OrdinaryITPostAd

৪৫তম বিসিএস প্রিলি পাসের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন | ৪৫তম বিসিএস প্রস্তুতি | prepare for 45th BCS Preli Pass

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আশা করছি। প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছো আজকের আলোচনা বিষয় কি হতে চলেছে। সিনিয়র অভিজ্ঞকা সম্পন্ন অনেকের পরামর্শ হয়তোবা এতদিনে পেয়ে গেছো কিংবা বিভিন্ন কোচিং অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষক ও ভাই ও বোনেরা ইতেমধ্যে পূর্বে অনেকবার নানা লেখালিখি এবং পরামর্শ পেয়েছে। আমার ছোট অভিজ্ঞতা বলছি, জীবনে যে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করো না ক্যানো, তোমাকে হতে মেধার চাইতে অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে।

প্রতিবছর হাজারো তরুণ-তরুণী চাকরি নামে সোনার হরিণের পিছনে ছুটে চলেছে। সবার গন্তব্য কিন্তু একটাই একটা চাকরি। ছোট শব্দ চাকরি এর পিছনে গল্প অনেকে শেয়ার করে আবার অনেকে কাজের ব্যস্ততা কারণে বলে উঠতে পারে না। বাংলাদেশে একমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে আমার জানা মতে শুধুমাত্র প্রিলিতে পাস করতে হয় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্যে অতএব অতি লোভে তাতী নষ্ট করো প্রিয় শিক্ষার্থীরা।

৪৫তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি গাইডলাইন

অপরিকল্পিত প্রস্তুতি, সঠিক প্রস্তুতি অভাব, কার্যকর টেকনিক অনুসরণ না করার কারণে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা বিসিএস প্রিলিতে পাস করতে পারে না। বিসিএস প্রিলি সঠিক পরিকল্পনায় পারে বিসিএস প্রিলিই পরীক্ষায় মতো দানবের হাত রেহাই পেতে। চলুন দেখে নিই নতুন যারা বিসিএস পরীক্ষা আবেদন করেছেন কিন্তু বিসিএস প্রস্তুতি সঠিক ও কার্যকরী গাইডলাইন অভাববোধ করছেন তাদের জন্য এই পোস্ট।

আত্নবিশ্বাসী হতে শিখুন

বিসিএস প্রিলিতেই পান্ডিত্য দেখানোর মতো কোনো অপশন নেই, নেই কোনো একামেডি পরীক্ষার রেজাল্ট বাহাদুরি। বিসিএস যদি স্বপ্ন হয় তাহলে ওটার মনেপ্রাণে আরও নাম বসিয়ে নাও অধ্যবসায়ের নাম। আমি অনেক দেখেছি, বিসিএস শুধুমাত্র মেধাবীদের জন্য নয়, শুধুমাত্র যারাই বিসিএস প্রস্তুতিতে নিয়মিত এবং সিরিয়াস তাদের জন্য একটি খালি রয়েছে। তাই োমাকে নানান কাজের চাপের ভিত্তরে হলেও যে জিনিসটা আয়ত্ত আনতে হবে ধৈর্য। আর নিয়মিত প্রস্তুতি ও সিরিয়াসটা সঙ্গে নিয়ে ধৈর্যের সাথে আত্নবিশ্বাসী মনোবল গড়ে তোলা কোনো বিকল্প নেই। শুধু মনে রেখো পরিশ্রম করলে সফলতা ছিনিয়ে আনা সম্ভব তার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন পড়ে। আর এই অক্সিজেন নাম হচ্ছে বিশ্বাস বা আত্নবিশ্বাস।

প্রিলি পাসে টার্গেট সেট

৩৫ তম বিসিএস থেকে ২০০ মার্কের শুরু হয়েছে। সেই সময় প্রথমবারে ২০০ নম্বরের মধ্যে ১০৫ পেয়ে প্রিলি টিকে গেছে। ৩৫তম বিসিএস থেকে ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের আবেদন সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েছে বরং কমেনি সেই তৈরি হয়েছে কঠিন প্রতিযোগিতা। শুধু মনে রাখবে যত কম পারো নেভেটিভ মার্ক কম রাখা। পরীক্ষা খাতায় লোভে পড়ে কখনো অতিরিক্ত দাগানো থেকে কলম বন্ধ করে রাখবে। বিসিএস প্রিলিতেই পাসের জন্য তোমাকে টার্গেট নিতে ১২০-১৩০ নম্বর নিশ্চিত করতে পারো এমন ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে পড়াশুনা শুরু করবে। বিসিএস ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো মেধাবীরায় কখনো ২০০ মার্কের ভিত্তরে ২০০ মার্ক পাইনি।ক্যানো পাইনি জানো তারা জানে বিসিএস প্রিলি শুধুমাত্র পাস করার জন্যে পরীক্ষা।

