OrdinaryITPostAd

ব্লকচেইন | ব্লকচেইন প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে

ব্লকচেইন ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার টেকনোলজি যা ডাটা স্টোর করে এবং ট্রানস্যাকশন প্রক্রিয়া করে। সাধারণত ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত হয় এবং স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ব্যবহার করে স্বচ্ছতার মান বাড়ায়।

লেজার যা নেটওয়ার্কে সংরক্ষিত হয় এবং পরিষ্কার ক্রম অনুসারে ডাটা স্টোর করে। ব্লক নতুন ডাটা অ্যাড করার আগে পূর্ববর্তী ব্লকে সংরক্ষিত তথ্যের হ্যাশ জেনারেট করে এবং সেই হ্যাশটি ব্লকে রেখে দেয়। সমস্ত ব্লক একসাথে চেইন তৈরি করে যা সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে রুট করা হয়। প্রতিটি নেটওয়ার্ক মেম্বার তাদের নিজস্ব কপি অফ ব্লকচেইন সংরক্ষণ করে এবং এই উপায়ে পূর্ণস্থানের কপি এবং পরিপূর্ণস্থান।

পোস্টের সূচিপত্র

ব্লকচেইন

ব্লকচেইন সুরক্ষিত লেজার সিস্টেম যা সাধারণত ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ডিস্ট্রিবিউটেড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ব্লকচেইন সিস্টেম ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম হওয়া থেকে তার দ্বারা সাধারণত সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের তুলনায় সুরক্ষিত এবং ট্রান্সপ্যারেন্ট সিস্টেম তৈরি করা যায়।ব্লকচেইনের উপযোগী বৈশিষ্ট্যগুলি হল ট্রান্সপ্যারেন্টি, সুরক্ষা এবং স্বচ্ছ নেটওয়ার্ক। ট্রান্সপ্যারেন্টির কারণে, ব্লকচেইনে সমস্ত ট্রানজেকশন সার্ভার করে এবং নেটওয়ার্কের উপর সকল ট্রানজেকশনের ডেটা উপস্থাপন করা হয়।

সুরক্ষার কারণে, ব্লকচেইনে তথ্য উন্নয়নের পূর্বে সকল ব্লকের অন্তত হ্যাশ যাচাই করা হয়। ব্লকচেইন সিস্টেমে সমস্ত নেটওয়ার্কের কম্পিউটার একসাথে কাজ করে ট্রানজেকশনগুলি সম্পন্ন করে। নেটওয়ার্কে নতুন ট্রানজেকশন প্রস্তুত করার সাথে সাথে ট্রানজেকশনটি নোড থেকে অন্য নোডে প্রেরণ করা হয়। প্রতিটি নোড কনফার্মেশন জেনারেট করে এবং সেটি নোডের পাঠানো কনফার্মেশনগুলির সাথে যোগ করে ব্লকচেইনের নতুন ব্লক তৈরি করে।

ব্লকচেইন প্রযুক্তি কি

ব্লকচেইন হল ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রযুক্তি যা সমস্ত ট্রানজেকশনের রেকর্ডকে সংরক্ষণ করে রাখে এবং ট্রানজেকশনের সত্যতা নিশ্চিত করে। ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার যা প্রতিটি নেটওয়ার্কের নোডের দ্বারা মেইন্টেইন করা হয়।ব্লকচেইনে ব্লক হিসেবে সমস্ত ট্রানজেকশন গুলি সংগ্রহ করা হয় এবং প্রত্যেকটি ট্রানজেকশনের হ্যাশ রেকর্ড হয়ে থাকে। সমস্ত ব্লক তৈরি করার পরে, ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশ এবং নাম্বার জন্য প্রফত্যয়ন তৈরি করা হয় যার মাধ্যমে পূর্বে তৈরি করা ব্লকের সাথে সংযোগ প্রদর্শিত হয়। এই প্রতিটি নতুন ব্লকে সমস্ত পূর্ববর্তী ব্লকের হ্যাশ আছে যা সিস্টেমের মহান লেজার সৃষ্টি করে।

