OrdinaryITPostAd

তেলের দাম কি সত্যিই অন্য দেশের তুলনায় বেড়েছে

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়, শনিবার পর্যন্ত প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। ১১৪ টাকা ও ১৩০ টাকা এবং ১৩০ টাকা দাম বেড়েছে। প্রায় বাংলাদেশে এখন সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম গতকালের চেয়ে ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বেশি। প্রতি লিটার ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা পর্যন্ত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে। এর মানে হল মূল্য বৃদ্ধির হার প্রায় ৪২%। সে সময় ডিজেলের দাম আগের থেকে বাড়লেও পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত ছিল। আট মাস পর আবারও তেলের দাম বাড়লেও এবার প্রভাব পড়েছে সব ধরনের জ্বালানি তেলে। ৪ নভেম্বর, ২০২১-এ, ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম শেষবার বাড়ানো হয়েছিল। তখন এই দুটি জ্বালানির প্রতি লিটারের দাম ১৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছেছিল। আট মাস পর তেলের দাম আরও একবার বেড়েছে। এবার সব জাতের জন্য জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে।

এসময় ডিজেলের দাম আগের থেকে বেড়েছিল পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এবার ৮ মাসের ব্যবধানে আবারও বাড়ল তেলের দাম তবে এবার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরাসিনের দাম বাড়ানো হয়। সেই সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ৮ মাসের ব্যবধানে আবার বাড়নো হলো তেলের দাম। তবে এই সময় পেট্টোল আর অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। এবার সবধরনের জ্বালানি তেলেরই দাম বাড়ানো হলো।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে

বিশ্বব্যাপী লকডাউন থেকে চাহিদা কমে যাওয়া এবং ডিসেম্বরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের সমতল দামের কারণে, তেলের দাম ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থিতিশীল ছিল। যদিও ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার সময় তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৭ থেকে ৯০ ডলারের-এর নিচে ছিল, তা দ্রুত বেড়ে যায়। গত বছরের জুন মাসে আবারও তেলের দাম বৃদ্ধি পায় ব্যারেল প্রতি ১৩০ ডলারে দাম বৃদ্ধি পায়, সংক্ষিপ্তভাবে প্রতি ব্যারেল ১১০ নেমে আসলে আবার হঠাৎ করে ১২০ ডলারে দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। দেশে বেশি দামে তেল কিনে কম টাকার বিক্রি করতে বাধ্য হওয়া তেলের বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসি লোকসানের কারণে তেলের দাম বাড়ানোর চাপে সরকার। যাইহোক, সরকার দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় কারণ এটি বিবেচনা করে যে তেলের দাম বৃদ্ধি দেশের নাগরিকদের উপর প্রভাব না পড়ে। হঠাৎ করে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে দেশটি বর্তমানে ডলারের সমস্যায় সংকটের সম্মুখীন। এই ক্ষেত্রে BPC ক্ষতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ সৃষ্টি বেড়ে গেছে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফেসবুক পেজ আনলাইক করবেন

ছয় মাসে বিপিসির লোকসান হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে তেল বিক্রিতে দীর্ঘদিন ধরে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। একটি মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে বর্তমানে, তাদের ১ লিটার ডিজেল কিনতে খরচ ১২৭ থেকে ১২৮ টাকার মধ্যে, যা এখন পর্যন্ত ধার্যকৃত পরিমাণের চেয়ে অনেক কম, তাদের তেল বিক্রি করতে বাধ্য করে এবং অতিরিক্ত বাড়তি টাকা লোকসান দিতে হতো। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যে এতদিন ডিজেলের ও কেরাসিন প্রতি লিটার দাম অপরিবর্তিত ছিল।

নিকটবর্তী দেশগুলিতে চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ

তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে দেশের দাম কম থাকায় তেল পাচারের আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভারতের কলকাতায় ডিজেলের দাম লিটার প্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ টাকা পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা ভারত থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। এক রুপি বাংলাদেশি টাকা ১.২৩ টাকা ধরে এইগুলো বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১০০.২ টাকা এবং ১২৬ টাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪ দশমিক ০৯ টাকা এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪ দশমিক। ৪২ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল তাতে তৈরি হয় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো ছিল সময়ের দাবি।