দক্ষতা ও দূর্বলতা জায়গা খুঁজে বের করা

পৃথিবীতে কোনো মানুষ পরিপূর্ণ যোগ্যতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। যদি কথা সত্যিই হয় তাহলে প্রত্যেকের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে, দূর্বলতার জায়গা অহরহ রয়েছে। এই বাস্তব কথাটি কেউ কখনো অস্বীকার করতে পারবে না। এই জন্যে ঘাটতি পূরণের প্রথমে বিসিএস সিলেবাসটি হাতে নাও এবং অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে কয়েকবার পড়ে নাও। যাতে করে মগজে কিছু অংশ স্মৃতি হিসাবে থেকে যায়। তারপরে যা করবে বিগত সালের বিসিএস প্রিলি প্রশ্নটি হাতে নিয়ে ১ নম্বর থেকে ২০০ নম্বর পর্যন্ত শুধু রিডিং পড়বে কয়েকবার কোনোরকম মুখস্ত ছাড়াই। বিসিএস প্রিলি প্রশ্নপত্র কয়েকবার পড়ার পড়ে বুঝতে পারবে যে জানা বিষয়গুলো হল তোমার স্টং জোন আর অজানা বিষয়গুলো উইক জোন। তুমি যখন রিলাইজ করে ফেলেছো স্টং জোন আর উইক জোন। তোমাকে যা করতে হবে স্টং জোনকে আরও দক্ষতা বৃদ্ধি আর উইক জোনকে ফোকাসে রাখা শুরু করবে। পুরো ২০০ মার্কের প্রশ্নপত্র দেখতে পাবে আগে থেকেই অনেক টপিক সম্পর্কে জানা আছে এবং ধারণা রয়েছে। এই প্রশ্নগুলোর মধ্যে কিছু কিছু টপিক আসবে তা একবারে নতুন। নতুন বিষয়গুলো থেকে নিজের মতো বাছাই করে সিলেক্ট করবে আর পড়া শুরু করে দিতে হবে।

পরিকল্পনামাফিক রুটিন তৈরি করুন

আমি অনেকের দেখেছি অগোছালো অবাস্তব উপায়ে পড়াশুনা করতে যা মোটেই কাম্য নয়। জগৎ সংসারে হাজারো ঝামেলা থাকবে তৈরি হবে এর ভিত্তর থেকে স্মার্ট উপায়ে রুটিন তৈরি করতে হবে শুধুমাত্র নিজে অনুসরণ করা যায়। কখনো রুটিন দেখে পড়ার রুটিন তৈরি করতে যাবে না কিন্তু। তাই বলছি বিসিএস সঠিক প্রস্তুতির জন্য অবাস্তব রুটিন এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখা অনেক বেশি জরুরী বিসিএস প্রিলিতে পরীক্ষায় যতটা পান্ডিত্য তার চেয়ে বেশি তোমাকে হতে হবে কৌশলী। সামনে আর মাত্র তিন চার মাসের মতো সময় রয়েছে তাই পরীক্ষা আগে পর্যন্ত বাইরে অপ্রয়োজনীয় সকল কাজ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তোমাকে রেগুলারিটি চলতে পারলে সাফল্য আসবেই।

বিসিএস প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস

অবশ্যই বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অ্যানালাইসিস করা প্রয়োজন রয়েছে। খুব বেশি অ্যানালাইসিস মনোযোগ লেগে না থাকে সেই দিকে নজর রাখবে মূল সিলেবাস বাইরে চলে না যাও। প্রশ্নপত্র সঙ্গে সিলেবাসের সাথে মিলিয়ে পড়ার টপিক বের সরাসরি পড়াশুনো শুরু করে দিতে হবে। সরাসরি প্রশ্ন রিপিট সংখ্যা অনেক কম তাই অযথা সময় নষ্ট না করে প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস করার পড়ার টপিক দাগিয়ে আর মূল সিলেবাস সঙ্গে মিলিয়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে পড়া শুরু করে দাও।

বোর্ড বই পড়া শেষ করুণ

নতুন যারা আবেদন করেছো তাদের উদ্দেশ্য বলি বিসিএস প্রিলি পাসের জন্য অতি পড়ার লোভ কন্ট্রোল করতে হবে। ভালো মানের প্রস্তুতি নিতে অনেক বেশি পড়াশুনা দরকার পড়ে না যেমনটি মেধাবী শিক্ষার্থীরা বা পূর্বের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যারা রয়েছে। ভূল করে হলেও প্রথমে গাইড বই দিয়ে পড়া শুরু করা যাবেনা তাহলে বিসিএস স্বপ্ন থেকে যাবে কিন্তু। ক্লাস অষ্টম- নবম শ্রেণীর সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো প্রিলি পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার অনেক বেশি বেশি হেল্পফুল হবে। যদি বোর্ড বইগুলো কমপ্লিট করতে পারো তাহলে বাজারে যেকোনো গাইড বই ফলো করতে পারো তাতে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা ন য়।

