কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করবেন | high blood pressure 2022 | www.kaziariful.com
বহুল আলোচিত নীবর ঘাতক হিসাবে সুপরিচিত “উচ্চ রক্তচাপ” বা হাই ব্লাড প্রেশার পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের মত আমাদের দেশে অসংখ্যক মানুষের উচ্চ রক্তচাপ ভুগছে তার পরিমাণ একবারে কম নয়। আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক যারা রয়েছে তাদের মধ্যে প্রতি চার জনের একজন উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার সমস্যায় ভুগে। সারা পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ সমস্যায় ভুগে এবং প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর মারা যায়।
পোস্টের সূচিপত্র
- ব্লাড প্রেসার কত প্রকার ও কি কি
- উচ্চ রক্তচাপ
- উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ কি কি
- উচ্চ রক্তচাপে কি কি সমস্যা হয়
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
- উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
- তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
- বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
- উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী কোন গ্রন্থি
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ভেষজ ঔষধ
- উচ্চ রক্তচাপের কারণ
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কোন জটিলতা দেখা দেয়
- উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী কোনটি
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেঁতুল
- উচ্চ রক্তচাপ রোগীর খাবার তালিকা
- উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা
- উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া টোটকা
- উচ্চ রক্তচাপে মধু
- উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ
- গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
- গর্ভাবস্থায় হাই প্রেসার কমানোর উপায়
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন
- কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
- উচ্চ রক্তচাপের হোমিও ঔষধ
- উপসংহার
ব্লাড প্রেসার কত প্রকার ও কি কি
ব্লাড প্রেসার কত প্রকার আমাদের সকলের জানা উচিত। শুধুমাত্র ডাক্তারা ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তা কিন্তু নয়। ব্লাড প্রেসার কত প্রকার কি কি জানা থাকলে এইসব রোগির জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এই রক্তচাপ রেকর্ড করতে দুটি মান ব্যবহার করা হয়েছে: প্রথমটা হল সিস্টোলিক চাপ ( এটা হল উচ্চতর প্রেসার) এবং ডায়াস্টোলিক চাপ (এটা হল কম প্রেসার বা চাপ)। আমাদের শরীরের প্রতিটি হৃদস্পন্দনের জন্য একটি সিস্টোলিক চাপ এবং একটি ডায়াস্টোলিক চাপ আছে, বা হৃৎপিণ্ডের সংকোচন এবং প্রসারণ।
উচ্চ রক্তচাপ
আদর্শ রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ বা মার্কার। যদি কারোর পরপর দুইদিন ১৪০/৯০ রক্তচাপ থাকে সেটাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসাবে গণ্য হবে। বয়স ৮০ অথবা তার বেশি বয়সে রুগীর ক্ষেত্রে রক্তচাপ আরও মাত্রা হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ কি কি
উচ্চ রক্তচাপের যদি আপনার বা আপনাদের ভিত্তরে কারোর দেখা দেয় সেক্ষেত্রে যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝে নিবেন - চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখের কালচে রংয়ের বিন্দু, সম্পূর্ণ বা আংশিক দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া অর্থ হলো উচ্চ রক্তচাপে লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে আপনার বুকে ব্যথা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এমন কোনও লক্ষণ যদি পান বা দেখেন আপনাকে অবশ্যই হতে হবে সাবধান।
উচ্চ রক্তচাপে কি কি সমস্যা হয়
উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচতে আপনাকে অনেক বেশি সতর্কতা থাকতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন রোগির সংখ্যা নেহেতুক একবারে কম নয়। উচ্চ রক্তচাপে থাকা রোগি ক্ষেত্রে কি কি হতে পারে রোগির শরীরে স্ট্রোক থেকে অন্ধত্ব, শরীরের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া এই সময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে, হার্ট অ্যাটাক, এবং হার্ট ফেইলিওর হয়ে যেতে পারে, কিডনি পর্যন্ত ড্যামেজ হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
