OrdinaryITPostAd

ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিশেষ কিছু আমল | স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ঘুম প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ঘুমকে একটি নেয়ামত হিসেবে বিবেচনা করে এবং এর যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দেয়। ঘুমের সময় ও পরিমাণ ইসলামে ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় বা পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, সাধারণভাবে বলা হয় যে, রাতের বেলা ঘুমানো উত্তম। কারণ, এই সময় শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন রাত্রি উপস্থিত হয়, তখন তোমাদের সন্তানদের ঘুম পাড়াও, দরজা বন্ধ কর, এবং প্রদীপ নিভিয়ে দাও। কারণ, শয়তান অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়।” (বুখারি, মুসলিম) ঘুমানোর পূর্বে করণীয়। ঘুমানোর পূর্বে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। যেমন: অজু করা ঘুমানোর পূর্বে অজু করা সুন্নত। এতে শরীর ও মন পবিত্র হয় এবং ঘুম প্রশান্ত হয়। দোয়া পড়া ঘুমানোর পূর্বে আল্লাহর কাছে সুস্থতা, হেফাজত ও বরকতের জন্য দোয়া করা উচিত। মনে প্রশান্তি আনয়ন জন্য ঘুমানোর আগে মনের মধ্যে কোনো চিন্তা বা দুশ্চিন্তা থাকলে তা দূর করার চেষ্টা করা উচিত।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিশেষ কিছু আমল
ঘুমানোর সময় করণীয়। ঘুমানোর সময় কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। যেমন- ডান কাত হয়ে ঘুমানো, মুখ ঢেকে ঘুমানো, পায়ের দিক উঁচু করে ঘুমানো, ঘুমের আগে খাওয়া-দাওয়া পরিমিত করা। ঘুম থেকে উঠার পর করণীয়। ঘুম থেকে উঠার পর কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। যেমন-আল্লাহর শুকুর করা, অজু করা, দুয়া পড়া। এতে দিনের জন্য আল্লাহর রহমত ও বরকত কামনা করা হয়। ঘুমের কিছু ইসলামী বিধান পবিত্র অবস্থায় ঘুমানো, উপুড় হয়ে ঘুমানো নিষেধ, ঘুমের মধ্যে কথা বলা নিষেধ। ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ঘুমকে একটি নেয়ামত হিসেবে বিবেচনা করে এবং এর যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনে চলার নির্দেশ দেয়।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে যা করণীয়

ইসলামে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে। এই আমলগুলো পালন করলে ঘুম প্রশান্ত হয়, দোয়া কবুল হয় এবং পরকালে সুফল লাভ হয়।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেসব আমল করা উচিত সেগুলো হলো:
  • * **অজু করা:** অজু শরীর ও মনকে পরিষ্কার করে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে অজু করা অত্যন্ত জরুরি। হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে অজু করে, সে ঘুম থেকে উঠে নামাযের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।" (তিরমিজি)
  • * **আয়াতুল কুরসি পড়া:** আয়াতুল কুরসি পড়ার ফলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায়। হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার বিছানার নিচে সারারাত একজন ফেরেশতা অবস্থান করবেন, যে শয়তানকে তার কাছে আসতে দেবেন না।" (বুখারি)
  • * **সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া:** সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার ফলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায় এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারে না। হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ঘুমানোর সময় পড়বে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে।" (বুখারি ও মুসলিম)
  • * **সুরা মুলক পড়া:** সুরা মুলক পড়ার ফলে মৃত্যুর পর কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মুলক পড়বে, তার জন্য তার কবরের আজাব থেকে মুক্তি হবে।" (তিরমিজি)
  • * **সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়া:** সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ার ফলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায়। হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়বে, তিনবার তার উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে হেফাজত থাকবে, একবার শয়তান থেকে, একবার সাপ-বিচ্ছু থেকে এবং একবার যাদু থেকে।" (তিরমিজি)
  • * **ডান কাত হয়ে শোয়া:** ডান কাত হয়ে শোয়া উত্তম। হাদিসে এসেছে, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ডান কাত হয়ে শোয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।" (বুখারি ও মুসলিম)
  • * **দুয়া করা:** ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর কাছে সুস্থতা, হেফাজত ও রিজিকের জন্য দোয়া করা উচিত। হাদিসে এসেছে, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমানোর সময় এই দোয়াটি করতেন, "আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।" (তিরমিজি)
এই আমলগুলো পালন করলে ঘুম প্রশান্ত হয়, দোয়া কবুল হয় এবং পরকালে সুফল লাভ হয়।