অধ্যয়ন থেকে নোট তৈরি

মূল বোর্ড বই ও বাজারে গাইড বই এবং প্রশ্নব্যাংক থেকে পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো লাল নীল কালি তিন তারকা চিহ্ন দিয়ে আন্ডারলাইন করে রাখবে। মনে রাখবে বিসিএস ক্যাডার হতে হলে পৃথিবীর সবকিছু জানা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তোমার স্টং জোন বা সাইটগুলো নিয়মিত তালিমের পাশাপাশি উইক জোনগুলো নিয়মিত নোট করার অভ্যাস গড়ে তোলা অবশ্যই।

কনফিউজিং প্রশ্ন আলাদা নোট

প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে নিয়মিত পড়াশুনা মনে থাকতে চাই না বা বারবার ভুলে যায়। বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা সিলেবাসের এমন অনেক টপিক রয়েছে যা মনে রাখা খুব/ই কষ্টকর হয়ে যায়। যা বেশিরভাগই সময় বিভ্রান্ত মধ্যে ফেলে দেয়। এমন অবস্থা করনীয় হচ্ছে ঘরে বাইরে নিজের চলাফেরা সঙ্গে বানাতে পারো চিরকুট বা ছোট ছোট নোট যা সহজে বহনযোগ্য এবং রিভিশন দেয়া যাবে সহজে। যেভাবে হোক ঘরে-বাইরে বারবার রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা অব্যহত করবে কনফিউশন প্রশ্নগুলো ভূল এড়ানো এবং বিসিএস প্রস্তুতি অনেক ভালো করে নেওয়ার।

স্পষ্ট উচ্চারণে পড়ুন

পড়াশোনা যতটুকু পড়বেন পারলে স্পষ্ট উচ্চারণে শব্দ করে পড়তে বলে আমি অনেক দেখেছি চুপেচুপে বা মধ্য আওয়াজে পড়াশুনা করে অনেক বেশি ভালো করেছে। তোমরাও পারবে মনে রাখবে অন্যের কথায় নিজের পড়ার স্টাইল কখনো পরিবর্তন করবে না। যদি পড়াশুনা স্টাইল পরিবর্তন করো ক্ষতি কিন্তু তোমার হবে। দ্যাখো বেশিরভাগ কনসাল্ট বা পরামর্শ যারা দিবে তারাই বলবে উচ্চারণে শব্দ করে পড়তে। আমি বলবো সঠিক পদ্ধতিতে, সঠিক পরিকল্পনা ও স্মার্ট রুটিনের সমন্বয়ের বিসিএস প্রিলি পাসের জন্য পড়ার স্বর নিচু, উচু বা গলা ফাটিয়ে যেভাবে ইচ্ছে হয় সিলেবাস শেষ করে সঠিক প্রস্তুতি নিতে মোটেই দেরি করবে না।

পড়ার ফাঁকে বিরতি

পড়ার ফাঁকে অল্প পরিমাণ বিরতি নিলে দোষের কিছু নেই। এই অল্প বিরতি ঘন্টার পরে কয়েক ঘন্টা না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রেখো কিন্তু।

অন্য পড়ার সাথে প্রতিদিন প্যাকটিস

প্রতিদিন অন্য যেকোনো টপিক বা বিষয়ের সঙ্গে তোমার রুটিনে যোগ করে নিতে ভূল করবে না ইংরেজি এবং গণিত। এই দুটো সাবজেক্ট অত্যন্ত যন্তসহকারে প্রিলি পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা জন্যে জোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারলে আল্লাহ যদি চাই প্রিলি পাসের পরে লিখিত পরীক্ষা অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। অন্য সাবজেক্ট কেন্দ্রীক পড়াশোনার সঙ্গে নিয়মিত বা প্রতিদিন ইংরেজি বা গণিত প্যাকটিস চলমান রাখবে।

সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস

দেশ-বিদেশ আগে পরে অনেক খবর আমাদের প্রতিনিয়ত জানার দরকার পড়ে সত্যিই কিন্তু একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত সংবাদ পড়া পরামর্শবিদরা বলে থাকে। আমি অনেকের বলতে শুনেছি, প্রতিদিন দুই ঘন্টার উপরে পত্রিকা পড়তে খুবই ভালো কথা আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী কিভাবে দুই পত্রিকা পড়বে?? আমার কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় পত্রিকা পড়া কারণ পত্রিকা আপডেট প্রয়োজন হয় ভাইভা সময়। যখন পাঠ আলোচনা করবো তখন বিস্তারিত বলবো।

