আয়রন যুক্ত খাবার তালিকা | foods rich | food sources of iron 2022
আয়রন কে বলা হয় প্রয়োজনীয় মিনারেল যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত দরকার। মানবদেহের জন্য রক্ত উৎপাদন এর আয়োজন এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রাপ্তবয়স্ক নর এবং নারী দৈনিক প্রয়োজন হবে আয়রনের পরিমাণ ৮ মিলিগ্রাম ও ১৮ মিলিগ্রাম। প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য দৈনিক ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন এর প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি আয়রনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু কত প্রয়োজন বিশেষ করে আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে আয়রনের বা মিনারেল প্রয়োজনীয় অনেক বেশি দরকার। রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে ও রক্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রে আয়োজন এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। মানবদেহে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেটাবলিজম শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক থাকে কিন্তু আমরা আমাদের কিছু বাজে স্বভাবের কারণে মেটাবলিজম হার অনেকাংশে বা লক্ষ্যমাত্রার চাইতে নিম্নগামী হয়ে যায় তার ফলস্বরূপ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি।
আমাদের যেসব বদভ্যাসের কারণে শরীরে আয়রনের পরিমাণ নিম্নগামী থেকে আরো নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে এসব বদভ্যাসের কারণে তার কয়েকটি জেনে রাখা সবার জন্য উত্তম। জেনে রাখা ভালো না জানলে ক্ষতি বেশি। যে সমস্ত বদভ্যাসের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম সকালে নাস্তা দেরি করে খাওয়া পর্যাপ্ত পানি পান না করা ক্রাশ ডায়েট ফলো করা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমানো অধিক মানসিক চাপ অন্যতম।
আমাদের দেশে প্রায় ১০০ ধরনের সবজি চাষাবাদ করে প্রান্তিক কৃষক ভাইয়েরা। প্রান্তিক কৃষক ভাইদের ধন্যবাদ, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার উৎপাদনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ২০২২ সালের পৃথিবী রেকর্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের সবজি উৎপাদনে এখনো পর্যন্ত তৃতীয় অবস্থানে ধরে রাখতে পেরেছে। আপনাদের জানার সুবিধার্তে আরো জানিয়ে রাখি বিশ্বের সবজি উৎপাদন এক নম্বরের ২ নম্বরে ভারত। আমাদের দেশে উৎপাদন হয় এমন ফল ও শাক সবজির মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার আয়রন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য আমরা চাইলেই দৈনিক খাদ্য তালিকায় পরিমাপমতন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারি।
শীতকাল যেহেতু চলে আসছে চলুন দেখে আসা যাক বাজারে প্রাপ্ত ফলে সবজির যেগুলো পাওয়া যায় তার ভেতর থেকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুলো আলাদা করার চেষ্টা করি।যেমন- বিটরুট, পালংশাক ব্রোকলি বাঁধাকপি ফুলকপি বেদনা আপেল কমলা। এই সমস্ত খাদ্য তালিকা থেকে আমরা সহজেই পেতে পারি ভিটামিন-বি ভিটামিন-সি আয়রন ফলিত জিংক এবং ম্যাগনেসিয়াম, প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ফাইবার এসকরবিক এসিড। ব্রোকলি জনপ্রিয়তা শীর্ষে সবজি হিসেবে অনেক বেশি পরিচিত। বাঁধাকপি শীতকালীন সবজির আরো জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেক উপরে আপনি এখানে পেতে পারেন প্রয়োজনে আয়রন ও খনিজ উপাদান যা আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রন পূরণের পাশাপাশি ওজন কমাতে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের নিয়ন্ত্রণে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং বিষাক্ত উপাদান দূর করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। বেদানা ফলের কাজ শরীরে হিমোগ্লোবিন মাত্রা ঠিক রাখে। আপেল আয়রনের অন্যতম ভালো উৎস যা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের উন্নতি কে সহায়তা প্রদান করবে। কমলা সি সমৃদ্ধ খাবার যা শরীরের আয়তনের মাত্রা নিম্ন পর্যায় থেকে সঠিক মাত্রায় বাড়াতে সহায়তা প্রদান করে থাকে ওজন নিয়ন্ত্রনে সহায়তা প্রদান স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ত্বক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সহ দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