মূল্য বাড়িয়ে কি বিপিসি অনেক মুনাফা করবে

সর্বশেষ মূল্য সমন্বয়ে ডিজেলের মূল্য ১১৪.০০ টাকা করা হলেও জুলাই/২০২২ মাসের গড় হিসেবে প্রতি লিটারে খরচ পড়বে ১২২.১৩ টাকা অর্থাৎ প্রতি লিটারে তারপরেও ৮.১৩ টাকা লোকসান বিপিসিকে বহন করতে হবে। ওয়েলের দাম ১০০ ডলারের উপরে ছিল কয়েকমাস আগেই, তখন সরকার তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে নাই। ক্রুড ওয়েলের দাম যেই হারে বেড়েছিল কমেছে তার থেকে মাত্র ১.৫% বা কিছু ক্ষেত্রে ২/৩% ক্রুড ওয়েল + পরিবহন খরচ + রিফাইন এর খরচ - সব কিছু হিসাব না করে শুধু "ক্রুড ওয়েলের দাম কমেছে, দেশে কেন দাম বাড়লো" - এটা স্রেফ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই বলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।

জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির আর তেলের মূল্য সমন্বয়

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ সহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে। বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। এশিয়ার অনান্য দেশ যেমন - নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য এডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুনঃ প্লে-স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে ১৫ মিলিয়ন অব্যবহ্নত অ্যাপ রয়েছে

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার। বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। জ্বালানি তেল আমদানিতে সর্বশেষ জুলাই২২ মাসের গড় প্লাটস রেট অনুযায়ী বিপিসির দৈনিক লোকসানের পরিমাণ । ডিজেলে- প্রায় ৭৪,৯৪,৯২,৭০০.০০ টাকা ও অকটেনে প্রায় ২,৯২,২৩,২১৬.০০ মোট- প্রায় ৭৭,৮৭,১৫,৯১৬.০০ টাকা। সর্বশেষ মূল্য সমন্বয়ে ডিজেলের ও কেরাসিন মূল্য ১১৪.০০ টাকা করা হলেও জুলাই/২০২২ মাসের গড় হিসেবে প্রতি লিটারে খরচ পড়বে ১২২.১৩ টাকা অর্থাৎ প্রতি লিটারে তারপরেও ৮.১৩ টাকা লোকসান বিপিসিকে বহন করতে হবে।

প্রতিবেশি দেশগুলো তেলের দাম

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গেল মার্চ মাসে দফায় দফায় তেলের দাম বাড়ানো হয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের ২২ মার্চ থেকে শুরু হয় এই দাম বৃদ্ধির প্রবণতা পরবর্তী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে ১৩ দফায় বাড়ানো হয় তেলের দাম জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে লিটারপ্রতি পেট্রোল বর্তমানে ৯৬.৬০ (বাংলা টাকায় ১১৫ টাকা) এবং ডিজেল বিক্রি হয় ৮৯.৬ রুপি (বাংলা টাকায় ১০৬) টাকা ৬০ পয়সায় এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পেট্রোল ১০০, ৬.০৩ ধরে বাংলায় ১২৬ টাকা এবং ডিজেল ৯২.১০০, ১০.৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অপরদিকে তেলের দাম নিয়ে গত কয়েক মাসে প্রতিবেশী পাকিস্তানের শুরু হয় তেলেসমাতি কান্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে আস্থা ভোটে পরাজিত করার পর ক্ষমতায় আছে মুসলিম লীগ পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় এর জন্য জুন-জুলাই মাসে কয়েক দফায় তেলের দাম বাড়ায় এই জোটের প্রধানমন্ত্রী শরীফের সরকার এক পর্যায়ে জুলাই মাসে পাকিস্তানের পেট্রোলের দাম ২৪৮ ও ডিজেলের দাম বর্তমানে পাকিস্তানের প্রতি লিটার পেট্রোল ২২৭ পাকিস্তানের ৯২ টাকা এবং ২৪৪, ১০৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অপরদিকে ভারত পাকিস্তানের ধারাবাহিকতায় তেলের দামের ব্যবস্থা দেখা যায় নেপালেও বিশ্বে জ্বালানি দলের সঙ্গে সমন্বয় করতে গত জুন মাসে দেশটিতে তেলের দাম ব্যাপকহারে বাড়ানো হয় বর্তমানে দেশে পেট্রোল ১৮১ নেপালি রুপি ১৩৫ টাকা এবং ১৭২ নেপালি রুপি বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশেও জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে বর্ধিত দামে

