OrdinaryITPostAd

রক্তচাপ কম হলে খাওয়ার জন্য খাবার বেছে নিন

রক্তচাপ হল রক্তের দাবি যা হৃদয়ের বেটনগুলির প্রয়োজনে উঠে। হৃদয়ের পাম্প নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পরিবেশন করে। রক্তচাপ দুটি সংখ্যায় মাপা হয় - সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক। সিস্টোলিক রক্তচাপ হল হৃদয়ের বেটনগুলি শক্তিশালী হতে পারে কিন্তু হালকা মধ্যবর্তী স্তরে থাকতে হবে। সিস্টোলিক রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে ১১০-১২০ মিমিটার পার হয়।

ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ হল হৃদয়ের বেটনগুলি স্বল্প বলে পাম্প করতে পারে কিন্তু নিম্ন মধ্যবর্তী স্তরে থাকতে হবে। ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে ৭০-৮০ মিমিটার পার হয়। রক্তচাপের মান বিভিন্ন কারণে উভয় উচ্চ হতে পারে এবং স্বাভাবিক নয়। কিছু কারণ হল শরীরীক ও মানসিক অবস্থার অনেকাংশ ভূমিকা রাখে।

পোস্টের সূচিপত্র

  • রক্তচাপ কি
  • সুস্থ মানুষের রক্তচাপ কত থাকে
  • রক্তচাপ কমানোর উপায়
  • রক্তচাপ কমে গেলে করণীয়
  • রক্তচাপ মাপার যন্ত্র
  • রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের নাম কী
  • রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের দাম কত

রক্তচাপ কি

রক্তচাপ হল হৃদয়ের পাম্প করা রক্তের দাবার এবং মাপে প্রকাশিত হয় বাড়তি ও কম হওয়ার ক্ষমতা। সাধারণত রক্তচাপটি মিলিমিটার পার্সেকে বা মিলিমিটার মার্কিন্স এককে মাপা হয়। রক্তচাপের উচ্চতা হল সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং নিম্নতা হল ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ। রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন কারণে উত্তেজনামূলক বা চিন্তামূলক স্থিতিতে পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু অধিক রক্তচাপ হলে সমস্যা হতে পারে এবং চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। রক্তচাপ হল রক্তের দাবার যেটা হৃদয়ের পাম্প করে জমে থাকে। রক্তচাপের মাত্রা নরমালি দৈহিক কাজ সম্পাদনের সময় প্রতি প্রাণীর উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা নরমালি নিম্নলিখিত হলো:

  • উপরোধক রক্তচাপ: সিস্টোলিক রক্তচাপ (অর্থাৎ হৃদয়ের কাজকর্মের সময় রক্তের দাবার) যদি ১২০ মিমিটার পাসকাল (mmHg) না হয় তবে নরমাল হিসাবে বিবেচিত হয়।
  • নিম্নতর রক্তচাপ: ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (অর্থাৎ হৃদয়ের আরামকেন্দ্রের সময় রক্তের দাবার) যদি ৮০ মিমিটার পাসকাল (mmHg) না হয় তবে নরমাল হিসাবে বিবেচিত হয়।
  • রক্তচাপ গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ যা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। অতিরিক্ত রক্তচাপ হল হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস

সুস্থ মানুষের রক্তচাপ কত থাকে

স্বাভাবিকভাবে, একজন সুস্থ মানুষের উচ্চতর রক্তচাপ হলো ১২০ মিমিটার পার্কিনসনের সিস্টলিক প্রেশার (Systolic pressure) এবং ৮০ মিমিটার পার্কিনসনের ডায়াস্টোলিক প্রেশার (Diastolic pressure)। এই পরিমাণ রক্তচাপকে ১২০/৮০ এর মান দেয়া হয়। তবে, এই মানগুলি মানব শরীরে সাধারণত পরিবর্তিত হতে পারে এবং বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা, পরিবারের ইতিহাস, খাদ্য ও পানীয় উপভোগ এবং অন্যান্য কারণ। তাই, একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ মাপার পরে সেটি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা যে কারণে

