OrdinaryITPostAd

ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে কাজ করে জানুন

ওয়ার্ডপ্রেস কি ? ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা কি, কেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট, ওয়ার্ডপ্রেস এত জনপ্রিয় কেন? কারা ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহারকারী? কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ওয়ার্ডপ্রেস কি ?

সোজা ভাবে বললে, ওয়ার্ডপ্রেস এমন সহজএবং জনপ্রিয় মাধ্যম যেটা ব্যবহার করে আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এই মাধ্যম কতটা সহজ, এবং জনপ্রিয় সেটা বোঝা যায় এর ব্যবহারকারীদের অধিক সংখ্যার ওপরে। কোটি ওয়েবসাইট গুলির ভেতরে ৩৪% থেকেও বেশি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি।ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা ওয়েবসাইট বানানোর জন্য, আপনার হোস্টিং সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং একাউন্ট থাকতে হবে। এবং, তারপর আপনি নিজের সার্ভারে এই ওয়ার্ডপ্রেস CMS ইনস্টল করে তৈরি করে নিতে পারবেন যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট । প্রথম পর্যায়ে ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম ছিল যা পরবর্তীকালে ইঞ্জিন তৈরি করে এবং ফ্রী ডাউনলোড করে যেকোনো ব্লগারকে ব্যবহারের সুবিধা দিতে শুরু করে. কোনো প্রকার পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা প্রোফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন কি ?

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন হলো এক ধরনের সফটওয়্যার, যেটা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ইনস্টল করে, নিজের ব্লগ বা ওয়েভসাইটের কার্যক্ষমতা, ফাঙ্কশন বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন, আপনার ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন, আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো ফাংশন এর কর্মক্ষমতা অধিক বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বিভিন্ন নতুন নতুন ফাংশন ওয়েবসাইটে যোগ করতে পারে। এটা মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশন এর মতোই বলা যেতে পারে। যেভাবে, আমরা গুগল প্লে স্টোর এ গিয়ে বিভিন্ন রকমের অ্যাপস মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে নতুন নতুন ফাংশন যোগ করি, ঠিক সেভাবেই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটেও আমরা বিভিন্ন ফ্রি বা পেইড প্লাগিন ইনস্টল করে, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ফাংশন যোগ করে নিতে পারি। ওয়ার্ডপ্রেস এতোটা বিখ্যাত হওয়ার কারণ এটাও যে, নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে আলাদা করে যেকোনো ফাংশন যোগ করার জন্য, আপনারা ফ্রি প্লাগিন পেয়ে যাবেন।

উদাহরণ স্বরূপে, নিজের ব্লগে বা ওয়েবসাইটে প্লাগিন এর মাধ্যমে আলাদা করে, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং বোতাম, ইমেল সাবস্ক্রিপশন বক্স, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, ওয়েবসাইট সিকিউরিটি অপশন, সম্পর্কিত আর্টিকেল যোগ করতে পারবেন। এতে, সহজে আপনি নিজের ওয়েবসাইটকে নিজের হিসেবে তৈরি করতে পারবেন। অফিসিয়াল ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন ডিরেক্টরি তে আপনারা হাজার হাজার ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন পেয়ে যাবেন।

কেনওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করবেন?

  • ওয়ার্ডপ্রেস উন্নত এবং বহু কার্যকারিতা CMS সফটওয়্যার যেটা আপনারা ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারছেন।
  • এখানে যেকোনো ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব।
  • ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার সহজেই শিখতে পারবেন।
  • নিজের ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং ফাঙ্কশন বাড়িয়ে নিতে পারবেন বিভিন্ন ফ্রি থিম এবং প্লাগিন এর মাধ্যমে।
  • SEO ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস অনেক নিরাপদ ।
  • যেকোনো ধরণের মিডিয়া ফাইল যেমন অডিও,ভিডিও, ছবি আপলোড করে, আর্টিকেলের সাথে যোগ করতে পারবেন ।
  • বিনামূল্যে থিম, প্লাগইন্স পাওয়া যায়।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস সফটওয়্যার হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস
  • বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়
  • কোনো পিএইচপি এবং এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব
  • যেকোন তথ্য সহজেই পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা বিয়োজন করা যায়
  • সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব


CMS সফটওয়্যারজানতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়ার্ডপ্রেস এর লাভ সুবিধা

ওয়ার্ডপ্রেস অনলাইনে ওয়েবসাইট ও ব্লগ তৈরি করার সব থেকে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হওয়ার প্রধান কারণ হলো, এই সফটওয়্যার এর প্রচুর লাভ রয়েছে।

