OrdinaryITPostAd

চল্লিশ বছর বয়সে কেন মুহাম্মাদ (সা.)-কে পড়ার জন্য দেওয়া হয়

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর বয়স যখন ৪০ তখন ঘটে গেল মুসলিম সূর্যোদয়ের ইতিহাস এর মাধ্যমে পাল্টাতে শুরু করে বিশ্বের ইতিহাস। মানব ইতিহাসে ইসলামের সেই শক্তির আধার পবিত্র কোরআনের শুভ সূচনা হয় ওই বছর অজ্ঞতার অন্ধকার বেড়াজালে আরব যখন বন্দি তখন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তখন ওই সমাজে যুগের পর যুগ যুগ অব্যহত থাকা যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি আনয়ন, আমানত দারের দৃষ্টান্ত স্থাপন, কাবা পাথরে স্থাপনের দ্বন্ধ নিরোসন ও নিজে বিধবা বয়স্ক বিবাহ করা,হিলফুল ফুজুল বা শান্তিসংঘ গঠন করে গোটা আরবের দৃষ্টিতে হিরো বনে যান। এরপরে থেমে নেই মুহাম্মদ বিনতে আব্দল্লাহর আরবদের নিয়ে চিন্তায়।

দীর্ঘসময় মরুভূমির হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন কিভাবে অন্ধত্ব কুসংস্কার থেকে আরবদের মুক্তি দেয়া যায়। খাদিজাকে বিয়ের পর থেকে নবী মুহাম্মাদ (সঃ) আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সে সুয়োগে নবী মুহাম্মাদ (সঃ) নিজেকে দিনের-পর-দিন নিজেকে বিলিয়েছেন পুরো আরব জাতির মুক্তির চিন্তায় ধ্যান আর প্রার্থনায়। অবশেষে ঘটেই সব চিন্তা আর ধ্যানের অবসান ৬০৯ খ্রিস্টাব্দে মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর বয়স যখন ৪০ বছর রমজান মাসের কদরের রাতে হেরাগুহায় ঐশ্বরিক বার্তা নিয়ে ধরা দেয় ফেরেশতা জিব্রাইল। উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর মাধ্যমে সত্য ওহী নাযিলের সূচনা হয়েছিল অতঃপর মধ্যে নির্জনে এবাদত করার আগ্রহ সৃষ্টি হয় তখন তিনি হেরা পর্বতের একটি গুহায় রাত-দিন ইবাদাতের মাধ্যমে ধ্যানমগ্ন থাকতেন।

এ অবস্থায় এক রাতে হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে তার নিকট সর্বপ্রথম সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত নাযিল হয়। জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম নিকট এসে বললেন ইকরা আমি পড়তে পারিনা তখন জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে চেপে ধরলেন তারপর বললেন ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন পড়ুন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম আবার বললেন আমি পড়তে পারিনা জিব্রাইল পুনরায় চেপে ধরে ছেড়ে দিয়ে বলেন পড়ুন মুহাম্মদ বিনতে আবদুল্লাহ বলেন আমি পারিনা জিবরাইল ফেরেশতা পুনরায় মোহাম্মদকে ধরে জোরে কোলাকুলি করায় তার ভীষণ কষ্ট হলো এবার তিনি নবী কে ছেড়ে দিয়ে বললেন ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক) পড়ুন আপনার প্রভুর নামে যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন যিনি মানুষকে জমাট বাঁধা রক্ত হতে সৃষ্টি করেছেন আর পড়ুন আপনার প্রভু মহিমান্বিত।এরপর মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কম্পিত হৃদয় ঘরে ফিরে বিস্তারিত ঘটনা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কে বললেন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা সবকিছু শুনে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে সেও চাচাতো ভাই ধর্ম বিশেষজ্ঞদের অরাকা ইবনে নফল নিয়ে যান কিছু শুনে বললেন ভয় নেই মুসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আল্লাহ পাঠিয়েছেন অর্থাৎ হযরত জিবরাইল ফেরেশতা প্রতিশ্রুতি আমি বেঁচে থাকলে আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। অরাকায় কথায় নবী করীম (সঃ) ও খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা আশ্বস্ত হলেন এভাবেই সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাযিল হয় যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দা ও নবী নবী অনুসারীদের বান্দাদের পড়ার উপর জোর দেন। এছাড়া এই ওহী অবতীর্ণ মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ শেষ নবী তার সত্যতা মিলেছে। যে জিব্রাইল ফেরেশতা নবী মূসা এবং জিসাস কাছে এসেছিলেন। এটা স্পষ্ট যে কুরআনের প্রথম শব্দ ইকরা তথা পড়ো। আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কে ৪০ বছর বয়সে কেন পড়াতে চাই না আর কেনইবা ইবাদত রোজা রাখো নামাজ পড়ো এসব কিছু না কেন বললেন পড়তে বললেন। পড়া কি আকরিক নাকি উপলন্ধি পড়া এই প্রশ্ন যুগে যুগে মুসলিমদের সহ গোটা বিশ্ববাসীদের একটা শিক্ষা দিয়ে যায়। পড়ো পড়ো পড়ো পড়ার বিকল্প শুধুমাত্র পড়া। পড়া পৃথিবীর মুসলিমেরা সত্যি কি এই পড়া উপলব্ধিতে নিতে পেরেছে এমন প্রশ্ন এখন সারা বিশ্ববাসী আর যতটুকু করছে তাকে হৃদয়ঙ্গম হচ্ছে নাকি কানের উপর দিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোন সুন্দর শব্দ কে আলাদাভাবে নিয়মিত করলে তাদের তৃপ্তি আসবে এজন্য একজন গায়ক বারবার তার গানের স্বরলিপি পাঠে একজন আবৃত্তিকার কবিতার পংক্তি বারবার পাঠের মাধ্যমে এক ধরনের তৃপ্তি পেয়ে থাকেন কুরআনের এমনও পাঠে এমন পাঠক তৃপ্তি পাবেন সেটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এ তৃপ্তি কানে সুধা মেটালেও হৃদয়াঙ্গম হতে ব্যর্থ।

