OrdinaryITPostAd

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস - কোরবানি ঈদের বয়ান

ঈদ হল মুসলমান হিসেবে আমাদের জন্য আনন্দঘন খুশির আগমনী বার্তা। আর এই আনন্দঘন মুহূর্তকে বাড়িয়ে তুলতে আমরা ঈদের এসএমএস বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। তাই, ১০০+ কোরবানির ঈদের এসএমএস -  কোরবানির ঈদের বয়ান জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

১০০+-কোরবানির-ঈদের-এসএমএস----কোরবানির-ঈদের-বয়ান

পেজ সূচিপত্রঃ ১০০+ কোরবানির ঈদের এসএমএস -  কোরবানির ঈদের বয়ান

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস  ১ - ২০

আপনাকে ও আপনার পরিবারের সকলের প্রতি রইল কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা সহ অনেক অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা। " ঈদ মোবারক " ঈদের মত আনন্দময় হোক প্রতিটি দিন, সুন্দর হোক তোমার জীবন, পূরণ হোক মনের সব চাওয়া পাওয়া। " ঈদ মোবারক "

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রত্যেক প্যারায় ২টি করে কোরবানি ঈদের এসএমএস রয়েছে।

আমার বাড়ি আইসো সখী নতুন সাজে সেজে, ঈদের পোশাক দিব তোমায় বইসো আমার পাশে।পোলাও কোরমার সাথে দিব 7আপ খেতে।ঈদের দিন করবো মাস্তী দুজন মোরা মিলে। Eid Mubarak SMS!!! শুভ ক্ষণ, শুভ দিন, মনে রেখ চির দিন, কষ্ট গুলো দূরে রেখ, স্বপ্ন গুলো পুরন করো,নতুন ভালো স্বপ্ন দেখো,আমার কথা মনে রেখ। অগ্রিম ঈদ মোবারক!!

মেঘলা আকাশ মেঘলা দিন, ঈদের বাকি এক দিন, আসবে সবার খুশির দিন, কাপড় চোপড় কিনে নিন, গরীব দুঃখীর খবর নিন, দাওয়াত রইলো ঈদের দিন, ঈদ মোবারাক। আজ দু:খ ভুলার দিন, আজ মন হবে যে রঙ্গিন, আজ প্রান খুলে শুধু গান হবে, আজ সুখ হবে সিমাহীন, তার একটাই কারন, আজ যে ঈদের দিন, তাই ঈদের এসএমএস নিন ঈদ মোবারাক।

ঈদের খুশী সবার তরে, ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরে। " ঈদ মোবারক " নতুন সকাল নতুন দিন,শুভ হোক ঈদের দিন, নতুন রাত বাকা চাঁদ, রঙ্গিন হোক ঈদের রাত। ঈদ মোবারক "

তুমি শিশির ভেজা গোলাপের পাপড়ি তুমি পাহাড়ের গায়ে ঝরনার পানি, তুমি বরষার এক পরশ বৃষ্টি, তুমি মধ্য রাতের পূর্ণিমার চাঁদ,তোমাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারাক । কষ্টের আড়ালে সুখের রাশি, প্রতিটা জীবনকেই আমি ভালোবাসি, তাই প্রতিটা জীবনের প্রতিটা সময় শুভ হোক সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।

বলছি আমি আমার কথা, ঈদে থাকবে নাকো মনের ব্যাথা, আমার জীবনে অনেক চাওয়া, ঈদ থেকে সব পাওয়া, ঈদের প্রতি তাই এত্ত ভালোবাসা, ঈদ মোবারক। আনন্দের এই সময় গুলো, কাটুক থেমে থেমে, বছর জুড়ে তোমার তরে, ঈদ আসুক নেমে, ঈদ মোবারক।

যে দিন দেখবো ঈদের চাঁদ, খুশি মনে কাটাবো রাত, নতুন সাজে সাজব সেদিন, সেদিন হলো ঈদের দিন, আনন্দে কাটাবো সারা দিন, বন্ধু তোমায় দাওয়াত রইল ঈদের দিন ! ঈদ মোবারাক ঈদ মানে আকাশে নতুন চাঁদ, ঈদ মানে নতুন কিছু চাওয়া পাওয়ার স্বাদ, ঈদ মানে মেহেন্দি রাঙা হাত, ঈদ মানে খুশিতে মেতে ওঠার রাত…" ঈদ মুবারক " সকলকে


শুভ রজনী, শুভ দিন, রাত পোহালেই ঈদের দিন। উপভোগ করবে সারাদিন, ঈদ পাবে না প্রতিদিন।দাওয়াত রইলো ঈদের দিন।  " ঈদ মোবারক " আসছে ঈদ, লাগছে ভালো…তাইতো তোমায় বলতে হলো…ঈদ মানে আকাশ ভরা আলো, ঈদ মানে সবাই থাকবে ভালো…ঈদ এর অগ্রিম শুভেচ্ছা

ঈদ এর এই আনন্দ উৎসবে, আলাহ তোমাকে আনন্দ দিক…তাঁর রহমতে সকলের জীবনে শান্তি আসুক…ঈদ মোবারক " বকরি ঈদ মোবারক ঈদের প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনার জীবন ভরে উঠুক খুশি ও আনন্দে…

Eid Mubarak SMS SMS চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে দেখবি কে কে আয়, নতুন চাঁদের আলো এসে পড়ল সবার গায়। অগ্রিম ঈদ মোবারক!! Eid Mubarak SMS ছবি Chobi,,,Eid Mubarak SMS মেসেজ
ঈদ কার্ড দিতে পারলাম না-তুমি দূরে বলে, মুখে বলতে পারলাম না-নাম্বার নাই বলে। তাই তোমাকে বলছি সুন্দর হোক তোমার ঈদের দিন। দাওয়াত রইলো অগ্রিম ঈদ মোবারক

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস ২১ - ৪০

মন চাইছে কারো সাথে কথা বলি, মন চাইছে কোন প্রিয়জনকে স্মরণ করি, ঈদ মোবারক বলার সিদ্ধান্ত যখন নিলাম, ভাবলাম তোমাকে দিয়েই শুরু করি । চিঠি দিয়ে নয় "ফুল দিয়ে নয়, কার্ড দিয়ে নয় "কল দিয়ে নয়" মনের গহীন থেকে মিষ্টি SmS দিয়ে জানাই সবাই কে "অগ্রিম ঈদের শুভেচছা" ঈদ মোবারক