  • প্রথমেই, এরকম অ্যাডভান্সড ধরণের সফটওয়্যার আপনারা ফ্রীতেই পেয়ে যাচ্ছেন। আপনার কোনো টাকা দিতে হয়না ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার জন্য ।
  • অনলাইন সফটওয়্যার হওয়ায় আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কাজ যেকোনো জায়গার থেকেই করতে পারবেন। আপনার ভালো ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেক্শনের প্রয়োজন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ ভাবে SEO ফ্রেন্ডলি মানে, ওয়ার্ডপ্রেস এমন কিছু সহজ এবং আদর্শ মান কোড ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে যেগুলির জন্য অনেক সহজে আপনার ওয়েবসাইট ও ব্লগ গুগল সার্চ ইঞ্জিন এ ইনডেক্স হতে সাহায্য করে।
  • ওয়ার্ডপ্রেস আজ কোটি কোটি ওয়েবমাস্টার্সদের ভরসা।, ওয়ার্ডপ্রেস তার নিরাপত্তার দিগে অনেক ভালো ভাবে ধ্যান দিয়েছে, এই ভরসা বজায় রাখার জন্য । ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ বা ওয়েবসাইট, হ্যাক করা বা তার ক্ষতি করাটা প্রায় অসম্ভব।
  • আপনি কেবল ব্লগ বা ওয়েবসাইট না, বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করতে পারবেন এই CMS সফটওয়্যার ব্যবহার করে । যেমন, ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট, এ-কমার্স ওয়েবসাইট, কোম্পানি ওয়েবসাইট, এবং আরো অনেক ধরণের।
  • হাজার হাজার ফ্রি থিম এবং প্লাগিন পেয়ে যাবেন, যেগুলি ব্যবহার করে নিজের সৌন্দর্য, ওয়েবসাইটের ক্ষমতা, ডিসাইন এবং ফাঙ্কশন বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
  • সহজে থিম বদলে দিয়ে নিজের ব্লগের ডিজাইন ও বদলে দিতে পারবেন।
  • সব রকমের উন্নত ফাংশন এবং সাম্প্রতিক ওয়ার্ডপ্রেস আপনাদের দিবে। যেমন, প্রতিক্রিয়াশীল ওয়েবসাইট ডিজাইন, SEO বন্ধুত্বপূর্ণ কাঠামো, সহজ কাস্টমাইজেশন, প্লাগইন ও আরো অনেক ফাংশন রয়েছে।
  • কাস্টমাইজ অপশনে গিয়ে, আপনারা নিজের ওয়েবসাইট এর ডিজাইন সহজে এডিট করতে পারবেন ।
  • ইন্টারনেটে ওয়ার্ডপ্রেসের বিষয়ে অনেক অনেক ভিডিও এবং আর্টিকেল পাবেন,
  • যেগুলি দেখে অনেক সহজে ওয়ার্ডপ্রেস এর বিষয়ে শিখে নিতে পারবেন।

এই CMS সফটওয়্যার একবার যে ব্যবহার করবেন ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানানোর জন্য সে চিরকাল এটাই ব্যবহার করবেন। কতটা সহজ এবং ভালো এই সফটওয়্যার, সেটা ব্যবহার করেই বুঝবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব সাইট কি ?

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরী করা সম্ভব। এটি সহজ হয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস এর ডিরেক্টরিতে থাকা অসংখ্য থিম ও প্লাগিন এর জন্য। ওয়ার্ডপ্রেস শুধু বিজনেস ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরীতেই নয়, বরং ই-কমার্স সাইট তৈরীরও অন্যতম মাধ্যম। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরী কিছু সাইট নিম্নরূপঃ

  • বিজনেস ওয়েবসাইট
  • ই-কমার্স স্টোর
  • ব্লগ
  • পোর্টফোলিও
  • রেজ্যুমে
  • ফোরাম
  • সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

উল্লিখিত ওয়েবসাইট ছাড়াও একাধিক ক্যাটাগরি মিশিয়েও ওয়েবসাইট বানানো যাবে৷ এমন যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট ই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা বানানো সম্ভব।

ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহারকারী কারা?

ওয়েবসাইট তৈরিতে ওয়ার্ডপ্রেস এতোটাই জনপ্রিয় যে এটা ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কল্পনাই করা যায় না। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে এমন কিছু ওয়েবসাইট হলোঃ

  • হোয়াইট হাউস
  • মাইক্রোসফট
  • আমেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক,
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্লগ, 
  • জনপ্রিয় শিল্পি,
  • স্টার ওয়ারস এর অফিশিয়াল
  • মিউজিক লেবেল,;
  • এবং আরো অনেক

ওয়ার্ডপ্রেস এত জনপ্রিয় কেন?