সমস্ত নেটওয়ার্কের নোডে সমস্ত ব্লকচেইনে প্রতিটি ব্লকের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ব্লকে ট্রানজেকশনের উপর ডিজিটাল স্বাক্ষর থাকে যার মাধ্যমে ট্রানজেকশনটি যাচাই করা হয়। এছাড়াও ব্লকচেইনে কনসেনস প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় যা প্রতিটি নোডের মধ্যে সমস্ত ট্রানজেকশনের সত্যতা নিশ্চিত করে। প্রতিটি ট্রানজেকশন মান সংযুক্ত করে এবং নেটওয়ার্কে প্রেরিত হয়। প্রতিটি নোড প্রতিটি ট্রানজেকশনের সত্যতা নিশ্চিত করে এবং স্বাক্ষরকারী নোড নতুন ব্লক তৈরি করে যা পূর্বে নেতার ব্লকের উপর নির্ভর করে। নতুন ব্লক নেটওয়ার্কে প্রেরিত হয় এবং সমস্ত নোড একমত হওয়া পর্যন্ত নতুন ব্লক লেজারে যোগ হয়

ব্লকচেইন ডেভেলপার

ব্লকচেইন নতুন এবং উন্নয়নশীল প্রযুক্তি, যা ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমের মাধ্যমে স্বচ্ছতার জন্য সংগৃহীত সমস্ত তথ্য রেকর্ড করে। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করা হয় ব্লক নামক নির্দিষ্ট সংখ্যক তথ্য সেট গুলির রূপে। এই ব্লক গুলি একত্রিত হয় লক্ষ্য সংগ্রহকে বা সিস্টেমের নোড গুলির সাথে পার্য হওয়ার মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার তৈরি করে তারপর এই লেজারটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রতিদিনের কাজের জন্য উপস্থাপন করা হয়।

ব্লকচেইন ডেভেলপার হওয়ার জন্য, প্রথমে ক্রিপ্টোগ্রাফি, ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম এবং ডাটা স্ট্রাকচার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেওয়া প্রয়োজন।

ব্লকচেইন ডেভেলপার হওয়ার জন্য আরও কিছু উপকরণ এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞান রয়েছে, যা নিম্নলিখিতঃ