ফুলে ফুলে সাজিয়ে রেচখেছি এই মন, তুমি আসলে দুজনে মিলে আনন্দ করবো সারাক্ষণ। বন্ধু তুমি আসবে বলে দরজায় থাকি ধরিয়ে। ঈদ মোবারক , শুভ হোক তোমার ঈদের দিন । দিনে গরম রাতে শীত সামনে আসছে কুরবানি ঈদ, সাদা রুটি মাংসের ঝোল, খেতে তোমরা করোনা ভুল । ঈদে থাকব হাসি খুশি তোমাকে চাই পাশাপাশি

সোনালি সকাল, রোদেলা দুপুর, পরন্ত বিকেল, গুধোলী সন্ধা, চাদণি রাত। সব রঙ্গে রাঙ্গিয়ে থাক আপনার সারাটি বছর, সারাটি জীবন। এই কামনায় "ঈদ মোবারাক" সপ্ন গুলো সত্যি হোক, সকল আশা পুরনো হোক। দু:খ দুরে যাক, সুখে জীবন ভরে যাক। জীবনটা হোক ধন্য, ঈদ মোবারাক তোমার জন্য। ঈদ মোবারাক!!

আজ দু:খ ভুলার দিন, আজ মন হবে যে রঙ্গিন। আজ প্রান খুলে শুধু গান হবে, আজ সুখ হবে সিমাহীন। তার একটাই কারন, আজ যে ঈদের দিন। "ঈদ মোবারাক" নতুন সকাল নতুন দিন। শুভ হোক ঈদের দিন। নতুন রাত বাকা চাঁদ। রঙ্গীন হোক ঈদের রাত। ঈদ মোবারক

কিছু কথা অব্যাক্ত রয়ে যায়, কিছু অনুভূতি মনের মাঝে থেকে যায়, কিছু স্মৃতি নিরবে কেদে যায়, শুধু এই একটি দিন সব ভুলিয়ে দেয় " ঈদ মোবারক " তোর ইচ্ছে গুলো উরে চলুক পাখনা দুটি মেলে, দিন গুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে, অপূর্ন না থাকে যেন তোর কোনো শখ, এই কামনায় বন্ধু তোকে "ঈদ মোবারক"

ঈদের শুভেচ্ছা জানাই তোমাকে, অনেক বেশি খুশি ঘিরে রাখুক তোমাকে, সব আপনজনের মায়া মাতিয়ে রাখুক তোমাকে, শুধু যখন সালামি পাবে মনে করিও আমাকে। এই এসএমএস, যার কাছে যাবি, যাকে পাবি, তাকেই আমার সালাম দিবি, লাল গোলাপের ভালোবাসা দিয়ে ঈদের দাওয়াত জানাবি, আর মিষ্টি করে বলবি ঈদ মোবারক

শুভেচ্ছা রাশি রাশি গরু না খাসি? টিক্কা না ঝালফ্রাই? এনটিভি না চ্যানেল-আই? রিলাক্স না বিজি?শাড়ি না শার্ট? Wishing from heart ...EID MUBARAK তোর ইচ্ছাগুলো উড়ে বেড়াক পাখনা দুটি মেলে, দিনগুলি তোর যাকনা কেটে এমনি হেসে খেলে। অপূর্ণ না থাকে যেন তোর কোন সুখ, এই কামনায় ঈদ মোবারক।

ঈদের দাওয়াত তোমার তরে, আসবে তুমি আমার ঘরে। কবুল করো আমার দাওয়াত,না করলে পাবো আঘাত। তখন কিন্তু দেবো আড়ি, যাবো না আর তোমার বাড়ি। ঈদ মোবারক সবাইকে । উঠেছে ফুল ফুটেছে দেখবি কে কে আয়, নতুন চাঁদের আলো এসে পড়ল সবার গায় । ঈদ মোবারাক

আমার বাড়ি আইসো সখী নতুন সাজে সেজে, ঈদের পোশাক দিব তোমায় বইসো আমার পাশে।পোলাও কোরমার সাথে দিব 7 আপ খেতে। ঈদের দিন করবো মাস্তী দুজন মোরা মিলে। ঈদ মোবারক। ইচ্ছে করে বলতে তোমায় সত্যি ভালোবাসি, বলতাম ঠিকই থাকলে তুমি আমার পাশাপাশি। কোন দূরেতে আছিস বন্ধু আয়না আমার কাছে, আজকের দিনে তোকে আমার পরছে খুব মনে। ঈদ মোবারক।

সারা দেশে চলছে ঈদের উৎসব। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ মানে হাজার কষ্টের মাঝেও একটুখানি হাসি। ঈদ মোবারক। আকাশের নীল দিয়ে, হৃদয়ের ছোঁয়া দিয়ে, সবুজের অরণ্য দিয়ে, সাগরের গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস ৪১ - ৬০

ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে আশা। ঈদ মানে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা। ঈদ মানে দুর আকাশে মিষ্টি চাঁদের হাসি। ঈদ মানে সুখ সাগরে সবাই মিলে ভাসি। "ঈদ মোবারক" নতুন পোশাক পরে নিও, বেশি করে ঈদি নিও। গোশত খেও পেট ভরে ঘুরো ফের মন ভরে। ঈদ মোবারাক বলো প্রান খুলে।

দূরের মানুষ আসুক কাছে, কাছের জন থাকুক পাশে, মন ছুটে যাক তোমার টানে, নয়া চাদের আগমনে, কাটুক খুশি সবার মনে ঈদ মোবারক। হ্যালো প্রিয় এন্ড প্রিয়তম, আর মাত্র কয়েক দিন আসছে সবার খুশির দিন ! নতুন জামা কিনে নিন, সময় নেই বেশি দিন দাওয়াত রইল অগ্রিম, আসবেন কিন্তু ঈদের দিন, অপেক্ষায় থাকবো সারাদিন..

