OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশের অর্থনীতি মার্কস -০৩ পর্ব ০১

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল বাজার অর্থনীতি। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রায় ২৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বে ৪৫তম বৃহত্তম। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালে ৮.১৫% ছিল, যা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত তিনটি খাতের উপর নির্ভরশীল: কৃষি, শিল্প এবং সেবা। কৃষি খাত মোট জিডিপির ১৪.২৩%, শিল্প খাত ৩৩.৬৬% এবং সেবা খাত ৫২.১১% অবদান রাখে। কৃষি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশের প্রায় ৪০% জনসংখ্যা কৃষি নির্ভর। প্রধান ফসলগুলি হল ধান, পাট, গম, আলু, চা এবং মসলা। শিল্প খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত বর্ধনশীল অংশ। প্রধান শিল্পগুলি হল তৈরি পোশাক, চামড়া, রাসায়নিক, প্রকৌশল এবং জাহাজ নির্মাণ।

বাংলাদেশের-অর্থনীতি
সেবা খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃহত্তম অংশ। প্রধান সেবাগুলি হল বাণিজ্য, পরিবহন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যটন। বাংলাদেশের জাতীয় আয় গণনায় দেশের অর্থনীতিকে ভাগ করা হয় - ১৫ টি খাত।

বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান এবং স্থিতিশীল অর্থনীতি। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের জিডিপি ১১৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের ৪৪তম বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হল তৈরি পোশাক শিল্প, যা দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% যোগান দেয়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি, সেবা এবং নির্মাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা বেশ শক্তিশালী। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২%, যা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ হার। এই প্রবৃদ্ধি মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানির বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি, বৈষম্য এবং পরিবেশগত ক্ষতি। তবে, সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু সম্ভাব্য সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড় এবং তরুণ জনসংখ্যা, স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়। দেশটি তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

**বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল খাতগুলি:**

  • * **কৃষি:** বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত হল কৃষি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, বাংলাদেশের মোট জিডিপির ২৭.৩% কৃষি খাত থেকে এসেছে। কৃষি খাতে প্রধান ফসলগুলি হল ধান, পাট, চা, গম এবং ভুট্টা।
  • * **তৈরি পোশাক:** বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত হল তৈরি পোশাক। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮০% তৈরি পোশাক থেকে এসেছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ।
  • * **সেবা:** বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত বর্ধনশীল খাত হল সেবা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৫৫.৪% সেবা খাত থেকে এসেছে। সেবা খাতের প্রধান খাতগুলির মধ্যে রয়েছে পরিবহন, যোগাযোগ, পর্যটন এবং আর্থিক পরিষেবা।
  • * **নির্মাণ:** বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাত হল নির্মাণ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, বাংলাদেশের মোট জিডিপির ৯.১% নির্মাণ খাত থেকে এসেছে।

**বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু চ্যালেঞ্জ:**

  • * **জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি:** বাংলাদেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব বিশ্বের অন্যতম উচ্চ। জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধির ফলে চাকরির সুযোগ সীমিত হয়ে পড়তে পারে এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • * **বৈষম্য:** বাংলাদেশে বৈষম্য গুরুতর সমস্যা। ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য ব্যাপক।
  • * **পরিবেশগত ক্ষতি:** বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। বায়ু দূষণ, জল দূষণ এবং বন উজাড়ের মতো সমস্যাগুলি উদ্বেগের কারণ।

**বাংলাদেশের অর্থনীতির কিছু সম্ভাবনা:**

  • * **বড় এবং তরুণ জনসংখ্যা:** বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। তরুণ জনসংখ্যা অর্থনীতির জন্য সম্ভাব্য শক্তি।
  • * **স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা:** বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে। বিনিয়োগ এবং ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
  • * **অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ:** বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করছে। 

বিশ্বের অর্থনৈতিক ধরণ

গোটা বিশ্বের চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু আছে।
  • পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা
  • সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা
  • মিশ্র অর্থব্যবস্থা
  • ইসলামী অর্থব্যবস্থা
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রকৃতি মুক্তবাজার অর্থনীতি। বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯১ সালে ১ জুলাই। 

জাতীয় আয়

বাংলাদেশের জাতীয় আয় হল দেশের বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)। দেশের অর্থনীতির আকার এবং স্বাস্থ্যের পরিমাপ। ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ২৮ ডলার কম। টাকার অংকে মাথাপিছু আয় পূর্ববর্তী অর্থবছর হতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২,৭০,৪১৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস হল কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাত। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি খাতের অবদান ছিল জিডিপির ২৯.১৪%, শিল্প খাতের অবদান ছিল ২৭.৬৮% এবং সেবা খাতের অবদান ছিল ৪৩.১৮%।

বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি হার ক্রমবর্ধমান। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি হার ৬.০৩%। বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।

অর্থনীতি সংক্রান্ত তত্ত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। এর মধ্যে কিছু তত্ত্ব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস ও বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, আবার কিছু তত্ত্ব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির উপর আলোকপাত করে। বাংলাদেশের অর্থনীতি সংক্রান্ত তত্ত্বগুলিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  • * **ঐতিহাসিক তত্ত্ব:** এই তত্ত্বগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়গুলিকে ব্যাখ্যা করে।
  • * **বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব:** এই তত্ত্বগুলি বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিকগুলিকে ব্যাখ্যা করে, যেমন:

  1.     * **উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা**
  2.     * **মজুরি ও মূল্য**
  3.     * **ব্যবসা ও বিনিয়োগ**
  4.     * **অর্থনীতির ভারসাম্য**

**ঐতিহাসিক তত্ত্ব**

বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশকে সাধারণত তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়:

  • * **প্রাক-ঔপনিবেশিক যুগ (১৬০০-১৭৫৭):** এই যুগে বাংলাদেশ ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনীতি, যেখানে কৃষিকাজ ছিল প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
  • * **ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগ (১৭৫৭-১৯৪৭):** এই যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এবং ঔপনিবেশিক শোষণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • * **স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগ (১৯৭১-বর্তমান):** এই যুগে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

**বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব**

বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিকগুলিকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে। এই তত্ত্বগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • * **উৎপাদন তত্ত্ব:** এই তত্ত্বটি উৎপাদনশীলতার বিভিন্ন কারণগুলিকে ব্যাখ্যা করে।
  • * **মজুরি তত্ত্ব:** এই তত্ত্বটি মজুরি নির্ধারণের বিভিন্ন কারণগুলিকে ব্যাখ্যা করে।
  • * **মূল্য তত্ত্ব:** এই তত্ত্বটি মূল্য নির্ধারণের বিভিন্ন কারণগুলিকে ব্যাখ্যা করে।
  • * **ব্যবসা তত্ত্ব:** এই তত্ত্বটি ব্যবসা এবং বাণিজ্যের বিভিন্ন দিকগুলিকে ব্যাখ্যা করে।
  • * **বিনিয়োগ তত্ত্ব:** এই তত্ত্বটি বিনিয়োগের বিভিন্ন কারণগুলিকে ব্যাখ্যা করে।

**বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা**

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.২%, যা বিশ্বের অন্যতম উচ্চ হার। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাতগুলি হল কৃষিকাজ, শিল্প এবং পরিষেবা। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • * **দারিদ্র্য:** বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।
  • * **বেকারত্ব:** বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ বেকার।
  • * **অবকাঠামোগত ঘাটতি:** বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশের জন্য বিভিন্ন তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি ভালো, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবেলা করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের রাজস্বনীতি 

বাংলাদেশের রাজস্বনীতি হলো সরকারের রাজস্ব আহরণ এবং ব্যয়ের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের নীতি। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক নীতি যা সরকারের আর্থিক সামর্থ্য এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে।

**বাংলাদেশের রাজস্বনীতির লক্ষ্য**

বাংলাদেশের রাজস্বনীতির মূল লক্ষ্য হলো সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করা এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজস্বনীতির নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করা হয়:

  • * সরকারের ব্যয় মেটানো
  • * সরকারি ঋণ কমানো
  • * অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা
  • * সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন
  • * জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন
  • **বাংলাদেশের রাজস্বনীতির উৎস**

বাংলাদেশের রাজস্বনীতির প্রধান উৎস হলো কর, শুল্ক এবং অন্যান্য রাজস্ব। কর হলো সরকারের কাছে অর্থ প্রদানের জন্য আইন দ্বারা বাধ্যতামূলক করা অর্থ। শুল্ক হলো আমদানি বা রপ্তানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত কর। অন্যান্য রাজস্ব হলো রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত আয়, সরকারি সম্পত্তির বিক্রয়, এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়।

**বাংলাদেশের রাজস্বনীতির প্রকারভেদ**

বাংলাদেশের রাজস্বনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  • * **প্রত্যক্ষ কর:** প্রত্যক্ষ কর হলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় বা সম্পত্তির ওপর আরোপিত কর। প্রত্যক্ষ কর কেবল করদাতার কাছ থেকেই আদায় করা হয়।
  • * **পরোক্ষ কর:** পরোক্ষ কর হলো পণ্য বা পরিষেবার ওপর আরোপিত কর। পরোক্ষ কর করদাতার কাছ থেকে প্রত্যক্ষভাবে আদায় করা হয় না, বরং পণ্য বা পরিষেবার দামের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে।

