OrdinaryITPostAd

ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টে বিদেশী ঋণ | | দীর্ঘমেয়াদী ঋণগ্রস্ত জাতি

করোনা মহামারী কারণে সারা বিশ্বের অসংখ্য দেশ বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কারণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা তার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে না। সময়ের সাথে সাথে ঋণ খেলাপি হয়ে পড়া বিভিন্ন দেশের তথ্য এই বারের আয়োজনে থাকছে চলুন বিস্তারিত আলোচনা প্রবেশ করি।


পোস্টের সূচিপত্র

ঋণের অবস্থা

দেশটিকে সাধারণত খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং যদি সম্পূর্ণ ঋণের পরিমাণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে তবে বিনিয়োগকারীদের কাছে তার খ্যাতি হারায়।

ঋণ খেলাপি কারণ

সামরিক অভ্যুত্থান, বিপ্লব, নতুন সরকার ঋণ পরিশোধ বাতিল, তারল্য সমস্যার কারণে ঋণের বাধ্যবাধকতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে যেকোনো দেশ ডিফল্ট অনুভব করতে পারে।

দেনাদার বনাম দেউলিয়া

দেনাদার বনাম দেউলিয়া বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমাদের জেনে নেয়া দরকার দেউলিয়া কি- বলতে বুঝায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের সরকার প্রধান যখন পাওনাদার গান বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংক ঋণের পরিষদ করতে অক্ষম হয় তখন সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকার প্রধান কে দেউলিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত আইন সঙ্গতভাবে আদালত কর্তৃক একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে।

এবার আসুন আমরা জেনে নিই দেনাদার কি-

কারণ কোনো দেশ এমন কাউকে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় যাকে দেওয়া হয় না কিন্তু ঋণ খেলাপি হয়, অনেক লোক এই দাবিটিকে ভুল বলে মনে করে যে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তারা দাবি করে যে সরকার যে খেলাপি থাকে তা দেশ নয়।

ঐতিহাসিক ঋণখেলাপি দেশ

যদিও অনেক জাতি কোনো না কোনো সময়ে খেলাপি হয়েছে বা তাদের ঋণের ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে হয়েছে, অতীতে যেসব বিশিষ্ট দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছ

  • গ্রীস ১৮২৯ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, দেশটি অর্ধেকেরও বেশি সময় খেলাপি ছিল, উন্নত জাতি হিসাবে IMF এর কাছে তার ১৮০ বিলিয়ন ঋণ প্রদান করে।
  • স্পেন বা স্প্যানিশ সরকারের পক্ষ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ১৯২০ এর দশকের মধ্যে ১৫ বার দেশে সবচেয়ে ঘন ঘন ডিফল্ট হয়েছে। ১৯৯০ এবং ২০০১ সালে, দেউলিয়া ঘোষণা করে।

পূর্ববর্তী ঋণগ্রস্ত দেশগুলো

যদিও অনেক জাতিকে এক সময় বা অন্য সময়ে তাদের ঋণ কাঠামো পুনর্গঠন করতে হয়েছিল, যে দেশগুলি অতীতে খেলাপি হয়েছে তাদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

  • জ্যামাইকা ২০১০ সালে অত্যধিক সরকারি ব্যয় এবং এর প্রাথমিক ব্যবসা, পর্যটনের অবসানের ফলে, জ্যামাইকা ৭.৯ বিলিয়ন আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়।
  • আর্জেন্টিনা ২০১১ সালে, আর্জেন্টিনার ১৮০ বিলিয়ন ঋণ পরিশোধ করা হয়নি। ঘানায় আর্জেন্টিনার নৌ প্রশিক্ষণ জাহাজ ২০১২ সালের ডিফল্টের পরে নেওয়া হয়েছিল। ব্রাজিল ২০২১ সালে মন্দার সম্মুখীন হওয়ার পরিবর্তে, ব্রাজিল রাষ্ট্রীয় দেউলিয়া ঘোষণা করেছে
  • ইকুয়েডর অন্যান্য অনেক দেশের মতো, ইকুয়েডর ঋণের মধ্যে পড়ে গেছে এবং একাধিকবার দেউলিয়া ঘোষণা করেছে, মোট দশবার।

জোর দেওয়া উচিত যে বিগত ২০ বছরে, ইরাকের প্রায় অর্ধেক জাতি, আফ্রিকার ৪০% দেশ এবং এশিয়ার প্রায় ৩০% জাতি বিভিন্ন সময়ে ঋণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে৷ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও চীন।