যেদিন দেখব ঈদের চাঁদ, খুশি মনে কাটবে রাত। নতুন সাজে সাজব আজ, আজ হলো ঈদের দিন আনন্দে কাটবে সারাদিন। ঈদ বোবারক ঈদ আসতে 1 দিন বাকি, এতো খুশি কোথায় রাখি, বলাটা অনেক ইজি! ঈদের কাজে সবাই বিজি, একটি বছর ঘুরে আসবে সেই দিন, ঈদের খুশি বিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিন, অনেকেই বিজি ঈদের কাজে, আনান্দ টা সবার মাঝে "ঈদ মোবারক"

ফুল সুভাষ দেয়, দৃষ্টি মন চুরি করে, খুশি আমাদের হাঁসায়-দুঃখ আমাদের কাঁদায় আর আমার এই এস এম এস- তোমাকে ঈদের সুভেচ্ছা জানায় অগ্রিম ঈদ মোবারক। ভোর হলো দোর খোল, চোখ মেলে দেখরে, নতুন জামা পড়ব রে, হাসি খুসি থাকব রে, ঈদ চলে এল সবার দুয়ারে,শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক।


আপনজনের সাথে মিলন, সবাই মিলে সাথে থাকার ক্ষণ, ঈদ এসেছে আবার বছর পর, সবাই মিলে করো তার আনন্দের আস্বাদন।  " ঈদ মোবারক " ঈদের পবিত্র দিনে, আল্লাহ তোমাকে ত্যাগের সুন্দর ভোজন দান করুন…আল্লাহর নিয়ামত তোমার হৃদয় এবং বাড়িকে সুখী এবং আনন্দিত রাখুক। " ঈদ মোবারক "

ঈদ মোবারক পবিত্র বকরি ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দুঃখ গুলো ভুলে গিয়ে ঈদের আানন্দে মেতে উঠুক সবার মন, সবাইকে কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। " ঈদ মোবারক "

মন চাইছে কারো সাথে কথা বলি, মন চাইছে কোন প্রিয়জনকে স্মরণ করি, ঈদ মোবারক বলার সিদ্ধান্ত যখন নিলাম, ভাবলাম তোমাকে দিয়েই শুরু করি। অগ্রিম ঈদ মোবারক!! শপ্ন গুলো সত্যি হোক,সকল আশা পুরনো হোক। দু:খ গুলো দুরে যাক, সুখে জীবন ভরে যাক। জীবনটা হোক ধন্য, ঈদ মোবারাক তোমার জন্য। অগ্রিম ঈদ মোবারাক!!

আসমানী চাঁদ উঠলো হেসে, ভরে গেলো মন আবেশে। কালকে খুশির ঈদ হবে শুভেচ্ছা জানাই ভালোবেসে। ঈদ মোবারক সালাম জানাই সব মানুষকে ভালোবেসে। আজকে খুশির ঈদ এসেছে মানবতার জ্বলুক আলো সবার মনের আঁধার দেশে। বুকে বুকে মিলন হবে একে অপরকে ভালোবেসে। Eid Mubarak SMS!

বাঁকা চাঁদের হাসিতে দাওয়াত দিলাম আসিতে, আসবে কিনা বাড়িতে খেতে দেবো হাড়িতে। আসতে যদি নাও পারো, ঈদের দাওয়াত গ্রহন করো ঈদ মোবারক। এই এসএমএস যার কাছে যাবি, যাকে পাবি তাকেই আমার সালাম দিবি, লাল গোলাপের ভালোবাসা দিয়ে ঈদের দাওয়াত জানাবি, আর মিষ্টি করে বলবি ঈদ মোবারক

আকাশে উঠেছে নতুন চাঁদ, দিলাম তোমায় ইদের দাওয়াত। দাওয়াত দিলাম আসবে বলে,না আসলে আনবো ধরে। তাতেও যদি না আসতে চাও, এসএমএস দিয়ে ঈদ মোবারাক। জানাও পড়েছে আজ চাঁদের নজর, তাইতো পেলাম ঈদের খবর। হাসছে চাঁদ আজ জুড়ে আকাশ, সবাই পেলো ঈদের বাতাস,সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক

sdfg১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস ৬১ - ৮০

ভোর হলো দুর খোল, চোখ মেলে দেখরে। রোযা শেষ রোযা শেষ, ঈদ চলে এল রে। নতুন জামা পড়ব রে, হাসি খুসি থাকব রেঈদ চলে এল সবার দুয়ারে। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে, ঈদ মোবারক।ইদের দাওয়াত তোমার তরে, আসবে তুমি আমার ঘরে, কবুল কর আমার দাওয়াত না করলে পাবো আঘাত তোমাকে জানাই ঈদ মোবারক!

শুভ রজনী, শুভ দিন, রাত পোহালেই ঈদের দিন। উপভোগ করবে সারাদিন, ঈদ পাবে না প্রতিদিন।দাওয়াত রইলো ঈদের দিন। ঈদ মোবারক! দূরের মানুষ আসুক কাছে, কাছের জন থাকুক পাশে।মন ছুটে যাক তোমার টানে, নয়া চাদের আগমনে। কাটুক খুশি সবার মনে ঈদ মোবারক।

যেদিন দেখব ঈদের চাঁদ, খুশি মনে কাটবে রাত। নতুন সাজে সাজব আজ, আজ হলো যে ঈদের দিন আনন্দে কাটবে সারাদিন। ঈদ মোবারক!!! সোনালি সকাল, রোদেলা দুপুর, পরন্ত বিকেল, গুধোলী সন্ধা,  চাদণি রাত। সব রঙ্গে রাঙ্গিয়ে থাক আপনার সারাটি বছর, সারাটি জীবন। এই কামনায় ঈদ মোবারাক! আমি সরি, আমাকে ভুলে যাও পিলিজ! আমি আর কিছুক্ষন পর চলে যাবো, আমার পরে যে আসবে তাকে নিয়েই তোমরা এনজয় করো! ইতি তোমার প্রিয় রমজান মোবারক । ঈদ মোবারক!!!

