OrdinaryITPostAd

buy train tickets online | bangladesh railway e ticket

২০২২ সালে শুরু হওয়া ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য নতুন নির্দেশিকা দিয়েছিল বাংলাদেশ রেল কর্তৃক। ২০২৩ সালে এখানো পর্যন্ত কোনো নতুন তথ্য প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেনি। তাই ধারণা করা হচ্ছে আগের মতো করে অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতে রেলওয়ে বা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবে আমজনতা সবাই। ইতোমধ্যে আপনারা ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের নতুন নিয়ম বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়া কল্যাণে। নতুননির্দেশিকা অনুযায়ী মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে কীভাবে দ্রুত ট্রেনের টিকিট বুক করবেন। আমি আজ যে পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো চেষ্টা করবো ধাপে ধাপে কি সেই পদ্ধতির জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।

দ্রুত ও সহজতম উপায়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হলে প্রথমে যা করবেন। আপনার স্মার্টফোনটি পকেট অথবা বালিশের নিচে থেকে বের করে গুগল প্লে-স্টোর।

গুগল প্লে-স্টোর

আমি নিশ্চিত আপনার স্মার্টফোন ,পিসি বা ল্যাপটপের সামনে বসে পড়েছেন। আর হ্যাঁ, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে প্রথমে গুগল প্লে-স্টোর গিয়ে লিখুন রেল সেবা (অবশ্যই লাস্ট আপডেট দেখে নিবেন) তারপরে এন্টার চাপ দিন। তার আগে নিচের তথ্যগুলো একনজরে চোখ বুলিয়ে নিতে মোটেই দেরি করবেন না কারন গুগল প্লে-স্টোরে একুই নামে হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে যা আপনার স্মার্টফোনের স্কিনের ভেসে থাকবে এবং একুই নামে অনেকগুলো অ্যাপস। যা একনজরে দেখে নিবেন।


সহজ যাত্রীসেবার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘রেল সেবা’ অ্যাপ প্রকাশ করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই তাদের পছন্দের ট্রেনের টিকিট অর্ডার করতে পারবেন। বুধবার (২২ জুন) রেল ভবনে নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘রেল সেবা’ উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এইবার আসুন অ্যাপেসের সম্পর্কে সামান্য কিছু ধারণা নিই।

রেল সেবা অ্যাপ

গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করার পূর্বে আপনার জন্য উচিত হবে যে অ্যাপ ফোনে ইন্সটল করতে চলেছেন তার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখা। যদি আপনি ভুল অ্যাপ ডাউনলোড করে ফেলেন ফোনের স্টোর অহেতুক পরিপূর্ণ হয়ে যাবে সাথে স্মার্টফোন দারুণ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেন।

অ্যাপসের

গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করার পরে আপনি অ্যাপসটি অপেন অথবা প্রবেশের সময় তাদের নীতিমালার সঙ্গে একমত কিনা জিজ্ঞাসা করবে। যদি একমত হন অ্যাপসে প্রবেশ করতে দিবে আর আপনি একমত না হন তাহলে অ্যাপসে ঢুকতে পারবেন না। আপনার প্রথম কাজ হবে “আমি রাজি” মানে হল একমত পোষণ করবেন।

অ্যাপসের ফাস্ট লুকিন

অ্যাপসের প্রথম লুকিন কেমন তা দেখে নিন। অনেকের অন্যরকম আসতে পারে । খেল রাখবেন ভুলে অন্যকোনো অ্যাপস আপনার ফোনে ডাউনলোড করে না ফেলেন।


