয়ম পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। নতুন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-টিকিট সংগ্রহ করতে আপনাকে প্রথমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন ওয়েবসাইটের নতুন একাউন্ট বা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বলে রাখা ভালো বাংলাদেশ রেলওয়ে পুরানো ওয়েবসাইট যাদের অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন সেটা দিয়ে আপাতত e-ticket টিকিট ক্রয় করতে পারবেন না। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস নিয়মনীতি অবশ্যই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

ট্রেনের ই-টিকিট কাটার আগে রেজিস্ট্রেশন

বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট ২০২২ অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে , রেলওয়ে কর্তৃক ওয়েবসাইট ঠিকানায় আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে,রেজিস্ট্রেশন করতে এই ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশনঅথবা যেকোনো ব্রাউজার মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটের railway.gov.bd ঠিকানা আপনাকে যেতে হবে। অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 

ই-টিকিট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াঃ ( শুধুমাত্র একবার করতে হবে )

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস টিকিট কাটার আগে আপনাকে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এই ঠিকানায়  Register 

Registration-Address

রেজিস্ট্রেশন পেজের ঠিকানায় প্রবেশ করে প্রথমে আপনার যে কাজটি করতে হবে, ফরমটি এক নজর দেখে নিবেন । একাউন্ট তৈরি করুন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে পূরণ ও সিকিউরিটি কোড দিয়ে পূরণ করে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন  প্রথমেই আপনার নাম (ইংরেজিতে লিখবেন), আপনার (ইমেইল ঠিকানা), আপনার (ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিন), মনে রাখতে পারেন এমন একটা পাসওয়ার্ড দিন, আইডেন্টিফিকেশন টাইপ ঘরে আপনাকে দুটি অপশন দেবে ১টি (জন্ম নিবন্ধন নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার) আইডেন্টিফিকেশন ঘর পূরণ করতে যেকোনো একটি সিলেক্টেড করে পূরণ করুক, আপনার পোস্ট কোড দিন, আপনার ঠিকানা দিয়ে সাইনআপ ক্লিক করলেই আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে।

ই-টিকিট লগইন করার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট ক্রয়ের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সার্ভিস নিবন্ধন সম্পূন্ন হলে লগইন করে প্রবেশ করে আপনার স্টেশন ও গন্তব্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখ সিলেক্ট করে সার্চ করতে হবে। সার্চকৃত রেজাল্টে আপনার গন্তব্যে যাওয়া ট্রেনগুলো লিস্ট দেখাবে।

রেজিস্ট্রেশন-ফর্ম-পূরণকৃত-অংশ

আপনার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পরে এই ওয়েবসাইটের  https://eticket.railway.gov.bd/  ঠিকানা আপনাকে যেতে হবে লগইন করার জন্য। ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং সার্ভিস উক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ এর মাধ্যমে আপনার সামনে লগইন অপশনটি আসবে। এইবার আপনাকে লগ ইন করতে ই-মেইল ঠিকানা অথবা রেজিস্ট্রেশন যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেটি লিখুন ও  রেজিস্ট্রেশন এর সময় যে পাসওয়ার্ডটি দিয়েছিলেন সেটি লিখুন এবং সিকিউরিটি কোড বা ওটিপি কোড ছয় সংখ্যার কোড পূরণ করত; “লগইন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

আরও পড়ুন ঃ কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ফ্রেম আকারে দেখবেন

লগইন-করার-সময়


এরপরের আপনার মোবাইল নাম্বারে ইমেইল ঠিকানায় একটি ওটিপি বার্তা আসবে ছয় সংখ্যার। এইবার ছয় সংখ্যার ওটিপি মোবাইল অথবা ইমেইল ঠিকানা আসা ওটিপি লিখুন।  “লগইন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আপনার  ই-মেইল ঠিকানায় এই রকম আসবে।
ওটিপি-ই-মেইল-ঠিকানা


একইভাবে আপনার মোবাইল নাম্বারে ওটিপি আসবে -

আরও পড়ুনঃ  নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২২- নতুন ভোটার হওয়ার সুযোগ

ওটিপি-মোবাইল-নাম্বারে


আপনি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ওয়েবসাইটে সফলভাবে লগইন করার পরে এমন একটি স্কিন আপনার সামনে যে পেজটি আসবে সে পেজে থেকে আপনার চাহিদা মত অপশন বেছে নিতে হবে। একটু লক্ষ্য করে দেখুন ফর্ম ও টু দুটি অপশন সামনে আসছে প্রথমে আপনি যে স্থান থেকে অনলাইন টিকিট ক্রয় করতে চাচ্ছেন ঠিকানাটা লিখুন (শুরু স্টেশন বা টিকিট ক্রয়ের স্থান), এরপরে (টু) অপশনে আপনি যে স্থানে গমন করতে চাচ্ছেন সেই নামটি লিখুন (গন্তব্য স্টেশন)। ডেট অফ জার্নি অর্থাৎ আপনি যে তারিখ যে ঠিকানায় যাত্রা করতে ইচ্ছুক সেই তার একটি সিলেক্ট করুন (ভ্রমণ তারিখ)। ট্রেনের নাম,আপনি যে ধরনের ক্লাসে যেতে ইচ্ছুক সেটি সিলেক্ট করুন (শ্রেণী)। টিকেট সংখ্যা যেভাবে রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। এইবার ফাইন টিকিট অপশনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনাকে এমন একটি স্কিনে নিয়ে আসবে। নিচে ছবিতে লক্ষ্য করুন।

