OrdinaryITPostAd

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ

মনসামঙ্গলের জনপ্রিয়তার জন্য বিভিন্ন কবির রচিত কাব্য থেকে বিভিন্ন অংশ সংকলিত করে যে পদসংকলন রচনা করা হয়েছিলো তাই ই বাংলা সাহিত্যে বাইশা বা বাইশ কবির মনসামঙ্গল। ***
Middle-Ages-of-Bengali-Literature

অন্নদামঙ্গল 

→ মঙ্গলকাব্য ধারার সর্বশেষ কাব্য 
→ শ্রেষ্ঠ কবি → ভারতচন্দ্র রায় 
→ উপাধি → গুণকর
→ পরিচয় → কৃষ্ণনগর রাজসভার সভাকবি 
→ যে উপাধি দেয় → কৃষ্ণনগরের রাজা মহারাজ কৃষ্ণচন্দ 
→ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে বলা হয়  
  1. মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ করি  
  2. মধ্যযুগের নাগরিক কবি  
  3. মঙ্গলযুগের শেষ কবি 
Note : : ১৭৬০ সালে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের মৃত্যুর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের অবসান ঘটে ]
বাইশা 
মনসামঙ্গলের জনপ্রিয়তার জন্য বিভিন্ন কবির রচিত কাব্য থেকে বিভিন্ন অংশ সংকলিত করে যে পদসংকলন রচনা করা হয়েছিলো তাই ই বাংলা সাহিত্যে বাইশা বা বাইশ কবির মনসামঙ্গল। 
Related to - মনসামঙ্গল 

বারোমাস্যা 

→ মঙ্গলকাব্য ধারার কেন্দ্রীয় চরিত্র (নায়িকার) বারো মাসের সুখ দুঃখের বর্ণনাকে বারোমাস্যা বলে। 

২২তম বিসিএস : 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে? কার প্রার্থনা ?

(ক) তাজু দত্ত (খ) ঈশ্বরী পাটনী(গ) চাঁদ সওদাগর (গ) ধনকুবের 
ব্যাখ্যাঃ ভারতচন্দ্র রায়ের 'অন্নদা মাল' কাব্য থেকে চরনটি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটি ঈশ্বরী পাটনির উক্তি । 

ব্যাখ্যা ঃ

মঙ্গলকাব্যে কোন দুটিদের তার প্রাধান্য বেশি 
  • মনসা মঙ্গল → মনসা → poverful দেবী 
  • চণ্ডীমঙ্গল → চন্ডী → powerful দেবী
  • অন্নদামঙ্গল → অন্নদা → Soft এবং ভালো দেবী

কাব্যের চরিত্র : 

ক. রাধা 
খ. কৃষ্ণ - জন্ম : মথুরা বংশের কারাগারে 
গ. বড়াই →  রাধা কৃষ্ণ প্রেমের মধ্যস্থতাকারী 

পেশা: রাখাল 

কাব্যের খন্ড ও পদ: 

 পদ - ৪১৮টি 
 খন্ড - ১৩টি 
(ক) জন্ম 
(খ) তাম্বুল 
(গ) দান  
(ঘ) নৌকা 
(ঙ) ভার 
(চ) ছত্র 
(ছ) বৃন্দাবন 
(জ) কালিয়দমন 
(ঝ) যমুনা 
(ঞ) হার 
(ট) বান 
(ঠ) বংশী
(ড) বিরহ

গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব পদ 

১. এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর, 2 
এ ভরা বাদর মাহ তাদের, 
শূন্য মন্দির মোর।  বিদ্যাপতি 
২. সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই  চন্ডীদাস (বড়) 
৩. আমারি বধুয়া আন বাড়ি যায়, আমারি অভিনা দিয়া  দ্বিজ চণ্ডীদাস 
৪. রূপ লাগি আখি জ্বরে গুনে মন ভোর  জ্ঞানদাস (২৬তম) 
৫. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিদু, অনলে পুড়িয়া গেল- জ্ঞানদাস 
৬. সব কেবা শুনাইল শ্যাম নাম  চন্ডীদাস 