পটাশিয়াম হল জরুরি পুষ্টি উচ্চ রক্তচাপ রুগির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাদাম, দইয়ের মতো খাবার আপনার খাদ্য তালিকা রাখতে পারেন, তাছাড়াও কলা, অ্যাভোক্যাডো, টমেটো, রাঙা বা লাল আলু, স্যামন মাছ, টুনা মাছ। ধূমপান বা মদ্যপান অবশ্যই একবার কমিয়ে না ফেলে এইগুলো পুরোপুরি ছেড়ে দিন আপনারা যারা ব্যবহার করেন।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
আপনার পরিবার কিংবা আপনার পাশ্ববর্তী যেকোনো উচ্চ রক্তচাপের রুগির লক্ষণ যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন তার দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা, দুই চোখে সামনে কালো দাগ এবং দৃষ্টিশক্তি পুরোটাই বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, বুকে ব্যথা (হার্ট ব্লক), উচ্চ রক্তচাপে এই বিষয়গুলো যদি আপনি কোনো কারণে অবহেলা করেন, তার মূল্যে আপনাকে দিতে হবে। তাই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার লক্ষণ রুগির ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন এবং যত্নশীল হতে হবে।
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার রুগির ক্ষেত্রে মোটেই হেলাফেলা করা উচিত নয় কারণ অসতর্কতা ফলে অপূরণীয় হয়ে যেতে পারে সেকোনো সময়ে, আর এইধরনে অকাঙ্খিত ঘটনা যাতে না হয় সেজন্য তাৎক্ষণিক বা প্রাথমিকভাবে আপনার ঘরে রেখে দিলে মন্দ হয় না, শালগম, তিসি, ডার্ক চকলেট ও কালোজিরা ভালো কাজে লাগতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
ভিটামিন সি জাতীয় সমৃদ্ধ ফল আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চল বা বাজারে অহরহ পাওয়া যায়। একটু সর্তক থাকলে অকাঙ্খিত দূঘর্টনা এড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে- লেবু, কমলা, জাম্বুরা ফলগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কাঙ্খিত মানের সহায়ক হিসাবে কাজ করে। আপনার হার্ট সুস্থতা রাখতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদ যৌগ সমন্বয়ে পরিপূর্ণ কমিয়ে রাখা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর খাবার
উদ্ভিদ এবং খনিজ, ভিটামিন যৌগ দ্বারা হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশে দায় এড়ানোর সম্ভব। অবশ্যই আপনার ঘরে বা হাতের কাছে রাখা যেতে পারে যে খাবার গুলো- টক জাতীয় ফল, ধনে পাতা, চিয়া ও তিসির বীজ, ব্রকোলি, গাজর, পেস্তা বাদাম, কুমড়ার বীজ, বিনস ও ডাল, টমেটো, ফ্যাটি ফিশ।
বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
১৭ মে ২০২২ এইবারে প্রতিপাদ্য হিসাবে পালন করা হয়- দীর্ঘজীবি হোন, সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এই অসংক্রামক রোগে আমাদের দেশে ৬৭ শতাংশ এবং ৭১ শতাংশ বিশ্বে প্রায় মানুষের মৃত্যু হয়।
উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী কোন গ্রন্থি
অ্যাড্রিনাল উৎপাদন কম বা বেশি হলে হরমোনে আপনার ক্ষেত্রে রক্তচাপ হাই বা লো হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ভেষজ ঔষধ
আয়ুর্বেদ চিকিংসা এমন কিছু নির্দিষ্ট ভেষজ আছে যা অত্যন্ত উপকারী। যেমন- প্যাশন ফ্লাওয়ার বা পুনর্নবা। বাংলায় বা আমাদের দেশে গ্রামঞ্চলে এইগুলো নাম ঝুমকো লতা পরিচিত, কৃষ্ণ কমল-কাহা, হা-কাঁটা বেরিজ বা নাগফনি নামে পরিচিত।
উচ্চ রক্তচাপের কারণ
আপনার খাদ্য তালিকা যদি এই খাবার গুলো থাকে তাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনার বা আপনার পরিবারের অনেক বেশি ঝুঁকি মধ্যে রয়েছেন। মাংস, মাখন এবং ভাজা খাবার, যা ভারী চর্বি জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়তে পারে। ডিমের কুসুম সহ খেলে আপনার লিভার, কিডনি এবং মস্তিষ্ক খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাবে অনেকাংশে নিশ্চিত থাকেন। রক্ত সঞ্চালনে অত্যধিক কোলেস্টেরলের ফলে রক্তনালীগুলির দেয়াল ঘন এবং শক্ত হয়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কোন জটিলতা দেখা দেয়
স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং মস্তিষ্কের রক্তপাত সবই উচ্চ রক্তচাপের পরিণতি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে রোগীর মৃত্যু একটি সম্ভাবনা প্রায় শতভাগের কাছাকাছি। উপরন্তু, বিরল মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে যেখানে একজন ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ থাকে, সেখানে রেটিনাল রক্তক্ষরণের ফলে অন্ধত্ব হয়ে যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী কোনটি
