OrdinaryITPostAd

মোবাইল ব্যাংকিং | মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে নতুন রেকর্ড ২০২৩

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আশা করছি। আজকের আলোচনা বিষয় “মোবাইল ব্যাংকিং”। মোবাইল ব্যাঙ্কিং হল এমন পরিষেবা যা গ্রাহকদের তাদের মোবাইল ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলির মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করে থাকে। এতে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা, টাকা স্থানান্তর করা, বিল পরিশোধ করা এবং চেক জমা করার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

মোবাইল ব্যাঙ্কিং সাধারণত মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া হয় এবং গ্রাহকরা সাধারণত তাদের ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে শাখায় গিয়ে পরিষেবাটির জন্য সাইন আপ করতে হয়। পরিষেবাটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ গ্রাহকদের চলতি অর্থ বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের অর্থ পরিচালনা করতে দেয় এবং এটিকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করার সুবিধাজনক এবং নিরাপদ উপায় হিসাবেও দেখা হয়।

পোস্টের সূচিপত্র

মোবাইল ব্যাঙ্কিং হল এমন পরিষেবা যা গ্রাহকদের তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে এবং মোবাইল ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন করতে দেয়৷ এতে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, লেনদেনের ইতিহাস দেখা, অর্থ স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, চেক জমা করা এবং আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিং মোবাইল অ্যাপ বা মোবাইল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।মোবাইল ব্যাঙ্কিং হতে পারে একজনের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সুবিধাজনক উপায়, কারণ গ্রাহকদের লেনদেন করতে এবং যেতে যেতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চেক করতে দেয়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে, কারণ এমন লোকেদের অনুমতি দেয় যারা প্রচলিত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিতে নিয়মিত অ্যাক্সেস পায় না তাদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে তাদের অর্থ পরিচালনা করতে।

অনেকগুলি বিভিন্ন মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ উপলব্ধ, প্রতিটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা রয়েছে। কিছু ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ আছে, অন্যরা থার্ড-পার্টি মোবাইল ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ব্যবহারকারীরা যে অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন তার নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেইসাথে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা বার্তা থেকে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

মোবাইল ব্যাংকিং বলতে কি বুঝ

মোবাইল ব্যাঙ্কিং বলতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা এবং তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য মোবাইল ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের ব্যবহার বোঝায়। এর মধ্যে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, টাকা স্থানান্তর করা, বিল পরিশোধ করা এবং চেক জমা করা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলি সাধারণত ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট ইউনিয়নগুলি দ্বারা অফার করা হয় এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যেতে পারে। কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোবাইল-অপ্টিমাইজ করা ওয়েবসাইটগুলিও অফার করে যা মোবাইল ব্রাউজারের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের প্রধান সুবিধা হল গ্রাহকদের তাদের আর্থিক তথ্য অ্যাক্সেস করতে এবং তারা যখনই এবং যেখানেই পছন্দ করে লেনদেন পরিচালনা করতে দেয়।

মোবাইল ব্যাংকি যাত্রা

কয়েকটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমন্বয়ে মোবাইল ব্যাংকি সেবা প্রদানে অনুমতি প্রদান করে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০৯ সালে। মোবাইল ব্যাংকি সেবা পরিপূর্ণ সার্ভিসে আসে ২০১১ সালে।