Important 

চতুষ্টয় 

বৈষ্ণব পদাবলীর, পদাবলী সাহিত্যের ০৪ জন কবিকে এ করে বলা হয় এ চতুষ্টয় । তারা হলো 
বলা 
১. বিদ্যাপতি 
২. চন্ডীদাস 
৩. জ্ঞানদাস 
৪. গোবিন্দদাস

গোবিন্দ দাস

পরিচয়  বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য 

        বৈষ্ণব পদাবলীর স্বভাবকবি
        চন্ডীমঙ্গলধারার স্বভাবকবি ছিলেন   দ্বিজ মাধব ] 

উপাধি

 কবীন্দ্র - জীব গোস্বামী 

 কবিরাজ - শ্রীনিবাস আচার্য 

বিখ্যাত পদঃ 

যাহা যাহা নিকসয়ে তনু তনু জ্যোতি 
তাহা তাহা বিজুরি চকময় হোতি; 
Shortcut : গোবিন্দদাসের অনুজ্যেতি 

চন্ডীদাস

পরিচয় 
১. বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি কবি 
২. বাংলা ভাষার প্রথম মানবতাবাদী কবি 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "বিদ্যা গতি মুখের কবি, চন্ডীদাস দুঃখের " 

বিখ্যাত পঙক্তি 

"শুন হে মানুষ ভাই, 
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই " 

চন্ডীদাস সমস্যা 

মধ্য যুগে মোট চার জন চন্ডীদাসের কথা জানা যায় - 
১. বড়ু চন্ডীদাস 
২. দ্বিজ চন্ডীদাস 
৩. দীন চণ্ডীদাস 
৪. চন্ডীদাস 

বিখ্যাত পঙ্কি 

সই কেমনে ধরিব হিয়া, 
আমার বধুয়া আন বাড়ী যায়, 
আমার অভিনা দিয়া " =(চন্ডীদাসের হিয়া) 

২৩ তম বিসিএসঃ চাঁদ সওদাগর কোন মঙ্গলকাব্যের চরিত্র ? 

ব্যাখ্যা: 

মঙ্গলকাব্য 

মনসামঙ্গল 

চরিত্র 
 চাঁদ সওদাকার → বেহুলা → লখিন্দর → সনকা

চণ্ডীমঙ্গল 

→ কালকেতু → ফুল্লরা → ভাড়ুদত্ত → মুরারী শীল 

অন্নদামঙ্গল 

→ ঈশ্বরী পাটনী → " হীরা মালিনী ”

ধর্মমঙ্গল 

→ কর্পূর সেন → মহামদ পাত্র → "রাজা হরিশচন্দ্ “ → রাজা লাউসেন 

জীবনী সাহিত্য 

কড়চা 

→ " কড়চা শব্দের অর্থ হচ্ছে → দিনলিপি / ভায়েরী 
→ " শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে বলা হতো  কড়চা 

শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনীগ্রন্থ সমূহ 

→ প্রথম জীবনী গ্রন্থ → শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য চরিতামৃতম → মুরারী গুপ্ত 
→ বাংলা ভাষায় প্রথমজীবনী → চৈতন্য ভাগবত → বৃন্দাবন দাস 
→ সবচেয়ে বিখ্যাত জীবনী → চৈতন্যচরিত্র্য্যমৃত → কৃষ্ণদাস কবিরাজ 
→ 'লোচন দাস ও জীবনীখানা একই নামে দুজন লিখেছে ক. জয়ানন্দ খ. চৈতন্যমঙ্গল 

জ্ঞানদাস 

পরিচয় → চন্ডীদাসের ভাবশিষ্য 
উপাধি  ১. মঙ্গল ঠাকুর  ২. মদন মঙ্গলা 

 তিনি বাংলা এবং ব্রজবুলি উভয় ভাষাতেই পদর রচনা করেছিলেন। 

বিখ্যাত পদঃ 
১." রূপ লাগি আখি চোখে গুনে মন ভোর 
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অউর মোর 
২. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাধিন্ধ অনলে পুড়িয়া গেল 