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যার কারণগুলি বা একাধিক হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া বা বিশ্রাম না নেওয়া।
  • জীবনযাপনে কম কাজ করা।
  • স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন হৃদয়ের সমস্যা, কিডনি সমস্যা এবং ডায়াবেটিস।
  • কিছু ওষুধ নেওয়া যেমন হাইপারটেনশন ও ডিপ্রেশনের ওষুধ।
  • নিরাপদ এবং সম্মত নয় ডায়েট প্ল্যান বা খাদ্য সামগ্রী নেওয়া।
  • স্থিতি যেমন গরম হওয়া, উষ্ণ স্থানে থাকা, সমুদ্রতট পরিস্থিতি এবং উচ্চ আদর্শ উচ্চতা এবং ঠান্ডা স্থানে থাকা।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার ওষুধ

সাধারণত এই সমস্যার কারণ সম্পর্কে জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তচাপ কমানোর উপায়

রক্তচাপ কমানোর উপায় নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • শাক সবজি খাওয়া: শাক সবজি বহুমুখী স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য এবং বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম এবং ফাইবারের মাধ্যমে রক্তচাপ কমানোয় সহায়তা করে।
  • কম নামি খাওয়া: নামি বন্ধ করা অস্বাস্থ্যকর উপাদান যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। কম নামি খাওয়া প্রয়োজন হলে, পরিমাণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
  • উচ্চ সোডিয়াম খাদ্য থেকে বিরত থাকুন: উচ্চ সোডিয়াম খাদ্য সর্দিতে রক্তচাপ বাড়াতে পারে তাই স্যাল্টে রুচি বা সোডিয়াম বিশিষ্ট খাদ্য থেকে বিরত থাকুন।
  • ওমেগা ৩ খাওয়া: মাছ, বাদাম, তিল এবং ক্যানোলা তেল ইত্যাদি ওমেগা ৩ খাদ্য রক্তচাপ কমানোর সাথে সাথে হৃদয় স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে সাহায্য করে।
  • ব্যায়াম করা: নিয়মিত করা উচিত
  • ওজন কমানো: বেশি ওজন থাকলে রক্তচাপ বাড়ায় তাই ওজন কমানো সাধারণত রক্তচাপ কমানোর জন্য ভালো।
  • বিশ্রাম পালন করা: অতিরিক্ত কাজের জন্য কম বিশ্রাম ও তন্দ্রাচ্ছন্ন জীবনযাপন রক্তচাপ বাড়াতে পারে তাই নিয়মিত ও যথাযথ সময়ে বিশ্রাম পালন করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা: নিরাপদ জীবনযাপন এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • সিগারেট ছেড়ানো: সিগারেটে অস্থির করা রক্তনালীর পাশাপাশি সিগারেটে নেশা সর্দি হওয়া রক্তচাপকে বাড়াতে পারে তাই সিগারেট ছেড়ানো সহায়তা করতে পারে।
  • নিয়মিত চেকআপ: নিয়মিত চেকআপ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রতি সপ্তাহ একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

রক্তচাপ কমে গেলে করণীয়

যদি রক্তচাপ কমে গেলে, তবে নিম্নলিখিত কিছু করনীয় রয়েছে:

  • বিশ্রাম নেওয়া: ব্যস্ত জীবনযাপনের সময়ে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। আরামদায়ক স্থানে বসে থাকা ও বিশ্রাম নেওয়া কম রক্তচাপ উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
  • পানি পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করা রক্তচাপ উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
  • পরিমিত নখল করা: পরিমিত সংখ্যক নখল করা যাকে আরাম করে তাদের রক্তচাপ বাড়ানো সহায়তা করতে পারে।
  • প্রয়োজনে রক্তচাপ বাড়ানো পাঠানো: যদি এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তির রক্তচাপ খুব কম হয়, তবে ডাক্তার পরামর্শ দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে নিশ্চিত পরিমাণে রক্তচাপ বাড়ানো জরুরি হতে পারে।
  • খাদ্য সম্পর্কে যত্ন নেওয়া: খাদ্যে হাই সল্ট বা কর্ণ স্পাইসি খাবার খাওয়া উচিত