  • প্রোগ্রামিং ভাষা: একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার হতে হলে তিনি কমপক্ষে প্রোগ্রামিং ভাষার জ্ঞান রাখতে হবে, যেমন C++, Java, Python ইত্যাদি।
  • স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট: স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট হল কন্ট্র্যাক্ট, যা ডিস্ট্রিবিউটেড এবং অটোমেটিক ভাবে পরিচালিত হয়। ব্লকচেইনের কাজের সাথে সম্পর্কিত এবং ব্লকচেইন ডেভেলপাররা স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট লেখার জন্য জ্ঞান রাখতে হবে।
  • পরীক্ষা এবং ডেবাগিং: সফল ব্লকচেইন ডেভেলপার হওয়ার জন্য একজন ডেভেলপার প্রোগ্রামিং এর সবচেয়ে বড় কাজটি হল তাদের কোড টেস্ট করা এবং ডেবাগ করা।
  • ক্রিপ্টোগ্রাফি: ব্লকচেইন ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রযুক্তি হিসাবে কাজ করে এবং সুরক্ষিততা এর জন্য একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার ক্রিপ্টোগ্রাফি এর জ্ঞান রাখতে পারে।
  • নেটওয়ার্কিং: ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক হিসাবে কাজ করে এবং ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম হিসাবে কাজ করে। সুতরাং, ব্লকচেইন ডেভেলপার হতে হলে নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।
  • ডেটা স্ট্রাকচার: ব্লকচেইন ডেটা স্ট্রাকচার হিসাবে কাজ করে এবং ব্লকচেইন ডেভেলপার হওয়ার জন্য একজন ডেভেলপার ক্ষেত্রে ভাল ধারণা থাকা প্রয়োজনীয়।
  • ব্লকচেইন প্রকল্প ফ্রেমওয়ার্ক: ব্লকচেইন প্রকল্প ফ্রেমওয়ার্ক সহজে ব্লকচেইন প্রকল্প তৈরি করতে সহায়তা করে।
  • স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট: স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট কোড হিসাবে কাজ করে এবং ব্লকচেইন ডেভেলপার স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট এর বিষয়ে জ্ঞান থাকতে পারে।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং: ব্লকচেইন ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম হিসাবে কাজ করে। ব্লকচেইন ডেভেলপার হওয়ার জন্য একজন ডেভেলপার ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং এর জ্ঞান রাখতে হবে।
  • ব্লকচেইন এপ্লিকেশন: ব্লকচেইন প্রয়োজনীয় প্রয়োজন এবং একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার ব্লকচেইন এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি: ব্লকচেইন এর জনপ্রিয় ব্যবহার হল ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার হতে হলে তাকে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে জানা উচিত।
  • স্কেলিং সলিউশন: ব্লকচেইন প্রয়োগ স্কেল করা প্রয়োজন হলে একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার স্কেলিং সলিউশন বিষয়ে জানা উচিত।
  • প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি: ব্লকচেইন প্রয়োগ সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি জন্য জানা উচিত।
  • টোকেন স্ট্যান্ডার্ড: ব্লকচেইন ব্যবহার করে টোকেন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হলে ব্লকচেইন ডেভেলপারকে টোকেন স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ে জানা উচিত।
  • ইথারিয়াম ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট: ইথারিয়াম ব্লকচেইন হল বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লকচেইন। আরও পরিষেবা এবং এপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য ইথারিয়াম ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট জানা উচিত।
  • স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট: স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট হল ব্লকচেইন টেকনোলজির প্রধান উপাদান। একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার হলে স্মার্ট কন্ট্র্যাক্ট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানা উচিত।
  • হাইব্রিড ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট: হাইব্রিড ব্লকচেইন হল পাবলিক এবং প্রাইভেট ব্লকচেইনের কমপ্লেক্স ভার্সন। প্রয়োজনে কম্পানীগুলি প্রাইভেট ব্লকচেইন ব্যবহার করতে পারে এবং পাবলিক ব্লকচেইন সম্পর্কে জানা উচিত যাতে সম্পূর্ণ উপযোগী হতে পারে।
  • ডিস্ট্রিবিউটেড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট: ডিস্ট্রিবিউটেড অ্যাপ্লিকেশন ব্লকচেইনের সাথে সম্পর্কিত। একজন ব্লকচেইন ডেভেলপার হলে ডিস্ট্রিবিউটেড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট জানা উচিত।
  • কনসেনস প্রোটোকল : কনসেনস প্রোটোকল হল ব্লকচেইন টেকনোলজিতে ব্যবহৃত পদক্ষেপ যা ব্লকচেইনের সমস্ত নেটওয়ার্ক মেম্বার দ্বারা নির্দিষ্ট সমঝোতার উপর ভিত্তি করে সংগঠিত হয়। কনসেনস প্রোটোকলের উদ্দেশ্য হল ব্লকচেইন নেটওয়ার্কে পাঠানো সমস্ত ট্রানজেকশনগুলির সঠিকতা এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নেটওয়ার্কের সমস্ত মেম্বার দ্বারা সমস্ত পার্টির মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজ করা।
সংগঠিত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে, কনসেনস প্রোটোকলে প্রত্যেক নেটওয়ার্ক মেম্বার নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তাদের ট্রানজেকশন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞাত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠায়।

ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে

ব্লকচেইন হলো ডিস্ট্রিবিউটেড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। ব্লকচেইনের প্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিটকয়েন। কিন্তু আরও অনেক ব্যবহার এসেছে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে। ব্লকচেইন সিস্টেম বিভিন্ন কম্পিউটারে স্টোর করা ডেটা ব্লক হিসাবে রাখে। এই ব্লকগুলি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়। প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশ ফাংশন দ্বারা সংশোধনযোগ্য। এই হ্যাশ ফাংশন স্বতন্ত্র ডাইজেস্ট তৈরি করে যা একই ব্লকের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি করা যায় না।

ব্লকচেইনে নতুন ব্লক যোগ করার জন্য নেটওয়ার্কের মেম্বারদের কম্পিউটারে রয়েছে কমপ্লেক্স প্রক্রিয়া। নতুন ব্লক তৈরি করার পর নেটওয়ার্কে প্রেরণ করা হয়। এরপর ব্লকটি নেটওয়ার্কের অন্য মেম্বারদের দ্বারা যাচাই করা হয়। ব্লকটি যদি বৈধ হয় তবে নেটওয়ার্কের অন্য মেম্বারদের দ্বারা গ্রহণ করা হয়। নেটওয়ার্কের মেম্বার ব্লক গ্রহণ করলে সে নতুন ব্লক এর তথ্য নিজের কম্পিউটারে স্টোর করে রাখে। এভাবে নতুন ব্লক যোগ করা থেকে পূর্বে সংরক্ষিত সকল ব্লকের তথ্য নতুন ব্লকের সাথে লিঙ্ক হয়ে যায়। এভাবে পূর্বের সকল ব্লকের তথ্য একত্রিত হয়ে যায় এবং ব্লকচেইন তৈরি হয়।

ব্লকচেইন কোর্স

ব্লকচেইন উন্নয়নশীল এবং নতুন প্রযুক্তি, এবং নির্ভরশীল বিষয় সমূহ এমনকি নতুন ব্যবসার মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন করে তুলে ধরা হয়। তাই ব্লকচেইন নিয়ে বিভিন্ন কোর্স সমূহ উপলব্ধ রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ব্লকচেইন এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলি শিখতে পারেন।

যেমন কিছু পরিচিত ব্লকচেইন কোর্স হল:

  • Coursera- Blockchain Basics
  • edX- Blockchain Technology
  • Udemy- Blockchain A-Z™: Learn How To Build Your First Blockchain
  • Blockchain Council - Certified Blockchain Developer
  • IBM Blockchain Foundation for Developers

এই কোর্স সমূহ আপনাকে ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করতে এবং ব্লকচেইন সিস্টেম তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন এবং নতুন একক প্রযুক্তি উন্নয়নের কাজ করতে পারেন।

এছাড়াও অনলাইনে বিভিন্ন স্থানে ব্লকচেইন সম্পর্কিত পাঠক্রম উপলব্ধ রয়েছে। এই অনলাইন পাঠক্রমগুলির মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ নতুন ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি শিখতে পারেন।

কিছু জনপ্রিয় অনলাইন ব্লকচেইন কোর্স হল:

  • Blockchain Revolution Specialization - Coursera
  • Blockchain Fundamentals - edX
  • Bitcoin and Cryptocurrency Technologies - Coursera
  • IBM Blockchain Foundation for Developers - IBM
  • ConsenSys Academy - ConsenSys

এছাড়াও, আপনি ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ব্লকচেইন এবং সম্পর্কিত বিষয়গুলি শিখতে পারেন।

কিছু পরিচিত ইউটিউব চ্যানেল হল

  • Ivan on Tech
  • Dapp University
  • Blockchain Training Alliance
  • Blockchain Insider
  • Crypto Daily

এই সমস্ত অনলাইন সূত্রগুলি ব্যবহার করে আপনি ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারেন।