ঈদের শুভেচ্ছা জানাই তোমাকে, অনেক বেশি খুশি ঘিরে রাখুক তোমাকে। সব আপনজনের মায়া মাতিয়ে রাখুক তোমাকে। শুধু যখন সালামি পাবে মনে করিও আমাকে। আকাশের নীল দিয়ে, সাগরের গভীরত দিয়ে, হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা ‍দিয়ে তুমাকে জানাই ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা

ঈদের দিনে করো সাথে থাকবেনা কোনো আরি। শত্রু মিত্র মিলে গড়বো মোরা সুখের এক বাড়ি। ফিরনি শিমুই হবে আরও নানান খাবার, একে অন্যের পাশে বসে করবো মোরা আহার। জাদ ভেদ ভেদ ভুলে যাবে গরিব মালিক মিশে মিলে যাবে সকল হৃদয় ঈদের খুশির স্পর্শে। ঈদ মোবারক!

রঙ লেগেছে মনে, মধুর এই খনে। তোমায় আমি রাঙ্গিয়ে দিবো ঈদের এই দিনে। ঈদ মোবারাক!!আজকে খুশির বাঁধ ভেঙেছে, ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে। সবার ঘরে আজ ঈদ এসেছে, সেই দিন আর নয় বেশি দূর, কিছুদিন পরে বাজবে ঈদের সুর। ঈদ মোবারক!

আকাশের সব নীল দিয়ে, প্রভাতের সব আলো দিয়ে, সমুদ্রের সব গভীরতা দিয়ে, হৃদয়ের সব অনুভূতি দিয়ে, নিজ হাতে যত্নকরে লিখা ঈদের এস এম এস দিয়ে, তোমাকে জানাই ঈদ এর শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক!! তোমার জন্য সকাল-দুপুর, তোমার জন্য সন্ধ্যা, তোমার জন্য সকল গোলাপ ও রজনীগন্ধা। তোমার জন্য সব সুর, তোমার জন্য ছন্দ, এই ঈদ আনুক অনাবিল আনন্দ।ঈদ মোবারক!

কোন ফুল দিয়ে নয়, কোন মালা দিয়ে নয়। চোখের পানি দিয়ে নয়, কোন গানের সুর দিয়ে নয়।শুধু হৃদয়ের গভীর অনুভূতি থেকে এসএমএস দিয়ে জানাই, ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক!! ঈদ নিয়ে আসুক আনন্দ আর সুখ, মুছে যাক সব বিসন্নতা আর দুঃখ। হারিয়ে যাক হৃদয় আজ হাসির বৃন্দাবনে,রেখে দিব তোমায় হৃদয়ের কোণে। ঈদ মোবারক! জানাই আমার এসএমএস এ।

ঈদের হাওয়া লাগুক প্রানে, মন ভরে যাক নতুন গানে। ঘুম ঘুম চোখে স্বপ্নিল চাওয়া, ঈদে হোক সবকিছু পাওয়া। ঈদ মোবারাক!! ঈদ মানে আকাশে নতুন চাঁদ, ঈদ মানে নতুন কিছু চাওয়া পাওয়ার সাধ। ঈদ মানে মেহেদি রাঙ্গা হাত, ঈদ মানে আমার বাড়িতে তোমার দাওয়াত। ঈদ মোবারাক।

ঈদ মানে খুশী’ গরুর গলায় রশী’ শীতের শর্দি কাসি’ আবার হুজুরের মুখে হাসি’ তবুও ঈদ” ভালোবাসি’ তাই সবাইকে ঈদ মোবারক জানিয়ে এবার আমি আসি! মন চাইছে কারো সাথে কথা বলি।মন চাইছে কোন প্রিয়জনকে স্মরণ করি। ঈদ মোবারক বলার সিদ্ধান্ত যখন নিলাম। ভাবলাম তোমাকে দিয়েই শুরু করি । ঈদ মোবারক।

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস ৮১ - ১০০

স্বপ্ন গুলো সত্যি হোক, সকল আশা পুরনো হোক। দু:খ দুরে যাক, সুখে জীবন ভরে যাক। জীবনটা হোক ধন্য, ঈদ মোবারাক তোমার জন্য। ঈদ মোবারাক! নতুন সকাল নতুন দিন। শুভ হোক ঈদের দিন। নতুন রাত বাকা চাঁদ। রঙ্গীন হোক ঈদের রাত। রং লেগেছে মনে, মধুর এই ক্ষনে, তোমায় আমি রাংগিয়ে দিবো ইদের এই দিনে। ঈদ মোবারাক। 

নতুন পোশাক পরে নিও, বেশি করে ঈদের সেলামী নিও । সেমাই খেও পেট ভরে ঘুরাফেরা করো মন ভরে । ঈদ মোবারাক বলো প্রাণ খুলে। যে দিন দেখবো ঈদ এর চাঁদ খুশি মনে কাটাবো রাত। নতুন সাজে সাজব সেদিন হলো ঈদের দিন। আনোন্দে কাটাবো সারা দিন! ঈদ মোবারক।

চিঠি দিয়ে নয়. ফুল দিয়ে নয়, কার্ড দিয়ে নয়। কল দিয়ে নয়, মনের গহীন থেকে মিষ্টি SMS দিয়ে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক!! শুভ রজনী, শুভ দিন,রাত পরোলেই ঈদের দিন। উপভোগ করবে সারাদিন,ঈদ পাবে না প্রতিদিন। দাওয়াত রইলো ঈদের দিন। ঈদ মোবারক।

ঈদ এলে হয় কত কেনা কাটা, নতুন পোশাক পরে ভুবন দেখা ধনীদের গায়ে থাকে হাজার টাকা, গরীবের গায়ে সেই ছেঁরা ফাটা, ঈদের খুশিতে তবু নাই ভেদাভেদ পারেনা দারিদ্র্য করতে বিচ্ছেদ পবিত্র ঈদ দেয় মোদের মিলনের দীক্ষা, চিরদিন থাকে যেনো একে অপরের মিল, বিরোধের দরজাতে পরে যাক চিরতরে খিল, এমন ঈদের দিন হয় যেনো প্রতিদিন ঈদ মোবারক। হৃদয়ের ভালোবাসা হোক উম্মুক্ত আর স্বাধীন,যাকাত ফিতরা দিয়ে আনন্দ ভরে,গরীব ধনী মিলে যাবে এক কাতারে আকাশের চাঁদ বয়ে এনেছে বার্তা, খুশির ঈদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা! ঈদ মোবারক।

