রক্ত-এর প্ল্যাটিনাম- চূড়ান্ত স্বাস্থ্য বুস্টার সম্পর্কে আপনি জানেন না
প্লাটিনাম-ভিত্তিক ওষুধগুলি ফুসফুসের ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সার সহ বিস্তৃত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর।যাইহোক, প্ল্যাটিনাম-ভিত্তিক ওষুধগুলি বমি বমি ভাব, বমি, চুল পড়া এবং কিডনির ক্ষতি সহ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সাধারণত অস্থায়ী হয়, কিন্তু তারা গুরুতর হতে পারে।
রক্তের প্লাটিলেট বৃদ্ধির উপায়
রক্তের প্লাটিলেট হলো এক ধরনের রক্তকণিকা যা রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতি ১০০ মিলিমিটার রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দেড় থেকে চার লাখ থাকা উচিত। প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হতে সমস্যা হয়। প্লাটিলেট বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
* **সঠিক খাবার খাওয়া:** প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার হলো:
- * মিষ্টি কুমড়া
- * গাজর
- * ব্রোকলি
- * পালং শাক
- * লেবু
- * পেঁপে
- * আনারস
- * আম
- * কলা
- * বেদানা
- * ছোলা
- * মটরশুটি
- ডাল
- * **পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া:** প্লাটিলেট তৈরির জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
- * **স্ট্রেস কমানো:** স্ট্রেস প্লাটিলেট উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই স্ট্রেস কমাতে যোগ, ধ্যান, শরীরচর্চা ইত্যাদি অনুশীলন করা যেতে পারে।
- * **অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়ানো:** অ্যালকোহল এবং ধূমপান প্লাটিলেট উৎপাদনকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই এগুলি এড়ানো উচিত।
- * **যদি প্লাটিলেটের মাত্রা খুব কম হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।**
- * ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেন পক্স ইত্যাদি সংক্রমণ
- * ক্যান্সার
- * অ্যালার্জি
- * রক্তের অসুস্থতা
- * ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
রক্তের প্লাটিলেট কত থাকা উচিত
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- * ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেনপক্স, হেপাটাইটিস, এবং এইডস সহ বিভিন্ন সংক্রমণ
- * ক্যান্সার এবং এর চিকিৎসা
- * কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট, এবং অ্যান্টিকনভালসেন্ট
- * লুপাস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সহ অটোইমিউন অবস্থা* লিভার এবং কিডনির রোগ
- * রক্তের ক্যান্সার, যেমন লিউকেমিয়া
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- * সহজে রক্তপাত, যেমন নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, এবং অজানা কারণে ক্ষত থেকে রক্তপাত
- * ছোট ছোট রক্তের দাগ, যেমন ত্বকে লালচে দাগ বা চোখের নিচে কালো দাগ
- * মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা
- * দুর্বলতা বা ক্লান্তি
- * ত্বকের ফোলাভাব
বাচ্চাদের প্লাটিলেট কত থাকা উচিত
বাচ্চাদের প্লাটিলেটের স্বাভাবিক পরিমাণ হল প্রতি ঘনমিলিমিটারে ১৫০,০০০ থেকে ৪৫০,০০০। এই পরিমাণের চেয়ে কম হলেই বাচ্চাদের প্লেটলেট কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।প্লাটিলেট হল রক্তের এক ধরনের কোষ যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যখন প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়, তখন রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বাচ্চাদের প্লেটলেট কমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- * সংক্রমণ, যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, এবং ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জা
- * ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা, যেমন ইমিউন থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (আইটিপি)
- * কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, হেপাটিক হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া, এবং লিউকেমিয়া
- * কিছু রোগ, যেমন হেপাটাইটিস এবং রিয়ো প্রবাহ
বাচ্চাদের প্লেটলেট কমে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- * সহজেই রক্তপাত হওয়া, যেমন নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাড়িতে রক্ত পড়া, এবং মাথায় আঘাতের ফলে রক্তপাত
- * শরীরে ক্ষত বা কালশিটে দেখা দেওয়া
- * রক্তপাত থেকে রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হওয়া
বাচ্চাদের প্লেটলেট কমে যাওয়া রোধ করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- * বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান।
- * বাচ্চাকে নিয়মিত টিকা দেওয়ান।
- * বাচ্চাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করুন।
প্লাটিলেট কমে গেলে, ডাক্তার নিম্নলিখিত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন:
- * রক্ত পরিসঞ্চালন
- * ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড বা অ্যান্টিডিপস্রেসেন্ট
- * ভিটামিন এবং খনিজ সাপ্লিমেন্ট
- * জীবনধারা পরিবর্তন, যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো
- প্লাটিলেট কমে যাওয়ার চিকিৎসায় নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে।
প্লাটিলেট কত হলে মানুষ মারা যায়