এখানে ব্লকচেইন সম্পর্কে ১৫ টি

  • ব্লকচেইন বিকেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা: প্রথাগত ডাটাবেসের বিপরীতে, ব্লকচেইন কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন নয়। পরিবর্তে, বিতরণ করা সিস্টেম, যার অর্থ নেটওয়ার্কের সমস্ত নোড দ্বারা ভাগ করা হয়।
  • ব্লকচেইন হল খাতা: এর মূলে, ব্লকচেইন হল খাতা, যার মানে রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা। ডিজিটাল লেজার যা নেটওয়ার্কে সংঘটিত সমস্ত লেনদেনের ট্র্যাক রাখে।
  • ব্লকচেইন অপরিবর্তনীয়: একবার ব্লকচেইনে ডেটা রেকর্ড করা হলে তা পরিবর্তন করা যায় না। এর কারণ হল চেইনের প্রতিটি ব্লকে অনন্য ক্রিপ্টোগ্রাফিক হ্যাশ রয়েছে যা পূর্ববর্তী ব্লকের ডেটার উপর নির্ভরশীল।
  • ব্লকচেইন সুরক্ষিত: যেহেতু চেইনের প্রতিটি ব্লকে অনন্য হ্যাশ থাকে যা পূর্ববর্তী ব্লকের ডেটার উপর নির্ভরশীল, ব্লকচেইনের সাথে টেম্পার করা খুবই কঠিন। উপরন্তু, কারণ বিকেন্দ্রীকৃত, ব্যর্থতার কোনো একক পয়েন্ট নেই যা হ্যাকারদের দ্বারা আক্রমণ করা যেতে পারে।
  • ব্লকচেইন স্বচ্ছ: ব্লকচেইনের সমস্ত লেনদেন নেটওয়ার্কের প্রত্যেকের কাছে দৃশ্যমান, তবে লেনদেনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় গোপন রাখা হয়।
  • ব্লকচেইন ছদ্মনাম: লেনদেনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় গোপন রাখা হলেও, লেনদেনগুলি এখনও সর্বজনীন, যার মানে তাদের সনাক্ত করা যেতে পারে।
  • ব্লকচেইন বিশ্বাসহীন: ব্লকচেইন বিকেন্দ্রীকৃত হওয়ায় দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাসের কোনো প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে, নেটওয়ার্কের নোডগুলির মধ্যে লেনদেনগুলি ঐকমত্য দ্বারা যাচাই করা হয়।
  • ব্লকচেইন হল ডিজিটাল মুদ্রা: ব্লকচেইন প্রযুক্তির সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাপ্লিকেশন হল বিটকয়েন, ডিজিটাল মুদ্রা যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি।
  • ব্লকচেইন প্রোগ্রামেবল: লেজার হওয়ার পাশাপাশি, ব্লকচেইনও প্রোগ্রামেবল। জটিল লেনদেন স্বয়ংক্রিয় করতে ব্লকচেইনে স্মার্ট চুক্তি লেখা যেতে পারে।
  • ব্লকচেইন এনার্জি-ইনটেনসিভ: ব্লকচেইনে নতুন ব্লক মাইনিং করার জন্য প্রচুর কম্পিউটেশনাল পাওয়ার প্রয়োজন, যার মানে খুবই এনার্জি-ইনটেনসিভ।
  • ব্লকচেইন ভুল নয়: ব্লকচেইন খুব নিরাপদ হলেও ভুল নয়। এমন উদাহরণ রয়েছে যেখানে ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক আক্রমণ করা হয়েছে এবং আপস করা হয়েছে।
  • ব্লকচেইন এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে: ব্লকচেইন প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে, এখনও অপেক্ষাকৃত নতুন প্রযুক্তি। এখনও অনেক গবেষণা এবং উন্নয়ন আছে যা এর সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করার জন্য করা দরকার।
  • Blockchain শুধুমাত্র মুদ্রার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে: ব্লকচেইন প্রযুক্তির সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাপ্লিকেশন হল Bitcoin, সরবরাহ চেইন ম্যানেজমেন্ট থেকে ভোটিং সিস্টেম পর্যন্ত বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ব্লকচেইন সিলভার বুলেট নয়: ব্লকচেইন খুব শক্তিশালী প্রযুক্তি হলেও, সিলভার বুলেট নয় যা বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। এটার সীমাবদ্ধতা বোঝা এবং কেস ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্লকচেইন এখানে থাকার জন্য: এর সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, ব্লকচেইন রূপান্তরকারী প্রযুক্তি যা এখানে থাকার জন্য রয়েছে। ক্রমাগত বিকশিত এবং উন্নতির সাথে সাথে, নিঃসন্দেহে বিশ্বের ভবিষ্যত গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে।

