OrdinaryITPostAd

ফেসবুক | ফেসবুক মনোরম স্থান বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য

ফেসবুক হল সামাজিক যোগাযোগ ও মাধ্যম সাইট যা ২০০৪ সালে মার্ক জাকারবার্গ এবং তার সহযোগীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল তৈরি করতে অনুমতি দেয় যা ব্যবহারকারীদের সামাজিক যোগাযোগ করতে এবং সামাজিক মাধ্যম সাইটে পরিচিত ব্যক্তিদের সন্ধান করতে ব্যবহৃত হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা পোস্ট করতে এবং একসাথে অন্যদের পোস্টগুলি লাইক এবং কমেন্ট করতে পারেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পরিবার, বন্ধু, পরিচিত ব্যক্তি এবং আশা করা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফেসবুক সম্প্রতি বিজ্ঞাপন এবং বাণিজ্যিক কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়।


পোস্টের সূচিপত্র

ফেসবুক সেটিং

ফেসবুক এর সেটিং মুলত ব্যবহারকারীর একাউন্টের সমস্ত বৈশিষ্ট্য এবং নিয়ন্ত্রণ প্যানেল যা ব্যবহারকারীদের এক্সেস দেয়। এই প্যানেল দ্বারা আপনি আপনার প্রোফাইল সেটিং এবং সুরক্ষা নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম সেট করতে পারেন। আপনি ফেসবুক সেটিংস পরিবর্তন করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • প্রথমে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে লগইন করুন।
  • এরপর সামনের মেনুতে সেটিংস বা সেটিংস এবং গো টু সেটিংস বা সেটিংস এবং গো টু অপশন দেখা যাবে।
  • সেটিংস বা অপশন সেলেক্ট করে আপনি বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হল:
  • একাউন্ট সেটিংস: এখানে আপনি আপনার একাউন্ট তথ্য যেমন নাম, ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।
  • সুরক্ষা এবং লগিন: এই বিভাগে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম সেট করতে পারেন। আপনি দুই-ফাক্টর অথেনটিকেশন সেট করতে পারেন, সম্পূর্ণ একাউন্ট ডিলিট করতে পারেন এবং লগইন অথেনটিকেশন সেট করতে পারেন।
  • নোটিফিকেশন: এই বিভাগে আপনি নোটিফিকেশন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি কোন কোন নোটিফিকেশন পেতে চান এবং কোন নোটিফিকেশন পেতে চান না সেট করতে পারেন।
  • প্রফাইল এবং টাইমলাইন: এই বিভাগে আপনি আপনার প্রোফাইল তথ্য পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি প্রোফাইলের ছবি, পোস্ট এবং প্রোফাইল তথ্য সেট করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার টাইমলাইন প্রকাশের সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন যাতে কেউ আপনার পোস্ট দেখতে পারেন কি না তা সেট করতে পারেন।
  • ফ্রেন্ডরিকোয়েস্ট সেটিংস: আপনি এই বিভাগে নির্দিষ্ট করতে পারেন কেউ আপনার ফ্রিণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন কি না। আপনি ফ্রিণ্ড রিকোয়েস্ট এবং মেসেজ সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
  • ব্লক লিস্ট: আপনি এই বিভাগে সেট করতে পারেন কেউ আপনার ফেসবুক একাউন্টে যোগাযোগ করতে পারবেনা। আপনি কেউ ব্লক করতে পারেন এবং একাউন্ট অনবন্ধ করতে পারেন।
  • স্টোরেজ সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার ফেসবুক স্টোরেজ সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি ডাউনলোড করা ডেটা এবং পোস্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
  • অ্যাপ সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার ফেসবুক এপ্লিকেশন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত অধিক তথ্য জানতে পারেন এবং কোন অ্যাপ কি তথ্য আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

