৪৫তম বিসিএস আবেদন ২০২২ | 45th BCS Application 2022
৪৫তম বিসিএস আবেদন ইতিমধ্যে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনাদের অনেকে প্রথমবার এইবার আবেদন করবেন কিন্তু কিভাবে আবেদন করতে হয় তা বুঝতে পারছেন না তাই না। নো টেনশন আমি পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। আমার এই পোস্টটি শুধুমাত্র নতুনদের উদ্দেশ্য করে পুরাতনরা থাকলে কোনো সমস্যা নেই। চলুন আমরা ছবি মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা প্রবেশ করি।
নতুন যারা প্রথমবারের মতন আবেদন করার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছো কিন্তু দোকানে বা কেউ পূরণ করে দিবে তেমন কেউ নেই বা অনেকের রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে পিসি বা ল্যাপটপ কিংবা হাতে থাকা স্মার্টফোন তাও আবেদন করতে পারছো না বা আবেদন করতে ভয় পাচ্ছো কোথায় যদি আবেদনের ভুল হয়ে যায় আবেদন করতে ভয় পাচ্ছো সত্যি কিনা! আমি এই পোস্টের মাধ্যমে পূর্ণ সহযোগিতামূলক উদ্দেশ্য র্নিভয়ে আবেদন কমপ্লিট করতে পারবেন তা দেখাবো। সঙ্গে থাকুন।
একনজরে ৪৫ তম বিসিএস এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- পদের নাম ঃ বিভিন্ন পদ
- ক্যাডার পদ সংখ্যা
- সাধারণ ক্যাডারসমূহ/ক্যাডারের পদসমূহ ৫২৪
- প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারসমূহ ১২৩৯
- বি.সি.এস (সাধারণ শিক্ষা) সরকারি সাধারণ কলেজসমূহের জন্য ৪৩৭
- বি.সি.এস (কারিগরি শিক্ষা) ১০৯
- মোট ক্যাডার পদ সংখ্যা ঃ ২,৩০৯
- আবেদন ফী ঃ ৭০০ ( বিধিমালার বিধি ৯(৪) (খ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী,প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ ১০০ টাকা
- আবেদন শুরু ঃ ১০/১২/২০২২ তারিখ, সকাল ১০:০০
- আবেদন লিংকঃ www.bpsc.gov.bd ওয়েবসাইট (bpsc.teletalk.com.bd) গিয়ে Online Application for 45th BCS
- আবেদনের শেষ তারিখ ঃ ৩১/১২/২০২২ তারিখ, সন্ধ্যা ৬:০০
- বয়সসীমা ঃ ১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বয়স
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঃ
- নন ক্যাডার পদের সংখ্যা ঃ ৯ম গ্রেড ৫০৫+ ১০ম ৬০+ ১১-১২ তম গ্রেড ৪৫৭ = ১,০২২
এইবার প্রথম যারা আবেদন যা প্রথমে করবেন শুধুমাত্র যেকোনো ব্রাউজার বা বিশেষ করে গুগল ক্রোম ব্রাউজার সার্চবার অপশনে গিয়ে লিখুন (ইংরেজিতে- বিপিএসসি.টেলিটক.কম.বিডি) লিখে এন্টার চাপ দিন। তারপরে স্কিন লুকিং ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা ২০২২ আবেদনের শেষ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:০০ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর আপনার চলে আসবে। ভালো প্রথম পৃষ্ঠা পড়ে এবং দেখুন। প্রথম যা থাকবে
- হোম
- ছবি/স্বাক্ষর যাচাইকারী
- আবেদনকারীর কপি ডাউনলোড
