বাতরোগ কি বাতের ব্যথার মুক্তি উপায় কিভাবে | rheumatism 2022
খাদ্য তালিকা স্বাস্থ্যবান রাখতে পারলে আমাদের দৈন্দিন খাবার তালিকা বেঁছে নিতে পারি অত্যন্ত সহজে। দুনিয়াতে অসংখ্য খাদ্য তালিকা দিয়ে রাখছে আল্লাহ তায়ালা। এখন শহর বা গ্রামেতো সবখানে সুষম টাটকা শাক-সবজি সহজে পেয়ে যাবেন। আজকের আলোচনা বিষয়, রোগ নিয়ে “বাতরোগ” সঙ্গে থাকুন।
পোস্টের সূচিপত্র
- বাতরোগ কি
- বাতের ব্যথা কমায় যে খাবার
- কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
- বাতের ব্যথার লক্ষণ
- বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত
- বাতের ব্যথা কেন হয়
- বাতের ব্যথার ব্যায়াম
- বাত ব্যাথার প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- বাতের ঔষধের নাম
- বাতের তেল
- প্রতিরোধ
বাতরোগ কি
রিউমাটোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার বা আর্থ্রাইটিস প্রদাহজনিত ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ নাম। রিউম্যাটিজমের মতো নয় বাতের ব্যথার রোগ। এই রোগের সঠিক চিকিৎসা রুগীর মৃত্যুৎ হলে দাফন- কাফন পরে। অর্থ্যাৎ, সারাজীবন ধরেই এই রোগের চিকিৎসা করানোর হয় হলেও শারীরিক জটিলতা কোনো নিমূল করা সম্ভব নয়।
বাতের ব্যথা কমায় যে খাবার
আজ পর্যন্ত জানা গেছে চার বিভাগে প্রায় ২০০ প্রকারের উপরে বাত রয়েছে, যা আমাদের সমাজের বংশগত কারণে হোক বা মানুষের খাদ্য অভ্যাসের কারণে চরমভাবে ভোগায়। আর যে কারণে বাতের ব্যথা হতে পারে বাড়তি ওজন, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা ও অ্যালকোহল সেবনের ফলেও। তবে আশা কথা হল মহান আল্লাহ তায়ালা পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত দিয়ে রাখছে যে খাবার গুলো-
- ব্রকলি ও বাঁধাকপি
- ওমেগা -থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
- রসুন
- বেরি
- হলুদ
- ভিটামিন সি
- বাদাম ও শিমের বিচি
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- গ্রিন টি
- আস্ত শস্যদানা
- মটরশুটি
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
যেসব খাবার খেলে বাতের ব্যথা রোগ হতে পারে। সেইসব খাবার আপনি এখন থেকে এড়িয়ে চলতে পারেন, যেকোনো চিনি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আপনার বাতের ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও ক্যান্ডি, ঠান্ডা পানি কিংবা আইসক্রিমে, বাড়তি মিষ্টি খাওয়া কারণে বাতের ব্যথার সমস্যা আর বৃদ্ধি পেতে পারে। লাল মাংস বা মাংসের ভক্ষণ করার ফলে বাতের আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাতের ব্যথার লক্ষণ
এই রোগের প্রধান দেখা দেয় পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল। এই রোগের আরও লক্ষণগুলো কি তা আমরা জেনে নিব- প্রদাহ, ব্যথা , অস্থিসন্ধি লাল, ফুলে যাওয়া, পায়ের আঙ্গুল তীব্র ব্যথা হবে।
বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত
বংশত কারণে এই রোগের প্রাদুভার্ব অনেক সময় ভয়ংকর রুপধারণ করতে পারে। আপনার মনে রাখা উচিত, বাতের তীব্র ব্যথার কারণে পেশিতে খিঁচনি হতে পারে। যদি হালকা গরম পানি বা ব্যথাস্থানে ছ্যাঁকা দিলে কিছুই সময়ের জন্য আরামবোধ হতে পারে। আর হ্যা, গরম ছেঁক দিলে আপনার হাত বা পায়ের গিরাগুলো শক্ত হতে যাওয়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বেশি বিশ্রামের দরকার হতে পারে বাতের ব্যথা প্রাথমিক থেকে অতিরিক্ত হয়ে গেলে।
বাতের ব্যথা কেন হয়
যেসব কারণে বাতের রোগ দেখা যেতে পারে- ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মোটা, কিডনি সমস্যা, রক্তস্বল্পতা। বাতরোগের অনেকগুলো কারণ বা লক্ষণ থাকতে পারে তবে এই রোগের ২০ শতাংশ দায়ী পারিবারিক ইতিহাস। যে কারনে বাতের ব্যথা হয় অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড।
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
বাতের ব্যথার সত্যিকার অন্যকোনো যেকোনো ব্যায়াম চাইতে অনেক বেশি ধৈয্য ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে হয়। ফিজিওথেরাপি কর্তৃক যে কয়েকটি নিয়ম বলে দিবে তা সত্যিই বিরক্তকর মনে হতে পারে। তারপরও ফিজিওথেরাপি কর্তৃক যে নির্দেশনা দিবে তা মেনে চলুন। এই কথা দূঢ় সত্যিই যে বাতের ব্যথার ব্যায়াম স্থায়ী সমাধান হবে না। সমস্ত রোগের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা মুক্তি দেওয়ার কেউ নেই।
বাত ব্যাথার প্রাকৃতিক চিকিৎসা
বাতের অস্বস্তি কমানোর জন্য প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রান্স ফ্যাট, পরিশোধিত শস্য, পরিশোধিত তেল এবং পরিশোধিত চিনি তাছাড়াও সমস্ত পরিশোধিত খাবার এড়িয়ে চলার অনুরোধ থাকবে। লবণ ওভারলোড জন্য সতর্ক (বাজারে যে সমস্ত লবণ পাওয়া যায় তাতে আয়োডিন রয়েছে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ)। আপনার বাতের ব্যথা থাকে, তবে আপনার মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুণ এবং কোনো অবস্থাতে অস্থির হওয়া যাবে না। যোগব্যায়াম মানসিক চাপ এবং উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বাতের ঔষধের নাম
বাতের ব্যথার স্থায়ী কোনো চিকিৎসা এখনো পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। তাই বলে কি তীব্র যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা জন্য আমাদের অনেক রকম ঔষধ পাওয়া যায়। যেহেতু আমি ডাক্তার নয় বলে ঔষধগুলো নাম বলতে পারছি না। উত্তম চিকিৎসা জন্য ডাক্তারের পরামর্শ বলা হল।
বাতের তেল
আদা ও কমলালেবু এসেনশিয়াল তেল সমস্যা কমাতে পারে। এই তেলে আপনি পেতে পারেন স্নায়ুর কমবে ও ব্যথার বোধটা কিছুটা কমবে।
প্রতিরোধ
আর্থ্রাইটিস সমস্যা মোকাবেলা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হল প্রতিরোধের মাধ্যমে। ওষুধগুলি এই অবস্থার চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অ্যালকোহল এবং ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এমন খাবার থেকে আমরা সবাই চেষ্টা করবো। সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি, রোগীর প্রচুর পানি পান করা, ঘন ঘন ব্যায়াম করা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত। যাইহোক, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনি অসুস্থ হলে আপনি সবসময় একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিত্সকের মতামত নিন এবং বিজ্ঞ ডাক্তারের সুপারিশগুলি মেনে চলুন।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url