OrdinaryITPostAd

সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ২৭০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন

বাংলাদেশে জন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং সংস্থায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তারা সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নে সহায়তা করেন এবং জনগণের সাথে সরকারের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন। জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে -  সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্তগুলি বিকাশ এবং বাস্তবায়ন করা, জনগণের সাথে সরকারের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা, সরকারের সম্পদ এবং সেবাগুলিকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করা,  সরকারের কার্যক্রমের উপর নজরদারি এবং মূল্যায়ন করা, সরকারের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর এবং দক্ষ করে তুলতে সুপারিশ করা। জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতাগুলি বিভিন্ন পদ এবং বিভাগের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি স্নাতক ডিগ্রি এবং সরকারি প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২৭০ কর্মকর্তা

বাংলাদেশে জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চাকরি বেশ প্রতিযোগিতামূলক। চাকরির জন্য আবেদন করার জন্য, আগ্রহী প্রার্থীদের সাধারণত একটি লিখিত পরীক্ষা, একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার বা ভাইভা এবং একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। বাংলাদেশে জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বেতন এবং সুবিধাগুলি বেশ আকর্ষণীয়। সরকারী কর্মচারীদের বেতন স্কেল সরকারি কর্মচারী নিয়োগ ও চাকরিবিধির অধীনে নির্ধারিত হয়। সরকারি কর্মচারীদের অন্যান্য সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • * নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি
  • * পেনশন সুবিধা
  • * চিকিৎসা সুবিধা
  • * শিক্ষা সুবিধা
  • * ভ্রমণ সুবিধা
  • * অন্যান্য সুবিধা

বাংলাদেশে জন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জাতির সেবা করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ প্রদান করে। তারা সরকারের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে কাজ করে এবং জনগণের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

পোস্টের সূচিপত্র

বাংলাদেশে সিনিয়র সচিব কি

বাংলাদেশে সিনিয়র সচিব হলেন একটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি একজন সিনিয়র সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা (প্রশাসন ক্যাডার) যিনি সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

সিনিয়র সচিবের প্রধান কাজগুলি হল-

  • মন্ত্রণালয় বা বিভাগের নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
  • মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলির তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা
  • মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যক্রমের সমন্বয় ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি
  • সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বয় সাধন
  • সংসদ ও জনগণের সাথে যোগাযোগ

বাংলাদেশে বর্তমানে ৫০টি মন্ত্রণালয় এবং ৮টি বিভাগ রয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগে একজন সিনিয়র সচিব থাকেন।

বর্তমানে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হলেন মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী।

বাংলাদেশে সচিব কত প্রকার কি কি

বাংলাদেশে সচিব ৭ প্রকার। এরা হলেন:

  • মন্ত্রিপরিষদ সচিব - বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি মন্ত্রিপরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
  • সিনিয়র সচিব - মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা
  • সচিব - মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
  • অতিরিক্ত সচিব - সচিবের অধস্তন কর্মকর্তা
  • যুগ্ম সচিব - অতিরিক্ত সচিবের অধস্তন কর্মকর্তা
  • উপসচিব - যুগ্ম সচিবের অধস্তন কর্মকর্তা
  • সহকারী সচিব - উপসচিবের অধস্তন কর্মকর্তা

এদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব এবং সচিবরা হলেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব এবং সহকারী সচিবরা হতে পারেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, বা অন্য যেকোনো ক্যাডারের কর্মকর্তা।

বাংলাদেশের সচিবালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোটি স্তরভিত্তিক নীতির উপর ব্রিটিশ কাঠামোর অনুকরণে গড়ে উঠেছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব গ্রেড

বাংলাদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব গ্রেড হলো জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ষষ্ঠ গ্রেড। এই গ্রেডের মূল বেতন ৩৫,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বাড়তে বাড়তে ৬৭,১০০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। সিনিয়র সহকারী সচিবরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