- লেনদেনের সর্বশেষ অবস্থা
- প্রবে’শপত্র
- সাহায্য
এই সমস্ত অপশন হেডারে দেখতে পাবেন। এগুলো অপশন লাগবে আবেদনের কমপ্লিট করার পরে। ততক্ষণ পর্যন্ত লাগছে আবেদনের কোনো কাজে আসছে না আপাতত। আর নিচে দেখতে পাবেন।
- বিজ্ঞাপন
- সংশোধনী
- আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশাবলী
এই তিনটি অপশন ঢুকে ভালো স্ট্যাডি করে নিবেন বিশেষ করে যারা নতুন এবং প্রথমবার আবেদন করতে যাচ্ছেন। কারণ একটা ভুল আবেদন বারোটা বাজানোর যথেষ্ঠ। এই কাজটি করতে পারবেন সর্ম্পূণ ঘরে বসে হেলেধুলে। সতর্কতা হল মোবাইল ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাথায় রাখবেন।
- সাধারণ (ক্যাডারের জন্য আবেদনপত্র)
- কারিগরি ও পেশাগত (ক্যাডারের জন্য আবেদনপত্র)
- সাধারণ ও কারিগরি এবং পেশাগত (উভয়)ক্যাডারের জন্য আবেদনপত্র
আবেদনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা সাধারণ ও কারিগরি এবং পেশাগত ক্যাডারটি সিলেক্ট করে আবেদন করতে দেখা যায় কারণ উপরে দুটি অপশন বিপরীতে একটা আবেদন দ্বারা সবগুলো চাহিদা পূরণ হয়ে যাওয়া বলে করা হয়। ঠিক নিচে লক্ষ্য করুন আবেদন করুন এটা লিংক করবেন।
ক্যাডারের জন্য আবেদনপত্র কোনো ধরনের সমস্যা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন । ০১৫৫৫৫৫৫১৪৯-১৫২ সকাল ১০:০০ টা থেকে বিকাল ০৪:০০ টার মধ্যে অবশ্যই অফিস টাইমে।
পোস্টের সূচিপত্র
- পার্ট ১ ব্যক্তিগত যোগ্যতা
- পার্ট ২ শিক্ষাগত যোগ্যতা সমান
- পার্ট ৩ ক্যাডার চয়েস অপশন চয়েস
- উপসংহার
পার্ট ১ ব্যক্তিগত তথ্য
- আবেদনকারীর নাম : আপনার ভোটার আইডি যে নাম দেওয়া আছে সেটি লিখবেন
- বাবার নাম :আপনার ভোটার আইডি যে নাম দেওয়া আছে সেটি লিখবেন
- জন্মতারিখ : আপনার ভোটার আইডি যে নাম দেওয়া আছে সেটি লিখবেন
- মায়ের নাম : আপনার ভোটার আইডি যে নাম দেওয়া আছে সেটি লিখবেন
- লিঙ্গ : দেখেশুনে
- কর্মসংস্থানের অবস্থা: বর্তমানে যে অবস্থানে আছেন তা নিচের ঘরের লেখাগুলো সাথে মিলিয়ে সিলেক্ট করবেন
ইংরেজি দেখার পরে বাংলায় দেখে নিন। আপনার যে অপশন প্রয়োজন তা সিলেক্ট করে নিন।
জাতিগত সংখ্যালঘু কিনা: হ্যাঁ অথবা না
মুক্তিযোদ্ধার কোঠা
তিনটি অপশনে যেটি আপনার অবস্থান যেটা সেটি দিবেন
- মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
- মুক্তিযোদ্ধার বড় সন্তান
- অ-মুক্তিযোদ্ধা
- বৈবাহিত অবস্থা : বিবাহিত হলে হ্যাঁ অথবা না সিলেক্ট করবেন
- জাতীয়তা : বাংলাদেশ
- জাতীয় পরিচয়পত্র আছে কিনা : প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয় আইডি দিবেন। সেটি ভুল থাকলেও আইডি নং দিবেন
- অক্ষমতা : হ্যাঁ অথবা না
- উচ্চতা ও ওজন এবং বুক : সঠিকটা দিবেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বর্তমান ঠিকানা