**বাংলাদেশের রাজস্বনীতির বর্তমান অবস্থা**

বাংলাদেশের রাজস্বনীতি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। তবে, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অসুবিধা হতে পারে।

**বাংলাদেশের রাজস্বনীতির উন্নয়নের জন্য সুপারিশ**

বাংলাদেশের রাজস্বনীতির উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি করা যেতে পারে:

  • * **কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন:** কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ, ন্যায়সঙ্গত এবং কার্যকর করা প্রয়োজন।
  • * **কর আদায়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধি:** কর আদায়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
  • * **অর্থনীতির বৈচিত্র্য বৃদ্ধি:** অর্থনীতির বৈচিত্র্য বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্বের নতুন উৎস তৈরি করা সম্ভব।

বাংলাদেশের রাজস্বনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা সরকারের আর্থিক সামর্থ্য এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে। সরকারের উচিত রাজস্বনীতিকে আরও কার্যকর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

বাংলাদেশের রাজস্বনীতি থেকে আসা বিগত সালের বেশকিছু প্রশ্ন। চলুন একনজরে দেখেনি:

  • বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কী- ভ্যাট
  • বাংলাদেশ সরকার কোন খাত থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে - পরোক্ষ কর
  • কোন উৎস বা খাত থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে রাজস্ব আয় করে - মূল্য সংযোজন কর
  • বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস - কর রাজস্ব
  • বাংলাদেশের মূল্য সংযোজনের কর প্রথম প্রবর্তিত হয় কবে - ১ জুলাই ১৯৯১

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও পঞ্চম বার্ষিকী

**বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা**

বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা হল দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা যা 2041 সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি 2021 সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদিত হয়েছিল।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনার দুটি প্রধান লক্ষ্য হল:

  • * 2031 সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং 2041 সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করা।
  • * সকলের জন্য অংশগ্রহণমূলক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি স্তম্ভ চিহ্নিত করা হয়েছে:

  • * অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
  • * সামাজিক উন্নয়ন
  • * পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন
  • * প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়ন
  • * ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন

**প্রেক্ষিত পরিকল্পনার পঞ্চম বার্ষিকী**

বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনার পঞ্চম বার্ষিকী ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর পালিত হয়। এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পঞ্চম বার্ষিকীতে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান যে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার বেশ কিছু লক্ষ্য অর্জন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • * অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.২% থেকে ৮%-এ উন্নীত হয়েছে।
  • * দারিদ্র্য হার ৪৩.৩% থেকে ২১.০%-এ নেমে এসেছে।
  • * মাথাপিছু আয় ১,২২৪ মার্কিন ডলার থেকে ২,২১৩ মার্কিন ডলার-এ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার কিছু লক্ষ্য অর্জনে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • * শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।
  • * স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
  • * জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা।

**প্রেক্ষিত পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ**

বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • * পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
  • * উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
  • * জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।

প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এতে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

চলুন আমরা দেখে নি বিগত সালের আসা কিছু প্রশ্ন:

  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণ এবং উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন সংক্রান্ত সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক সংস্থার নাম কী - একনেক ECNEC
  • ECNEC এর পূর্ণ রুপ কী- Executive Committee of National Economic Council
  • ECNEC এর বিকল্প চেয়ারম্যান - অর্থ ও পরিকল্পনার মন্ত্রী
  • বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ (ECNEC) এর সভাপতি হচ্ছেন- প্রধানমন্ত্রী
  • বাংলাদেশ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান কে - প্রধানমন্ত্রী
  • পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে কোন সংস্থা - পরিকল্পনা কমিশন
  • এ যাবৎ কয়টি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছে- ৭টি।
  • ১ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মেয়াদকাল ছিল - ১৯৭৩-১৯৭৮
  • প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয়- জুলাই ১৯৭৩
  • বর্তমানে কততম পঞ্চবার্ষিকী চালু রয়েছে- অষ্টম
  • ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মেয়াদকাল হবে - ২০১৬-২০২০
  • সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী মেয়াদকাল অর্থবছর ছিল - ২০১৯-২০
  • ৭ম পঞ্চবার্ষিকী মেয়াদকালে গড় প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা- ৭.৪০%
  • অনুমোদিত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রতিপাদ্য - প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ,নাগরিকের ক্ষমতায়ন
  • সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প কোথায় অনুমোদিত হয়- একনেক (ECNEC) সভায়
  • একনেক (ECNEC) এর প্রধান কে - প্রধানমন্ত্রী
  • বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত কতটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে - ৮ম
  • অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী মেয়াদকালে গড় প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা - ৮.৫১%
  • বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সময়সীমা কত - ২০২১-২০৪১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url