OrdinaryITPostAd

হে আল্লাহ আমি তোমার ভালোবাসা চাই

নিষিদ্ধ ভালোবাসা আর আল্লাহর তায়ালার ভালবাসা সাথে শিরকের অনুরূপ। যেমন মুশরিকদের সাথে তাদের মূর্তি ও মনগড়া উপাস্যদের কারণে মুহাব্বত করা এবং নিজের প্রবৃত্তির পছন্দকে আল্লাহর পছন্দের উপর প্রাধান্য দেওয়া, অথবা আল্লাহ যে সব, সময়, স্থান, ব্যক্তি, কথা ও কাজকে অপছন্দ করেন, সেগুলোকে পছন্দ করা। এসবই নিষিদ্ধ ভালবাসা। বর্তমান যুগে ছেলে-মেয়েরা দীর্ঘনিঃশ্বাস নিয়ে অতি আদরে সহিত গর্ব করে বলে “বয়ফ্রেন্ড,গার্লফ্রেন্ড, এক্স বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড। ওদের লজ্জা করে না এসব নিষিদ্ধ ভালোবাসার সর্ম্পকে জড়িত হতে। আল্লাহ তা'আলা বলেন: আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালোবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালোবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। [সূরা: আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ১৬৫]

তোমার জীবনের সমস্যা গুলো শুনতে শুনতে সবাই একসময় বিরক্ত হয়ে যাবে, একমাত্র 'তিনি' ছাড়া।

পোস্টের সূচিপত্র

তুমি জানো তিনি কে?

  • তিনি তোমার সেই রব। যিনি তোমার গুনাহ গুলো গোপন রাখেন ।
  • তিনি সেই রব, যার কাছে না চাইতেই তোমাকে পরিমিত রিযিক দান করেন।
  • তিনি সেই রব এতো পাপ করার পরও তোমাকে সাথে সাথে শাস্তি দেন না৷
  • তিনি সেই রব যে তোমার চাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন।
  • তিনি চাইতেই দিতে প্রস্তুত৷

তাহলে একমাত্র তাকেই বলো

মানুষের সাথে যেভাবে কথা শুরু করো, তাঁর সাথে সেভাবে ফরমালিটি মেইনটেইন করে শুরু করার দরকার নেই যে, "ইয়া আল্লাহ তুমি কী ফ্রী আছো? কিছু কথা বলার ছিল। সময় হবে কি?" বরং তিনি তো তোমার কথা শোনার জন্য সব সময় ফ্রী, তিনিই তো অপেক্ষায় রয়েছেন কখন তুমি তাঁকে ডাকবে আর তিনি সাড়া দিবেন। [সূরা আল গাফের: ৬০] দয়াকরে বিস্তারিত তাফসির পড়ার আহ্বান করছি।

এভাবেই শুরু করো

"ইয়া আল্লাহ, কিছু কথা বলব৷ বলার মত কাউকে পাচ্ছিনা৷ সবাই ব্যস্ত। তুমি শুনো আমার কথাগুলো ৷ শুনে একটা সমাধান দাও আমাকে। তুমিই আমার জন্য যথেষ্ট" তবে হ্যাঁ তুমি তোমার সব কথা গুলো আল্লাহকেই বলো। আর সম্ভব হলে তাদেরও বলো যারা তাদের জীবনের কথা গুলোও আল্লাহ তায়ালাকে বলে।

সাথে তুমি কিছু ভালবাসা চাও। বলো যে

"ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার ভালবাসা চাই, এবং তাদেরও ভালবাসা চাই যারা তোমাকে ভালবাসে এবং তাদেরও ভালবাসা চাই, তুমি যাদেরকে ভালবাসো" ‘পথভ্রষ্টরা ছাড়া, কে তার রবের রহমত থেকে নিরাশ হয়’? সুরা হিজর, আয়াত ৫৬।

আর পড়ুনঃ- গ্রাফিক্স ডিজাইনার? তাহলে এই আইডিয়া গুলো আপনার জন্য

নিশ্চয় আল্লাহর মুহাব্বতই হলো প্রকৃত একত্ববাদ। একত্ববাদের রূহ হলো, এক আল্লাহর প্রতি খালেছভাবে মুহাব্বত করা; বরং এটাই ইবাদাতের হাকীকত। বিপদের সময় আল্লাহ প্রেমিক,প্রশান্তি লাভ করবে। তিনটি জিনিস যার মধ্যে পাওয়া যাবে সে প্রকৃত ঈমানের স্বাদ পেয়েছে । আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল অন্য সবকিছু থেকে তার কাছে প্রিয় হবে ।

এমনিভাবে আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন, তাকে স্বীয় প্রতিপালন ও পরিচর্যা দ্বারা পরিবেষ্টন করে রাখেন। সবকিছু তার অনুগত করে দেন। সকল কঠিন তার জন্য সহজ করে দেন। সকল দূরবর্তী জিনিস তার নিকটবর্তী করে দেন। দুনিয়ার সকল কাজ তার জন্য সহজ করে দেন। ফলে সে কোন ক্লান্তি ও কষ্ট অনুভব করে না। আল্লাহ তা'আলা বলেন: যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ ভালবাসা দেবেন [সূরা: মারইয়াম, আয়াত: ৯৬]

আল্লাহ যাকে ভালবাসেন তার দোয়া কবুল করেন। মুমিন বান্দাদের দোয়া কবুল করা তাদের প্রতি আল্লাহর ভালবাসার প্রমাণ। এমন বান্দা দোয়ার জন্য আকাশের দিকে হাত তুলতেই তাকে নেয়ামত দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেন। তারা যখন বলে, হে আমার রব! আল্লাহ তা'আলা বলেন-আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুত: আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।}[সূরা: আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ১৮৬]

আল্লাহর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হলো অধিক পরিমাণে তাঁকে স্মরণ করা এবং তাঁর সাক্ষাতের প্রতি উদগ্রীব হওয়া। কেউ কোন বস্তুকে ভালবাসলে তার স্মরণ এবং সাক্ষাতের চেয়ে প্রিয় তার কাছে আর কি থাকতে পারে?

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url