ঠিকানা লিখার বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা সহিত লিখতে হবে। বর্তমান ঠিকানা যদি স্থায়ী ঠিকানা একুই না হয় তাহলে আপনার করণীয় হচ্ছে নিজ এলাকার বাইরে ঠিকানা যদি আপনি দেন বাসাভাড়া থাকেন, ম্যাচে থাকেন, কিংবা চাকুরী সূত্রে ঠিকানায় থাকেন না ক্যানো অত্যন্ত ছয়মাস অবস্থান করছেন সেই ঠিকানাটি লিখবেন। এটার সংক্ষেপে বলে দেয়, যদি আপনি চাকুরী পেয়ে যান তাহলে দুই জায়গায় ভেরিফেকেশন হবে, সমস্ত তথ্য যাচাই ক্ষেত্রে লাগবে, মূলত আপনাকে যাচাই-বাছাই জন্যেই হলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন করবে। আমার চাকুরি ক্ষেত্রে এমনটি করেছিল।
স্থায়ী ঠিকানা
জন্মসূত্রে ঠিকানা অর্থ্যাৎ পিতা বা পিতামহ ঠিকানা ব্যবহার করলে মঙ্গল। ফর্মে উল্লেখ করা থাকবে উপরে সবগুলো তথ্য সত্য। আর আপনি প্রথম শ্রেণী চাকরি করতে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে দুই নম্বরি করা চলবে না।
মোবাইল যোগাযোগ করা যায় নম্বর
আপনার সচল থাকা মোবাইল নম্বর হতে হবে। সেক্ষেত্রে, পিতা-মাতার, বড় ভাই-বোনের নম্বর যারা আপনাকে টেককেয়ার করে বা যাদের অধীনে জীবনযাপন করেন, বিশেষ মানুষের নাম্বার দিলেও চলবে। মনে রাখবেন এই নাম্বার যত ধরনের আপডেট দেওয়ার প্রয়োজন হবে তক্ষুণি আপনার দেওয়া নাম্বার যোগাযোগ করবে।
মোবাইল পুনরায় টাইপ : একুই নাম্বার আবার লিখুন
পরীক্ষা কেন্দ্র
অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম সিলেক্ট করে দিতে হবে। আমি বলবো ছয় মাসের বেশি যে এলাকা থাকবে সেই এলাকার পরীক্ষা সেন্টার সিলেক্ট করবেন। পরীক্ষা সেন্টারগুলো হল, বরিশাল, চট্টোগ্রাম, ঢাকা (সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়ে এখান থেকে), খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ।
ইংরেজি সংস্করণের প্রাথমিক পরীক্ষা
আপনি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার্থী হন তাহলে অবশ্যই ঠিক মার্ক অপশন সিলেক্ট করে দিতে হবে । নইলে বাংলা ভার্সনে পরীক্ষা দেওয়া লাগতে পারে।
সব তথ্য সঠিক ও আমি পরবর্তী ধাপে যেতে চাই : উপরে কোনো তথ্য মিথ্যা বা ভুল না দিয়ে থাকলে পরবর্তী অপশনে সিলেক্ট করে এগিয়ে যান।
পার্ট ২ শিক্ষাগত যোগ্যতা সমান
আপনার পিসি বা ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনে ১ পার্ট সফলভাবে পূরণ করে আসার পরে আপনার সামনে স্কিন ভেসে উঠবে। তারপরে সবগুলো অপশন একে একে পূরণ করে ফেলবেন। যা আপনি অত্যন্ত সহজে পূরণ করে ফেলতে পারবেন আমি মোটামুটি নিশ্চিত। নিচে চিত্র দেখুন-
এসএসসি
পরীক্ষা
পরীক্ষার নাম সিলেক্টের জন্যে যেকোনো যেটি আপনার সঙ্গে যায় সেটি সিলেক্ট করে নিন। এসএসসি, দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল, ও লেভেল. কেমব্রিজ, এসএসসি সমমান।
বোর্ড : যশোর ( আপনার যেটি বোর্ড সেটি সিলেক্ট করে দিবেন।
- ঢাকা
- কুমিল্লা
- রাজশাহী
- যশোর
- বরিশাল
- সিলেট
- দিনাজপুর
- মাদ্রাসা