উচ্চ রক্তচাপ যে সকল কারণে আপনার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে - বেশি বেশি লবণ গ্রহণ, ঘিঞ্জি চাইপের পরিবেশ, অতিরিক্ত আওয়াজ বা শব্দ, পরিবারের আকার, মদ্যপান, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মেদ। যে সমস্যাগুলো উল্লেখ্য করলাম এইগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি সৃষ্টি করে উচ্চমাত্রায় লবণ গ্রহণ। অনেকে ধারণা করে প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ রোগ লবণ দায়ী বলেছে। আমি কিন্তু মানতে পারছি না “শুধুমাত্র লবণ” উচ্চ রক্তচাপ দায়ী।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তেঁতুল
মনের সান্তণায় মানুষ কতকিছু করে সেক্ষেত্রে যদি হয় শরীর অসুস্থ বা কোন রোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপ হলে কি করবে না করবে দিশেহারা হয়ে যায়। তেঁতুল রয়েছে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিবে। আপনার শরীরের রক্তে থাকা খারাপ বা দূষিত রক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। হ্নদযন্ত্রের ভালো রাখতে এই ফলটি অনেক বেশি উপকার করে আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীর খাবার তালিকা
সুষম খাদ্য তালিকা অভ্যাস্থ হয়ে উঠলে পারলে আমাদের শরীর ভালো থাকবে তা আমরা সবাই জানি অনেকে আছে মেনে চলা চেষ্টা করে। সকলের উচিত সার্ববিক অবস্থায় চেষ্টা করে খাদ্য তালিকা ম্যানেজ করে চলা। উচ্চ রক্তচাপ রোগীর খাবারের তালিকা বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে কোনো অবস্থাতে ঝুঁকি মধ্যে না পড়ে যায়। যেসব সমস্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যাবে - প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাকসবজি মধ্যে পালংশাক, কলমিশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, লাউ, মটরশুটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কুমড়া। পটাসিয়াম রয়েছে এমন খাদ্যতালিকায় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে। তাছাড়াও ডাবেব জল, কলা, টমোটোসহ যাকিছু সবুজ সবজি রয়েছে সবগুলোতে পটাসিয়াম রয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক চিকিৎসা
আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম করা ও খাদ্য অভ্যাস অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ বা সতর্কতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন হবে। আপনি ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। নির্দিষ্ট ওজন বৃদ্ধির পরে সীমিত আকারে খাবার গ্রহণ সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়েম পরিশ্রম বাড়িয়ে দেয়া। আপনার যদি ধারণা হয় বা কেউ যদি বলে ঔষধ খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করা যায় তাহলে আপনাকে নিশ্চিত বড় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়ার সমান। চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়া ওজন বৃদ্ধির জন্য কোনো ঔষধ খাবেন না।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া টোটকা
আমাদের কিছু টোটকা জেনে রাখা খারাপ হয়না। মানব শরীরের নানাবিধ রোগের বাসা তা আমরা সবাই জানি। মহান আল্লাহ তায়ালা এইসব রোগের জন্য প্রাকৃতিকভাবে অনেক বেশি খাদ্য খাবার দিয়ে রাখছে সেগুলো থেকে আমরা বেছে খেতে হবে। আল্লাহ তায়ালা শরীরের এ্যান্টি প্রটেক্ট তৈরি রাখছে যাতে শরীরের খারাপ ভাইরাস বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে যদিও অনেক সময় না পেরে উঠে তখন ডাক্তর, প্রাথমিক ঘরোয়া টোটকা জেনে রাখা অনেক বেশি যেকোনো মানুষের জন্য প্রয়োজন। পটাসিয়াম আমাদের সকলের শরীরের বেশি যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপের যাদের রয়েছে তাদের জন্য পটাসিয়াম যুক্ত সবুজ শাকসবজি বেশি খাওয়া। আর খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা।
উচ্চ রক্তচাপে মধু
উচ্চ রক্তচাপে ও হাইপারটেনশন কমানোর জন্য অনেক বেশি ভূমিকা রাখে মধু। আপনি যদি এক কাপ অল্প গরম পানি এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এলোপ্যাথি ঔষধের অধিকাংশ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যা ডাক্তাররা কখনো বলে দেয় না আমি কখনো শুনি নাই আপনারা যদি শুনে থাকেন কমেন্টে লিখে জানাবেন ডাক্তারের নাম। যে কথা বলছিলাম ঔষধ সেবন করলে প্রথমে যা হতে পারে অনেকের শুকনো এবং খুশখুশে কাশি দেখা দিতে পারে। আবার ঔষধ বন্ধ করে দিলে কাশি চলে যায়। উচ্চ রক্তচাপ নিরোধক ঔষুধ সেবনকালে শুষ্ক মুখ, কনস্টিপেশন, মুখের আলসার, মুখের জ্বালাপোড়াসহ আপনি খাবার খাবেন স্বাদ গ্রহণের দেখা দিতে পারে বিপত্তি।
গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ
প্রেগনেন্সি মায়েদের স্বাভাবিক রক্তচাপ বলতে ১১০ এবং উচ্চ মাত্রা ১৩০। আমরা কখন বলবো গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। প্রেগনেন্সি মায়েরা যদি ২০ সপ্তাহের আগে প্রেসার ছিল নরমাল হঠাৎ তা বেড়ে গিয়েছে সেটা আমরা বলি উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন ইন প্রেগনেন্সি। অনেক সময় বাচ্চার ডেলিভারি হওয়ার ১২ সপ্তাহ পরে হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপে বেড়ে যাওয়া নিয়ে আপনাকে সতর্কতা থাকতে হবে কারণ রক্তচাপ যদি নিয়স্ত্রণে না রাখতে পারেন অনেক ক্ষেত্রে জটিল সমস্যা মধ্যে পড়তে পারেন। অনেক সময় মায়ের পা ফোলা, শরীরে পানি জমা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, হার্ট ফেইলিউর, রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হাই প্রেসার কমানোর উপায়
গর্ভাবস্থায় ভিন্ন কথা চিন্তা ভাবনা না করে যতদ্রুত সম্ভব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত হবে। এইক্ষেত্রে ডাক্তারের ভূমিকা পালন করবে রক্তচাপের সমস্যা কমানো। যদি প্রয়োজন হয় ঔষুধ দিবে।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন
আমি অনেক বার বলেছি মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য অনেক উপায়ে মানুষের শরীরের জন্য উপকার হয় এমন অনেক খাদ্য উপাদান দিয়ে রাখছে, যা আমাদের সবচেয়ে বড় নেয়ামত বটে। আমাদের সেইসব খাদ্য খাবার থেকে সঠিক উপাদান জেনে আমরা খাদ্য হিসাবে খাওয়া শুরু করবো। আমি এমনি উপাদান কথা বলবো যা আমাদের সকলের ঘরে এটি রয়েছে উপাদানটি হল “ রসুন”। আমিষ জাতীয় রান্নার অন্যতম উপাদান বটে। রান্নার স্বাদ দ্বিগুণের পাশাপাশি আপনার শরীরের যত্ন নিতেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার। আমাদের শরীরের নানাবিধ সমস্যা প্রতিনিয়ম সৃষ্টি হয়ে চলেছে, প্রতিকার হিসাবে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন উপাদান যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ অন্যতম ভূমিকা রাখে।
কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ
তরুণ প্রজন্মের অস্বাস্থ্যকর আচরণ উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের ফলে তরুণদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ বাড়ছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি অসুস্থতা উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
হৃদরোগের ঝুঁকি, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি, রেটিনার ক্ষতি, উর্বরতা হ্রাস এবং সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে বেশি। ডায়াবেটিস রোগীরা এই গ্রুপের একটি বড় অংশ তৈরি করে।
উচ্চ রক্তচাপের হোমিও ঔষধ
নাড়িটি কব্জির নীচে সূচক, মধ্যম এবং রিং আঙ্গুল দ্বারা ধরে রাখা হয়, যা আঙ্গুলগুলিকেও নড়াচড়া করে। - রক্তচাপ কম থাকলে আঙুলের নিচের স্পন্দন অনুভব করতে পারবেন না। যাইহোক, আপনার রক্তচাপ অতিরিক্ত হলে, আপনার নাড়ি আপনার আঙুলের নীচে চাবুকের মতো অনুভব করবে। রক্তচাপ নিরীক্ষণের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল এই পদ্ধতিতে। রক্তচাপ পরীক্ষা করার জন্য স্ফিগমোম্যানোমিটারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপসংহার
হালকা থেকে মাঝারি উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার প্রথম ধাপ হিসেবে চিকিৎসকরা ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। যদিও এই কৌশলগুলি রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর, তবে এগুলি আসলে করার চেয়ে বর্ণনা করা সহজ। মাঝারি থেকে উচ্চ রক্তচাপের বেশিরভাগ রোগীদের তাদের চাপ নিরাপদ পরিসরে কমাতে চলমান ওষুধের প্রয়োজন হয়। ধূমপান ত্যাগ করলে সরাসরি রক্তচাপ কমবে না, তবুও উচ্চ রক্তচাপ যাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক সহ বিভিন্ন উপসর্গগুলি পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। হালকা উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সার বিকল্পগুলি সাধারণত খাদ্য, ব্যায়াম এবং শারীরিক কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত করে। উচ্চ ফলমূল, শাক-সবজি, দুগ্ধ-মুক্ত খাবার এবং লবণ ও তেল কম খেলে রক্তচাপ কমানো যেতে পারে।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url