ব্লকচেইন বাংলাদেশ

ব্লকচেইন প্রযুক্তি এখন বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের সাথে অভিনব ক্ষমতা উদ্ধৃত করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু উদাহরণ হল:

    ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন এবং বিচারপতি সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল্যপরিশোধের সিস্টেম উন্নয়ন করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা বাড়ানো হচ্ছে এবং নতুন উদ্যোগ গ্রহণে সাহায্য করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি এবং পরিবহন সেক্টরে প্রযুক্তি উন্নয়ন করা হচ্ছে
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সেবার মান এবং সময় নির্ভরযোগ্য হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মচারীদের মানদণ্ড ও বেতন পরিচালনা করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীর মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নগদ টাকা সংগ্রহ এবং স্বত্ত্ব বিক্রয়ের পদ্ধতি সুস্থায়িত করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবহন সেক্টরে পারদর্শী এবং নিরাপদ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমানত মুদ্রণ এবং সম্পদ পরিচালনা করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা সেক্টরে ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হচ্ছে। যেমন নিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং বৈদেশিক উন্নয়নের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসায়িক সেবা এবং লেনদেন এর জন্য নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানো হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যিক পণ্যের মান নির্ধারণ এবং মূল্য অনুমান করা হচ্ছে।
  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইবার নিরাপত্তা ও দ্বিপক্ষের নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সাইবার আক্রমণ, ডাটা লিকেজ এবং দ্বিপক্ষের হানি প্রতিরোধে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • ব্লক চেইন টেকনোলজি

    ব্লকচেইন টেকনোলজি হল পূর্বগতিক ডিজিটাল রেকর্ড করার পদ্ধতি যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে নিরাপদ এবং স্থায়ী ট্রানসকশন হিস্টোরি রাখতে ব্যবহৃত হয়। ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম যা ব্লক নামে পরিচিত করা হয়। সম্পূর্ণ পাবলিক নেটওয়ার্ক যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেসট্রিবিউটেড এবং ট্রান্সপারেন্ট হয়।

    ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করে ট্রানসকশন সিস্টেমে নিরাপদ এবং স্থায়ী পরিবর্তন হয়। সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমের চেয়ে বেশি নিরাপদ এবং ট্রান্সপারেন্ট। সেলফ-রেগুলেটিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে যা নিরাপদ এবং ট্রান্সপারেন্ট ট্রানসকশন সিস্টেম প্রদান করে।

    উপসংহার

    ব্লকচেইন ডিজিটাল ব্যাবসায়িক মডেল যা সিস্টেমের দ্বারা পরিচালিত হয়। নিরাপদ এবং স্থায়ী ট্রানসকশন সিস্টেম প্রদান করে যা পূর্ববর্তী টেকনোলজির তুলনায় সেন্ট্রালাইজড এবং ট্রান্সপারেন্ট। ব্লকচেইন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিরাপদ ট্রানসকশন প্রদান করতে পারেন এবং অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলি ট্রান্সপারেন্ট হয়। ব্লকচেইন ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং ম্যাথেম্যাটিক্যাল কনসেপ্ট না জানে সম্ভব হয় কারণ পূর্ববর্তী টেকনোলজির তুলনায় বেশি সহজ এবং ট্রান্সপারেন্ট।

    ব্লকচেইন টেকনোলজির সঙ্গে ক্রিপ্টোগ্রাফি সম্পর্কিত উন্নয়নগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url