- প্রযুক্তিগত
- কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল আইজিসিই
- এডক্সেল ইন্টারন্যাশনাল
- অন্যান্য
- ময়মনসিংহ
- রোল: ৫৬৪০৪৪ (আপনার রোল নং দিবেন)
ফলাফল: ২.৮৮ ( আপনার অর্জনকৃত ফলাফল ড্রপ-ডাউন ঘরে উল্লেখ করে লিখে দিন।
- ১ম শ্রেণী
- ২য় শ্রেণী
- ৩য় শ্রেণী
- স্কেল ৪ এ জিপিএ/সিজিপিএ
- জিপিএ/সিজিপিএ স্কেলে ৫
গ্রুপ: বাণিজ্যিক/মানবিক/ বিজ্ঞান ( আপনি কোন গ্রুপে পড়েছেন সেটা দিবেন)
- বিজ্ঞান
- মানবিক
- বাণিজ্য
- অন্যান্য
পাসিং বছর: ২০০৫ ( আপনি কোন সালে পাশ করেছেন সেটা দিবেন)
এইচএসসি
পরীক্ষা : এইচএসসি অথবা যেকোনো নিবার্চন করুন। আলিম, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ডিপ্লেমা, এ লেভেল বা এসআর. কেমব্রিজ, এইটএসসি সমমানবোর্ড : যশোর ( আপনার পরীক্ষার বোর্ড সিলেক্ট করে দিবেন।
- ঢাকা
- কুমিল্লা
- রাজশাহী
- যশোর
- বরিশাল
- সিলেট
- দিনাজপুর
- মাদ্রাসা
- প্রযুক্তিগত
- কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল আইজিসিই
- এডক্সেল ইন্টারন্যাশনাল
- অন্যান্য
- ময়মনসিংহ
রোল: ৫৬৪০৪৪ (আপনার রোল নং দিবেন) ফলাফল: ২.৮৮ ( পরীক্ষার প্রাপ্তি ফলাফল যা অর্জন করেছেন তা লিখুন।
- ১ম শ্রেণী
- ২য় শ্রেণী
- ৩য় শ্রেণী
- স্কেল ৪ এ জিপিএ/সিজিপিএ
- জিপিএ/সিজিপিএ স্কেলে ৫
গ্রুপ: বাণিজ্যিক/মানবিক/ বিজ্ঞান ( আপনি কোন গ্রুপে পড়েছেন সেটা দিবেন)
- বিজ্ঞান
- মানবিক
- বাণিজ্য
- অন্যান্য
পাসিং বছর: ২০০৭ ( আপনি কোন সালে পাশ করেছেন সেটা দিবেন)
স্নাতক বা সমসমান
পরীক্ষা
যদি অনার্স পড়ালেখা শেষ করেন তাহলে (অনার্স) দিবেন। অন্যান্য পড়ালেখা করলে সেটি সিলেক্ট করবেন, বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং/আর্কিটেকচার) বি.এসসি( কৃষি বিজ্ঞান), এমবিবিএস/বিডিএস, পাস কোর্স, এএমআইই এর এ / বি বিভাগ, বিএএমএস/বিএইচএমএস/বিইউএমএস, অন্যান্য।
বিষয়/ডিগ্রী
আপনি যে সাবজেক্ট পড়ালেখা শেষ করেছেন তার প্রথম অক্ষর লিখলেই আপনার কাঙ্খিত সাবজেক্ট চলে আসবে তখন সেটা সিলেক্ট করে দিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়/ ইনস্টিটিউট
আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন তা উল্লেখ্য করুন। প্রথম অক্ষর লিখলেই চলে আসবে বিশ্ববিদ্যালয় নাম তা সিলেক্ট করে দিন।
ফলাফল
- ১ম শ্রেণী
- ২য় শ্রেণী
- ৩য় শ্রেণী
- স্কেল ৪ এ জিপিএ/সিজিপিএ
- জিপিএ/সিজিপিএ স্কেলে ৫
- পাস
- হাজির
- অন্যান্য
পাসিং বছর
কতসালে আপনার পাশের বছর তা সিলেক্ট করে দিবেন।
কোর্স সময়কাল
আপনার কোর্স সময়কাল অবশ্যই উল্লেখ করবেন।
মাস্টার্স পরীক্ষা
আপনি যদি মাস্টার্স কমপ্লিট করে থাকেন তাহলে এটার পূরণে যোগ্যতার প্রমাণ থাকলেই আবেদন ঘরে পরীক্ষা নাম সিলেক্ট করে দেন। এম.এ., এমএসএস, এম.এসসি/এমএস, এম.কম, এলএলএম এবং অন্যান্য।
বিষয়/ডিগ্রী