টিকিট-প্রদর্শন-পপ-স্কিন


 
ট্রেনের-নাম-ও-সিট-দেখাবে

আপনি যে অপশনটি সিলেক্ট করেছেন সেই মোতাবেক আপনার সামনে এমন একটি স্কিন শো করবে।আপনার প্রয়োজন মোতাবেক তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন, সিট টাইপ অপশনটি যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে পারবেন প্রয়োজন অনুযায়ী, আপনার সামনে স্কিনে থাকা অপশন গুলোতে দেখতে পারবেন আপনার পছন্দের ট্রেন নাম, পছন্দ অনুযায়ী সিট, টাকার পরিমান, ভিউ অপশনে দেখতে পারবেন আপনি কোন সিট সিলেক্ট করেছেন, কতটি সিট ক্রয় করেছেন (সর্বোচ্চ- ৪টি ক্রয় করতে পারবেন) অনলাইনে ট্রেনের টিকেট ক্রয় আদেশ বলা আছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকিটিং সার্ভিস নির্দেশাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ কিভাবে উইন্ডোজ ১০ এ App window শীর্ষে রাখবেন

২৩ এপ্রিল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৩ শে এপ্রিল ২০২২ আর যাত্রার ফিরতি অগ্রিম টিকিট যাত্রীরা ক্রয় করতে পারবে পহেলা মে থেকে ২০২২।অগ্রিম অনলাইন টিকিট কাটা সময় সম্পর্কে জানানো হয়েছে।সম্মানিত যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে মাননীয় রেলমন্ত্রী ইসলাম ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ও ফিরতি টিকিট সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন। বৈঠক সূত্র থেকে জানা যায়। 

  • ২৩ শে এপ্রিল ২৭ শে এপ্রিলের যাত্রা টিকিট বিক্রি হবে
  • ২৪ এপ্রিল বিক্রি হবে ২৮ শে এপ্রিলের যাত্রা টিকিট
  • ২৫ এপ্রিল পাওয়া যাবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট
  • ২৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ শে এপ্রিলের যাত্রা টিকিট
  • শেষ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল বিক্রি হবে ১ মে টিকিট।
রেলওয়ে সূত্র থেকে বলেছে, স্বাভাবিক সময়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট 5 দিন আগে থেকে বিক্রি করা হয় । অগ্রিম টিকিট বিক্রয় করা সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়।এবার ঈদে যাত্রীসাধারণ গান স্বাচ্ছন্দে টিকিট ক্রয় করতে পারবে কিনা এই নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। তবে এবার ঈদে বাড়তি কোনো সময় থাকার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। আসন্ন রোজার ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত বাড়তে পারে এটা ধারণা করা যাচ্ছে। রেলওয়ে সূত্র থেকে জানা যায়, এবার ঈদে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে ছয়-আট থেকে সার্ভিস চালু করা হয়। আন্তঃনগর ট্রেনের ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ হাজার টিকিট বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এসব টিকিটের মধ্যে অর্ধেক পাবে অনলাইনে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।

টিকিটের মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি

ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের একাউন্ট মারফত যাত্রীর জমাকৃত টাকা থেকে টিকিটের মূল্যে কেটে নেয়া হবে এবং যাত্রীর ইমেইলে ই টিকিট টি পাঠিয়ে টিকিট নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

টিকিট সংগ্রহ সিস্টেম

ইমেইল মেসেজ  বক্স থেকে প্রেরিত টিকিটটির প্রিন্ট নিয়ে ফটো আইডিসহ ই-টিকেট প্রদত্ত “টিকিট প্রিন্ট ইনফরমেশন” প্রদান করে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বেই ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। 

শেষকথা

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পেলেও যৌথভাবে টিকেটিং সিস্টেম চালু রাখতে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে সিনেসিস, ভিনসেন জেভি।১৫ ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেন সহজ। জানিয়ে রাখা ভালো, বাংলাদেশ বাস ও লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা রেল টিকেটিং সিস্টেম আদলে সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করে অনলাইন টিকিট সিস্টেম অব্যাহত রেখেছে। নতুন ওয়েবসাইট নতুন নিয়ম টিকিটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে সহজ। জানিয়ে রাখা ভালো এর আগে টিকিট বিক্রয় দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url