রাতে ঘুমানোর আগে কোন সূরা পড়তে হয়

রাতে ঘুমানোর আগে পড়ার জন্য বেশ কয়েকটি সূরা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি হল:

* **আয়াতুল কুরসি**
* **সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত**

**আয়াতুল কুরসি** হলো সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এটি কুরআনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়াতগুলির মধ্যে একটি। এটি পাঠ করলে শয়তান থেকে হেফাজত পাওয়া যায় এবং শয়তান ঘুমের মধ্যে মানুষের ক্ষতি করতে পারে না।

**সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত** হলো ২৮৫ ও ২৮৬ নম্বর আয়াত। এটি পাঠ করলে শয়তান থেকে হেফাজত পাওয়া যায়, রাতের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায়।

এছাড়াও, রাতে ঘুমানোর আগে যেসব সূরা পড়া যেতে পারে সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • * **সুরা মুলক**
  • * **সুরা ইখলাস**
  • * **সুরা ফালাক**
  • * **সুরা নাস**
**সুরা মুলক** হলো কুরআনের ৬৭ নম্বর সূরা। এটি পাঠ করলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায়।

**সুরা ইখলাস** হলো কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা। এটি পাঠ করলে আল্লাহর একত্বের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়।

**সুরা ফালাক** হলো কুরআনের ১১৩ নম্বর সূরা। এটি পাঠ করলে সকল প্রকার ক্ষতি থেকে হেফাজত পাওয়া যায়।

**সুরা নাস** হলো কুরআনের ১১৪ নম্বর সূরা। এটি পাঠ করলে শয়তান থেকে হেফাজত পাওয়া যায়।

এছাড়াও, রাতে ঘুমানোর আগে যেসব দোয়া পড়া যেতে পারে সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • * **আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া**
  • * **আল্লাহুম্মা লাকাসমিয়া ওয়া লাকানুসুসি ওয়া লাকা মারিয়াদি**
  • * **আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম ওয়া মিন আজাবি ফিরদাউস ওয়া মিন ফিতানিল মাহইয়া ওয়াল মামাত**
  • * **আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিমাউলিকা ওয়া কুদরাতিকা আন তাকদিল হাজাল হাল লিহাল আহসানি**
  • **আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া** অর্থাৎ, "হে আল্লাহ, তোমার নামে আমি মরে যাই এবং তোমার নামেই বেঁচে উঠি।"
  • **আল্লাহুম্মা লাকাসমিয়া ওয়া লাকানুসুসি ওয়া লাকা মারিয়াদি** অর্থাৎ, "হে আল্লাহ, আমার চেহারা তোমার দিকে, আমার হাত তোমার কাছে, আমার সমস্ত আশা তোমার প্রতি নির্ভর করে।"
  • **আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম ওয়া মিন আজাবি ফিরদাউস ওয়া মিন ফিতানিল মাহইয়া ওয়াল মামাত** অর্থাৎ, "হে আল্লাহ, আমি তোমার আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, ফিরদাউসের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে।"
  • **আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিমাউলিকা ওয়া কুদরাতিকা আন তাকদিল হাজাল হাল লিহাল আহসানি** অর্থাৎ, "হে আল্লাহ, আমি তোমার সম্পদ ও ক্ষমতার কসম করে তোমার কাছে প্রার্থনা করি যে তুমি এই অবস্থাকে আমার জন্য সর্বোত্তম করে দাও।"
এই সবগুলি আমল ও দোয়া পড়ার মাধ্যমে রাতে ঘুমের আগে আত্মার শান্তি ও প্রশান্তি লাভ করা যায় এবং পরকালের জন্য সওয়াব অর্জন করা যায়।

ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ বললে কি হয়?

ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে অনেক উপকার হয়। এটি একটি সুন্নাত আমল, যা নবী করিম (সা.) নিজে পালন করেছেন।

বিসমিল্লাহের অর্থ হল "আল্লাহর নামে"। এটি একটি শক্তিশালী আমল, যা আমাদেরকে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের সুযোগ করে দেয়।

ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে নিম্নলিখিত উপকারিতা হয়:
  • * **আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।**
  • * **শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।**
  • * **ঘুম ভালো হয়।**
  • * **স্বপ্ন ভালো হয়।**
  • * **স্বপ্নে ভয় দেখার সম্ভাবনা কমে যায়।**
এছাড়াও, ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়লে আমাদের মনের মধ্যে আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত হয়। এটি আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি আরও বেশি ভালোবাসা ও আনুগত্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ার জন্য নিম্নলিখিত দোয়াটি পড়া যেতে পারে:


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

ব্যাখ্যা: "আমি সর্বশক্তিমান ও করুণাময় আল্লাহর নামে আমার হাত তুলছি। পৃথিবীতে বা আসমানে কোন কিছুই আমাকে আঘাত করতে পারে না যেমন আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। তিনি শ্রবণ ও জ্ঞান উভয়েরই অধিকারী।"

এই দোয়াটি পড়ার পর, আমরা আমাদের হাতের তালুতে ফুঁ দিতে পারি এবং তা দিয়ে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত বুলিয়ে দিতে পারি। এতে আমাদের শরীর ও মনে শান্তি ও প্রশান্তি আসে।

ঘুমানোর আগে দোয়া

**ঘুমানোর আগের দোয়া**

**উচ্চারণ:**

আল্লাহুম্মা বিসমিকাল আমুতু ওয়া আহইয়া।

**অর্থ:**

হে আল্লাহ! তোমার নামে ঘুমাই আর তোমার নামেই জেগে থাকি।

**ফজিলত:**

এই দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা ঘুমন্ত ব্যক্তির ঈমান ও নিরাপত্তা রক্ষা করেন।

**প্রয়োজনীয়তা:**

ঘুমানোর আগে এই দোয়াটি পাঠ করা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে আল্লাহ তাআলার রহমত ও বরকত লাভ হয়।

**বিস্তারিত:**

ঘুম একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এটি আমাদের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেয়। ঘুমের মাধ্যমে আমরা নতুন শক্তি ও ক্ষমতা অর্জন করি। তাই ঘুমের আগে আল্লাহর কাছে সুন্দর ঘুমের জন্য দোয়া করা উচিত।

হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমানোর আগে এই দোয়াটি পাঠ করতেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি এই দোয়াটি পাঠ করবে, তার ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সময় পর্যন্ত তার ঈমান ও নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে।”

এই দোয়াটি পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে ঘুমের জন্য হেল্প চাইছি। আমরা বলছি যে, আমরা তোমারই নামে ঘুমাই এবং তোমার নামেই জাগ্রত হই। অর্থাৎ, আমাদের ঘুম ও জাগরণ সবই তোমার ইচ্ছা ও নিয়ন্ত্রণে। তুমি আমাদের ঘুমকে সুন্দর ও প্রশান্তিদায়ক করে দাও।

এই দোয়াটি পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে সুন্দর ঘুমের জন্য রহমত ও বরকত চাইছি।

রাতে ঘুমানোর আগে করণীয়

আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) এর বাণী "যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে এই দুআ পাঠ করবে, সে রাতে মারা গেলে মুমিন হিসেবে মৃত্যুবরণ করবে।" আর যদি কেউ সকালে এই দুআটি বলে এবং সেদিন মারা যায়, তবে সে মুমিন হিসাবে মারা যাবে।

ঘুমানোর আগে জিকির

ঘুমানোর আগে জিকির করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আমল। এটি শরীর ও মনকে প্রশান্ত করে এবং সুন্দর স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে। হাদিস শরিফে ঘুমানোর আগে জিকির করার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

**ঘুমানোর আগে জিকির করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল হল:**

* **তিনকুল পড়ে ফুঁ দেওয়া:** তিনকুল হল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস। এই তিনটি সুরা পড়ে তাতে ফুঁ দিয়ে সারা শরীরে মাসেহ করলে শয়তান থেকে হেফাজত হয়।
* **আয়াতুল কুরসি পড়া:** আয়াতুল কুরসি পড়ার ফলে শয়তান দূরে থাকে এবং ঘুম শান্তিপূর্ণ হয়।
* **সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া:** সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার ফলে শয়তান থেকে হেফাজত হয় এবং জান্নাতের অঙ্গীকার দেওয়া হয়।
* **সুরা কাফিরুন পড়া:** সুরা কাফিরুন পড়ার ফলে কুফরের গোমরাহি থেকে হেফাজত হয়।
* **কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ পড়া:** কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ পড়ার ফলে ঘুম শান্তিপূর্ণ হয় এবং স্বপ্নে আল্লাহকে দেখার সুযোগ হয়।
* **ডান হাত গালের নিচে রেখে দোয়া পড়া:** ডান হাত গালের নিচে রেখে নিম্নলিখিত দোয়া পড়া:

```
بِسْمِكَ اللَّهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا
```