যে সাবজেক্ট আপনি পড়াশুনা ইতোমধ্যে শেষ করেছেন তা সিলেক্ট করে দিবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়/ ইনস্টিটিউট
সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নামড্রপ- ডাউন লিস্টে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় নাম দেওয়া থাকবে। আপনি যেখান থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন তার নাম সিলেক্ট করুন।
ফলাফল
- ১ম শ্রেণী
- ২য় শ্রেণী
- ৩য় শ্রেণী
- স্কেল ৪ এ জিপিএ/সিজিপিএ
- জিপিএ/সিজিপিএ স্কেলে ৫
- পাস
- হাজির
- অন্যান্য
পাসিং বছর
কোর্স সময়কাল
আপনি কত বছরে পাশ করেছেন তা সিলেক্ট করে দিন।
যদি আপনার অতিরিক্ত কোনো ট্রেনিং করা থাকে সেটি উল্লেখ্য করা থেকে বিরত থাকবেন না। যা আপনাকে অন্যযে কেউ কারোর চাইতে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন এটা নিশ্চিত। আপনার যদি অতিরিক্ত কোনো যোগ্যতা থাকলে কোনোরকম ভুল করা চলবে না।
পেশাগত/ কারিগরি ক্যাডারের জন্য পোস্ট সম্পর্কিত বিষয়
আপনাকে বিষয় নির্ধারণ ক্ষেত্রে উপরে যে সাবজেক্ট সিলেক্ট করে দিয়েছেন সেটার কোড নং সহ সাবজেক্ট চলে আসবে। অতিরিক্ত যোগ্যতা ও পেশাগত বা কারিগরি যদি আপনার থাকে অবশ্যই আপনি (সাদা) ঘরটি মধ্যে সিলেক্ট করে দিবেন।
পার্ট ৩ ক্যাডার চয়েস অপশন
তৃতীয় পার্টে এমেন অপশন আপনার পিসির বা ল্যাপটপ কিংবা স্মার্টফোনের স্কীনের ভেসে উঠবে।
আপনার পছন্দ মতন ক্যাডার চয়েস দিতে পারবেন। আমার জ্ঞান থেকে বলতে পারি ক্যাডার অপশন আগে পরে কোনো সুবিধা অসুবিধা আছে কিনা সন্দেহ হয়। তারপরেও অনেকে বলে থাকে ভালো ক্যাডারগুলো আগে ভালো হয় অনেক অনেক সুবিধা পাওয়া যায় , আমার কিন্তু আদৌও বিশ্বাস হয় না। তবে, আপনি চাইলে সিনিয়র যে কারোর কাছ থেকে আপনি চাইলে পরামর্শ নিতে পারেন।
আবেদনকারীর ক্যাডার চয়েস
আপনি সবোর্চ্চ ২০ ক্যাডার চয়েস দিতে পারবেন। ক্যাডার চয়েস ক্ষেত্রে কোনোটিই আগে দেওয়ার প্রয়োজন হলে এই বক্সে ঠিক ডান পাশে আপ-ডাউন অপশন পেয়ে যাবেন। যদি কোনো উপরে উঠানোর দরকার পরে প্রথমে সেই ক্যাডার অপশনের সিলেক্ট করে আপ-ডাউন বাটনে চাপ দিলেই আপনার কাঙ্খিত স্থানে বসে যাবে। আশাকরি বুঝতে পারছেন। সবকিছুই ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী ধাপে জন্য প্রস্তুতি নেন।
পরবর্তী ধাপে যেতে
৩ নং পার্ট পূরণ শেষে আপনার দেখতে পাবেন আপনি কি পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে চান। যদি চান তাহলে নিচের পরবর্তী অপশনে লিংক করুন।
প্রাথমিকভাবে ফর্ম পূরণ শেষে আপনার সামনে পূরণকৃত আবেদন আপনার সামনে চলে আসবে। আপনি আরও আরেকবার পুনরায় চেক করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। অনেক ভালো হয় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক বেশি সর্তকতা সহিত চেক করে নিবেন। যদি কোনো অপশন আপনার মনে হচ্ছে বা দেখে মনে হচ্ছে ভুল হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় হচ্ছে ফর্মে ভিত্তরে ভালো মতন তাকালে লক্ষ্য করবেন (এডিট) করার জন্য অপশন রয়েছে সেটিকে লিংক করলেই কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যাবে তখন ভুলকে শুদ্ধ করে লিখে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