রক্তচাপ মাপার যন্ত্র

রক্তচাপ মাপার যন্ত্রগুলি ডিজিটাল উপকরণ যা ব্যবহার করে রক্তচাপ মাপা হয়। রক্তচাপ মাপার এই যন্ত্রগুলির সাধারণত দুটি প্রকার আছে- মাপের যন্ত্র এবং অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্র। মানুয়ের রক্তচাপ মাপার যন্ত্র স্ফীতক প্রণালী ব্যবহার করে রক্তের চাপ মাপে। এই প্রণালী মাপ বা ম্যানোমিটার ব্যবহার করে। এই মাপের অংশ হল সিস্টলিক চাপ এবং অন্য অংশ হল ডায়াস্টলিক চাপ। রক্তচাপ মাপার যন্ত্র ব্যবহার করে মাপটি সঠিকভাবে পড়া হয় এবং প্রতিবার মাপ করা হয় তাকে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে। অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্র স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা রক্তচাপ মাপতে ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রক্তচাপ মাপে এবং পরিমাপকারী ব্যক্তিকে সঠিক রক্তচাপ মাপার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্দেশাবলী দেয়। অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি বড় স্ক্রিন দিয়ে সঠিক রক্তচাপ মাপার তথ্য প্রদর্শন করে। এছাড়াও এই যন্ত্রটি আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে রক্তচাপ মাপে উচ্চতর স্তরে নিশ্চিততা দেয়। এছাড়াও এই যন্ত্রটি স্মার্ট ফিচার রয়েছে যা রক্তচাপ মাপার তথ্য সংরক্ষণ করে এবং বিভিন্ন সময়কাল এবং তথ্যসংগ্রহ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়।

অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্র হল এক মেডিকেল ডিভাইস যা রক্তচাপ মাপতে ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্রটি বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হয় যেমন ডাক্তারের চেম্বার, হাসপাতাল, মেডিকেল ক্লিনিক, ফার্মেসি, ঘরে বসে স্বাস্থ্য পরিস্কার কেন্দ্র ইত্যাদি। ডাক্তারের চেম্বারে অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্র ব্যবহার করে ডাক্তাররা রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এছাড়াও হাসপাতালে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে প্রতিদিন রোগীদের রক্তচাপ মাপা হয়। এই যন্ত্রটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরিস্কার কেন্দ্রে ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্য পরিস্কার কেন্দ্রে অটোমেটিক রক্তচাপ মাপার যন্ত্রটি ব্যবহার করে কর্মীরা রোগীদের স্বাস্থ্য অবস্থার উন্নয়ন করে থাকেন।

রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের নাম কী

রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের নাম হল "স্ফিগমানোমিটার" (Sphygmomanometer)। ব্লাড প্রেশার মাপার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং হাইপারটেনশন, লো ব্লাড প্রেশার, হৃদরোগ।

রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের দাম কত

রক্তচাপ মাপার যন্ত্রের দাম বিভিন্ন প্রকার ও মডেলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণত প্রস্তুতকারক ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক উন্নয়ন করে যা সম্প্রতি আমার জানা তথ্য মোতাবেক প্রায় ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রেতার দিকে হতে ভিন্ন দাম রাখতে পারে।

এছাড়াও কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • ওম্রন হেলথকেয়ার ডিজিটাল রক্তচাপ মঞ্চ দাম প্রায় ২,৫০০ টাকা।
  • Beurer BM55 ডিজিটাল রক্তচাপ মাপক দাম প্রায় ৫,০০০ টাকা।
  • ওম্রন হেলথকেয়ার এবং বেউরার হাই-এন্ড মডেল, যেমন Omron Evolv বা Beurer BM77 সম্প্রতি প্রায় ২৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রিত হয়।
তবে, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র কেনার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে হবে যে কোনও নির্দিষ্ট মডেল আপনার কোনটি ক্রয় করবেন তা বেছে নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url