OrdinaryITPostAd

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ | | পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ | | From 1947 to 1971 | | From Pakistan to Bangladesh

৩রা জুন, ১৯৪৭ সালে ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের নেতাদের সাথে বৈঠকে ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা সম্বলিত হোয়াইট পেপার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। শ্বেতপত্রে ভারত বর্ষ বিভক্তের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছিল ওই বৈঠকে সব দলের নেতৃবৃন্দগণ পরিকল্পনা মেনে নেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পর্যন্ত ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী জানতে সঙ্গেই থাকুন।


১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭ সাল দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন করা হয়।

১৭ই আগস্ট, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ১৭ আগস্ট ১৯৪৭ মুসলিম লীগের প্রধান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান ১৭ ই আগস্ট পাকিস্তানের করাচিতে গভর্নর জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। ঢাকায় বিভিন্ন সড়কে সেদিন আতশবাজি পোড়ানো হয়েছিল।

৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গণতন্ত্র যুবলীগের পূর্ব-পাকিস্তানের সাংগঠনিক কমিটি তৈরি হয়। কিন্তু পরে মুসলিম লীগের রাজনীতির বিপরীতে শক্তিশালী হতে থাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি দল গঠনের আলোচনা। যার প্রথমে ছাত্রলীগ এবং পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।

৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৪৮ সাল ১৯৪৮ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের এ্যাম্বিল হলের নতুন প্রতিষ্ঠিত দলের নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। 

১৯৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছিল। 

২৪ মার্চ, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা অনুষ্ঠানে জিন্নার বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে কার্জন হলে উপস্থিত ছাত্রের একটা অংশ “নো, নো” বলে প্রতিবাদ জানাই।

২৩ শে জুন, ১৯৪৯ সালে ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। 

প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ও সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক (উভয়ই- টাঙ্গাইল)। তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমান,খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। অন্যদিকে,পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনের নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ২৪ জুন ১৯৪৯ সালে বিকেলে নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করে। সভায় আনুমানিক প্রায় চার হাজার লোক উপস্থিত ছিল।

২৩ শে জুন, ১৯৪৯ সাল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ পরবর্তীতে সেই দলের নাম পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

২১ শে, ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাল ৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়েছিল। ধর্মঘট প্রতিহত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। সমবিত ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে পূর্ববাংলা আইন পরিষদে যাওয়ার চেষ্টা করে এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলিবর্ষণ করে ঘটনাস্থলে আবুল বরকত রফিক উদ্দিন এবং আব্দুল জব্বার তিনজন মারা যান হাসপাতালে মারা যান আব্দুস সালাম।

১৯৫২ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান শেখ মুজিবুর রহমান পরের বছর তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকেন। 

একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে হাজারো মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটের পাশে অস্থায়ী ভাবে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সরকার সেদিন সভা সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ করেছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শোকের প্রতীক হিসেবে কালোব্যাজ ধারণ করেন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেদিন ঢাকার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়।

১০ মার্চ ১৯৫৪ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববঙ্গের যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে।

৩ এপ্রিল, ১৯৫৪ সালে মাওলানা ভাসানী, একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক শাসন ভার গ্রহণ করেন।

৩০ শে মে,১৯৫৪ সালে মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৩০ মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। ৭ই মে ১৯৫৪ সাল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৫ সালে ভাষা আন্দোলনে ছাত্র জনতার অন্যতম দাবী ছিল বাংলা ভাষার প্রসার ও গবেষণার জন্য একটি স্বতন্ত্র একাডেমি স্থাপন করা। অবশেষে ১৯৫৫ সালের তেসরা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাংলা একাডেমি। ১৯৫৬ সালে সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি কার্যকর হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ সালে প্রথম শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৬২ সাল, ১৯৬৯ সালের প্রথমদিকে শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যা ১৯৬২ সালে বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু বৈষম্যমূলক বলে ওই শিক্ষানীতি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।

১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২-৬৩ সাল

১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২ সালের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৪৪ ধারার মধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্বপাকিস্তানে দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করা হয় সেদিন ঢাকায় হাইকোর্টের সামনে ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন ওয়াজউল্ল্যাহ, গোলাম মোস্তফা এবং বাবু। একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় উদ্বোধন করেন ভাষা শহীদ আবুল বরকতের মা হাসিনা বেগম। 

৫-৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সাল

৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শোষণ-বৈষম্য চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহারে বিরোধীদলের সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন কিন্তু সেটি তখন গৃহীত হয়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন পাকিস্তানের দুটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এই ছয় দফা দাবি করা হয়েছে। 

১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সাল

১১ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে ৬ দফা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন, ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত এই মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলার আনুষ্ঠানিক নাম ছিল রাষ্ট্র বনাম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্যদের বিচার মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। 

৬ জানুয়ারি, ১৯৬৮-৬৯ সাল

৬ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে মোট দুই জন সিএসপি অফিসার সহ মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রথমে আসামীদেরকে দেশরক্ষা আইন থেকে মুক্তি দেয়া হয় পরবর্তীতে আর্মি নভি এয়ার ফর্স কুর্মিটোলা সেনানিবাসে বিচার শুরু হয়। ১৯৬৯ সালের শুরুতে পূর্ব বাংলার স্বায়তশাসনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। 

২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সাল

২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুলিশের গুলিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাত্র আসাদুরজাম্মান আসাদ নিহত হয়। সহযোদ্ধারা আসাদের রক্তমাখা শার্ট নিয়ে মিছিল করে পরে শেরেবাংলানগরের সমাধিস্থল এর নাম পরিবর্তন করে আসাদগেট নামকরণ করা হয়। 

১৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সাল

১৫ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১৭ নং আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হক ১৫ই ফেব্রুয়ারি বন্দি থাকা অবস্থায় ঢাকা সেনানিবাসের দায়িত্বে নিয়োজিত পাকিস্তানি রাইফেলের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

১২ই নভেম্বর, ১৯৭০ সাল

১২ই নভেম্বর, ১৯৭০ সালে ইতিহাসের অন্যতম প্রলয়ংকার ঘূণিঝড়ে আঘাত হেনেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ভোলার সাইক্লোনকে মোটেই গুরুত্ব দেয়নি। আর বিষয়টি নিয়ে অঞ্চলের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছিল যার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী ত্বরান্বিত করেছিল। 

৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭০ সাল

৭ই ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের প্রথম এবং শেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যাদের আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পহেলা মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।  

২রা মার্চ, ১৯৭১ সাল

দোসরা মার্চ, ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে আব্দুর রব উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। ১৯৭১ সাল তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ১৮ মিনিট ভাষণ দেন সেখানে শেখ মুজিব বলেছিলেন এইবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এইবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। 

২৫ মার্চ, ১৯৭১ সাল

২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক গণহত্যা শুরু করেছিল। ঐই রাতে সামরিক অভিযানের নাম ছিল “অপারেশন সার্চলাইট”। সেই রাতে গ্রেফতার করা হয় শেখ মুজিবর রহমানকে। 

শেষকথাঃ বন্ধুরা, আজ আমরা ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আগ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে একটি নিবন্ধ তৈরি করেছি। আমাদের এই পোস্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত কি ঘটনা ঘটেছিল বের করে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশাকরি, আমাদের স্বাধীনতার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে মূল শিরোনামগুলো আলোচনা করতে সক্ষম হয়েছি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা উপকৃত হবেন। আরও এই পোস্টের মাধ্যমে জানতেন পারবেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষার আসা প্রশ্নের প্রশ্নসহ উত্তর। এই ধরনের আরও সুন্দর সুন্দর নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url