Shortcut : রূাগের অনলে জ্ঞানদাসের অঙ্গ পুড়িয়া গেল 

প্রশ্নঃ ডাক ও খনার বচন সাহিত্যের কোন যুগের সৃষ্টি ? 
 অন্ধকার যুগের 
প্রশ্ন : খনার বচনের মূলভাব কি? (৪০ তম BCS ) 
→ সামাজিক মধ্যালবোধ 

ডাক ও খনার বচন 

ডাকের বচন

→ উৎপত্তি → বৌদ্ধ সমাজে 
→ ডাকের বৌদ্ধতের প্রমাণ → ডাকার্ণব এ 

খনার বচন

→  উৎপত্তি → হিন্দু সমাজে যেন 
→  "কৃষিভিত্তিক ছড়া 

২২তম বিসিএসঃ পদ বা পদাবলী বলতে কি বোঝায়?

→  উত্তর : বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি 

বৈষব পদাবলী 
→  জয়দেবের "গীতগোবিন্দ" এ ধারার প্রথম কাব্য 
→  পদাবলীর মূল উপজীব্য →  রাধা কৃষ্ণের প্রেম 

৩৭তম বিসিএসঃ শৃঙ্গার রসকে বৈষ্ণব পদার পদাবলীতে কি বলে? 

ধরনের 
ব্যাখ্যা :
→  বাংলা সাহিত্যে মোট রুপ আছে → ৯ ধরনের  
→  বৈষ্ণব পদাবলীর রস ০৫ ধরনের 
ক. শান্তরস 
খ. দাস্যরস 
গ। সখ্য রস 
ঘ. বাওমলারস 
ঙ. মধুর রস →  শৃঙ্গার রসকেই এখানে মধু বয়স বলা হয়েছে। 
→  পদাবলী সাহিত্যের মুসলিম কবি → আলাওল, আকবর, ইত্যাদি 
→  বৈষ্ণব পদাবলির প্রথম সংকলক →  বাব্য আউল মনোহর হৃাস (পদসমূদ্র) 
→  রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থটি বৈষ্ণব পদাবলী দ্বারা প্রভাবিত →  (ভানুসিংহের রচনাবলী ) 

৪র্থ বিসিএস : সব কে বা শুনাইল শ্যাম নাম' পদটির রচয়িতা কে ? 

ব্যাখ্যাঃ বড় চন্ডীদাস 
মতামত : সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ পড়তে হবে 

বিদ্যাপতি 

১.  বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা (হই বিসিএস) 
২.  পদসঙ্গীত ধারার প্রবর্তক 
७. প্রথম অবাঙালি কবি 
७. 
উপাধি
১. কবিকণ্ঠহার - > রাজা শিবসিংহ *** 
২. নব কবিশেখর 
৩. মৈথিলি কোকিল  
৪. অভিনব জয়দেব টি 
৫. পণ্ডিত ঠাকুর 
৬. কবি বল্লভ 
→  তিনি মিথিলার রাজা রাজা শিবসিংহের সভাকবি ছিলেন 
→ 'তিনি ব্রজবুলি ভাষায় প্রথম রচনা করেন। 
প্রথম রচনা করেন। (২১ তম Bes) 

১. মৈথিলি। বাংলা 
২. রবিঠাকুর অনুসিংহের পদাবলী' লিখেছেন ব্রজবুলি ভাষায় 

→ তিনি কীর্তিলতা গ্রন্থে নিজেকে খেলনা করি। বলেছেন 
তার বিখ্যাত পঙক্তি 
বিদ্যাপতির শূন্য মন্দির" 
" এ সখি হামারি দুখের নাহি ওর, 
এ ভরা বাদর মাহ ভাদর, 
শূন্য মন্দির নোয়।" 

বৈষ্ণব সাহিত্য 

জীবনী সাহিত্য 

৩৬তম বিসিএসঃ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে কোন ধর্মপ্রচারকের প্রভাব অপরিসীম ? 