অধিক ফেসবুক সেটিংস সম্পর্কে নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • সিকিউরিটি সেটিংস: আপনি ফেসবুক একাউন্টের সিকিউরিটি সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি সিকিউর লগইন, টু-ফ্যাক্টর এক্সটেনশন এবং সিকিউর কন্ট্রোল সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
  • নিউজফিড সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার ফেসবুক নিউজফিড পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি সকল নিউজফিড সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন, এবং আপনি কোন পেইজ এবং গ্রুপ ফলো করতে চান তা পরিবর্তন করতে পারেন।
  • টাইমলাইন এবং ট্যাগিং সেটিংস: আপনি এই বিভাগে সেট করতে পারেন আপনি কি কি পোস্ট দেখতে চান, কে কে আপনার টাইমলাইনে পোস্ট করতে পারেন, এবং ট্যাগিং সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
  • পেমেন্ট সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার ফেসবুক পেমেন্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। এই বিভাগে আপনি আপনার পেমেন্ট মেথড যোগ করতে পারেন, যেমন ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড, এবং এটি পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি ফেসবুক পেমেন্ট পার্টনার সেট করতে পারেন যেমন ফেসবুক মার্কেটপ্লেস বা ফেসবুক গেমস। আপনি পেমেন্ট হিস্ট্রি দেখতে পারেন এবং পেমেন্ট সম্পর্কিত অন্যান্য সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন।
  • প্রাইভেসি সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি আপনার পোস্ট দেখা যাবে কে, আপনার প্রোফাইল দেখা যাবে কে, এবং আপনার প্রফাইলে কোন তথ্য দেখা যাবে কে তা সেট করতে পারেন।
  • অ্যাকাউন্ট সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি আপনার নাম, ইমেল, মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন।
  • নোটিফিকেশন সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার নোটিফিকেশন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি যে ধরণের নোটিফিকেশন পেতে চান তা সেট করতে পারেন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি নোটিফিকেশন পেতে চান না তা সেট করতে পারেন।
  • ব্লক লিস্ট এবং এন্টারপ্রাইজ সেটিংস: এই বিভাগে আপনি আপনার ফেসবুক ব্লক লিস্ট পরিচালনা করতে এবং ব্লক করা ব্যবহারকারীদের আনবদ্ধতা দেখতে পারেন। এছাড়াও এন্টারপ্রাইজ সেটিংস দিয়ে আপনি আপনার ফেসবুক ব্যবসা প্রস্তুতি ও পরিচালনা করতে পারেন। আপনি এই বিভাগে আপনার ব্যবসা প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন, অফিসিয়াল পেজ তৈরি করতে পারেন, এবং ব্যবসার জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন চালু করতে পারেন।

এছাড়াও, এই বিভাগে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ব্যবসা ম্যানেজার তৈরি করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার পোস্ট সম্পর্কিত সকল সেটিংস পরিচালনা করতে পারবেন। আপনি ব্যবসার জন্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ দিতে পারেন এবং এটি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যারা আপনার ব্যবসার জন্য কাজ করছেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার ডাউনলোড

ফেসবুক মেসেঞ্জার ডাউনলোড করতে আপনার মোবাইল ফোনের অ্যাপ স্টোর খোলুন। এরপর সার্চ বারে ফেসবুক মেসেঞ্জার লিখুন। আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার এ্যাপ পাবেন। সেটি ইনস্টল করুন এবং ফেসবুক একাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। এরপর আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারবেন।

ফেসবুক মেসেঞ্জার কম্পিউটারে ডাউনলোড করতে হলে, আপনাকে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়া লাগবে। সেখান থেকে আপনি কম্পিউটারের জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার এ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। অথবা, আপনি ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ হল, সর্বশেষ ভার্সনের মেসেঞ্জার ব্যবহার করা

  • ফেসবুক মেসেঞ্জার ডাউনলোড করার আরও উপায় হল আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ফেসবুক মেসেঞ্জারের স্ক্যানার দিয়ে কোড স্ক্যান করা। এটি সহজ প্রক্রিয়া এবং আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সরাসরি ফেসবুক মেসেঞ্জার ডাউনলোড করতে পারেন।
  • আরও উপায় হল এ্যাপ স্টোরের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা। এই ওয়েবসাইটগুলি আপনাকে ডাউনলোড লিঙ্ক প্রদান করে যা সরাসরি ফেসবুক মেসেঞ্জার ডাউনলোড করতে সাহায্য করে। এই উপায়টি সহজ এবং প্রায় সমস্যাহীন।
  • আপনি ফেসবুক মেসেঞ্জার সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করা উচিত যেন আপনি সর্বশেষ সুরক্ষা এবং ফিচারগুলি পেতে পারেন। ফেসবুক মেসেঞ্জার বিষয়ে আরও তথ্য জানতে আপনি ফেসবুক ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পেয়ে যাবেন।
  • ফেসবুক মেসেঞ্জার হল ফেসবুক সংক্রান্ত ম্যাসেজিং এপ্লিকেশন যা আপনাকে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডস এবং অন্যান্য মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের সাথে ম্যাসেজ পাঠানোর মাধ্যমে সমস্ত ধরনের কমিউনিকেশন করার সুযোগ দেয়।
  • ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আপনি টেক্সট, ভয়েস মেসেজ, ভিডিও কল এবং ফাইল সহ বিভিন্ন প্রকারের মেসেজিং সেবা ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক মেসেঞ্জার বিশ্বস্ত ম্যাসেজিং এপ্লিকেশন এবং এটি আপনার সম্পর্কে নিরাপদ এবং গোপনীয় রাখার জন্য সর্বাধিক সুরক্ষিত হিসাবে তথ্য সংরক্ষণ করে।
  • ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন হবে। যদি আপনি এখনও ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার না করে থাকেন তবে আপনাকে এটি ডাউনলোড করতে হবে।