কোন মাছে আয়রন বেশি
মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই প্রবাদটি আমরা অনেকেই শুনেছি আসলেই কি মাছে ভাতে বাঙালি এরকম অবস্থা এখন কি আছে আদৌও। মাছ ছাড়া ভাত খাওয়া এমন একটা ওয়াক্ত যায়নি আমাদের ভিতরে অনেকে রয়েছে এমন আসলেই কি সব ধরনের মাছে আপনার শরীরের জন্য পর্যাপ্ত আয়রন কি পারছেন কিনা তা কি ভেবে দেখেছেন? নিশ্চয়ই না আপনার শরীরে পরিমাপ মতন আয়রন যুক্ত করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বিশেষ করে চিংড়ি মাছ ও আয়রন কিসে যা মাংসের তুলনায় অনেক বেশি আয়রন পাওয়া সম্ভব।
আপেলে কি আয়রন আছে
মিষ্টি ও স্বাদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল নাম তার আপেল এটা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু আমরা এটা জানি কিনা আপেল খেলে শরীরের জন্য কতটুকু উপকার রয়েছে যদি আপনি না জানেন কোন সমস্যা নেই আমি জানিয়ে দিচ্ছি। একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন আপেল ভিটামিনসমৃদ্ধ ঘটে এতে আমরা অতি সহজেই ভিটামিন সি পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম পেতে পারি। যদি আপনি সকালে খালি পেটে একটা আপেল খান তাহলে কি পরিমাণ ভিটামিন আপনার শরীর গ্রহণ করবে তা জানতে ইচ্ছে করছে তাই না।
আপেল যদি আপনি চান আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা দিবে আপেলের হতে প্রাপ্ত উপস্থিতি ফাইবার যা আপনার রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করবে এছাড়াও ভিটামিন সি পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম উপাদানগুলো আপনার হূদরোগ ঝুঁকি এড়াতে সহায়ক হবে। এক গবেষণায় প্রতিবেদনে থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি পরিমাপ মতন বা আপেল যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে ২০% কম স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যাবে। মোটামুটি মাঝারি আকারের আপেলের আপনি শূন্য দশমিক তিন এক মিলিগ্রাম আয়রন পেয়ে যাবেন যাহা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে ভূমিকা।
দুধে কি আয়রন আছে
গরু বা গাভি দুধ এমন কম খুঁজে পাওয়া যাবে দুধ পছন্দ করে না সংগত কারণে অনেকেরই গাভী দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিকের নতুন সমস্যা হতে পারে এমন লোকের সংখ্যা অনেক সীমিত। গরুর দুধে অত্যাবশ্যকীয় যে উপাদান গুলো সহজে পেয়ে যাবেন তারমধ্যে এমাইল অ্যাসিড নানা ধরনের ভিটামিন খনিজ পদার্থ যেমন আয়োডিন ও সেলেনিয়াম ক্রোমিয়াম ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক।
কলিজা কি আয়রন আছে
আমার ব্যক্তিগত ভাবে খুবই পছন্দের খাবার তাহলে কলিজা অনেকের ক্ষেত্রে কলিজা পছন্দ নাও হতে পারে বা পছন্দের খাবার নাও হতে পারে কিন্তু এটা অবহেলা করলে চলবেনা চলে যায় সহজেই পাওয়া সম্ভব আয়রনের অন্যতম ভান্ডার হিসেবে। আপনি ৪ আউন্স কলিজাতে ৭ মিলিগ্রাম আয়রন পাবেন।এছাড়াও কলিজাতে প্রচুর প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ,ভিটামিন১২,এবং প্রোটিন। পৃথিবীতে খাবার রশিদ ভোজনরশিক যারা রয়েছে বিশেষ করে কলিজা পছন্দ করেন তাদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা অবশ্যই রয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা মনে রাখবেন প্রচুর প্রচুর ভিটামিন এ ভিটামিন প্রোটিন থাকার কারণে অবশ্যই আপনাকে খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে কলিজা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ মাত্রা অতিরিক্ত যদি খেয়ে ফেলেন ফলাফল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে উচ্চ পরিমাণে কোলেস্টেরল। অতএব, মহান আল্লাহ তা'আলা মানব জাতির সৃষ্টির রিজিকের দায়িত্ব স্বয়ং নিজেই নিয়েছেন আমরা যে খাবারগুলো খায় তাহা থেকে প্রাপ্ত বা মানব দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান মহান আল্লাহতালা প্রত্যেকটা খাবার মধ্যে দিয়ে রাখছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ভিটামিন আমরা যে খাবারগুলো খাই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এখান থেকেই পুরনো হয়ে যায়।