শ্রী চৈতনদেব 

→ তিনি নিজে কোন গ্রন্থ রচনা করে যান নি 
→ তবে তাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে মধ্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্য 
→ প্রকৃত নাম →  বিশ্বম্ভব
→ ডাক নাম → নিমাই
→ প্রচারক → বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারক 
→ বিখ্যাত উক্তি : মুচি হয়ে শুচি হয় যদি কৃষ্ণ ভজে 
Note : ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্যদেবকে এর জীবনী রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে জীবনী সাহিত্য নামে এক নতুন ধারা শুরু হয়।

বৈষ্ণব সাহিত্য 

পদাবলী সাহিত্য 

৪০তম বিসিএসঃ বৈষ্ণব পদাবলী কোন ভাষার সাথে সম্পর্কিত

ব্যাখ্যা : 
→ বৈষ্ণব ধর্মের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মীয় সঙ্গীত 
→ ব্রজবুলি ভাষায় রচিত 
→ মৈথিলি+ বাংলা 
→ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্য ভাষা উেক ভাষা 
→ উদ্ভাবক : বিদ্যাপতি 
→ বিদেহ রাজ্য এর রাজধানী মিথিলার পঞ্চাদশ শতকের কবি 
→  বৈষ্ণব পদাবলীর আদির চয়িতা 
→ পদসঙ্গতি ধারার প্রবর্তক 
→ প্রথম অবাঙালি কবি 
→ উপাধি  কবিকণ্ঠহার [রাজা শিবসিংহ দেন ] [কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (রঘুনাথ)] 

৩৮তম বিসিএসঃ বিদ্যাপতি কোন রাজসভার কবি ছিলেন ? 

ব্যাখ্যা মতামত : এর অর্থ বিদ্যাপতি, জ্ঞানদাস, চন্ডীদাস। জয়দের সকলের ব্যক্তিগত জীবন থেকে প্রশ্ন আসতে পারে, 
→ শ্রেষ্ঠ কবি বিজয়গুপ্ত → বিজয়গুপ্তের লেখা বইয়ের নাম : পদ্মাপুরাণ 
একনজরে মনে রাখুন 
→ বিজয়গুপ্ত → পদ্মপুরাণ 
→ ক্ষেমানন্দ / কেতকাদাস → বেতকাপুরাণ 
→ বিপ্রদাস পিপিলাই → মনসা বিজয় 
Note : বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহিলা কবি- • চন্দ্রাবতী ] 

চণ্ডীমঙ্গল 

→ মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী নারী চরিত্র হলো → ফুল্লরা 
→ মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রতিবাদী পুরুষ চরিত্র হলো →  চাঁদ সওদাগর 
→ বাংলা সাহিত্যের প্রথম উঠা চরিত্র হলো → ভাড়ুদত্ত 
→ চণ্ডীমঙ্গল ধারার যে কবিকে স্বভাব কবি বলা হয় →  দ্বিজ মাধব 
→ শ্রেষ্ঠ কবিঃ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী 
→ " তার জনপ্রিয় কাব্য 
→ উপাধি → কবিকঙ্কন 
→ যে উপাধি দেয় → জমিদার রঘুনাথ 
→ কালকেতু উপাখ্যান 

মঙ্গলকাব্য 

→ ১টি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সেটি ৩৫ টি অংশ থাকে 

ক. বন্দনা 
খ. আত্মপরিচয় 
গ. দেবখন্ড মর 
ঘ. মর্ত্য খণ্ড 
ঙ. শ্রুতিফল 
→ " মূল উপজীব্য → দেবদেবীর গুনগান 
→ ড. দীনেশচন্দ্রের মতে ৬২ জন কবি মঙ্গলকাব্য 

প্রশ্ন এনালাইসিস 

৩৫তম বিসিএস: মঙ্গলকাব্যের কবি নন কে? 