ফেসবুক ইউআরএল কি

ফেসবুক ইউআরএল (Facebook URL) হল ওয়েব ঠিকানা যা ফেসবুক প্রোফাইলের নামে রিপ্রেজেন্ট করা হয়। এটি ফেসবুক প্রোফাইলের নিজস্ব ওয়েবপেজের লিঙ্ক হিসাবে কাজ করে এবং ফেসবুক প্রোফাইলের উপর ক্লিক করে আপনি সরাসরি সেই প্রোফাইলে পৌছে যাবেন।

ফেসবুক ইউআরএল আমরা সাধারণত https://www.facebook.com/yourprofilename এই ফরম্যাটে দেখতে পাই। এখানে "yourprofilename" হল আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের নাম। ফেসবুক প্রোফাইলের নাম পরিবর্তন করলে ফেসবুক ইউআরএল ও পরিবর্তিত হবে। আপনি ফেসবুক প্রোফাইলে লগ ইন করে এবং প্রোফাইল চয়ন করে ফেসবুক ইউআরএল পেতে পারেন। এছাড়াও ফেসবুক পেজ সেটিংস এ গিয়ে ফেসবুক ইউআরএল পরিবর্তন করা যায়।

ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি আপলোড করার জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:

  • প্রথমতঃ ফেসবুক এ্যাপ ওপেন করুন এবং প্রফাইলে ঢুকুন।
  • এখন স্ট্যাটাস আইকনে ক্লিক করুন। স্ট্যাটাস আইকন আপনার হোম স্ক্রিনের উপরে থাকবে।
  • এখন আপনার চাহিদামত টেক্সট লিখুন এবং চাইলে ছবি অ্যাটাচ করুন।
  • ছবি যুক্ত করতে চাইলে, স্ট্যাটাস এডিটরে ক্লিক করুন এবং "ছবি/ভিডিও যুক্ত করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
  • এবার আপনার গ্যালারি থেকে ছবি সিলেক্ট করুন এবং "শেয়ার" বাটনে ক্লিক করুন।
  • স্ট্যাটাস এডিটরে এখন আপনার ছবি প্রদর্শিত হবে। আপনি চাইলে এখানে কথাগুলো পরিবর্তন করতে পারেন।
  • স্ট্যাটাস পোস্ট করতে "শেয়ার" বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার স্ট্যাটাস ছবি এখন ফেসবুকে পোস্ট হলে গেলো।

ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার

ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার হলো আপনার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ফেসবুক প্রোফাইলে সেট করা ছবি। এটি ব্যক্তিগত তথ্য এবং আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতি নির্ধারণ করে। এছাড়াও ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার সম্প্রতি অনেক বেশি স্টাইলিশ হয়েছে।

ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার সেট করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:

  • প্রথমতঃ ফেসবুক এ্যাপ ওপেন করুন এবং প্রফাইলে ঢুকুন।
  • এখন "এডিট প্রোফাইল" বাটনে ক্লিক করুন। এটি আপনার প্রোফাইল পেজের উপরে থাকবে।
  • এবার আপনি "ফটো আপলোড করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
  • এখন আপনি আপনার প্রোফাইল পিকচার আপলোড করতে পারেন।
  • এটি আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে নির্বাচন করা হতে পারে বা আপনি নতুন ছবি তুলে নিতে পারেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি ডাউনলোড

ফেসবুকে কেউ যখন স্ট্যাটাস পোস্ট করেন এবং সেটি আপনার কাছে প্রদর্শিত হয়, তখন আপনি সেই স্ট্যাটাস ছবি ডাউনলোড করতে পারেন। নিচে কিছু পদক্ষেপ দেওয়া হল যা মাধ্যমে আপনি ফেসবুক স্ট্যাটাস ছবি ডাউনলোড করতে পারবেন:
  • প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজার খুলুন এবং ফেসবুকে লগ ইন করুন।
  • এখন স্ট্যাটাস ছবি ডাউনলোড করতে চান তা সিলেক্ট করুন।
  • স্ট্যাটাস ছবির উপর ক্লিক করুন এবং সেটি নতুন ট্যাবে খুলুন।
  • এখন স্ট্যাটাস ছবির URL বাক্সে "s" এবং "www" এর মধ্যে লিখুন।
  • উদাহরণস্বরূপ,"https://www.facebook.com/XXXXXXXXXXXXXXX"হবে "https://www.sfacebook.com/XXXXXXXXXXXXXXX"।
  • এখন পুনরায় এন্টার চাপুন। নতুন পৃষ্ঠা খুলবে যেখানে স্ট্যাটাস ছবি প্রদর্শিত হবে।
  • স্ট্যাটাস ছবির উপর ক্লিক করুন এবং "ছবি সংরক্ষণ করুণ।