কোন কোন ফলে আয়রন আছে
আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত কোন কোন ফলে প্রয়োজনীয় আয়রনের পরিমাণ কত এবং কি পরিমান থাকতে পারে এটা জানা জরুরি গিয়ে আমরা যে ফল ভক্ষণ করছি তা আদৌ আমাদের শরীরের কোন ধরনের উপকার আসছে কিনা তা খতিয়ে দেখা আমাদের নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে তাই আমরা জানবো কোন কোন ফলে আয়রন কি পরিমাণ থাকে। আমাদের আশপাশ প্রাপ্ত গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি অহরহ পাওয়া বা সংগ্রহ করা সম্ভব আর সেখান থেকেই মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় বা উৎস হিসেবে আয়রন সোর্স হিসেবে গ্রহণ করতে পারি অবশ্যই জানবেন। আমি আগেই লেখায় অনেক লেখাই বলেছি আয়রনের অন্যতম উৎস সবুজ রঙের টাটকা শাক-সবজি যাহা আয়রনের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। যেমন কুকুর যেটা ,গুড়, সোয়াবিন, ডিম, শিমের বিচি, পালং শাক ব্রোকলি, পাতায় সবুজ জাতীয় সবজি যতগুলো রয়েছে যা আমরা খেয়ে থাকি সবগুলোতেই মোটামুটি কম বেশি আয়রন আপনি সহজে পেয়ে যাবেন। তাই প্রত্যেকের অনুরোধ থাকবে দৈনিক খাবারে তালিকায় অল্প করে হলেও সবজি তরকারী রাখবেন যাতে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন ঠিকঠাক শরীর গ্রহণ করতে পারে। কারণ আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় সহ অন্যান্য রোগ থেকে আপনাকে সেভ জোনে রাখবে।
কিডনি বিনস বা রাজমা
অনেকের কাছে পরিচিত অজানা থাকতে পারে আমি এখন ফল টি কথা বলব তার নাম কিডনি বিনস রাজমা। আমার কাছেও এই ফলটি নাম নতুন লাগছে। এই পোস্টটি অনেকেই পড়বে তাদের ভেতর থেকে এই ফলটির নাম আদৌও শুনেছে কিনা আমি নিশ্চিত না। তবে যাই হোক রাজমা ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, রাজমার মুখ্য ভূমিকা পালন করে শক্তির উৎস হিসেবে। শরীরে রক্তশূন্যতা বা হিমোগ্লোবিন অভাবে শরীরের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে। সমাজে বসবাস করত অনেক মানুষ রয়েছে এখনো যাদের পেটের সমস্যা ও দুর্বলতা কখনোই ছেড়ে যেতে চায়না এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য নিকটস্থ বা যেকোনো জায়গা থেকে সংগ্রহ করে রাজমা খাবার হিসেবে গ্রহণ করবেন এতে করে আপনার শরীরের বা পেটের সমস্যার সমাধান হবে পর্যাপ্ত শক্তি যোগান দিবে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে একটা কথা মনে রাখা জরুরী প্রতিটা বয়সের মানুষের ক্যালরি দরকার হয় আর রাজমা এই কাজটাই করে শরীরের উপস্থিত ক্যারোলি স্বাভাবিক রাখার জন্য যথেষ্ট তৎপর থাকে। একটা কাপ কিডনি বিনস বা রাজমাতে তিন থেকে 4 মিলিগ্রাম আয়রন সহজেই পেয়ে যাবেন। রাজমাতে পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
ডার্ক চকলেট
চকলেট পছন্দ করে না এমন একজন খুঁজে পাবেন না ছোট থেকে বড় মাঝারি থেকে বড় বড় থেকে ছোট সবার কাছে সমান পছন্দের জিনিস সবচে চকলেট আপনি কি জানেন চকলেটের কি পরিমান আয়রন থাকে চকলেটের কথা বলছি এটা ডার্ক চকলেট। ডার্ক চকলেট আমাদের দেশের যত ধরনের চকলেট পাওয়া যায় ডার্ক চকলেট অন্য যেকোনো চকলেটের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে কোকো , চিনির পরিমাণ অনেক কম থাকে দুটো সাদা চকলেটের সে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন গবেষণাবিদ মতে। গবেষণা থেকে জানা যায় যে , আপনি যদি নিয়মিত ডার্ক চকলেট খান তাহলে আপনার ধমনী প্রশস্ত হবে এবং সুস্থ রক্ত সঞ্চালন থাকবে।