তথ্য এডিট
উপরে ছবি মতন আপনার আসবে যদি কোনো ধরনের তথ্য কোথাও ভুল করে টাইপ করে ফেলেন এই ক্ষেত্রে আপনি সংশোধনের সুযোগ পাবেন।
নন ক্যাডারের জন্য আবেদন
গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমার যদি ভুল না হয় হয়তোবা নতুন সংযোজক বলে মনে হচ্ছে। আমি আগে ফর্ম করার সময়ে এই ধরনের কোনো অপশন পাইনি। এইবার প্রথমবারের মতন পেলাম নন ক্যাডার যেকোনো সিলেক্ট করে দেওয়ার সুযোগ। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহজ হয়েছে আর ভাইভাতে যেসব শিক্ষার্থীরা পাশ করেনি তাদের ভিত্তর থেকে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ সম্ভব হবে। কোনোরকম হয়রানি ব্যবস্থা রাখেনি কমিশন আমার মতে।
- ৯ম গ্রেড
- ১০ গ্রেড
- ১১ তম থেকে ১৩ তম গ্রেড
- যেকোনো গ্রেড
- কোনোটিই নয়
আপনার ছবি সাইজের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য দিতে যা জরুরী প্রয়োজন করে হলেও ছবি সাইজ বা ফাইলের সাইজ কোনোরকম ভাবে ১০০ কেবি উপরে না যায়। আমার ঝামেলা এড়ানোর জন্য ছবি ৭০ বা ৮০ কেবি রাখলে নানাধরনের সমস্যা হাত থেকে মুক্তি পাবেন আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি। অনলাইনে অনেক অপশন পাবেন সেইসব টুলস দিয়ে আপনার ছবি ছোট বা বড় করে নেওয়ার সুযোগ। সবধরনের ডিভাইসে এই সুযোগ সুবিধা পাবেন। কমিশনের ওয়েবসাইটের ঠিকানায় কাজ সহজে করে নিতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই। এইবার আসা যাক স্বাক্ষর ব্যাপারে ৬০ কেবি উপরে না যায় সেই দিকে রাখতে বলেছে। আমার মতে, আপনি ২০ অথবা ৩০ রাখলে যেকোনো নেট ব্যবহারকারী আপলোডের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন আমি সিওর। এ টু জেট আবেদন সম্পূর্ণ করার পরে বৈধতা সংকেতলিপি কোড নির্দিষ্ট ঘরে লিখুন। নিচে আরও নোটিশ দেখতে পাবেন। ভালোমতন পড়ে সম্মতি না দিলে আপনার স্বপ্নের আবেদন পত্রটি জমা সার্ভারে নিবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি বক্স ভিত্তরে ঠিক মার্ক দিয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিয়ে দিন। ব্যস আপনার নিকট অনেক কঠিন কাজ এখন পানির মতন সহজে পূরণ করে ফেলতে পারছেন।
যা পূরণ করেছেন সব তথ্য সঠিক এবং আপনি পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য (পরবর্তী) লিংক করে এন্টার চাপ দিন।
যৌথভাবে আবেদনে পাশাপাশি বসার সুযোগ থাকছে না