আল্লাহ তালার রহমতে খুলে গেছে সব বাঁধ, আসমান থেকে হাসছে ঈদুল আযহার চাঁদ,ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা সবার মনে দেখা দিয়েছে আনন্দের সত্তা জানাই ঈদ মোবারক এসএমএস! কষ্টের আড়ালে সুখের রাশি, প্রতিটা জীবনকেই আমি ভালোবাসি। তাই প্রতিটা জীবনের প্রতিটা সময় শুভ হোক। সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।

তুমি শিশির ভেজা গোলাপের পাপড়ি, তুমি পাহাড়ের গায়ে ঝরনার পানি, তুমি বরষার এক পরশ বৃষ্টি, তুমি মধ্য রাতের পূর্ণিমার চাঁদ,তোমাকে জানাই ঈদ মোবারাক! তুমি চাঁদ নয়, তবে তুমি চাঁদের আলো,
তুমি ফুল নয়, তবে তুমি ফুলের সৌরভ, তুমি নদী নয়, তবে তুমি নদির ঢেউ, তুমি অচেনা নয়, তবে আমার চেনা কেউ, ঈদ মোবারাক বউ!

কাল ঈদ উল আযহা প্রিয়, সাজবে তুমি মনের মতো সাজ, মেহেদি দিয়ে রাঙ্গাবে তোমার হাত এই খুশীর সময়টুকু প্রিয়, কাটুক তোমার বারো মাস ঈদ মোবারাক!! ইদের শুভেচ্ছা!! রঙ লেগেছে মনে, মধুর এই খনে। তোমায় আমি রাঙ্গিয়ে দিবো ঈদের এই দিনে। ঈদ মোবারাক প্রিয়!!!

চিঠি দিয়ে নয় “ফুল দিয়ে নয়” কার্ড দিয়ে নয় “কল দিয়ে নয়” মনের গহীন থেকে মিষ্টি SmS দিয়ে প্রিয় বউ কে ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক! মন চাইছে কারো সাথে কথা বলি। মন চাইছে কোন প্রিয়জনকে স্মরণ করি। ঈদ মোবারক বলার সিদ্ধান্ত যখন নিলাম। ভাবলাম তোমাকে দিয়েই শুরু করি। ঈদ মোবারাক প্রিয় বউ !

সোনালি সকাল, রোদেলা দুপুর, পরন্ত বিকেল, গুধোলী সন্ধা, চাঁদণি রাত। সব রঙ্গে রাঙ্গিয়ে থাক, তোমর সারাটি বছর, সারাটি জীবন। এই কামনায় ঈদ মোবারাক!! ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ আসে ভুলিয়ে দিতে সকল বিভেদ দ্বন্দ্ব, ঈদ মানে ভুলে যাওয়া যতো দুঃখ ভয়, ঈদের মত তোমার জীবন টা হোক দীপ্তিময়। ঈদের এই খুশীর দিনে, তোমায় পড়ে মনে, তুমি কাছে এলে দুঃখ যাই সব ভুলে,তুমি দূরে গেলে কষ্ট গুলো বাড়ে, তাইতো তোমায় রেখেছি আমার মনের একটি কোনে। ঈদ মোবারাক!!!

লাল শাড়ি পরে, হাতে চুড়ি দিয়ে, ঘুরবে যখন রিক্সায়, পাশে কিন্তুু নিও আমায়! ঈদ মোবারক! আকাশের নীল দিয়ে, হৃদয়ের ছোঁয়া দিয়ে, সবুজের অরণ্য দিয়ে, সাগরের গভীরতা দিয়ে তোমাকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

আসছে ঈদ, চলছে গাড়ি আমার দাওয়াত তোমার বাড়ি- OHH Sorry..তোমার দাওয়াত আমার বাড়ি-হিমেল হাওয়া,,শীতের দিন আসবে কিন্তু ঈদের দিন- ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আঁকাশে নতুন চাঁদ ঈদ মানে নতুন চাওয়া পাওয়ার স্বাদ- ঈদ মানে মেহেদী রাঙা হাত- ঈদমানে আমার বাড়ীতে তোমার দাওয়াত- ঈদ মোবারক!!!

কোরবানি ঈদের বয়ান

আমাদের মধ্যেই অধিকাংশই কোরবানির ঈদের বয়ান সম্পর্কে সঠিক জানি না। ফলে আমরা অনেকেই সাওয়াব অর্জন  করতে পারি না । কোরবানি ঈদের বয়ান জানতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি। চলুন দেরী না করে শুরু করা যাকঃ

কোরবানি ঈদের বয়ান সম্পর্কিত তথ্যাবলীঃ
পশুর রক্ত প্রবাহিত করা বা মাংস খাওয়ার নাম কুরবানী নয়। মহান আল্লাহর প্রেমে অন্তরাত্মাকে বিশুদ্ধচিত্তে তাকওয়া অর্জনের মধ্য দিয়ে নিজেকে আল্লাহর নিকট উৎসর্গ করা পশুবৃত্তি ও কুপ্রবৃত্তির তাড়না থেকে নিজকে পরিশুদ্ধ করাই কুরবানীর মর্মকথা। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আল্লাহর নিকট পৌছায়না এর মাংস ও রক্ত পৌছায় তোমাদের তাকওয়া।” (সূরা: হজ্ব ২২:৩৭)

খোদাভীতি ও তাকওয়া শূন্য ইবাদত আল্লাহর নিকট গুরুত্বহীন ও অর্থহীন। কে কত বড় পশু কুরবানী দিল তা মুখ্য নয়। আল্লাহর কাছে লৌকিকতা ও পশু ক্রয়ের প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মুত্তাকীদের কুরবানী কবুল করেন।” (সূরা: মায়িদা ৫:২৭)

হাদীস শরীফের আলোকে কুরবানির ফযীলত:
হাদীস শরীফে কুরবানীর গুরুত্ব ও ফযীলত সংক্রান্ত অসংখ্য বর্ণনা এসেছে, এরশাদ হয়েছে, উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আদম সন্তান কুরবানীর দিন যেসব নেক আমল করেন তন্মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কিয়ামতের দিবসে কুরবানীর পশু তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত হবে। তার কুরবানীর রক্ত জমীনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট তা কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আন্তরিকভাবে সন্তুষ্টিচিত্তে কুরবানী করো। [তিরমিযী শরীফ, ১ম খন্ড, পৃ: ২৭৫, ইবনে মাযাহ শরীফ, পৃ: ২২৬]