ইতিহাসবিদরা বলেন আরবে ওই সময়ে মানুষ ও পশুর জীবন পদ্ধতির মাঝে কোন পার্থক্য ছিল না মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে ফেলে মানুষও পশু হয়ে যায় আর নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেললে মনুষ্যত্ব চলে যায়। ওই সমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল রক্তের হোলিখেলা আর উদ্দাম যৌনতা, মাদক ছিল তাদের নিয়মিত খাবারের অংশ শিশু ও নারীর প্রতি চরম নিষ্ঠুরতা। এমন নিমর্ম তা ছিল না মানুষ মানুষের সঙ্গে করতো না এমন ঘোরো মূর্খ্যতার যুগ থেকে মানুষকে আলোকিত যুগে নিয়ে আসে কোরআন। কুরআনের প্রথম নাজিল হওয়া প্রথম শব্দটি ইকরা নিয়ে একটু চিন্তা করা দরকার কোরআন প্রথমে মানুষকে বলেনি এবাদত করো ভালো হও মন্দ ছাড়ো কোরআন বলেছে ইকরা পড়ো এই পৃথিবীর জ্ঞানীরা ভেবে ভেবে হয়রান হয়ে যাচ্ছে এত এত বিষয় থাকতে কোরআন ইকরা দিয়ে নাজিল হলো কেন এর উত্তর একটাই মানুষকে মানুষ হতে হলে পড়ার কোনো বিকল্প নেই পড়া হলো আলোকিত জগতে শান্তির জগতে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ।

ইকরা পড় পড় আমি শুধু কোরআন কিংবা ইসলামী জ্ঞানের জন্য এটার মানে হল পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরের পড়া বলতে যত বিষয় আছে সেসব পড়ে ফেলা তবে সুফিরা বলেন পড়া মানে কোন গ্রন্থ পড়া নয় করা হলেও প্রভুর সৃষ্টি পড়ে দেখে বিশ্লেষণ করে প্রভুকে চেনা পথে হেটে চলা এটা হল সর্বোচ্চ স্তর এর পরে আসার আগেই নিচের স্তরের অর্থ্যাৎ; কাগজের বই পড়ে কিছুটা প্রস্তুত করে নিতে হয় তবেই প্রভুকে চেনার পাঠশালায় ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যাবে।

খুব আফসোস এর সঙ্গেই বলতে হয় ইকরার ধারক-বাহক মুসলমান আজ আসমানী পড়া থেকে বহু দূরে সরে আছে প্রভুকে চেনার পড়া তো এখন আর হয় না বললেই চলে দীর্ঘজীবনের একজন মানুষ সিজদায় বারবার নামাজে দাড়িয়ে কি পড়ছেন তা তিনি জানেন না এবং জানতে চেষ্টাও করেন না এছাড়া যারা পুরো কোরআন মুখস্থ করে ফেলছেন হাফেজ হয়েছেন তারাও তাদের পুরো জীবন কাটিয়ে দিল কি তারা মুখস্ত করছেন তা তারা জানেন না পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে জীবনের মূল্য বোঝেনা প্রার্থনা বাদ কি পড়ছেন।