তাহলে অ্যাপসের প্রথম কি কি দেখতে পারছি একনজরে দেখে নি-

  • ফর্ম (সিলেক্ট স্টেশন)- এর অর্থ আপনি যে স্থান থেকে ভ্রমন করতে ইচ্ছুক সেই স্থানের ঠিকানা। উদাহরণ হিসাবে- ঢাকা বিমান বন্দর থেকে জয়দেবপুর যাবেন। তাহলে ফর্ম সিলেক্ট স্টেশন ঘরে লিখবেন ঢাকা বিমান বন্দর (অবশ্যই ইংরেজিতে) লিখবেন।
  • টু(সিলেক্ট স্টেশন)- এটার অর্থ আপনার গন্তব্যে স্থলে ঠিকানা অর্থ্যাৎ যে স্থানে ভ্রমন করতে ইচ্ছুক সেই স্থানের নাম লিখবেন। উদাহরণ - আপনি যেতে চান ঢাকা বিমান বন্দর টু জয়দেবপুর তাহলে আপনি টু সিলেক্ট স্টেশনের ঘরে জয়দেবপুর (অবশ্যই ইংরেজিতে) লিখবেন।
  • ক্লাস(সিলেক্ট ক্লাস)- এর অর্থ হল আপনি কোন ধরনের সিটে ভ্রমন করতে চান সেটা। যে ধরনের সিটে ভ্রমন করতে চান তার ধরন সিলেক্ট করে দিবেন। ক্লাস সিলেক্ট ক্লাস ঘরে লিংক করলেই আপনার কাঙ্খিত সিটের ধরন সবগুলো শো করবে ওখান পছন্দসই সিট বাছাই করে লিংক করবেন।
  • যাত্রার তারিখ(সিলেক্ট তারিখ)- এটার অর্থ হল কোন তারিখে যাত্রা করবেন সেটা আপনি সিলেক্ট করে দিবেন।
  • সার্চ(ট্রেন)- আপনি যে স্থানে গমন করতে ইচ্ছুক সেই রুটের ট্রেন লিস্ট দেখতে পারবেন তাছাড়া আরও দেখে নিবেন ট্রেনটি কোন কোন কোন স্টেশনে থামবে। আপনার যাত্রা শুভ হোক।

ফর্ম (সিলেক্ট স্টেশন) ঘরে যে স্থান থেকে ভ্রমন করতে চান তা লিখলেন, টু (সিলেক্ট স্টেশন) ঘরে যে গন্তব্যে উদ্দেশ্য যাবেন তা লিখলেন, ক্লাস(সিলেক্ট ক্লাস) কি ধরনের সিটের আপনি ভ্রমন করতে পছন্দ করেন তা সিলেক্ট করলেন, যাত্রার তারিখ সিলেক্ট করার পরে আপনি “সার্চ ট্রেন” লেখা অপশনে চাপ দিবেন। আপনি যে ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সেটার উপরে নির্ভর করবে ট্রেনের লিস্ট শো হতে ততক্ষণসময়লাগবে। এইরকম ইন্টারফেস আপনার সিলেক্ট অপশনগুলো ন্যায়। উদাহরণ-


যে স্টেশন থেকে যাত্রা করবেন ও যে স্টেশনে উদ্দেশ্য যাত্রা করবেন,সিট সিলেক্ট করেছেন এবং যাত্রার তারিখ দিয়ে “সার্চ ট্রেন” অপশনটি চাপ দেওয়ার পরে এমন ইন্টারফেস আপনার প্রদর্শন হবে। যে চলাচল করতে ইচ্ছুক সেই রুটের সবগুলো ট্রেনের নামের লিস্ট এবং খালি সংখ্যা কত আছে তা দেখাবে প্রতিটা ট্রেনের নামের পাশে। উদাহরণ দিলে আরও পরিস্কার হবে আপনার আমি ঢাকা বিমান বন্দর থেকে জয়দেবপুর স্টেশনে যাবে। তখন আমার সামনে উপরে চিত্র অনুযায়ী ট্রেন লিস্ট দেখাবে আমিতো সবগুলো ট্রেনে একসাথে ভ্রমন করতে পারবো না । তাই আমাকে ট্রেন সিলেক্ট করে নিতে হবে। যেমন-


আপনার যে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাবেন রুট অনুযায়ী কতগুলো ট্রেন সার্ভিসে আছে তা দেখতে পারবেন আর দেখতে পাবেন কতটি সিট খালি রয়েছে। যে ট্রেনটিতে সিট এভেইলেবল দেখাবে সেটিতে সিলেক্ট করবেনট্রেন ডিটেলস উপরে চাপ দিলে উক্ত ট্রেন কোন কোন স্টেশন থামবে তা সহজে জেনে নিতে পারবেন। কয়টার সময় আসবে আর কয়টার সময় গন্তব্যে পৌছাবে তাও জানতেন পারবেন। চিত্রটি দেখুন
যে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাবেন রুট অনুযায়ী কতগুলো ট্রেন সার্ভিসে আছে তা দেখতে পারবেন আর দেখতে পাবেন কতটি সিট খালি রয়েছে। যে ট্রেনটিতে সিট এভেইলেবল দেখাবে সেটিতে সিলেক্ট করবেন। বিমান বন্দর টু জয়দেবপুর ভাড়া কত তা ট্রেনের নামের নিচে অপশনে দেখিয়ে দিয়েছে। আপনি আরও দেখে নিতে পারছেন ব্যবহারযোগ্য কয়টি সিট রয়েছে, কতটি সিট বুক করেছে, আর কয়টি সিট ক্রয় করতে পারবেন। ব্যবহারযোগ্য সিট (সাদা কালার) দেখাবে আর উক্ত সিটটি উপরে লিংক করলে সবুজ রংয়ের হয়ে



