OrdinaryITPostAd

বাঁধাকপি | বাঁধাকপির যত গুণ ২০২২ | Cabbage

স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখতে খাদ্য তালিকা স্বাস্থ্যবান রাখা অত্যন্ত প্রযোজনীয় বিষয় বটে। আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে খাদ্য অভ্যাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ অজ্ঞ। দেখুন, মহান আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য নেয়ামত ভিত্তরে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে, শরীর সুস্থ। আর এর দুনিয়াতে খাদ্য তালিকা দিয়ে রাখছে আল্লাহ তায়ালা। এই পোস্টটি যে ভাই-বোনেরা পড়বেন যাদের আল্লাহ তায়ালা সুস্থ রাখছে তারা বলুন “আলহামদুলিল্লাহ”, আরা যারা অসুস্থ রয়েছে তাদের জন্য আমরা সবাই দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা দ্রুত সুস্থ করে দেন। শীতের আগমন বার্তা চারিদিকে রবরব পড়ে গেছে। গ্রামেতো রীতিমতো শীত পড়ে গেছে। আজকের আলোচনা বিষয়, শীতকালীন সবজি মধ্যে “বাঁধাকপি” সঙ্গে থাকুন।

বাঁধাকপি

শীতকালীন সময়ে এই সবজি বাজারে মোটামুটি সহজলভ্যতা দেখা যায়। সবজি তালিকা আমরা দেখতে পায় এর মধ্যে পুষ্টিতে ভরপুর এমন সবজি তাহল, “বাঁধাকপি”। বাঁধাকপি পুষ্টিগুণে ভরপুর নানাবিধ রোগের ঔষধ গণ্য করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। এই সহজলভ্য খাদ্য বা সবজি নানা উপায়ে আমরা খেতে পারি। গ্রামে এই সবজিটি কে বলে থাকে হাঁসের খাবার। তবে, দেশের অধিকাংশ মানুষ জানে না এই সবজি খাদ্য তালিকায় রাখলে কি কি উপকার আসতে পারে। চলুন, আমরা একসঙ্গে মুল আলোচনা যাওয়া যাক।

বাঁধাকপি উদ্ভাবন

বাংলাদেশের চাষাবাদ প্রথম শুরু ষাট দশকে।বাঁধাকপি হল সবজি যা ক্রুসিফেরা বা ব্রাসিকেসি পরিবারের সদস্য। যা ব্রাসিকা ওলেরেসি উদ্ভিদ প্রজাতি থেকে এসেছে। আমার এই সবজি টি অনেক পছন্দের আপনারও পুরোপুরি জানতে পারলে ভালো পছন্দের সবুজ সবজি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করবেন আমি মোটামুটি নিশ্চিত। বাঁধাকপির আদি নিবাস দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরীয় ইউরোপ। সারা বিশ্বে, ২০১৮ সালে ৬৯৪ লক্ষ টন বাঁধাকপি উত্পাদিত হয়েছিল। চীন বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ৪৮% করে আসছে। ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়া অতিরিক্ত বড় উৎপাদন করে থাকে।

বাঁধাকপি বীজ

আমরা এখন জানবো কিভাবে বীজতলা রোপণ করতে হয়। শতক প্রতি বাঁধাকপি বিভিন্ন প্রকার জাত ভেদে ২-৩ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং হেক্টর প্রতি ৫০০-৭০০ গ্রাম প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে যা প্রথমে করতে বীজ সংগ্রহ পরে বীজতলায় তৈরি করে পরবর্তীতে জমিতে লাগাতে হয়। বীজতলায় তৈরি ক্ষেত্রে অবশ্যই করণীয় যা বালি, মাটি ও জৈবসার ভালো মতো মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।

বাঁধাকপির জাতের নাম

রবি মৌসুমে উল্লেখযোগ্য সবজি বাঁধাকপি যার বৈজ্ঞানিক নাম (Brassica oleraea var capitata)। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বাঁধাকপি উৎপাদন করে থাকে কৃষকেরা। বাঁধাকপি উল্লেখযোগ্য জাতের মধ্যে রয়েছে, আগাম জাত, মধ্যম জাত, নাবী জাত। এইসব জাতের মধ্যে প্রত্যেকটা ভিন্ন ভিন্ন প্রকার অনেক নামে পাওয়া যায়। বারি বাঁধাকপি-১ (প্রভাতী), বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত), ইপসা বাঁধাকপি ১। আমদানীকৃত হাইব্রিড জাতের মধ্যে অনেক প্রকার জাতের বীজ বাজারে পাওয়া যায়।