আজকালকার পড়া হয়ে গেছে সার্টিফিকেটের পড়া পরীক্ষায় পাস করা এ প্লাস পাওয়ার ধাক্কায় ছাত্র শিক্ষক অভিভাবকসহ সবাই এখন পাগল প্রায়। শিক্ষার্থী কতটুকু জ্ঞান অর্জন করল কাগজে পড়া কতটুকু হজম করলো সে বাস্তবতায় সবাই মগ্ন প্রভুকে চেনার বিশ্বজোড়া পাঠশালায় এর ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কতটুকু অর্জন করল সে খবর শিক্ষক রাখেন না, অভিভাবক সে খবর তলিয়ে দেখেন না। আজকের বাংলাদেশের সার্টিফিকেটধারী প্রাধান্য বলে যে কারণে দেশের সেরা মেধাবীরা অন্যায় করে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ভাষার মাসে অক্ষরের উৎসবে মেতে ওঠার বর্নিল আনন্দে জরিক হওয়া নিঃসন্দেহে একটা ইবাদাত।

বই পড়তে বই কিনতে বইয়ের প্রচার প্রসারে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া অর্থাৎ বই সংক্রান্ত যেকোনো পদক্ষেপ ইকরার প্রথম স্তরের কাজ এর অন্তর্ভুক্ত তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কর্তব্য বই মেলা আসা। পুঁজিবাদী বিশ্বে বইকে বাঁচিয়ে রাখা জ্ঞানচর্চায় প্রবাহিত স্রোতের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখার জন্য বইয়ের ব্যাপক প্রচার-প্রসার প্রয়োজন প্রতিদিন কত অফুরন্ত সময় নষ্ট করি আমরা একটি বইয়ের পৃষ্ঠা করেও যদি দৈনিক পড়ি তাহলে মাস শেষে বইটি শেষ হয়ে যাবে। দৈনিক ১০ পৃষ্ঠা করে যদি পড়ি বিরাট সংখ্যক বই পড়ে ফেলা যাবে আর এইভাবে ১০ বছরের কয়েকটি লাইব্রেরিয়ান সমান বইয়ের জ্ঞান আমাদের মাথায় থাকবে আমাদের আত্মার জগতকে থাকবে হয়ে উঠবে একটি মানুষ আর একটি সমাজ হবে আলোকিত সমাজ।

পড়া দিয়ে কী বোঝায় পড়া দিয়ে বোঝায় কোন একটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা যা অর্জন করার মাধ্যমে ওই বিষয় সম্পর্কে কি বিশ্বাস করতে হবে তা জানা অথবা কোন কাজ কিভাবে সঠিকভাবে করতে হবে তা জানা অথবা বোঝা এখন যদি কেউ এই দুটি বিষয়ের কোনটি জানতে না পারে তবে বোঝা যাবে যে সে আসলে সত্যি কারের পড়া পড়েননি আর জ্ঞান অর্জন করার একটি প্রধান এবং প্রথম ধাপ হচ্ছে অক্ষর জ্ঞান অর্জন করা সুতরাং অক্ষর জ্ঞান অর্জন করা মানেই জ্ঞান অর্জন করা নয় আমরা যারা দেখে দেখে কোরআনের আয়াত গুলো সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারি তারা মূলত অক্ষর জ্ঞান অর্জন করেছে অর্থাৎ জ্ঞান অর্জনের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করেছে কিন্তু এভাবে কোরানের আয়াতগুলো উচ্চারণ করে ও যেহেতু আল্লাহ কি বলেছেন তা জানতে পারি না সেহেতু এটাকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করা যায় না।

ইকরা দিয়ে শুরু হয়ে এই দীর্ঘ ২৩ বছরে এ অহি আসা অব্যাহত থাকে ওহী আসে বিভিন্নভাবে ইসলামী গবেষকদের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় ৬ টি বিশেষ পদ্ধতিতে রাসূলের কাছে ওহী আসতে আসতে থাকলো এমন সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর পবিত্র দেহের বর্ণ পরিবর্তন হয়ে যেত হয়ে পড়তেন এছাড়া হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তরে রেখে দিতেন এবং আল্লাহর হুকুম বলে যেতেন এটি ছিল সহজ পদ্ধতি অধিকাংশ সময়ে হযরত দাহিয়াতুল কালবী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর আকৃতিতে জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সন্তান এছাড়া রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় হযরত জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসতেন এবং আল্লাহর পৌঁছে দিয়ে চলে যেতেন। জিব্রাইল ছাড়াও আল্লাহতালা সরাসরি কথা বলতেন যেমন শবে মেরাজের সুরা বাকারার শেষ আয়াত নাযিল করেছেন এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে এছাড়া নিদ্রিত অবস্থায় আল্লাহ তাআলা ওহী নাযিল করেছেন ওলামায়ে কেরামগনের মতামত নিতে অবস্থায় নাযিলকৃত হীন এই হাদিসের উদাহরণ রয়েছে।