আয়রন সমৃদ্ধ ডালিম
রক্তস্বল্পতা রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর ডালিম ফল। বাজারে এই ফলটির দাম একটু বেশি তার পরেও জীবন রক্ষাকারী ভেষজ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। অ্যানিমিয়া তৈরিতে ডালিম ফলের তুলনায় অপরিসীম।ন শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন ঘাটতি * সহ লাল রক্ত কণিকা কোষের সংখ্যা বৃদ্ধির সহায়তা প্রদান করে থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয় যার ফলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক চেয়ে আরো উন্নতি করে।এতে আরও রয়েছে ভিটামিন সি যা আয়রন বৃদ্ধিকে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
মাংস
আমাদের দেশে অনেকে রয়েছে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস কোনটাই খান্না। যে সকল মানুষ গরুর হাট গরু খাসি মাংস কোনোটায় খান্না তাদের জন্য বিকল্প উপায় হল মুরগির এবং হাঁসের মাংস। মুরগির মাংসের ৫ মিলিগ্রাম আয়রন সহজেই পাবেন হাঁসের মাংস আয়রনের পরিমাণ আরো অনেক বেশি। রেডমিট বা মাংস বললে সবাই চিনে যাবেন মাংসের মধ্যে পনেরো পারসেন্ট আয়রন বিদ্যমান রয়েছে তা ছাড়াও মাংস পাবেন ভিটামিন বি সেলেনিয়াম যিনি উচ্চমানের প্রোটিন ১০০ মিলিগ্রাম মাংসে ২.৭ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকল ব্যক্তি বা মানুষ যারা নিয়মিত মাংস পোল্টি পোল্টি পোল্টির মাংস মাছ খায় তাদের মধ্যে অধিকাংশই আয়রনের অভাব বোধ করেনা রক্তশূন্যতা থাকেনা অবশ্য রক্তশূন্যতা যাদের রয়েছে তাদের জন্য গরু ও খাসির মাংস পোল্টির মাংস বা মুরগির বা হাঁসের মাংস নিয়মিত যদি খেতে পারেন যে কোনোটি তাহলে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সক্ষম সম্ভব হবে। আমরা সহজেই বুঝতে পারলাম আয়রন এর জন্য বাড়তি কোন ওষুধ না খেয়ে আমরা যা নিয়মিত খাবার খায় সেখান থেকে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব শুধুমাত্র সতর্কতার সহিত খাবার গ্রহণ করলে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অভাব বোধ থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারি।
কুমড়ো বীজ
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে কমবেশি মিষ্টি কুমড়া খেয়ে থাকে। মিষ্টি নাম তার মিষ্টি কুমড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারী আমাদের ভেতরে অনেকেই আছে যে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খায়না কিন্তু মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে আয়রনযুক্ত এবং সুস্বাদু। ২৮ মিলিগ্রাম কুমড়ার বীজে ৪.২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। আয়রন যতগুলো খাবার রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতুলনীয়।
ডাল
আমারতো খাবার টেবিলে এক ওয়াক্ত ডাল না থাকলে খেতে পারিনা। আপনার কি অবস্থা কমেন্ট সেকশনে অবশ্যই জানিয়ে যাবেন। ডাল আমিষের পাশাপাশি আয়রনের ঘাটতি পূরণের বিকল্প গরিবের জন্য নেই। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা যে সমস্ত ডাল উৎপাদন করে পাশাপাশি আমদানিকৃত ডালে আয়রনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ আয়রনের পরিমাণ থাকে মুগডালে। আর পরামর্শ রইল, শরীরের জন্য সঠিক পরিমাণে আয়রন ঠিক রাখতে সব ধরনের ডাল মিক্সড আকারে রান্না করলে স্বয়ংসম্পূর্ণ তা লাভ করবে। ফলে ডাল হবে সুস্বাদু আর প্রয়োজন মিটবে আয়রনের।
টার্কি মুরগী
গরুর মাংস ও খাসির মাংস যারা খান্না তাদের বিকল্প খাদ্য হিসেবে মুরগি বা টার্কি মুরগির মাংস আয়নের অন্যতম ভান্ডার হিসেবে ধরা হয় গবেষণায় । টার্কি মাংস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার ও বটে। আপনারা যদি পারেন কালো রঙের টার্কি মুরগির মাংস খাবেন। ১০০ গ্রাম টার্কি মাংস ২.৩ মিলিগ্রাম আয়রন সমৃদ্ধ থাকে।আর সাদা টার্কি মাংস ১.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এছাড়াও ভিটামিন বি, মিনারেল, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ থাকে।