অর্থ: "হে আল্লাহ! তোমার নামে আমি ঘুমাই এবং তোমার নামেই জাগ্রত হই।"

এই আমলগুলোর পাশাপাশি ঘুমানোর আগে বিছানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নেওয়া, ঘরে আলো কমিয়ে দেওয়া, ওয়াশরুমে যাওয়ার আগে ফজরের নামাজের নিয়ত করে নেওয়া, খাবার খাওয়ার পর দাঁড়িয়ে না থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলোও লক্ষ্য রাখা উচিত।

ঘুমানোর আগে কোন দোয়া পড়লে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়

ঘুমানোর আগে যে দোয়াটি পড়লে সমস্ত গুনাহ মাফ হয় সেটি হলো:

**আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া**

অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে ঘুমাতে যাই, এবং আমি তোমার দয়ায় জেগে উঠব।"

এই দোয়াটি রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে পাঠ করতেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি এই দোয়াটি পাঠ করে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়, যদিও সেগুলো সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।" (তিরমিজি)

এছাড়াও, ঘুমানোর আগে আরও কিছু দোয়া পড়া যেতে পারে, যেমন:

* **আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, তুহহাবুল গুনাবা ওয়া তুগফিরুয জুনুবা, ইয়া গফুরুয়ার রাহিম।**

অর্থ: "আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, তিনি সর্বশক্তিমান, পরম ক্ষমাশীল, পরম করুণাময় । তিনি সীমালংঘনকারীর ক্ষমা করেন এবং পাপীকে ক্ষমা করেন। হে পরম করুণাময় এবং সকলের ক্ষমাশীল!"

* **বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসসালাতু ওয়াস সালামু আলা নাবিয়্যিনা রাসূলুল্লাহ। আল্লাহুম্মা জিবরিলুল্লাহি ওয়া মীকাঈলিল্লাহি ওয়া ইসরাফিলিল্লাহি ওয়া মুহাম্মাদিন রাসূলুল্লাহ।**

অর্থ: "আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বের প্রতিপালক। দরুদ ও সালাম নাবিয়্যিনে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উপর। হে আল্লাহ! জিবরিল (আ.), মীকাঈল (আ.), ইসরাফিল (আ.) এবং মুহাম্মাদ (সা.) এর উপর শান্তি বর্ষিত করুন।"

* **আল্লাহুম্মা আযিরনী মিন আজাবি জাহান্নাম।**

অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।"

* **আল্লাহুম্মা রাব্বান্না, লা তাঝিগান নাবুদিকা ওয়া লা তুরদুনা মিন ইয়াদিকা বারিদা। ইন্নাকা ইন্নাতুন্নাজিউনা ইলা রাহমাতিকা ওয়া নাখশা 'আযাবান্নার।**

অর্থ: "হে আমাদের রব! আমাদের নামাজকে ধ্বংস করে দিও না এবং আমাদের থেকে তোমার অনুগ্রহ বঞ্চিত করো না। নিশ্চয় আমরা তোমার রহমতের দিকে ধাবিত হই এবং জাহান্নামের আযাব থেকে ভীত হই।"

* **আল্লাহুম্মা আহইনী মা আহইয়াতু বিল হাক্কি, ওয়া তাওয়াফফানী মা তাওয়াফফানী বিল হাক্কি, ওয়া হাযিম লিল খাইরি মা আহইয়াতু ওয়া মা তাওয়াফফানী।**

অর্থ: "হে আল্লাহ! আমাকে সত্যের উপর জীবিত রাখো এবং সত্যের উপর মৃত্যু দাও। আমাকে সত্যের উপর জীবিত রাখো এবং সত্যের উপর মৃত্যু দাও।"

এই দোয়াগুলো পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং পরকালে জান্নাতের সুসংবাদ দেবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url