শুধু বাংলাদেশ-ভারত কিংবা পাকিস্তানি নয় একটি তেল উৎপাদনকারী দেশ বাদে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো সহ প্রায় সবগুলি দেশি জ্বালানি তেলের দাম বিক্রি হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে এমনকি শুক্রবার দেশের ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে এক লাফে ৩০ টাকা বাড়ানোর বিশ্বের অনেক দেশের থেকে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম এখন কম গ্লোবাল পেট্রল প্রাইস ১ আগস্ট এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ডিজেলের দাম সবচেয়ে বেশি হংকংয়ে সেখানে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা লিটারে অপরদিকে যুক্তরাজ্যে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ২২৪ টাকা এছাড়া সিঙ্গাপুরে ১৯১ টাকা, ১৪০ টাকা, তুরস্কে ১৩০ টাকা, জার্মানিতে ১৮৭ টাকা ,যুক্তরাষ্ট্রে ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ডিজেল।

তেল সমৃদ্ধ নাইজেরিয়া ও আরব আমিরাতের চেয়েও দাম কম ছিলো বাংলাদেশে

গতকাল তেলের দরবৃদ্ধির আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে ডিজেলের দাম ছিল বিশ্বের অন্যতম ভক্তের রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নাইজেরিয়া থেকেও কম রাশিয়াতে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় বিদেশি টাকার কিছু বেশি দরে অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় এমনকি বিশ্বের অন্যতম তেল সমৃদ্ধ দেশ নাইজেরিয়ায় ডিজেলের দাম এখনও বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি সেখানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকা সবমিলিয়ে বিশ্বে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায় বাংলাদেশের নতুন দামের তুলনায় কত বেশি।

ভাড়াবৃদ্ধি

দূরপাল্লায় কিলোমিটার প্রতি বাসভাড়া বাড়ল ৪০ পয়সা,মহানগরে ৩৫ পয়সা। রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের মূল্যসমন্বয়ে পর দূরপাল্লায় বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২- পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭ আগস্ট থেকে এই নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।  সর্বনিম্ন ভাড়া বাসে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা।

জ্বালানী তেলের মূল্য সমন্বয় কেন

বিপিসির ব্রেক ইভেন পয়েন্ট অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে যদি ডিজেল প্রতি ব্যারেল ৭৪.০৪ মাঃ ডঃ এবং অকটেন প্রতি ব্যারেল ৮৪.৮৪ ডলারে নেমে আসে তবে ডিজেল ও অকটেন প্রতি লিটার যথাক্রমে ৮০.০০ টাকা ও ৮৯.০০ টাকায় অর্থাৎ আগের (৫ আগস্ট ২০২২) মূল্যে বিক্রয় করা সম্ভব হত যা এখন প্রায় অসম্ভব। একইভাবে ক্রুড অয়েল এর মূল্য জুন২২ মাসে ব্যারেল প্রতি ১১৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে যা এখনও অব্যাহত আছে।

আরোও পড়ুনঃ মুদ্রা রিজার্ভ অর্থ কি? রিজার্ভ বাড়ানো সাথে কী কী সুবিধা বা অসুবিধা

জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জ্বালানী তেলের মূল্য এডজাস্টমেন্টে যেতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। অন্যান্য দেশ অনেক আগেই তাদের জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, আর বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছে সরকার ।

ভারত ২২ মে ২০২২ তারিখ থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে। এই মূল্য বাংলাদেশী টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা। (১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্টোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রয় হচ্ছিল। মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। এশিয়ার অনান্য দেশ যেমন - নেপালে ডিজেল ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়া ১৩৮, সিঙ্গাপুর ১৮৯ টাকা, চীন ১১৮ টাকা, আরব আমিরাত ১২২.৮০ টাকা ও হংকং এ ২৬০ টাকা। আমেরিকা ইউরোপেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানী তেল।বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববতী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে।

আরও জানুনঃ আমি ঢাকায়, যেখানে দিনে মাছি আর রাতে মশা

এটা ভোক্তা পর্যায়ে সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবে আলোচনা করে কোন কারনে কোন যুক্তিতে তেলের দাম বাড়ানো দরকার সেটাকে জাস্টিফাই করে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করে তারপরে গিয়ে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতো কিন্তু আমরা দেখছি সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেউ কেউ সাংঘর্ষিক বলছে। যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে আমাদের দেশে বাড়ানো হচ্ছে কিন্তু পেট্রোল অকটেন তেল আমদানি করেছে সরকার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হলো আন্তর্জাতিক বাজারে দিন দিন দাম কমছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ আগস্ট বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যটির হ্রাস পেয়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য নেমেছে 90 ডলার নিচে চলে এডওয়ার্ড জোন্সের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ফয়সাল এ হারসি বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দরপতনের অন্যতম কারণ এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার দিকে। তারা দেখছেন উদ্ভূত কঠিন পরিস্থিতি কিভাবে গোটা বিশ্বের জ্বালানির চাহিদাকে প্রভাবিত করে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url