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কুরবানীর দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কুরবানী করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানীকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানী কর। ( জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৪৯৩)

কোন ব্যক্তির উপর বা কার উপর কুরবানী ওয়াজিব জানুনঃ
প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ (প্রায় ৫০ হাজার টাকা) হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫)

একান্নভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত পাওয়া গেলে অর্থাৎ তাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের প্রত্যেকের উপর ভিন্ন ভিন্ন কুরবানী ওয়াজিব।পরিবারের যত সদস্যের উপর কুরবানী ওয়াজিব তাদের প্রত্যেককেই একটি করে পশু কুরবানী করতে হবে কিংবা বড় পশুতে পৃথক পৃথক অংশ দিতে হবে। একটি কুরবানী সকলের জন্য যথেষ্ট হবে না।

নেসাবের মেয়াদ ঃ
কুরবানীর নেসাব পুরো বছর থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিন থাকলে এমনকি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের কিছু আগে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেলেও কুরবানী ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২)

দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুমঃ
নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই এমন দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯২)

এক পশুতে শরীকের সংখ্যাঃ
একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কুরবানী দিতে পারবে। এমন একটি পশু দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে কুরবানী করলে কারোটাই সহীহ হবে না। আর উট, গরু, মহিষে সর্বোচ্চ সাত জন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কুরবানী সহীহ হবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৩১৮, মুয়াত্তা মালেক ১/৩১৯, কাযীখান ৩/৩৪৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৭-২০৮)

কোনো অংশীদারের গলদ নিয়ত হলেঃ
যদি কেউ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানী করে তাহলে তার কুরবানী সহীহ হবে না। তাকে অংশীদার বানালে শরীকদের কারো কুরবানী হবে না। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শরীক নির্বাচন করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০৮, কাযীখান ৩/৩৪৯)

কুরবানীর পশুতে আকীকার অংশঃ
কুরবানীর গরু, মহিষ ও উটে আকীকার নিয়তে শরীক হতে পারবে। এতে কুরবানী ও আকীকা দুটোই সহীহ হবে। ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ দিতে হবে। শৈশবে আকীকা করা না হলে বড় হওয়ার পরও আকীকা করা যাবে। যার আকীকা সে নিজে এবং তার মা-বাবাও আকীকার গোশত খেতে পারবে। (ইলাউস সুনান ১৭/১২৬)

কেউ কেউ কুরবানীর পশুর সাথে আকীকা দিলে আকীকা সহীহ হবে না বলে মত দেন। কিন্তু নির্ভরযোগ্য আলেমগণ এ মতটি গ্রহণ করেননি। কোনো হাদীসে কুরবানীর সাথে আকীকা করতে নিষেধ করা হয়নি; বরং কুরবানীর সাথে হজ্বের কুরবানী, জরিমানা দম একত্রে এক পশুতে দেওয়ারও প্রমাণ আছে। অর্থাৎ কুরবানীর পশুতে অন্য ইবাদতের নিয়তে শরিক হওয়া জায়েয। সুতরাং আকীকার নিয়তে শরিক হওয়াও জায়েয। আতা ইবনে আবী রবাহ রাহ. বলেছেন, উট-গরু সাতজনের পক্ষ হতে কুরবানী হতে পারে। আর এতে শরিক হতে পারে কুরবানীকারী, তামাত্তু হজ্বকারী এবং হজ্বের ইহরাম গ্রহণের পর হজ্ব আদায়ে অপারগ ব্যক্তি। (আসসুনান, সায়ীদ ইবনে মানসূর-আলকিরা লী কাসিদি উম্মিল কুরা ৫৭৩)

এছাড়া ফাতাওয়া শামীসহ ফিকহ-ফাতাওয়ার কিতাবাদিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কুরবানীর সাথে আকীকা সহীহ। কুরবানী করতে হবে সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে। হারাম টাকা দ্বারা কুরবানী করা সহীহ নয় এবং এক্ষেত্রে অন্য শরীকদের কুরবানীও সহীহ হবে না।

মিসওয়াক ও গোসল করাঃ
মিসওয়াক ও গোসল স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্নাত। ঈদের দিন এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেননা, ঈদের নামাজে বহু মানুষের সমাগম হয়। সেখানে পূর্ণ পবিত্র-পরিচ্ছন্ন হয়ে উপস্থিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। হাদিসে এসেছে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন গোসল করতেন।’ (নাসবুর রায়াহ)

উত্তম পোশাক পরিধানঃ
ঈদের দিন নিজের পোশাকাদির মধ্যে থেকে উত্তম ও সুন্দর পোশাক পরা সুন্নত। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ঈদে ডোরাকাটা কাপড় পরিধান করতেন।' (বায়হাকি)

নামাজের আগে কিছু না খাওয়াঃ
ঈদুল ফিতরের দিন নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু মিষ্টান্ন খেয়ে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু ঈদুল আজহার দিন এমনটি মুস্তাহাব নয়; বরং কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর দিনের প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানির গোশত খাওয়া মুস্তাহাব।

ফেরার পথে রাস্তা পরিবর্তনঃ
ঈদগাহে যাওয়ার সময় এক রাস্তা এবং ঈদের নামাজ শেষ করে অন্য রাস্তায় ঘরে ফেরা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে- হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ঈদগাহ থেকে ফেরার পথে) রাস্তা বদল করতেন।" (বুখারি)

পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া-আসাঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা বহন করে নেয়া হতো এবং সেটা নামাজের সময় তাঁর সামনে ‘সুতরা’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো।" (বায়হাকি) অন্য বর্ণনায় এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যেতেন। ঈদগাহ থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন।' (প্রাগুক্ত)