ফ্রি সফটওয়্যার ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তার মূলেই রয়েছে এটির সহজ লভ্যতা। যেকেউ ফ্রি সফটওয়্যার হওয়ায় ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারে। অন্যসব ওয়েবসাইট টাকা দাবি করলেও ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে সহজেই অল্প খরচে ওয়েবসাইট তৈরী সম্ভব।

ব্যবহারে সুবিধা

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করাই সবচেয়ে সহজ। যেকেউ খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে কোনো পূর্বধারণা ছাড়াই । ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যেকেউ ব্লগ বা পেজ তৈরী করতে পারে ।

  • থিম

ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর প্রধান আকর্ষণ এর ডিজাইন। ওয়ার্ডপ্রেস চালিত ওয়েবসাইট ডিজাইন নির্ভর করে থিম এর উপর। ওয়ার্ডপ্রেস এর ডিরেক্টরিতে পাওয়া ফ্রি থিম যা ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন। ফ্রি থিম এর পাশাপাশি অনেক পেইড থিমস ও রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য।

  • প্লাগিন

ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করলে বেসিক সব ফিচার পাওয়া যায় এর সাথেই । তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ফাংশনালিটি উন্নত করতে চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ব্যবহার করতে হয় । অ্যাপ এর সাথে তুলনা করা যেতে পারে এগুলোকে । মোবাইলে যেমন বিভিন্ন অ্যাপ বিভিন্ন সুবিধা দেয়, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনও সাইটে বিভিন্ন ফিচার তেমনি যুক্ত করে। যেকোনো নতুন ফিচার যুক্ত করা সম্ভব ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ব্যবহার করে । প্লাগিন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেসে সমস্যার সমাধানেও।

  • এসইও

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস যথেষ্ট কার্যকর৷ ওয়ার্ডপ্রেস সার্চ ইঞ্জিন সমূহকে প্রাধান্য দিয়ে এসইও-বান্ধব সফটওয়্যার তৈরী করে। ফলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরী ওয়েবসাইটে অসংখ্য ভিজিটর পাওয়া সম্ভব গুগল থেকেই । বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করেও ওয়েবসাইটের এসইও কে উন্নত করা যায়।

এসইও সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন?

বিশাল সংখ্যার ওয়েবসাইট বিশ্বে তৈরী হয় ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেই। তাই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার ও ওয়েব ডিজাইনার এর প্রচুর চাহিদা । ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন অন্যসব বিষয়ের মত । ওয়ার্ডপ্রেস কোডেক্স থেকেও ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভলপমেন্ট সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রচুর ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জ্ঞান যা অর্জন করতে পারবেন ৷ আপনি যদি শুধু ওয়েব ডিজাইনার হতে চান, সেক্ষেত্রে কোডিং না শিখেও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগবে?

আপনারা ভাবেন ওয়ার্ডপ্রেস অনেক কঠিন। প্রথমে আপনার সেরকম লাগবেই। কিন্তু, কিছু দিন নিজের ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড এ গিয়ে অপসন গুলি ব্যবহার করলেই আপনারা অনেক সহজে এর ব্যবহার শিখে যাবেন। তাছাড়া, ইন্টারনেটে ওয়ার্ডপ্রেস এর সাথে জড়িত সব রকমের ভিডিও বা আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। সেগুলি একবার পরেই সবটাই আস্তে আস্তে শিখে যাবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের জরুরি বিষয় গুলি যেমন, কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন, নিজের ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে করবেন, প্লাগিন কিভাবে ইনস্টল করবেন,থিম ইনস্টল করার নিয়ম, এবং এই ধরণের বিষয় গুলি একবার দেখেই শিখে নিতে পারবেন। যদি ভালো ভাবে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে ঘাটা ঘাঁটি করেন, তাহলে কেবল 0১ সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভাবে শিখে যাবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এর পার্থক্যঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে হলে পি.এইচ.পি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভালভাবে জানতে হবে । কারণ ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার জন্য অনেক ধরনের ডাটা প্রসেসিং, সিকিউরিটি মেইনটেইন, কন্ডিশন তৈরির প্রয়োজন হয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের অংশ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট । যার মাধ্যমে পি.এইচ.পি খুব ভাল না জেনে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়। কারণ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস পি.এইচ.পি’র প্যাকেজ, যাকে সি.এম.এস বলা হয়।

এর মধ্যে অনেক ধরনের ফাংশন তৈরি করা আছে পি.এইচ.পি’র । সেই ফাংশনগুলোকে কল করে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম তৈরি করা একজন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপারের কাজ । যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ওয়ার্ডপ্রেস নিজেই তৈরি করে রেখেছে, সেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপারের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। আর তাই ওয়ার্ডপ্রেসের থিম ডেভেলপমেন্ট শেখা সম্পূর্ণ পি.এইচ.পি শেখার চাইতে অনেক সহজ। সবশেষে লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদেরকে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার মতামত আমাদের একান্ত কাম্য। আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url