ফেসবুক ক্যাপশন

ফেসবুকে ক্যাপশন হল লিখিত বা বলা ম্যাসেজ যা পোস্ট, ফটো, ভিডিও বা স্ট্যাটাসের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ক্যাপশন ব্যবহার করে আপনি আপনার পোস্ট সাধারণ করতে পারেন, তার মাধ্যমে আপনার মন্তব্য এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, ক্যাপশন দিয়ে আপনি আপনার পোস্টের সাথে আপনার ভাবনা এবং পরিচিতি শেয়ার করতে পারেন।

ফেসবুকে ক্যাপশন লিখতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • প্রথমে ফেসবুকে লগ ইন করুন।
  • নতুন পোস্ট বা পোস্ট এডিট করুন।
  • এখন ক্যাপশন বক্সে লিখুন যা আপনি আপনার পোস্টের সাথে সংযুক্ত করতে চান।
  • যদি আপনি পোস্ট করার জন্য তৈরি না করে সম্পাদনা করছেন তবে পোস্ট করার জন্য "পোস্ট করুন" বা "শেয়ার করুন" বাটনে ক্লিক করুন

ফেসবুক আইডি নাম

ফেসবুক আইডি নাম হল আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের ইউজারনেম বা ব্যবহারকারীর নাম। এটি আপনার প্রোফাইলের URL এর অংশ হয়। এটি আপনি নিজে পছন্দ মতো নির্বাচন করতে পারেন। যদি আপনি নতুন প্রোফাইল তৈরি করছেন তবে ফেসবুক আপনাকে অটোমেটিক ইউজারনেম দেবে যা আপনি পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে পারেন।

ফেসবুক আইডি নাম পরিবর্তন করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
  • প্রথমে ফেসবুকে লগ ইন করুন।
  • উপরের ড্রপডাউন মেনুতে ক্লিক করে প্রোফাইল পেজে যান।
  • আপনার প্রোফাইলের URL এর সাথে "Edit profile" লিংক থাকবে। সেটি ক্লিক করুন।
  • এখন আপনি আপনার ইচ্ছামত নতুন ইউজারনেম প্রবেশ করতে পারেন। নতুন ইউজারনেম যদি উপলব্ধ না হয় তবে ফেসবুক আপনাকে অন
  • নতুন ইউজারনেম লিখে সেভ করুন।
  • ফেসবুক আপনার ইউজারনেম পরিবর্তন করতে পারে এমন পত্র পাঠাবে। আপনি যদি সম্মত হন তবে প্রতিবার লগ ইন করতে হলে নতুন ইউজারনেম ব্যবহার করতে হবে।
ফেসবুক আইডি নাম পরিবর্তন করার পর যে কেউ আপনার পূর্ববর্তী আইডি দিয়ে আপনার প্রোফাইলে পাওয়া যাবে না। তবে আপনার পূর্ববর্তী আইডি দিয়ে আপনার প্রোফাইলের লিঙ্ক প্রচলিত থাকবে। এছাড়াও ফেসবুক আপনার পূর্ববর্তী আইডি দিয়ে আপনার প্রোফাইলে সংযোগ তৈরি করবে এবং আপনাকে ফেসবুকে সার্চ করে আপনার নতুন ইউজারনেম দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে।

ফেসবুক কভার ছবির সাইজ

প্রস্তাবিত Facebook কভার ছবির আকার ডেস্কটপে 820 পিক্সেল চওড়া বাই 312 পিক্সেল লম্বা এবং মোবাইলে 640 পিক্সেল চওড়া 360 পিক্সেল লম্বা৷ এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কভার ফটোর আকৃতির অনুপাত (প্রস্থ-থেকে-উচ্চতা অনুপাত) 16:9 হওয়া উচিত। কভার ফটোটি সমস্ত ডিভাইসে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য এটি সর্বোত্তম আকার। এটি মনে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ যে ফেসবুকের কভার ফটোগুলির জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে, যেমন 20% এর বেশি পাঠ্য সহ ছবি নিষিদ্ধ করা। Facebook দ্বারা আপনার কভার ফটো সরানো এড়াতে এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করা নিশ্চিত করুন৷