বাঁধাকপি ফলন

যে খাদ্য বা সবজি নিয়ে এত গুণাগুণ লিখছি সেই সবজি ফলন সম্পর্কে আপনার জানতে ইচ্ছে নিশ্চয়। হ্যাঁ, বাঁধাকপি ফলন কেমন হয় এখন জানবো। চাষাবাদের মুল জমিতে চারা বা বীজ রোপণের দুই অথবা তিন মাসের অর্থ্যৎ ৬০ বা ৯০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করা যায়। প্রত্যেকটা গড় ওজন ২.৫ কেজি উপরে হয়ে থাকে। তবে শতক প্রতি ১৫০ অথবা ১৮০ কেজি, আর হেক্টর প্রতি ৭৫-৮০ টনের মতো ফলন হয়ে থাকে। উন্নত জাতের বাঁধাকপি শতক বা হেক্টর প্রতি ১১০ টন উপরে ফলন হয়।

বাঁধাকপির যতো গুণ তা জানবো । এই পোস্টটিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে চলেছেন আপনারা। ধৈয্য সহকারে বিস্তারিত পোস্টটি পড়তে ভুল করবেন না। চলুন দেখে নেয়া যাক কি আছে “বাঁধাকপি”।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

আল্লাহ তায়ালা তরফ থেকে দেয়া প্রত্যেক খাদ্য হালাল এবং সুস্বাদু । ঠিক তেমনি সবুজ সবজি আমাদের জন্য অনেক বড় নেয়ামত। কিন্তু আমরা অনেকে তা না বুঝে তৈলাক্ত খাবার গুলো খুবই পছন্দ করি। ফলাফল যা হবার তাই হয়ে থাকে মানে হাসপাতাল। এখন বুঝার এবং জানার চেষ্টা করবো যেসব খাবারগুলো আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে বাঁধাকপি নাম রয়েছে কিনা !ওজন কমাতে সাহায্য করে যেসব খাবার ডিম, সবুজ শাক-সবজি, মাছ, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিদ্ধ আলু, মুরগির মাংস, ডাল, পনির, বাদাম। এই খাবারগুলোর মধ্যে আমরা সহজে প্রোটিন ও ফাইবার পেতে পারি নিয়মিত খাদ্য হিসাবে গ্রহণ ফলে ওজন দ্রুত কমতে সহায়তা করে থাকে।

হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে

আমাদের দেহের অন্যতম উপাদান হল হাড়। আমাদের মধ্যে অনেকের রয়েছে হাড় কিভাবে ভালো রাখতে হয় তা জানে না, আদৌ এটার প্রয়োজনবোধ মনে করে না। আর স্বাস্থ্য সচেতন তারা প্রকৃতি উৎস থেকে যে খাবারগুলো আমরা পাই দ্বারা চেষ্টাতো করে না বরং অতিরিক্ত ডাক্তার বা ঔষধ নির্ভরশীল হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। এখন আমরা দেখবো যেসব খাবারে আমরা বা আমাদের হাড়কে ভালো রাখতে পারি তা দেশের উদপাদিত হয় কিনা। হাড় ভালো রাখতে সহায়তা করে যেসমস্ত খাবার তাহল সবুজ শাকসবজি, গাঢ় সবুজ শাকসবজি যেমন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম এই খাবারে আপনি পেতে পারেন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি যা আপনাকে যেসব ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা প্রদান করবে হাড়ক্ষয় রোধে প্রতিরোধ ও অস্টিওপোরোসিস ঝুঁকি কমাতে সহায়তা ।

আলসার নিরাময়ে উপকারী

মানবদেহ অত্যন্ত আশ্চর্য্যজনক একটা মেশিন বলা যেতে পারে। আমাদের গাফলতির কারণে তৈরি হতে পারে নানাবিধ রোগের বাসস্থান। অনেক রোগের মধ্যে একটা হল আলসার। আর আলসার নিরাময়ে বাঁধাকপি অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। পাকস্থলী ও পেপটিক এবং শীতকালীন ভাইরাসজনিত সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়তে অস্ত্র হতে পারে “বাঁধাকপি”। সঠিক খাদ্য অভ্যাস আমাদের দেহটা ভালো রাখতে পারি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