মোবাইল ব্যাঙ্কিং যাত্রায় সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  • মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা: গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসের উপর নির্ভর করে অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।
  • পরিষেবার জন্য নিবন্ধন: গ্রাহকদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য প্রদান করে মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য নিবন্ধন করতে হবে, যেমন তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যোগাযোগের বিবরণ।
  • পরিষেবাটি সক্রিয় করা: একবার নিবন্ধিত হয়ে গেলে, গ্রাহকরা অ্যাক্টিভেশন কোড বা লিঙ্ক পাবেন, যা তাদের প্রবেশ করতে হবে বা পরিষেবাটি সক্রিয় করতে ক্লিক করতে হবে।
  • লগ ইন করা: পরিষেবাটি সক্রিয় করার পরে, গ্রাহকরা তাদের লগইন শংসাপত্র, যেমন ব্যবহারকারী আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে তাদের মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপে লগ ইন করতে পারেন।
  • নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সেট আপ করা: লগ ইন করার পরে, গ্রাহকদের তাদের আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত করতে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি, যেমন মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ এবং পাসকোড সেট আপ করার জন্য অনুরোধ করা হবে৷
  • অ্যাপটি নেভিগেট করা: একবার লগ ইন করার পরে, গ্রাহকরা বিভিন্ন লেনদেন যেমন অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, টাকা স্থানান্তর করা এবং বিল পরিশোধ করতে মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপে নেভিগেট করতে পারেন।
  • অ্যাপ আপডেট রাখা: গ্রাহকদের সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য এবং নিরাপত্তা বর্ধিতকরণগুলিতে অ্যাক্সেস রয়েছে তা নিশ্চিত করতে মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ আপডেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
  • লগ আউট: ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা লেনদেন সম্পূর্ণ করার পরে লগ আউট করুন
  • অ্যাকাউন্ট নিরীক্ষণ করা: গ্রাহকদের নিয়মিত তাদের অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করা উচিত যাতে কোনও প্রতারণামূলক লেনদেন না হয় এবং তাদের আর্থিক বিষয়ে শীর্ষে থাকে।
  • ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করা: গ্রাহকদের যদি তাদের মোবাইল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা বা উদ্বেগ থাকে, তারা সহায়তার জন্য তাদের ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ

মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ হলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ। মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করে কাজ করে, যেমন টাকা প্রদান, টাকা নিকাশ, ব্যাংক স্থানে টাকা স্থানান্তর, ব্যাংক স্থানের সন্ধান, ব্যাংক স্থানের সেবা সম্পর্কে তথ্য পান এবং অন্যান্য সেবা গ্রহণ করা যাবে। বাংলাদেশে ব্যাংক সমূহে এই ধরনের সেবা সম্প্রসারণ করছে আর অনেকটা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হয় কবে

বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রথম চালু করে ২০১১ সালে, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার "বিকাশ" নামে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাও চালু করেছে যা দেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা। পরিষেবাটি গ্রাহকদের তাদের মোবাইল ডিভাইস থেকে বিস্তৃত ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করে, যেমন অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করা, অর্থ স্থানান্তর করা, বিল পরিশোধ করা এবং চেক জমা দেওয়া। পরিষেবাটি ২০১১ থেকে উপলব্ধ।

বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে কোন ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করেন BRAC Bank। দেশের সর্বপ্রথম মোবাইল সেবা গ্রাহক পর্যায়ে আত্নপ্রকাশ করে সাড়া ফেলে দেয়। জনসাধারণ ভোগান্তি অনেকাংশে কমে গেছে শুধুমাত্র মোবাইল ব্যাংকি পরিসেবা চালু হওয়ার পরে থেকে যা সত্যিই দারুন কিছু ছিল। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি লেনদেন সম্পন্ন করছে নিমিষে যা চোখের পলকে। মোবাইল ব্যাংকের জয় জয়াকার চারিদিকে এককথায় বলতে গেলে গ্রাহকের অর্থ গ্রাহক দেখেশুনে খরচ করতে পারে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান

  • সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। দেশটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ মোবাইল ব্যাংকিং অনুপ্রবেশের হার রয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এবং নগদ লেনদেনের ওপর নির্ভরতা কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সক্রিয়ভাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রচার করছে। সরকার মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে।
  • বাংলাদেশে, মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি বিশেষায়িত মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা প্রদান করে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে বিকাশ, রকেট এবং নগদ। এই পরিষেবাগুলি মানি ট্রান্সফার, বিল পেমেন্ট এবং মাইক্রো-ফাইনান্স পরিষেবা সহ বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবা অফার করে৷
  • যাইহোক, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ এখনও কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যেমন মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতি আস্থার অভাব এবং গ্রামীণ এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবায় সীমিত অ্যাক্সেস। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে আমার জ্ঞান কেটে গেছে ২০২৩ এবং বর্তমান পরিস্থিতি আমার প্রতিক্রিয়া থেকে ভিন্ন হতে পারে।

মোবাইল ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ও আর্থিক লেনদেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রতিদিন মোবাইল ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি ফলে গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৫ লাখে বেশি। মোবাইল ফোনে প্রদানে এমএফএস সেবা যুক্ত হওয়া দৈনিক লেনদেন পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা সামনের দিনগুলো আরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন হবে কোনো সন্দেহ ছাড়ায় বলা যায়।

  • মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দেশ ও অঞ্চলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, মোবাইল ব্যাংকিং বিশ্বব্যাপী ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং লেনদেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত আর্থিক লেনদেনের পরিমাণের জন্য, দেশ এবং অঞ্চলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন সাধারণত বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ আরও বেশি সংখ্যক লোক এই পরিষেবাটি গ্রহণ করছে।
  • লেনদেনের মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে, মোবাইল ব্যাঙ্কিং লেনদেনগুলি ছোট, দৈনন্দিন লেনদেন থেকে শুরু করে, যেমন বিল প্রদান বা বন্ধু এবং পরিবারের কাছে অর্থ স্থানান্তর, বন্ধকী অর্থ প্রদান বা স্টক ট্রেডের মতো বড় লেনদেন পর্যন্ত হতে পারে।
  • সামগ্রিকভাবে, মোবাইল ব্যাঙ্কিং জনগণের আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় এবং সুবিধাজনক উপায় হয়ে উঠছে, এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং লেনদেন বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে বলা যায় যে, সুবিধাজনক সুবিধা যা ব্যাক্তিদের স্থানীয় ব্যাংক কর্মকাণ্ডে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ব্যবহারকারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান করে। সুতরাং অনলাইনে পেমেন্ট, ট্রান্সফার, ব্যালেন্স চেক করা এবং অন্যান্য ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান করে। ২৪ ঘন্টা ৩৬৫ দিন আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীদের বিস্তৃত সুবিধা প্রদান করতে পারে, যেমন:

  • সুবিধা: গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো সময়, যে কোনো জায়গায় তাদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অ্যাক্সেস করতে পারেন।
  • সময় সাশ্রয়: গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে দ্রুত এবং সহজে ব্যাঙ্কিং লেনদেন করতে পারেন, ব্যাঙ্কের কোনও শাখায় না গিয়ে৷
  • সহজ অ্যাকাউন্ট পরিচালনা: গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স, লেনদেনের ইতিহাস এবং অন্যান্য তথ্য দেখতে পারেন।
  • নিরাপদ: মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলি গ্রাহকদের আর্থিক তথ্য যেমন মাল্টি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ এবং এনক্রিপশন সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবহার করে।
  • সহজ অর্থ স্থানান্তর: গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে সহজেই অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন।
  • দ্রুত বিল পেমেন্ট: গ্রাহকরা চেক না লিখে বা পেমেন্ট সেন্টারে না গিয়ে মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে এবং অন্যান্য পেমেন্ট করতে পারেন।
  • দূর থেকে চেক জমা করা: গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে ক্যামেরা ব্যবহার করে কোনো ব্যাঙ্কের শাখায় না গিয়েই দূর থেকে চেক জমা দিতে পারেন।
  • সতর্কতা: মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলি গ্রাহকদের বিভিন্ন লেনদেনের জন্য সতর্কতা পাঠাতে পারে, যেমন কম ব্যালেন্স বা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি লেনদেন।
  • চলতে চলতে ব্যাঙ্কিং: মোবাইল ব্যাঙ্কিং গ্রাহকদের কম্পিউটার বা ব্যাঙ্কের শাখার কাছাকাছি না থাকলেও ব্যাঙ্ক করতে দেয়।
  • খরচ-কার্যকর: মোবাইল ব্যাঙ্কিং ব্যাঙ্কগুলির জন্য সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে, কারণ প্রকৃত শাখা এবং টেলারগুলির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে।

মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কিছু অসুবিধার মধ্যে রয়েছে:

  • নিরাপত্তা উদ্বেগ: মোবাইল ডিভাইসগুলি হ্যাকিং এবং ম্যালওয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, যা ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য চুরি হলে আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • সীমিত কার্যকারিতা: যদিও মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপগুলি অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য অফার করে, সেগুলিতে ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্ক ওয়েবসাইট বা শাখার মধ্যে ব্যাঙ্কিংয়ের সমস্ত কার্যকারিতা নাও থাকতে পারে৷
  • সংযোগের সমস্যা: মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন, যা সবসময় উপলব্ধ বা নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে।
  • নগদে সীমিত অ্যাক্সেস: যদি একজন গ্রাহকের নগদের প্রয়োজন হয়, তবে তাদের ফিজিক্যাল ব্যাঙ্ক বা এটিএম পরিদর্শন করতে হতে পারে, যা অসুবিধাজনক হতে পারে।
  • সীমিত সমর্থন: যদি কোনো গ্রাহকের মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ বা অ্যাকাউন্টে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সাহায্য পাওয়ার জন্য তাদের ফিজিক্যাল ব্যাঙ্ক শাখায় কল করতে বা যেতে হতে পারে।
  • দয়া করে মনে রাখবেন সম্পূর্ণ তালিকা নয় এবং ঝুঁকি এবং সীমাবদ্ধতাগুলি আপনি যে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক, অঞ্চল এবং অ্যাপ ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে৷