ঝুঁকির সম্মুখীন দেশগুলো

পাঁচটি দেশ—শ্রীলঙ্কা, লেবানন, সুরিনাম, জাম্বিয়া—এর পাশাপাশি আরও ১২ টি দেশের তালিকা—অর্থনৈতিকভাবে অতিরিক্ত ঋণগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মার্কিন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে নাম দেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা, মিশর, পাকিস্তান, কেনিয়া, বেলারুশ, তিউনিসিয়া, ইথিওপিয়া, ইকুয়েডর এবং কয়েকটি দেশ। এল সালভাদর, নাইজেরিয়া। দক্ষিণ আমেরিকা নাইজেরিয়া। অর্থনীতিবিদদের মতে, যদি বিশ্ববাজার স্থিতিশীল হয় এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) তাদের সহায়তার জন্য পদক্ষেপ নেয়, তবে অনেক দেশ এখনও তাদের সামনে যে দুর্দশা উপস্থাপিত হয়েছে তা এড়াতে পারবে। ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল অনেক গুলো দেশ আই্এমএফ-এর সাথে যোগাযোগ করেছে। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জেরে গত মে মাসে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি হয় শ্রীলঙ্কা। এই ঝুঁকিতে রয়েছে এ অঞ্চলটি আরেকটি পেজ পাকিস্তান অনেকে তা মনে করেন। তবে সুখবর হল ঋণখেলাপির ২৫ টি দেশের তালিকার মধ্যে নেই বাংলাদেশের নাম অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ ভিজুয়াল ক্যাপিটালিস্ট যেসব দেশের সর্বোচ্চ ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে ২০২২ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায় যে তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকলেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান শীর্ষে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গানা ভিডিও তিউনিশিয়া এবং পঞ্চম স্থানে মিশর।

এদিকে দলের মুখোমুখি ঋণখেলাপি তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিধ্বস্ত দেশ। সরকারি বন্ড বিক্রি করতে না পারায় সরকারের ব্যয় ও সরকারি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে দেশটির অবস্থান তা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায় জানা গেছে সরকারি বন্ড গুলো অবিক্রি থাকার কারণে সেগুলোর দাম কমে গেছে প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি এর মানে হলো প্রতিটি পয়েন্টে অভিহিত মূল্য যদি ১০০ টাকা ধরা হয় সেগুলোর বিক্রয় মূল্য এসে ঠেকেছে মাত্র ৩০ টাকায় অন্যদিকে সম্ভাব্য ঋণখেলাপির দেশের তালিকা এল সালভাদরের নাম থাকার কারণ দেশটির সরকারি ঋণের উচ্চমাত্রার হার। এল সালভাদর মোট ঋণের পরিমাণ জি ডিপির ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ বার্ষিক জিডিপি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হয় দেশটিতে হিসেবে সালভাদর বার্ষিক সুদের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনগুণ ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ঋণের সুদের হার ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

শেষে এল সালভাদরের নাম থাকার পেছনে অন্যতম আরেকটি কারণ উল্লেখযোগ্য তাহলো কিপটে কারেন্সি গত বছর সেপ্টেম্বর ২০২১ এল সালভাদর বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসেবে ডিজিটাল মুদ্রা কয়েন বৈধভাবে স্বীকৃতি দেয় চলতি বছরের শুরুতেই এমন সিদ্ধান্ত সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আয় কিন্তু আইএমএফের কথায় কোন পাত্তা দেয়নি দেশটি বছরব্যাপী কয়েনের মূল্য কমেছে ৫৬ শতাংশ বেশি ঋণখেলাপির ঝুঁকিতে এই তালিকা তৈরি করেছে বাণিজ্যিক বিষয়ক প্রকাশনা এজন্য চারটি নিদের্শক সময় নিয়েছেন তারা প্রথমত সহকারী বন দ্বিতীয়তঃ ৫ বছর মেয়াদী ডিফল্ট সোয়াপ তৃতীয়তঃ বার্ষিক সুদের খরচ সর্বশেষ সরকারি ঋণ। পাকিস্তানের বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত ঋণের পরিমাণ দেশটির মোট জিডিপির ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ আর পাকিস্তানের প্রতি বছর গৃহীত ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয় মোট জিডিপির ৪.৮%। এদিকে চলতি বছর শ্রীলংকা অর্থনীতি সামাল দিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ঋণের সুদ বাবদ ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার পরিশোধের জন্য দেশটির সরকার ৩০ দিনের সময় দেয়া হয় ঋন পরিশোধে তারা পরিপূর্ণ ব্যর্থ তারা। এই তালিকায় আর্জেন্টিনা ব্রাজিল দক্ষিণ আফ্রিকা মেক্সিকো ও তুরস্কর নাম রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে তুরস্ক। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ নাগরিকদের। জ্বালানি তেল ও সার কেনার চুক্তি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টায় রয়েছে ব্রাজিল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url