সবসময় ব্যবহার করি এমন জিনিস রয়েছে আর সেই জিনিসগুলো ভালো রাখতে বাড়তি নজরও দিয়ে থাকি। ঠিক তেমনি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস হল আমাদের শরীর। আর এই শরীর যেকোনো সময়ে সামন্য ভুলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বাঁধাকপি । রক্তে অতিরিক্ত অ্যান্টিবডি হতে পারে যেকোনো সময় তখন আমাদের শরীর রেড এলার্ট জারি করে দেয় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। প্রতিরক্ষামূলক খাবার গুলো কমলা, আঙ্গুর, কিউই, স্ট্রবেরি, লাল ও সবুজ মরিচ, ব্রকলি,ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে সহজে দৈনিক ২০০ গ্রাম ভিটামিন সি পেতে পারি।

কিডনি সমস্যা প্রতিরোধ করে

কিডনি দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেটা অকেজো হয়ে পড়লে আমাদের দেহের আর কোনো মূল্য থাকে না। কিডনি রোগ প্রতিরোধে “বাঁধাকপি” ভূমিকা কোনো অংশে ছোটো করে দেখার অবকাশ নেই। বাঁধাকপিতে আমরা আমাদের জন্য দরকারী প্রয়োজন উপাদান পেতে পারি তাহল ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, যা ইমিউন সিস্টেম আরও শক্তিশালী করে তুলে কিডনি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং কিডনির ক্ষতিরোধ করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

আমরা প্রায় সবাই জানি অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধির ফলে ক্যান্সার ঝুঁকি মধ্যে পড়ে থাকে। ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ নিয়মিত ব্যায়াম জরুরী। আমরা নিয়মিত ব্যায়াম অথবা কায়েম পরিশ্রম অর্থ্যাৎ কঠোর পরিশ্রমে হরমোন,কোষ বৃদ্ধি ঠেকাতে সাহায্য করে। মনে রাখা উচিত ব্যায়াম ও কঠোর পরিশ্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। আমরা অনেক ব্যায়াম করলাম এতক্ষণে এইবার নজর দেয়া যাক খাদ্য অভ্যাস নিয়ে। ক্যান্সার প্রতিরোধে যেসব খাদ্য রয়েছে তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাবার “বাঁধাকপি” অন্যতম। লাল বাঁধাকপিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্যান্সারের সেল বৃদ্ধির অনেকাংশে বাধাগ্রস্ত করে। স্তন ক্যান্সারের সেল কমাতে সহায়তা করে বাঁধাকপি। ৭২ শতাংশ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যাবে বাঁধাকপির রস খেলে।

হজমের সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

আমাদের মধ্যে অনেক রয়েছে যাদের হজম প্রক্রিয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে খেতে পারেন ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া। হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বাঁধাকপির অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। বাঁধাকপির পাতার রস যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনি মুক্তি পেতে পারেন পেপটিক আলসার। এছাড়াও অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন বুক জ্বালা-পোড়া সহ পেট ফাঁপা দূর হবে।

চোখ ও ত্বকের যত্নে

আমাদের শরীরের সবগুলো অঙ্গ একসঙ্গে কাজ করে না। যে সমস্ত সবসময় একটিভ থাকে তার মধ্যে “চোখ” অন্যতম। চোখ ঘুমানোর বাদে সারাক্ষণ কাজের উপরে থাকে। চোখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো মধ্যে তাই বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। আমরা অনেকে আছি জানি না রান্না করার সময়ে পুষ্টিমান কিছুুটা হলেও কমে যায়। ত্বক বাঁচনোর প্রথম ঢাল কাঁচা সবজির সালাদ ও ফলমূল। সেটা হতে পারে শসা, টমেটো, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি এই সবজি ত্বকের সুস্থতার জন্য অনেক প্রয়োজন।