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ

ব্যাংকিং আর্থিক সেবা (এমএফএস) আত্ততায় ১৫ টি ব্যাংক সার্ভিসে নাম রয়েছে তার মধ্যে ১৩ টি ব্যাংক পরিপূর্ণ সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট অসংখ্যা ব্যাংক আবেদন করে রাখছে।

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সমূহে কিছু প্রধান ব্যাংক সেবা প্রদান করছে, আবেদনকারী ব্যাংকের নামের লিস্ট সমন্বয়ে যেমন:

  • বিকাশ
  • রকেট
  • mCash
  • নগদ
  • শিওরক্যাশ
  • মাইক্যাশ
  • ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এমক্যাশ
  • ব্যাংক এশিয়ার mCash
  • অগ্রণী ব্যাংকের এমক্যাশ
  • জানালা
  • uCash
  • ট্রাস্ট ব্যাংকের mCash
  • ওয়ানক্যাশ
  • আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ
  • ঢাকা ব্যাংকের এমক্যাশ
  • ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ
  • সিটি ব্যাংকের এমক্যাশ
  • এক্সিম ব্যাংকের এমক্যাশ
  • ফারমার্স ব্যাঙ্কের mCash
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ
  • আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমক্যাশ
  • IFIC ব্যাঙ্কের mCash
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এমক্যাশ
  • যমুনা ব্যাংকের এমক্যাশ
  • মেঘনা ব্যাংকের এমক্যাশ
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংকের mCash
  • মিডল্যান্ড ব্যাংকের এমক্যাশ
  • ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের mCash
  • এনসিসি ব্যাঙ্কের এমক্যাশ
  • এনআরবি ব্যাংকের এমক্যাশ
  • প্রিমিয়ার ব্যাংকের mCash
  • প্রাইম ব্যাংকের এমক্যাশ
  • পাবলিক ব্যাংকের mCash
  • সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের এমক্যাশ
  • সাউথইস্ট ব্যাঙ্কের এমক্যাশ
  • স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের mCash
  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এমক্যাশ
  • উত্তরা ব্যাংকের এমক্যাশ

দ্রষ্টব্য: উপরের তালিকাটি সম্পূর্ণ নাও হতে পারে এবং আমার দেয়া তথ্য সর্বশেষ আপডেট থেকে পরিবর্তিত হতে পারে।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ। সেখানে সম্ভব সেবা গুলি হলো:

  • টাকা প্রদান
  • টাকা নিকাশ
  • ব্যাংক স্থানে টাকা স্থানান্তর
  • ব্যাংক স্থানের সন্ধান
  • ব্যাংক স্থানের সেবা সম্পর্কে তথ্য

অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং কি

অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং (Online Banking) হলো ব্যাংকের সেবা গ্রহণের সুযোগ যা ব্যবহারকারীকে অনলাইনে ব্যবহার করতে পারে। সেখানে সম্ভব সেবা গুলি হলো:

  • অনলাইন অর্ডারে টাকা প্রদান
  • অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খুলুন
  • অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট স্থানান্তর
  • অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেন করুন
  • অনলাইন ব্যাংকিং হিসাব দেখুন
  • অনলাইন ব্যাংকিং ব্যাংক স্থানের সেবা সম্পর্কে তথ্য
  • অনলাইন ব্যাংকিং বীমা

উপসংহার

মোবাইল ব্যাংকিং আধুনিক প্রযুক্তি ছোঁয়ায় যেমন জনসাধারণের  সুবিধা ভোগ করে চলেছে তেমনি অসুবিধা বা দুষ্টচক্র সদস্যগুলো ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রাতিক সময়ে অহরহ অসংখ্যা ঘটনা ঘটে চলেছে তা আমরা সবাই জানি ও বুঝতে পারছি। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আরও সুন্দর ও সহজ ব্যবহারে বিকল্প পথ সাবধানতা ও সচেনতার মাধ্যমে আমরা ব্যবহার করতে পারলে এর পূণার্ঙ্গ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url