যে গন্তব্যের উদ্দেশ্য যাবেন রুট অনুযায়ী কতগুলো ট্রেন সার্ভিসে আছে তা দেখতে পারবেন আর দেখতে পাবেন কতটি সিট খালি রয়েছে। যে ট্রেনটিতে সিট এভেইলেবল দেখাবে সেটিতে সিলেক্ট করবেন। ট্রেনের সিলেকশন আর সিট কনফার্ম করার পরে আপনার বিস্তারিত তথ্য সাপনে চলে আসবে।
যাত্রীর যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। যেমন- নাম,বয়স,যোগাযোগের তথ্য ই-মেইল ঠিকানা এবং ফোন নম্বর। নিচে থাকবে কাঙ্খিত ট্রেন ও ভাড়ার মূল্য কত টাকা এবং কি ধরনের সিট চয়েস করেছেন তার উপরে ভ্যাট নির্ধারণ করে দিবে। মনে রাখবেন এসি সিট বুক করলে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য করবে। এগিয়ে যান অপশনে লিংক করলে পেমেন্ট অপশন আসবে। এটি ক্যামেরা, ল্যাপটপ, স্পিকার, যে কোনো ফোনে ব্যবহার করতে পারবেন, স্টক কিন্তু খুবই লিমিটেড, বিস্তারিত জানতে কমেন্ট করুন, বিডিশপ টিম পৌছে যাবে আপনার ইনবক্সে।


পেমেন্ট মেথড বা পদ্ধতি মধ্যে রয়েছে বিকাশ, নগদ, রকেট, মাস্টারকার্ড, ভিসাকার্ড  যেকোনো অপশনের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আপনাকে জরুরী তথ্য জানিয়ে রাখা দরকার তাহল অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে কখনো তাড়াহুড়ো করবেন। বিশেষ করে ঈদের সময়ে অনলাইনে টিকিট ক্রয় চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে অনুরোধ থাকবে। এসি টিকিট ক্রয় করলে সাথে নানাধরনের ভ্যাটযুক্ত হবে বিভিন্ন রুট ভিত্তিক ট্রেন ভ্রমনকারী এসি টিকিটধারী ব্যক্তিকে। তাই আগে থেকে জেনে বুঝে টিকিট করবেন। না বুঝে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করবেন না। অনলাইনে টিকিট ক্রয় করলে হলে অত্যন্ত সর্তকতা সহিত ক্রয় করবেন। আমি যেহেতু বিকাশে পেমেন্ট করতে ইচ্ছুক তার বিকাশের চিত্রটি দেখুন।

বিকাশের পেমেন্ট করতে আপনাকে

যেকোনো অনাকাঙ্খিত ক্রটি হলেবিকাশের পেমেন্টরকল করুন ১৬২৪৭, নগদ ১৬১৬৭, রকেট ১৬২১৬ যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।

(বিঃদ্রঃ- অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা সহিত পেমেন্ট সিস্টেম পরিচালনা করবেন। বিশেষ করে ঈদের সময় টিকিট ক্রয়ের প্রায় বছর ঝামেলা হচ্ছে তাই এই সময়ের অনলাইন টিকিট এডিয়ে বলা বুদ্ধিমানের পরিচয় দিবেন।

পরিশেষে

টিকিট কনফার্ম করার পেমেন্ট শেষে আপনার মোবাইলে অথবা ই-মেইল কনফার্ম টিকিট পিডিএফ বা মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে। মনে রাখবেন, ট্রেন ভ্রমন সময় আপনি যেকোনো ধরনের আইডি কার্ড, বিশেষ করে জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে আরও ভালো।সিট চেক, অনলাইনে রেলের টিকিট ক্রয় পদ্ধতি বা সিস্টেম, স্মার্টফোন বা পিসি কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে ক্রয় পদ্ধতি নিয়ে সেই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজকের এই পোস্টে আমরা সিট চেক, অনলাইনে রেলের টিকিট ক্রয় পদ্ধতি বা সিস্টেম, স্মার্টফোন বা পিসি কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে ক্রয় পদ্ধতি নিয়ে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি এ পোস্টে পদ্ধতি কি, কি করা যাবে, আর কি যাবে না তা এই বিষয়টি জানতে পারবেন। টিকিট ক্রয়ের আগে সিট প্ল্যান দেখে নেয়া, কিভাবে টিকিট ক্রয় করবেন যাবতীয় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের এই পোস্ট থেকে উপকৃত হয়েছেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url