OrdinaryITPostAd

এন্টিবায়োটিক কি কি রোগের কাজ করে

অ্যান্টিবায়োটিক হল এমন ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে বা এর বংশবিস্তার রোধ করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে: শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ-নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস, ল্যারিংজাইটিস, ওটাইটিস মিডিয়া। মূত্রনালীর সংক্রমণ- মূত্রনালীর সংক্রমণ, মূত্রথলির সংক্রমণ, কিডনির সংক্রমণ। চর্মের সংক্রমণ ফোঁড়া, ব্রণ, ত্বকের ক্ষত। জীবাণুজনিত আমাশয়,যক্ষ্মা, সেপসিস, এন্ডোকার্ডাইটিস, পেরিটনিটিস, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, গনোরিয়া, সিফিলিস। অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।

এন্টিবায়োটিক কি কি রোগের কাজ করে
তাই, রোগীর সংক্রমণের জন্য কোন অ্যান্টিবায়োটিক সবচেয়ে কার্যকর তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসক রোগীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
  • * **অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রেই কার্যকর। ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়।
  • * **অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করতে হয়। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
  • * **অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
  • * **অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পর লক্ষণগুলি উপশম হলেও পুরো কোর্স শেষ করতে হবে।
  • * **অ্যান্টিবায়োটিক অপব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা

অ্যান্টিবায়োটিক শক্তিশালী ওষুধ। তাই, সঠিকভাবে ব্যবহার করা জরুরি। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলি মাথায় রাখলে অ্যান্টিবায়োটিক থেকে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া সম্ভব। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি তাদের কার্যকরতা এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের কার্যকারিতা দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে।

**কার্যকারিতা অনুসারে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে নিম্নরূপ শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে-
  • **বিস্তৃত বর্ণালী অ্যান্টিবায়োটিক** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি গ্রাম-পজিটিভ এবং গ্রাম-নেগেটিভ উভয় ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামোক্সিসিলিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং অ্যাম্পিসিলিন।
  • **সীমিত বর্ণালী অ্যান্টিবায়োটিক** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন এবং ম্যাক্রোলাইড।
**ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকারিতা অনুসারে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে নিম্নরূপ শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে।
  • **বেটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের সংশ্লেষণকে বাধা দেয়। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন এবং কার্বাপেনেম।
  • **মাইক্রোলিডাস** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণকে বাধা দেয়। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন এবং টেলিট্রোমাইসিন।
  • **টেট্রাসাইক্লিন** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণকে বাধা দেয়। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে টেট্রাসাইক্লিন, ডক্সিসাইক্লিন এবং মেট্রোনিডাজল।
  • **ফ্লুরোকুইনোলোন** - এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ সংশ্লেষণকে বাধা দেয়। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন এবং অফ্লক্সাসিন।
  • **অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক** - এই গ্রুপে অন্যান্য ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে কাজ করে। উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে এমপিনমেসিলিন, ট্রাইমেথোপ্রিম/সালফোমেটক্সাজল এবং লিনকোমাইসিন।
এন্টিবায়োটিকগুলিকে তাদের রাসায়নিক কাঠামোর ভিত্তিতেও শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন এবং কার্বাপেনেমগুলি সবই বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক। এন্টিবায়োটিকগুলিকে তাদের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করেও শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট ধরণের সংক্রমণের জন্য নির্দিষ্টভাবে নির্দেশিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, নুফ্লক্সাসিন ফ্লুরোকুইনোলোন অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত মূত্রনালীর সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিবায়োটিক হল এমন ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করে। এগুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম

অ্যান্টিবায়োটিকগুলিকে তাদের কার্যকারিতা এবং রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। কিছু সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক শ্রেণী হল:
  • * পেনিসিলিন: পেনিসিলিন হল প্রথম আবিষ্কৃত অ্যান্টিবায়োটিক। গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। পেনিসিলিনের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যামোক্সিসিলিন, অক্সাসিলিন, এবং অ্যাম্পিসিলিন।
  • * সেফালোস্পোরিন: সেফালোস্পোরিনগুলি পেনিসিলিনের মতোই কাজ করে। এগুলি গ্রাম-পজিটিভ এবং গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। সেফালোস্পোরিনগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে সেফট্রিয়াক্সোন, সেফুরোক্সিম, এবং সেফডিক্সিম।
  • * ম্যাক্রোলাইড: ম্যাক্রোলাইডগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণে বাধা দিয়ে কাজ করে। এগুলি গ্রাম-পজিটিভ, গ্রাম-নেগেটিভ, এবং অ্যানোরব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। ম্যাক্রোলাইডগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, এবং টাইলোরোডাজোল।
  • * টেট্রাসাইক্লিন: টেট্রাসাইক্লিনগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণে বাধা দিয়ে কাজ করে। এগুলি গ্রাম-পজিটিভ, গ্রাম-নেগেটিভ, এবং অ্যানোরব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। টেট্রাসাইক্লিনগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে ডক্সিসাইক্লিন, মিনোসাইক্লিন, এবং টেট্রাসাইক্লিন।
  • * অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড: অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডগুলি ব্যাকটেরিয়ার কোষের ঝিল্লি ভেঙে ফেলে কাজ করে। এগুলি গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। অ্যামিনোগ্লাইকোসাইডগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে জেনটামাইসিন, অ্যামিকাসিন, এবং কানামিসিন।
  • * লিনকোমাইসিন: লিনকোমাইসিনগুলি ব্যাকটেরিয়ার কোষের প্রাচীর ভেঙে ফেলে কাজ করে। এগুলি গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। লিনকোমাইসিনগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে লিনকোমাইসিন, ক্লিনডামাইসিন, এবং লিভোমাইসিন।
  • * ফ্লোরোকুইনোলোন: ফ্লোরোকুইনোলোনগুলি ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ সংশ্লেষণে বাধা দিয়ে কাজ করে। এগুলি গ্রাম-পজিটিভ, গ্রাম-নেগেটিভ, এবং অ্যানোরব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। ফ্লোরোকুইনোলোনগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন, এবং অফলোক্সাসিন।
এন্টিবায়োটিকগুলি সাধারণত মুখ দিয়ে, ইনজেকশনের মাধ্যমে, বা শিরায় প্রবেশ করানো হয়। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডোজে নেওয়া উচিত। অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কোর্সটি শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি লক্ষণগুলি চলে যায়। অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কোর্সটি শেষ না করা ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কিছু সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল:
  • * ডায়রিয়া
  • * বমি বমি ভাব
  • * পেট ব্যথা
  • * মাথাব্যথা
  • * ত্বকের প্রতিক্রিয়া
  • * গুরুতর অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া (অ্যানাফিল্যাক্সিস)
অ্যান্টিবায়োটিকগুলি গ্রহণ করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডাক্তার আপনাকে আপনার জন্য সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণ ।অ্যান্টিবায়োটিক হল এক ধরনের ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ বা নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নিরাময়ে কার্যকর, যেমন:
  • **শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ** নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ল্যারিঞ্জাইটিস, টনসিলাইটিস, সাইনুসাইটিস ইত্যাদি
  • **মূত্রনালীর সংক্রমণ** মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই)

অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা

অ্যান্টিবায়োটিক হল সেইসব পদার্থ যা ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অনুজীবের বৃদ্ধি বা বিস্তারকে বাধা দেয়। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি বিভিন্ন উত্স থেকে প্রাপ্ত হতে পারে, তবে প্রায় অর্ধেকই ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রাপ্ত। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা ব্যাপক। কিছু ব্যাকটেরিয়া তাদের প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অর্জনের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, স্ট্রেপ্টোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক যা ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেপ্টোমাইসেস গ্রুপ দ্বারা উত্পাদিত হয়। স্ট্রেপ্টোমাইসিন অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরকে ধ্বংস করে কাজ করে। এইভাবে, স্ট্রেপ্টোমাইসিন তৈরি করে, স্ট্রেপ্টোমাইসেস অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া তাদের পরিবেশে অন্যান্য অনুজীবের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, মাটিতে পাওয়া অনেকগুলি ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে যা মাটিতে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবীদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি মাটির স্বাস্থ্য এবং উর্বরতা রক্ষায় সহায়তা করে। মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার কৃত্রিমভাবে চাষ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে শিল্প স্কেলে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার সর্বাধিক সাধারণ প্রজাতিগুলির মধ্যে রয়েছে স্ট্রেপ্টোমাইসেস, অ্যাজোমাইসেস এবং মাইকোব্যাকটেরিয়া। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এন্টিবায়োটিক কতদিন কাজ করে

সাধারণত, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সংক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য কাজ করে। এই সময়টি সংক্রমণের তীব্রতা, ব্যাকটেরিয়ার ধরন এবং রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কোর্স পাঁচ থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়। তবে, কিছু সংক্রমণের জন্য, যেমন যক্ষ্মা বা ক্ল্যামাইডিয়া, কোর্সটি দুই সপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য,নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাটিকে "সেনসিটিভিটি টেস্ট" বলা হয়। যদি ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকটির প্রতি সংবেদনশীল হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিকটি সংক্রমণটি নিরাময় করতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কোর্স শুরু করার আগে, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। আপনার ডাক্তার আপনার সংক্রমণটি নির্ধারণ করতে এবং আপনার জন্য সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং কোর্সের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন। অ্যান্টিবায়োটিকগুলির কোর্স শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি আপনি সুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। মাঝপথে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করলে ব্যাকটেরিয়াগুলি পুরোপুরি মারা নাও যেতে পারে, যা সংক্রমণের পুনরাবৃত্তি বা প্রতিরোধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলির অতিরিক্ত ব্যবহারও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন সেগুলি প্রয়োজন হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url