ঈদগাহে যাওয়া-আসার পথে তাকবির বলাঃ
ঈদগাহে যাওয়ার পথে উঁচু আওয়াজের তাকবির বলা সুন্নত। হাদিসে এসেছে- হজরত নাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় ঈদের নামাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হতেন। ঈদগাহে পৌছা পর্যন্ত (রাস্তায়) তাকবির বলতেন। ঈদগাহে পৌছেও ইমাম নামাজ আরম্ভ করার আগ পর্যন্ত তিনি তাকবির বলতেন।' (দারাকুতনি) অন্য বর্ণনায়- হজরত আবু আব্দুর রহমান সুলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সাহাবায়ে কেরাম ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় অনেক বেশি তাকবির বলতেন।' (মুসতাদরেকে হাকেম)

তাকবির
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : "আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।" অর্থ : আল্লাহ মহান- আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।

শিশুদের ঈদগাহে নিয়ে যাওয়াঃ
ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় বড়রা ছোটদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। এটা মুস্তাহাব আমল। হাদিসে এসেছে- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই ঈদের দিন (ঈদগাহের উদ্দেশ্যে) বের হতেন। ফজল ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ, আব্বাস, আলি, জাফর, হাসান, হোসাইন, উসামা ইবনে যায়েদ, যায়েদ ইবনে হারেসা ও উম্মে আয়মানের ছেলে আয়মানকে সঙ্গে নিয়ে। উঁচু আওয়াজে তাকবির বলতে বলতে কামারদের রাস্তা ধরে তিনি ঈদগাহে যেতেন এবং নামাজ থেকে ফারেগ হওয়ার পর বাড়ি আসতেন মুচিদের রাস্তা দিয়ে।’ (ইবনে খুযায়মা)

ঈদগাহে নামাজ আদায়ঃ
ঈদের দিন ঈদগাহে নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্বাদা। হাদিসে এসেছে- "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ঈদগাহে যেতেন।"(বুখারি)

মসজিদে ঈদের নামাজঃ
যদি বৃষ্টিপাত হয় অথবা বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা থাকে তবে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া বৈধ। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার ঈদের দিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।’ (আবু দাউদ)

ঈদের দিন কবর জিয়ারতঃ
আনন্দ ও খুশির দিন হলো ঈদের দিন। অনেক সময় খুশিতে মানুষ আখেরাতের ব্যাপারে গাফেল হয়ে যায়। পক্ষান্তরে কবর জিয়ারত মানুষকে আখেরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে ঈদের দিন কবর জিয়ারত করে উত্তম।

কুরবানির হুকুম
অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, কুরবানি করা সুন্নাত। দলিল হিসেবে হাদিসের বর্ণনা হলো- হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন চুল, নখ ইত্যাদি কাটা বন্ধ রাখে।’ (মুসলিম) এ হাদিস ইঙ্গিত করে যে, কুরবানি মানুষের ইচ্চাধীন। ইচ্ছা হলে করবে, না হলে করবে না।

তবে অধিকাংশ হানাফি আলেমদের মতে কুরবানি ওয়াজিব। এ দাবির প্রথম প্রমাণ হচ্ছে কুরআনের নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি, সুতরাং আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি করুন।’ (সুরা কাউসার : আয়াত ১-২)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যাক্তি কুরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে-কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কুরবানি আদায়ের সময়ঃ
ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়। যদি কেউ ঈদের নামাজের আগে কুরবানির উদ্দেশ্যে কেনা পশু জবেহ করে তবে তা শুধু জবেহ হিসেবে পরিগণিত হবে। কেননা কুরবানি ঈদের নামাজের পরে আদায় করতে হয়।

কুরবানির পশুর বয়স
এক হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরবানিতে তোমরা শুধু পরিপূর্ণ বয়সের পশু জবাই কর। তবে যদি পূর্ণ বয়সের পশু যোগাড় করতে তোমাদের কষ্ট হয়, তাহলে ছয় মাস বয়সের দুম্বা জবাই কর।’ (আবু দাউদ)

হাদিসে ‘মুসিন্নাহ’ পশু জবেহ করার কথা বলা হয়। মুসিন্নাহ বলা হয় ঐ পশুকে, যে পশুর দাঁত উঠেছে। ফোকাহায়ে কেরাম কুরবানির পশু উপযুক্ত হওয়ার জন্য বয়সের একটি সীমা বর্ণনা করে দিয়েছেন। তাহলো-
উট ৫ বছর।
গরু/মহিষ  ২ বছর।
ছাগল/ভেড়া/দুম্বা : ১ বছর। (দুররুল মুখতার)

 যে ব্যক্তি দাড়ি মুন্ডায় অথবা একমুষ্ঠির কম রেখে কর্তন করে তাকে ইমাম বানানো জায়েজ নেই। ঈদ এবং অন্যান্য নামাজের ক্ষেত্রে একই হুকুম। ইমামতের বেলায় উত্তরাধিকারীর দাবি গ্রহণযোগ্য নয়। বরং শরিয়তের দৃষ্টিতে ইমামতির যোগ্য হওয়া জরুরি। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/৫৫৯

ঈদের নামাজের পূর্বে নিজ ঘরে বা ঈদগাহে ইশরাক ইত্যাদি নফল পড়া নিষিদ্ধ। ঈদের জামাতের পরেও ঈদগাহে নফল নামাজ পড়া মাকরূহ। হ্যাঁ, ঘরে ফিরে ইশরাক, চাশত নফল পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৬৯

ঈদের নামাজের সালাম ফেরানোর পর মোনাজাত করা মোস্তাহাব। ঈদের খুতবার পরে মোনাজাত করা মোস্তাহাব নয়। -মুসনাদে আহমদ: ২২১৮

শরয়ি ওজর ব্যতীত ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করা সুন্নতের খেলাফ। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৬৯

যদি ইমাম অতিরিক্ত তাকবিরসমূহ ভুলবশতঃ না বলে, আর ঈদের জামাত অনেক বড় হয়, তাহলে ফেতনা ফাসাদের আশংকায় সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় না। সুতরাং সিজদায়ে সাহু করবে না। আর যদি এমন হয় যে উপস্থিত সকলেই সিজদায়ে সাহু সম্পর্কে অবগত হতে পারে তাহলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/৯২

ঈদের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর তাকবির ওয়াজিব। যদি কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে শরিক হয় তাহলে সে প্রথমে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমা বলবে। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় হাত তুলে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলবে। এরপর রুকুর তাকবির বলে রুকুতে শামিল হবে। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৭৪