একজন সুস্থ মানুষের রক্তে প্রতি ১০০ মিলিমিটার রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দেড় থেকে চার লাখ থাকা উচিত। এই মাত্রা যদি ২০ হাজারের নিচে নেমে যায়, তাহলে কোনও প্রকার আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে পারে। যদি প্লাটিলেটের সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে নেমে যায়, তাহলে শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে অনবরত রক্তপাত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকি থাকে। এই অবস্থাকে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বলা হয়।প্লাটিলেট কমে যাওয়ার কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না। ফলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না। এছাড়াও, রক্তনালীর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ থেকে রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে। এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ হতে পারে:
- * অনিয়ন্ত্রিত রক্তক্ষরণ
- * অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ
- * মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ
- * হৃদযন্ত্রের রক্তক্ষরণ
- * ফুসফুসে রক্তক্ষরণ
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- * ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেনপক্স, ইত্যাদি সংক্রমণ
- * ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- * ক্যান্সার চিকিৎসা
- * অটোইমিউন রোগ
- * যকৃত রোগ
- * কিডনি রোগ
- * রক্তাল্পতা
- * রক্তের রোগ
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:
- * সহজেই ক্ষত বা রক্তপাত হওয়া
- * নাক দিয়ে রক্ত পড়া
- * মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
- * মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া
- * ত্বকে নীলচে দাগ
- * মাথাব্যথা
- * ঘুমের সমস্যা
- * অজ্ঞান হওয়া
প্লাটিলেট কমে গেলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্লাটিলেটের মাত্রা পরীক্ষা করবেন। প্লাটিলেটের মাত্রা কম থাকলে, ডাক্তার চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
- * প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন
- * ওষুধপত্র
- * রক্তের রোগের চিকিৎসা
প্লাটিলেট কমে যাওয়া প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- * ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেনপক্স, ইত্যাদি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকা নেওয়া
- * ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা
- * ক্যান্সার চিকিৎসার সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা
- * অটোইমিউন রোগ, যকৃত রোগ, কিডনি রোগ, রক্তাল্পতা, রক্তের রোগ ইত্যাদির চিকিৎসা করা
রক্তের প্লাটিলেট বৃদ্ধির উপায়
রক্তের প্লাটিলেট হল এক ধরনের রক্তকণিকা যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের প্রতি 100 মিলিমিটার রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দেড় থেকে চার লাখ থাকা উচিত। প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না, যার ফলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- * ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকেনপক্স, ইত্যাদি সংক্রমণ
- * কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, হেপাটিক টক্সিক এজেন্ট, ইত্যাদি
- * ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, ইত্যাদি
- * অস্থিমজ্জার রোগ
- * রক্তস্বল্পতা
প্লাটিলেট বাড়াতে নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- * **খাদ্যে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন:** ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, আয়রন, এবং ফলিক অ্যাসিড প্লাটিলেট উৎপাদনে সাহায্য করে। এসব পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:
- * **ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:** কমলা, লেবু, আম, গোলাপী টমেটো, ব্রোকলি, ইত্যাদি
- * **ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার:** বাদাম, বীজ, শাকসবজি, ইত্যাদি
- * **ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার:** সবুজ শাকসবজি, ব্রোকলি, ডিম, ইত্যাদি
- * **আয়রন সমৃদ্ধ খাবার:** মাংস, মাছ, ডাল, বাদাম, বীজ, ইত্যাদি
- * **ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার:** সবুজ শাকসবজি, লেবু, কমলা, ইত্যাদি
- * **পর্যাপ্ত ঘুম:** পর্যাপ্ত ঘুম অস্থিমজ্জাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, যা প্লাটিলেট তৈরি করে। প্রতি রাতে কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
- * **ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করুন:** ধূমপান এবং অ্যালকোহল অস্থিমজ্জার ক্ষতি করতে পারে, যা প্লাটিলেট উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে।
- * **নিয়মিত ব্যায়াম করুন:** নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, যা প্লাটিলেট উৎপাদনেও সাহায্য করে।
- * **ডাক্তারের পরামর্শ নিন:** যদি আপনার প্লাটিলেট কমে যায়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। তারা আপনার প্লাটিলেট কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- * **ত্বকে বা মুখের ভেতরে ছোট ছোট রক্তপাত**
- * **নাক থেকে রক্তপাত**
- * **মাড়ি থেকে রক্তপাত**
- * **প্রস্রাবে রক্ত**
- * **পায়খানায় রক্ত**
যদি আপনার এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url