যৌথভাবে আবেদন করার এবং অন্যের পাশে আসন নির্বাচন করার সুযোগ নেই। বিগত বছরগুলোতে অনেকবার দেখা গিয়েছে যৌথভাবে (ফেসবুক গ্রুপ, ম্যাসেজার,হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে) সবাই মিলে আবেদন করে পাশাপাশি বসে পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু যারা এইবার এই সুযোগ অপেক্ষায় রয়েছে এখানো তারা অনেক বড় ভূলের মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে এইবার আবেদনের বর্ধিত সময় নাও বৃদ্ধি করতে পারে। ফি জমা প্রদান ও নিবন্ধন নম্বরও যদি আপনি পেয়েও থাকেন তারপরেও কোনো প্রার্থীরা পাশাপাশি পরীক্ষা দেওয়ার আর পারছে না কারণ সিটপ্ল্যান তৈরি হবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে নিবন্ধন নম্বর প্রস্তুত করবে। আমার মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন অনেক প্রার্থী অভিযোগে দায় এড়ানোর জন্য দৈবচয়নের ভিত্তিতে সিটপ্ল্যান তৈরি করবে এর ফলে পরীক্ষায় পাশাপাশি বসে দেখাদেখি করার সুযোগ হারাবে নিশ্চিত।
এখানো পাঁচ মাসের বেশি সময় রয়েছে প্রিয় শিক্ষার্থীরা আপনারা সহ সহ পড়ার টেবিলে ফিরে যান, প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে নয়। যদি আপনার নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পেতে চান তাহলে আপনার দরকার পড়া, পড়া, এবং পড়া।p;আর মাত্র সাতদিন সময় রয়েছে আবেদনের তাই তাড়াহুড়ো না করে ধীরেসুস্থে আবেদন করুন। কারণ আবেদন করার পরে ফর্ম কোনো ধরনের ভুল সংশোধনের সুযোগ এইবার থাকছে না। তাই আপনাকে বুঝেশুনে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি অনেক বেশি ভালো করে পড়ে, শেষ দিনের আগেই আবেদনটি করে ফেলুন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, বিসিএস ইতিহাসে প্রথমবারের মতন আবেদনের সময়সীমা মাত্র ২১ দিন। ৪৫ তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার্থী যারা নতুন এবং প্রথমবার আবেদন করবে তাদের জন্যে আমার এই পোস্ট। আমি আশাবাদী দারুণ এই পোস্টটি আমার ছোট ভাই বোনেরা সহজভাবে গ্রহণ করবে। যদি আমার কোথায়ও ভুল হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমি বলবো পড়াশোনার বিকল্প বা শর্টকার্ট পদ্ধতি ভুলে পড়ার টেবিলে ফিরে যান এবং পড়াশোনার মন দিয়ে নিজেরনিজেকেছাড়িয়ে যাওয়া সঠিক পথ খুঁজে নিবেন। মনে রাখবেন, বিগত দিনের তুলনায় এইবার পরীক্ষা অনেক কিছু নতুন এসেছে। তাই পুরোপুরি পোস্ট না পড়ে আগেভাগে আবেদন করতে দৌড় দিবেন না। আগে নিজে বঝুন তারপরে ফর্ম পূরণ করতে বসবেন তারপরেও না বুঝেন সিনিয়রদের সাহায্য নিন। আমি চেষ্টা করেছি, যতটুকু সম্ভব হয় পুরো আবেদন প্রক্রিয়া কিভাবে করতে হয় তা পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেকোনো ধরনের প্রশ্ন কমেন্ট আমাকে করতে পারেন। প্রশ্নগুলো অত্যন্ত যত্নসহকারে আমার টিম উত্তর দিবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url