চুলের জন্য বাঁধাকপি

নারী ও পুরুষ চুলের যত্নের ক্ষেত্রে তেমন আলাদা কিছু নয় তবে নারীদের চুল পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি সমবেদনশীল। আপনারা জানেন কিনা চুলের যত্নের ক্ষেত্রে বাঁধাকপির রস ব্যবহার করতে পারেন এখনো পর্যন্ত আলাদা পার্শ্বপ্রক্রিয়া পাওয়া যায়নি। “বাঁধাকপি” র রসে আপনি যা পাবেন আপনার চুলের জন্য সঠিক পুষ্টি, সালফার যা চুলকে মজবুত করে, চুল পড়া রোধে সহায়ক। দূর্বল চুলের সঠিক প্রতিরোধক এবং আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে বিশেষ কার্যকরী।

টক্সিন দূর করে

বাঁধাকপি নানা উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যেমন- শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে, ডিটক্সিফিকেশন এনজাইমের সমন্বয়ে লিভার সুরক্ষা দেয় আরও ৬৭ প্রকারের গ্লুকোসিনলেট। প্রচুর সালফার।

আয়রনের ভাল উৎস

আপনার চলার পথ যদি হয় অফিস বা বাসা বাড়ির আশপাশে হাঁটাহাটি চলাফেরা রাস্তায় পাশে যদি পেয়ে যান পালংশাক তাহলে কিনে ফেলুন,কারণ এটি নন-হিমি আয়রনের সর্বোৎকৃষ্ট উপাদান। আরও যে উপাদানের আয়রন অপেক্ষা করছে তা দেখে নিন- মুরগির মাংস ( বিশেষ করে পা বা উরুর মাংস) আপনার দৈনিক ৮ শতাংশ আয়রনের অন্যতম উৎস অত্যন্ত সহজে পেয়ে যাচ্ছেন। শীতে যতধরনের সবজি পাবেন সবচেয়ে জনপ্রিয় সবজি আয়রন ও প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান পেয়ে যাবেন “বাঁধাকপি”। বাঁধাকপি আয়রনের পূরণের পাশাপাশি ওজন কমাতে,স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক, ব্লাড সুগার নিয়স্ত্রণ এবং আপনার শরীরের বিষাক্ত উপাদান মুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বাঁধাকপি।

বাঁধাকপির উপকারিতা

আমরা যে খাদ্য গ্রহণ তার আগে পুষ্টিমান সম্পর্কে জেনে নিলে মন্দ হয় না। বাঁধাকপিতে আপনি পেয়ে যাবেন ভরপুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোষকে অনেক সজীব রাখে যা আপনাকে নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করবে, কোষের প্রদাহ , ফোলা কমায়, ক্যান্সার, হার্টের অসুখ, ডায়বেটিস ও আলসার মতো জটিল রোগগুলো থেকে পরিত্রাণ দিবে। এছাড়া ও আপনার হজমে সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি কোলেস্টেরণ কমাতে এবং রক্তের শর্করা ঠিক রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে।

বাঁধাকপির অপকারিতা

দেখুন বাঁধাকপি উপকার সংখ্যা অনেক বলে অপকারিতা বলে কিছু থাকবে না তা কিন্তু হয়না। বাঁধাকপি কাদের জন্য সামান্য গড়মিল হতে পারে কি ধরনের সমস্যা তৈরি করে  এবং কাদের সমস্যা দেখা দেয় তা জানবো। যাদের পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা তাদের গ্যাসট্রাইটিস বৃদ্ধি পেতে পারে, পেট ফাঁপাভাব। আসলে কপি জাতীয় খাবার খেলে যাদের পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা রয়েছে তাদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

উপসংহার

আমার মনে হচ্ছে যে অনেক মানুষ এই সবজি সম্পর্কে অবগত নন। তাই আশা করা যায় যে বাংলাদেশ স্বপ্নের প্রতিশ্রুতিশীল দেশে রূপান্তরিত হবে এবং প্রতিটি সেক্টরের সহযোগিতায় সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে যদি যে কোন কাজে সুদক্ষ ও সুকাঠামো কর্মী বাহিনীর দরকার পড়বে। এই জন্য দরকার হবে সঠিত খাদ্যাভাস। যদি সুস্থ নাগরিকের দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এবং তার সঠিকভাবে খাওয়া বা ব্যবহার মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকেন ফলাফল আপনার পক্ষে থাকবে। সবাইতে ধন্যবাদ ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url