আকার ছাড়াও, আপনার ব্র্যান্ড বা ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে এমন আকর্ষক চিত্র বেছে নেওয়া ভাল ধারণা। আপনি পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করতে, আসন্ন ইভেন্ট প্রদর্শন করতে বা আপনার দর্শকদের সাথে বার্তা শেয়ার করতে কভার ফটো ব্যবহার করতে পারেন।

ফেসবুক নিরাপত্তা এবং লগইন সেটিংস

অবশ্যই, Facebook নিরাপত্তা এবং লগইন সেটিংসে সাহায্য করতে পারলে আমি খুশি হব।

Facebook-এ আপনার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: সহজ এবং সহজেই অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং চিহ্নের সংমিশ্রণ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
  • দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ সক্ষম করুন: দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার জন্য আপনার পাসওয়ার্ড ছাড়াও কোডের প্রয়োজন করে নিরাপত্তার অতিরিক্ত স্তর প্রদান করে। Facebook টেক্সট বার্তা কোড, প্রমাণীকরণ অ্যাপস এবং নিরাপত্তা কী সহ বেশ কয়েকটি দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ বিকল্প অফার করে।
  • আপনার সক্রিয় সেশনগুলি পর্যালোচনা করুন: Facebook আপনাকে বর্তমানে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা সমস্ত ডিভাইস দেখতে দেয়৷ নিশ্চিত করুন যে আপনি সমস্ত ডিভাইস চিনতে পেরেছেন এবং যেগুলিকে আপনি চিনতে পারেন না তা থেকে লগ আউট করেছেন৷
  • লগইন সতর্কতা সক্ষম করুন: যখন কেউ নতুন ডিভাইস বা ব্রাউজার থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে তখন লগইন সতর্কতা আপনাকে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
  • বিশ্বস্ত পরিচিতি ব্যবহার করুন: Facebook-এর বিশ্বস্ত পরিচিতি বৈশিষ্ট্য আপনাকে বন্ধু বাছাই করতে দেয় যাতে আপনি যদি কখনও লক আউট হয়ে যান তবে আপনার অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে।
  • আপনার গোপনীয়তা সেটিংস পর্যালোচনা করুন: কে আপনার পোস্ট, ব্যক্তিগত তথ্য এবং কার্যকলাপ দেখতে পারে তা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি আপনার গোপনীয়তা সেটিংস পর্যালোচনা এবং সামঞ্জস্য করেছেন তা নিশ্চিত করুন।

Facebook-এ আপনার নিরাপত্তা এবং লগইন সেটিংস অ্যাক্সেস এবং সামঞ্জস্য করতে, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

  • আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন।
  • স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে কোণায় নিচের তীর আইকনে ক্লিক করুন।
  • "সেটিংস এবং গোপনীয়তা" "সেটিংস" নির্বাচন করুন।
  • বাম দিকের মেনু থেকে "নিরাপত্তা এবং লগইন" এ ক্লিক করুন।
এখান থেকে, আপনি আপনার পাসওয়ার্ড, দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ, লগইন সতর্কতা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সেটিংস সামঞ্জস্য করতে পারেন।

উপসংহার

ফেসবুক হল সামাজিক যোগাযোগ ও মাধ্যম বিজ্ঞাপন কোম্পানি, যা ২০০৪ সালে মার্ক জুকারবার্গ এবং তার সহযোগীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের অনুমতি দিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ সরবরাহ করে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেক ধরণের ফিচার সরবরাহ করে, যার মধ্যে হল প্রোফাইল তৈরি, বন্ধু ও পরিচিত ব্যবহারকারীদের খুঁজুন, মেসেজিং, পোস্ট করা, কমেন্ট করা, এবং বিভিন্ন কমিউনিটি স্পেস যোগ দিতে পারেন। ফেসবুক আজকাল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ ও মাধ্যম বিজ্ঞাপন কোম্পানির মধ্যে একটি। ফেসবুক আরও অনেক কিছু সরবরাহ করে যা অন্যান্য ওয়েবসাইটে না পাওয়া যায়, যেমন ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক লাইভ, ফেসবুক মার্কেটিংসহ সেবা প্রদান করে থাকে। অত্যন্ত দুঃখের খবর হলে খুব দ্রুত পেইড সাবস্ক্রাইব করে ব্যবহার করতে হবে। আমার প্রশ্ন হল, উন্নত বিশ্বের দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশের ব্যবহারকারীরা আদৌও ব্যবহার করতে পারবে কিনা সন্দেহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url