যদি কেউ প্রথম রাকাতে রুকুর পূর্বে জামাতে শরিক হয় এবং তাকবিরে তাহরিমার পর দাঁড়ানো অবস্থায় হাত তুলে অতিরিক্ত তিন তাকবির বলার সুযোগ না পায় তাহলে রুকুতে গিয় অতিরিক্ত তিন তাকবির বলবে। তবে সেক্ষেত্রে কান পর্যন্ত হাত উঠাবে না। -আদ্দররুল মুখতার: ১/২৭৪

যদি প্রথম রাকাত ছুটে যায় তাহলে ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বে। অতঃপর রুকুর পূর্বে তিন বার হাত তুলে তিন তাকবির দেবে। তারপর রুকুর তাকবির বলে রুকু সিজদা করে যথানিয়মে নামাজ শেষ করবে। -রুদ্দুল মুহতার: ২/১৭৪

ঈদের ময়দানে জানাজার নামাজ পড়া জায়েজ। প্রথম ঈদের নামাজ অতঃপর জানাজার নামাজ এরপর খুতবা হবে। -রদ্দুল মুহতার: ৪/৩৫৬)

বর্তমানে খতিব সাহেবরা ঈদের খুতবার শুরুতে ও মাঝে মাঝে যে তাকবিরে তাশরিফ বলে থাকেন নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এ ব্যাপারে সঠিক মাসয়ালা হলো- প্রথম খুতবার শুরুতে নয় বার, দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাত বার এবং দ্বিতীয় খুতবার শেষে মিম্বর থেকে নামার পূর্বে চৌদ্দ বার শুধু ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। এটাই মোস্তাহাব। খুতবার সময় বা খুতবার মাঝে তাকবিরে তাশরিক বলবে না। হ্যাঁ, ঈদের নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে তাকবিরে তাশরিক একবার বলবে। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৭৫

নামাজের পর ঈদের দুই খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব। যদি খুতবা শোনা না যায়, তাহলে চুপচাপ বসে থাকবে। অনেক লোক সালামের পর খুতবা না শুনেই চলে যায়, এটা সুন্নতের খেলাফ। -আদ্দুররুল মুখতার: ২/১৫৯

খুতবা চলাকালীন সময়ে কথাবার্তা বলা নিষেধ। এমনকি নবী করিম (সা.)-এর নাম উচ্চারিত হলে মুখে দরূদ পড়া নিষেধ। তবে অন্তরে পড়তে পারবে। তেমনিভাবে খুতবার মধ্যে দানবাক্স বা রুমাল চালানোও নিষেধ এবং গোনাহের কাজ। -মুসনাদে আহমদ: ১০১৪০

উভয় খুতবা শেষ হলে ঈদের নামাজের সব কাজ শেষ হলো- এরপর ঈদের আর কোনো কাজ বাকী নাই। সুতরাং খুতবা শেষ হলে সবাই নিজের বাড়িতে ফিরে আসবে। বর্তমানে দেখা যায় যে, ঈদের খুতবার পরে লম্বা মোনাজাত হয়। এটা মোস্তাহাব নয়, তারপর লোকদের মধ্যে কোলাকুলির ভীড় লেগে যায় অথচ ঈদের সুন্নতের মধ্যে কোলাকুলি করার কথা নেই। সুতরাং এটা ঈদের সুন্নত মনে করা ভুল। বরং এটা দেখা-সাক্ষাতের সুন্নত। কোনো ভাইয়ের সঙ্গে অনেক দিন পরে সাক্ষাত হলে প্রথমে সালাম বিনিময় করবে। পরে মোসাফাহা করবে ও কোলাকুলি করবে। সুতরাং ঈদের নামাজের পূর্বে সাক্ষাত হলে তখনই এটা সেরে ফেলবে। আর যদি ঈদের খুতবার পর এরূপ কারও সঙ্গে সাক্ষাত হয় তাহলে কোলাকুলি করবে। এরূপ করবে না যে, সাক্ষাত হলো নামাজের পূর্বে কিন্তু কোলাকুলি করা হলো- খুতবার পরে। (ফাতাওয়ায়ে শামী: ৬/৩৮১)

সম্ভব হলে এলাকার সবাই একস্থানে একত্রে ঈদের নামাজ পড়া উত্তম। তবে কয়েক জায়গায় পড়াও জায়েজ।

ঈদের নামাজ না পড়তে পারলে কিংবা নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে তার কাজা করতে হবে না, যেহেতু ঈদের নামাজের জন্য জামাত শর্ত। তবে বেশকিছু লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে তারা অন্য একজনকে ইমাম বানিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন।

শাওয়ালের দ্বিপ্রহরের পূর্বে শরিয়তসম্মত কোনো কারণে ঈদের নামাজ না পড়তে পারলে শাওয়ালের ২ তারিখে পড়ার অনুমতি আছে। এরপর আর নামাজ পড়া যাবে না।

কেউ ইমাম সাহেবকে দ্বিতীয় রাকাতে পেলে সালামের পর যখন ওই ব্যক্তি ছুটে যাওয়া রাকাতের (প্রথম রাকাত) জন্য দাঁড়াবে তখন প্রথমে সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা), তারপর আউজুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহা ও কেরাতের পর রুকুর পূর্বে তাকবির বলবে। সূরা ফাতেহার আগে নয়।

সর্বোপরি উপরের আলোচনায় বলা যায় যে, কোরবানি ঈদের বয়ান সম্পর্কে যথেষ্ট সক্ষম হয়েছেন।

মূলকথাঃ ১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস -  কোরবানি ঈদের বয়ান

১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস -  কোরবানি ঈদের বয়ান উপরে অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সুতরাং আশা করি, উপরোক্ত আলোচনা থেকে ১০০+ কোরবানি ঈদের এসএমএস -  কোরবানি ঈদের বয়ান সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন বা হবেন এবং উপকৃত হবেন। 

আর পোস্টটি আপনার বা আপনাদের ভালো লেগে থাকলে আপনি বা আপনারা শেয়ার করতে পারেন আপনার বা আপনাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে ও ইনস্টাগ্রামে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url