সিনিয়র সহকারী সচিব ইংরেজি

বাংলাদেশে, সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন একজন সিভিল সার্ভেন্ট যিনি একটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগে একজন সচিবের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। তারা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা অধ্যায়ের দায়িত্বে থাকেন এবং মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়ী। সিনিয়র সহকারী সচিবদের পদমর্যাদা সাধারণত বিসিএস ক্যাডারের নবম গ্রেডে থাকে। তাদের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হয় একটি স্নাতক ডিগ্রি এবং বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।

সিনিয়র সহকারী সচিবদের দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • * মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় সচিবকে সহায়তা করা
  • * মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও আইন প্রণয়নে সহায়তা করা
  • * মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা দপ্তর ও সংস্থাগুলির তত্ত্বাবধান করা
  • * মন্ত্রণালয়ের সাথে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয় করা
  • * জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ করা

সিনিয়র সহকারী সচিবরা বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইংরেজিতে, সিনিয়র সহকারী সচিবকে "Senior Assistant Secretary" বা "SAS" বলা হয়।

সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি

বাংলাদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি একজন সরকারি কর্মচারীর ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি এবং এটি আরও দায়িত্বশীল এবং জটিল কাজের সুযোগ প্রদান করে। সিনিয়র সহকারী সচিবগণ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা নীতি-নির্ধারণে অবদান রাখেন, প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করেন এবং জনসেবা প্রদান করেন। বাংলাদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি যোগ্যতা প্রয়োজন। একজন কর্মচারীকে অবশ্যই একজন সহকারী সচিব হিসাবে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, এবং তাকে অবশ্যই একটি সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সিনিয়র স্কেল পরীক্ষাটি একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা যা একজন কর্মচারীর নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা পরীক্ষা করে।

বাংলাদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি একটি সম্মানজনক এবং পুরস্কৃত পদক্ষেপ। এটি একজন কর্মচারীর ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং এটি আরও দায়িত্বশীল এবং জটিল কাজের সুযোগ প্রদান করে।

এখানে বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতির জন্য কিছু নির্দিষ্ট সুবিধা রয়েছে:

  • বেতন বৃদ্ধি: সিনিয়র সহকারী সচিবগণ সহকারী সচিবদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বেতন পান।
  • পদোন্নতির সুযোগ: সিনিয়র সহকারী সচিবগণ বিভাগীয় সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং সচিব পদে পদোন্নতির জন্য যোগ্য।
  • দায়িত্ব এবং ক্ষমতার বৃদ্ধি: সিনিয়র সহকারী সচিবগণ আরও দায়িত্বশীল এবং জটিল কাজের সুযোগ পান।
  • সম্মান এবং মর্যাদা: সিনিয়র সহকারী সচিবগণ সমাজে সম্মান এবং মর্যাদা উপভোগ করেন।

বাংলাদেশে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা একজন সরকারি কর্মচারীর ক্যারিয়ারে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদান করে।

নিম্নে পদোন্নতি সিনিয়র সচিব পদে কে কে পদোন্নতি পেয়েছেন এক নজরে দেখে নিই-

fa1-2023-320_page-0001

fa1-2023-320_page-0002

fa1-2023-320_page-0003

fa1-2023-320_page-0004

fa1-2023-320_page-0005

fa1-2023-320_page-0006

fa1-2023-320_page-0007

সহকারী সচিব হওয়ার যোগ্যতা

বাংলাদেশে সহকারী সচিব হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি প্রয়োজন:

  • * **শিক্ষাগত যোগ্যতা:** সহকারী সচিব হতে হলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রিধারীদেরও সহকারী সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
  • * **বয়স:** সহকারী সচিব পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
  • * **জাতীয়তা:** সহকারী সচিব পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীর বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • * **শারীরিক যোগ্যতা:** সহকারী সচিব পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম হতে হবে।
  • * **অন্যান্য যোগ্যতা:** সহকারী সচিব পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

সহকারী সচিব পদে নিয়োগের জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (PSC) পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরীক্ষার বিষয়গুলি হল:

  • * **বাংলা ভাষা ও সাহিত্য**
  • * **ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য**
  • * **বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি**
  • * **গণিত**
  • * **সাধারণ বিজ্ঞান**
  • * **সাধারণ জ্ঞান**

PSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।

fa1-2023-321_page-0001


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url