ফুলকপি
আমাদের দেশের কৃষকরা ভাইয়েরা প্রায় ১০০ এর উপরে প্রজাতির শাকসবজি উৎপাদন করে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে শাকসবজি পরিমাণ অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায় এগুলো ভিতর অন্যতম বাঁধাকপি ফুলকপি গাজর ভুট্টা বেগুন পটল বরবটি পালংশাক পুঁইশাক পেতে চিচিঙ্গা বাঁধাকপি শালগম লাউ ধনের পাতা। ফুলকপি অসম্ভব রকম পুষ্টিকর খাবার যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ফুলকপি থেকে আয়রন পেতে হলে অল্প আছে পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে রান্না করে খেলে উত্তম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সিম ও মটরশুঁটি জাতীয় খাবার
শীতকালের অন্যতম সবজি গুলোর মধ্যে হলো সিম ও মটরশুঁটি জাতীয় খাবার গুলো। সিম ও মটরশুঁটি এগুলো মূলত শীতকালীন সবজি হিসেবে অধিক বেশি পরিচিত। দেশের বাজারে গুলোকে সিমের হরেক রকমের জ জাতের সিম আমরা দেখতে পাই।আমরা নানান উপায় সিম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। সবচেয়ে বড় কথা সিম থেকে প্রাপ্ত আয়রন পেয়ে থাকি। ১৯৮ মিলিগ্রাম ও মটরশুঁটি জাতীয় যত খাবার রয়েছে প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬.৬ মিলিগ্রাম আয়রন সমৃদ্ধ থাকে এছাড়াও ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।
উপসংহার
পরিশেষে উপরিক্ত আলোচনা থেকে জানা গেল মানবদেহের অন্যতম অংশ রক্ত চলাচল বা বা রক্ত সঞ্চালন লাইন সঠিকভাবে কাজ করাকে বুঝায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না থাকলে সেটাকে আমরা বলি রক্তশূন্যতা বা রক্তকণিকা সঠিকভাবে তৈরি হচ্ছে না। এমন সময় আমাদের ভিতরে অনেকেই রয়েছে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত যে খাবারগুলো গ্রহণ করি তা থেকে সহজে সংগ্রহ করতে পারি শরীরের জন্য আয়রন। মানবদেহে রক্তের আয়রনের অভাবে অ্যানোমিয়া সহ আরো অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে ২০ পার্সেন্ট এরও বেশি আয়রনের অভাবে যে রোগটি হয় তার সংখ্যা একবারে কম নয়। আয়রনের অভাব জনিত ঘাটতি ফিফটি পার্সেন্ট মৃত্যুর পরোক্ষভাবে দায়ী। অবশ্যই মেনে চলা উচিত এবং মান্য করা দরকার বিভিন্ন রোগ হতে বাঁচতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন গ্রহণের নিশ্চয়তা নিজেকে নিতে হবে তা নাহলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাতছানি দিয়ে ডাকতে দেরি করবে না।
মানবদেহে সরাসরি কোন ব্যবস্থা নেই বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আয়রন তৈরীর কোন পদ্ধতি নেই তাই শরীর সুস্থ রাখতে জরুরিভিত্তিতে আয়রনযুক্ত আয়রন সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি যুক্ত খাবার খেতে হবে। মনে রাখবেন যে সমস্ত ফল বা শাকসবজি রয়েছে আমাদের সমাজে বা কৃষক ভাইয়েরা উৎপাদন করে সেখান থেকে যে শাকসবজি বা ফল সবচাইতে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে সেটি গ্রহণ করতে হবে।আমাদের দৈনিক খাবার তালিকা বা খাবার মেনু পরিবর্তন করা উচিত। এতক্ষন যাবৎ আয়রন সমৃদ্ধ যুক্ত খাবার নিয়ে আলোচনা করলাম আমার সাধ্যের ভেতর থেকে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কোথাও কমবেশি আলোচনা ভুল থাকতে পারে যদি থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে ও জানাতে ভুল করবেন না আমি আপনাদের ভুল ধরার ধরতে পারলে স্বাগত জানাবো এবং শ্রদ্ধার সহিত সংশোধন করে নিব। সুস্পষ্ট প্রত্যেকে বুঝতে পারছেন শক্তির উৎস ও আঁধারে আলোর মতন জ্বলজ্বল করে সে টার নাম হচ্ছে সঠিক মাত্রায় আয়রন আর আমরা এই আয়রন আয়রন নিয়ে আলোচনা শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
কাজীআরিফুল একটি ফুলস্ট্যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি এবং ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট। কাজীআরিফুল ফ্রিল্যান্সিং শিখুন আর ফেসবুক পেজে থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url