ইকরা শব্দটি নাজিল হয় শেষ রাতে এছাড়া জিবরাইল ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আসলেও তার অস্বাভাবিক কাঠামো ও অপ্রত্যাশিত এক ব্যক্তির আগমনে রাসূলের মধ্যে ভয় ধরিয়ে দেয় রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম জীবিত বাণীগুলো ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে খাদিজার গৃহে ফিরে যান গিয়ে বলেন জাম্মিল জাম্মিল আমাকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে দাও আমাকে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে  দাও এরপর বিবি খাদিজার আশ্বস্ত করে বলেন আপনি অসহায় সহযোগিতা করেন মানুষের বোঝা বহন করেন মেহমান আপ্যায়ন করা আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখেন সুতরাং আপনার ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই কারও কারও মতে জীবনের মধ্যে আকাশ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে ইকরা বলে ওঠেন আবার কারো কারো মতে জিবরাইল ছয়শত পাকা বিশিষ্ট নিয়ে রাসূল (সাঃ) আবির্ভূত হতেন।

ওহী পাওয়ার সময় যেমন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কষ্টের সম্মুখীন হন তার চেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েন ওহীর কথা আরবের লোকদের মধ্যে জানাজানি হলে নবুয়ত প্রাপ্তির পরে । আগেতো মক্কার আবর লোকেরা একপাশে সরিয়ে নিয়ে ভাষায় বিভিন্ন কথা শুনতেন বানিয়ে বানিয়ে বলেন বলে অভিযোগ করেন আরবের করা এছাড়া কেউ কেউ আসার পর মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে পাগল বলে সম্বোধন করেন কেউ বলেন একজন কবি এসব এগুলো তার কবিতা আরো বলেন মোহাম্মদপুর বেকার গল্প কাহিনী থেকে বানিয়ে বলেছেন আরো বলেন এর পূর্ববর্তী ধর্ম গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে এ ধরনের অভিযোগের জবাব আল্লাহতালা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সূরা নুন এর দ্বিতীয় আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যে পাগল নন সে জবাব আল্লাহতালা দিয়েছেন এছাড়া সূরা সিজদা তিন নম্বর আয়াতে বলা হয় কোরআনের বাণী রাসুলের বানানো কিছু নয় এটি আল্লাহ প্রদত্ত বাণী সূরা আনফালের ৩১ নম্বর আয়াতে অবতীর্ণ ওহীকে গল্প কাহিনী বলার জবাব দেন এছাড়া সূরা ইয়াসিনের প্রথম তিন আয়াত ও তার উপর অর্পিত স্বীকৃতি দেয়া হয় কুরবানী নয় আল্লাহতালা সূরা আনকাবুত ৪৮ নম্বর আয়াতে জবাব দিয়েছেন তা আল্লাহ সূরা ইয়াসিনের ৬৯ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট করেন

সৃষ্টিকর্তা সূরা যুমার ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে বলুন যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা কি সমান হতে পারে চিন্তাভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান এছাড়া সূরা ফাতির আয়াতে বলা হয়েছে মানুষজনও চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর বান্দাদের মাঝে প্রকৃত জ্ঞানী কেবল তাকে ভয় কর নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল সূরা বাকারা ২৬৯ নম্বর আয়াতে এসেছে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয় সে প্রস্তাব গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান বেচারাদের ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি জানে যে যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নাযিল করা হয়েছে তা শুধুমাত্র তারাই বুঝে যারা বোধ শক্তিসম্পন্ন এছাড়া মজাদার ১১ নম্বর আয়াতের সাথে তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার জ্ঞানপ্রাপ্ত আল্লাহতালা তাদের মর্যাদাও করে দিবেন তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তার খবর রাখে আল্লাহতালা কিন্তু তোতা পাখির মতো গুলি না আওড়িয়ে প্রতিটি মুসলিম যদি জ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করেন তাহলেই বহির প্রথম শব্দটা পর শব্দটির সার্থক হবে আক্ষরিক এবাদতকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে জ্ঞানচর্চার অত্যাবশ্যক সত্যিকারের হৃদয় দিয়ে বুঝে শুনে পড়াশোনা করলে কোন মুসলিম অমানবিক কাজ যেমন করার উৎসাহ হারাবে না তেমনি অন্যকেও মুসলিমকে দিয়ে কোন অমানবিক কাজ করাতে পারবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url