স্মার্ট রিভিশন চক্র

প্রিয় শিক্ষার্থী তোমার লক্ষ্য ও ভিশন যদি হয় বিসিএস বা যেকোনো সরকারি চাকরি প্রথম শ্রেণী তাহলে কখনো মূখ্য বিষয় হবে না কত সময় ধরে পড়ছে তার হিসাব করা। অনেক পরামর্শ বিদগণের বলে থাকে দৈনিক আট ঘন্টার উপরে পড়াশোনা করলে চাকরি অনেকটা নিশ্চিত এমনটা ধারণা করে। কিন্তু আমি দেখেছি আমার সঙ্গে পরীক্ষা দেয়া একটি ছেলে প্রথমবারে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুরোপুরি বাজিমাত করে ছাঁড়ছে সরকারি চাকরি সমসাময়িক সময়ের মধ্যে পাঁচটি পেয়ে গেছে। কোনটা রেখে কোনটা জয়েন্ট করবে দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে গিয়েছিল। আমি বলতে চাই যদি চাকরি দরকার হয় তাহলে পড়ার মতো পড়তে হবে কতঘন্টা পড়াশোনা করছো মোটেই ব্যাখ্যা বা অজুহাত নয়। তোমাকে তৈরি করে নিতে হবে স্মার্ট রিভিশন চক্র। কিভাবে পড়া মনে রাখা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। বারবার পড়ে, লিখে, নোট করে, রিভিশন মাধ্যমে চেষ্ট করে যেতে কাঙ্খিত ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত।

গ্রুপ স্ট্যাডি

বিসিএস বা যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রুপ স্ট্যাডি অন্যতম ভূমিকা রাখে সত্যি কিন্তু এই কথা সত্যি সবার কপালে মিলে না। তাই বলে কি স্ট্যাডি থামিয়ে দিবে মোটেই না। অনেকে হয়তোবা বলবে অনলাইন ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে বা অনলাইন কোচিং করতে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অনলাইন গ্রুপ বা অনলাইন কোচিং কাঙ্খিত মানের পড়াশোনা কখনো হয়নারে ভাই। প্রিলি কিভাবে পাস করতে হবে, সিলেবাস কেমন, কত নম্বরের জন্য প্রস্তুতি নিলে প্রিলি পাস হবে তা জেনে সোজাসুজি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিদায় জানিয়ে নিবে। যদি তোমরা অনলাইন বিদায় নিতে পারো তোমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে তুমি নিশ্চিত থাকো।

নিয়মিত মডেল টেস্ট অংশগ্রহণ

বিসিএস প্রিলি বা লিখিত কিংবা ভাইভা এবং অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা ক্ষেত্রে অবশ্যই ফলো করবে। তোমার পড়াশোনা প্রস্তুতি পর্ব কয়েকবার রিভিশন না দেয়া কোথায়ও বা অনলাইনে মডেল টেস্ট পরীক্ষা অংশগ্রহণ করবে না। ক্যানো বলছি জানো, মূল প্রস্তুতি থেকে তোমরা দূরে সরে যেতে পারে অনায়াসে। অবশ্যই টেস্ট পরীক্ষা দেয়া রিভিশন সমতুল্য বিধায় পরিপূর্ণ প্রস্তুতি শেষ না করে গোলক ধাঁধায় মধ্যে পড়তে যাবে না। মনে রেখো নদী আর সাগর কখনো এক নয়রে ভাই। নদী সাঁতার কেটে হয়তোবা সম্ভব কূলে উঠা কিন্তু সাগরে সাঁতারে কখনো কূলে চিন্তা না করায় উচিত।

উপসংহার

উপরিক্ত আলোচনা শেষে আমরা সারাংশ অংশে বিশ্লেষণ করে দেখি। বিসিএস পরীক্ষাসহ যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষা পরিপূর্ণ মানসিক শক্তি খেলা। ভারতে সাবেক ক্যাপ্টেন কুল বয় ধনীর মতো সিদ্ধান্ত ধারণ করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা সবজান্তা চাইতে কৌশলী হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় ভাই-বোনেরা জীবনে শুধুমাত্র একবার যদি ভালো মানের প্রস্তুতি নিতে পারো তাহলে তোমার অন্যান্য জবেব ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকার আসবে কোনো সন্দেহ ছাড়া বলা যায়। সবাইতো মেধাবী হয়না বা জন্মগ্রহণ করে না। তোমার মেধা যেমনি হোক না ক্যানো পরিশ্রম ও অধ্যবসায় যৌথ প্রস্তুতি থাকলে তুমি সফল হবেই ইনশাআল্লাহ।

আরও পড়ুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url