(ক) কানাহরি দত্ত (খ) ভারত চন্দ্ৰ (গ) মানিক দত্ত (ঘ) দাশু রয় 
ব্যাখ্যাঃ 
√ কানাহরি দত্ত → মনসা মঙ্গলের আদি কবি 
√ ভারতচন্দ্র → অন্নদামঙনেলের আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি 
√ মানিকদত্ত → চণ্ডীদামঙ্গলের আদি কবি 
√ ময়ূর ভট্ট → ধর্মমঙ্গলের আদিকবি 

আরো জানা দরকার: 

(ক) মনসামঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি  → বিজয়গুপ্ত
(খ) অন্নদামঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি →  ভারতচন্দ্র
(গ) চণ্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি →  মুকুন্দ্ররামচক্রাবর্তী
(ঘ) ধর্মমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি → ঘনরাম চক্রবর্তী 

 মধ্যযুগ (১২০১- ১৮০০) 

 অন্ধকার যুগ (১২০১-১২৩০) 

প্রাকৃত পৈঙ্গল 

ক. প্রাকৃত ভাষায় রচিত 
খ. রচনা করেছেন : শ্রীহর্ষ 

শেক শুভোদয়া 

ক. বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার শিবন 
খ. চন্নুকাব্য (গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণ) 
গ. রচনা করেন : হলায়ুধ মিশ্র 
ঘ. বিষয়বস্তুঃ তুর্কী মুসলমানদের 

শূন্যপুরাণ 

ক. সংস্কৃত ভাষায় রচিত 
খ. রচনা করেন : রামাই পন্ডিত 
গ. চম্পুকাব্য 
ঘ. মোট অধ্যায় : ৫১ টি 
ঙ. রচনার সময় : ১৩ শতক 
চ. বিখ্যাত কবিতা: নিবন্ধনের ঈমা 

মনে রাখুন 

ক. প্রাকৃত পৈঙ্গল → শ্রীহর্ষ 
খ. শূন্যপুরাণ → রামাই পন্ডিত রামাইপড়িত 
গ. শেষ শুভোদয়া → হলায়ুধ মিশ্র 

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন 

→ আবিষ্কৃত হয় → ১৯০৯ সালে 
→ আবিষ্কার করেন → বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্পভ 
→ প্রকাশিত করেন → ১৯১৬ সালে
→ আবিষ্কারের সময় নামছিল → শ্রীকৃষ্ণকীর্তন 
পরিচয়ঃ 
→ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ নিদর্শন 
→ সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্য 
→ রচয়িতা 
⇒ বড় চন্ডীদাস 
⇒ প্রকৃত নামঃ অনন্ত বড়ু → কাহিনী নিয়েছেন 
⇒ ভাগবত থেকে
⇒ জয়দেবের গীতগোবিন্দ থেকে 

কাব্যের গঠন 

⇒ " গঠনরীতিতে ⇒ নাট্যগীতি / সংলাপনির্ভর 
⇒ ছন্দের বেলায় ⇒ পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত 
⇒ বৈশিষ্ট্য ⇒ শৃঙ্গার রস প্রধান / ঝুমুর গানের লক্ষণাক্রান্ত 

৩৮ তম বিসিএস : গঠনরীতিতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য মূলত 

ব্যাখ্যাঃ 

⇒ এ কাব্যের গঠনরীতি অধিকাংশ সংলাপনির্ভর 
⇒  রাধা-কৃষ্ণের মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে এ সংলাপের মধ্যে ⇒ উত্তরঃ নাটগীতি 

২৯ তম বিসিএসঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে? 

উত্তরঃ বড় চন্ডীদাস 
⇒ প্রথম কবি মধ্যযুগের 
⇒ চতুর্দশ শতকের কবি 
⇒ প্রকৃত নাম: অনন্ত বড়ু 
⇒  কাহিনী নিয়েছেন  
(১) ভাগবত থেকে 
(২) জয়দেবের গীতগোবিন্দ থেকে 

২৮তম বিসিএসঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বড়াই কি ধরনের চরিত্র? 

উত্তর : প্রধান ০৩ চরিত্র 
( ক) রাধা (খ) কৃষ্ণ  (গ) বড়াই 
→ অর্ধবয়সী মহিলা → রাধা কৃষ্ণের প্রেমের দুতী
⇒ ঘটক
⇒ রাধার সাথে থাকতো 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url