OrdinaryITPostAd

বঙ্গবাজার মার্কেট | বঙ্গবাজার হবে ১০ তলা পাইকারি মার্কেট

ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেট হল পোশাকের জন্য এক বিখ্যাত বাজার। ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত। বাজারটিতে পোশাকের সব ধরণের জিনিস পাওয়া যায়। এখানে শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্ট, জিন্স, টি-শার্ট, টুপি, বেল্ট, জুতা, মোজা ইত্যাদি পাওয়া যায়। এখানকার জিনিসপত্রের দামও অনেক কম। বঙ্গবাজার মার্কেট দুটি অংশে বিভক্ত: বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স এবং বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে পোশাকের দোকান আছে। বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে ফুটপাথে দোকান আছে।

বঙ্গবাজার মার্কেট

বঙ্গবাজার মার্কেট খুবই জনপ্রিয় বাজার। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ কেনাকাটা করতে আসে। 

বঙ্গবাজার মার্কেটে কেনাকাটা করার কিছু টিপস:
  • দাম কষাকষি করে জিনিসপত্র কিনুন।
  • একাধিক দোকানে দাম দেখে কিনুন।
  • ভালো মানের জিনিসপত্র কিনুন।
  • বাজারে যাওয়ার সময় সাথে কম টাকা রাখুন।
  • বাজারে যাওয়ার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র সাথে নেবেন না।

কিভাবে যাবেন:

বঙ্গবাজার মার্কেটে যেতে মোটরসাইকেল, বাস, রিকশা, অটোরিকশা বা মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • বাস: ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে ফুলবাড়িয়া যাওয়ার বাস পাবেন।
  • রিকশা: ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে ফুলবাড়িয়া যাওয়ার রিকশা পাবেন।
  • অটোরিকশা: ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে ফুলবাড়িয়া যাওয়ার অটোরিকশা পাবেন।
  • মেট্রোরেল: মিরপুর ১০ থেকে ফুলবাড়িয়া মেট্রো স্টেশনে যেতে পারেন। মেট্রো স্টেশন থেকে বাজারটি হেঁটে যাওয়ার দূরত্বে।

বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট 

বঙ্গবাজার ঢাকা শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত পাইকারি বাজার। পোশাকের জন্য বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় বাজার। এখানে শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, জিন্স, লম্বা স্কার্ট, ফতুয়া এবং অন্যান্য অনেক পোশাক পাওয়া যায়। পোশাক ছাড়াও, বঙ্গবাজারে চাদর, কম্বল, তোয়ালে, বেডশিট এবং অন্যান্য ঘরস্থালির জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বঙ্গবাজার সারাদেশ থেকে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে। খুচরা বিক্রেতারা এবং পাইকারি বিক্রেতারা উভয়েই এখানে পোশাক কিনতে আসেন। বঙ্গবাজার একটি খুব ব্যস্ত বাজার। এখানে সবসময় মানুষের ভিড় থাকে। বাজারে কেনাকাটা করার সময় আপনার জিনিসপত্রের প্রতি খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেটে কেনাকাটার জন্য কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল:

দর কষাকষি করতে ভুলবেন না

বঙ্গবাজার পাইকারি বাজার, তবে দর কষাকষি এখানে খুবই স্বাভাবিক। জিজ্ঞাসা করার আগে মনে মনে একটি দাম ঠিক করে রাখুন এবং ক্রেতাদের সাথে দর কষাকষি করতে ভয় পাবেন না।

সময় নিন 

বাজারে ঘুরে দেখুন এবং বিভিন্ন দোকানের দামগুলি তুলনা করুন। পোশাক কেনার আগে বিভিন্ন দোকানের দাম তুলনা করুন।

পাইকারি কিনুন

আপনি যদি পোশাকের ব্যবসা করেন, তাহলে পাইকারি দামে পোশাক কিনতে পারেন।

সাবধানে পোশাক পরীক্ষা করে নিন 

কেনার আগে পোশাকগুলি সাবধানে পরীক্ষা করে নিন, ত্রুটি বা ক্ষতির জন্য।

নগদ টাকা নিয়ে যান

বেশিরভাগ দোকান নগদ টাকা গ্রহণ করে।

বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট ঢাকায় পোশাক কেনার জন্য দুর্দান্ত জায়গা। আপনি যদি ভাল দামে পোশাক খুঁজছেন, তাহলে বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট অবশ্যই আপনার যাওয়া উচিত।

বঙ্গবাজার ১০ তলা পাইকারি মার্কেট তৈরি হবে। বঙ্গবাজারে ১০ তলা বিপণিবিতান হবে, মার্কেটের  কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। বঙ্গবাজার আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী এখনো ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি। ইদে ব্যবসা জমাতে পারেনি অবশ্যই ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশে নিচে দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালু রাখলে আগের মতন সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ডিএসসিসি মেয়র নির্দেশনা অনুযায়ী নকশা অনুমোদন করে বঙ্গবাজারে বহুতল মার্কেটের কাজ শুরু হবে দ্রুত। আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারে মার্কেটের ১০৬ দশমিক  ২৮ কাঠা জমির উপর ১০ তলা ভবন। যার নতুন নামে আসবে “পাইকারি নগর বিপণি বিতান”।   গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত দোকান সংখ্যা হবে ৩০৪২ টি তার মধ্যে ২২ টি খাবার দোকান থাকবে। মোটরসাইকেল ব্যবহার সুখবর হচ্ছে বেজমেন্ট পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা থাকবে। ১০ তলা বিপণিবিতান নিমার্ণ খরচ ধরা হয়েছে ৩৬৫ কোটি টাকা নিমার্ণকাজ শেষ হবে আনুমানিক ২০২৮ সালে। 

চার মার্কেটের নতুন বিপণিবিতান নাম ঠিক করা হয়েছে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণিবিতান। আলাদা চারটি মার্কেট বঙ্গবাজার হর্কাস মার্কেট, গুলিস্থান হর্কাস, মহানগর হর্কাস ও আর্দশ হর্কাস মার্কেট সমন্বয়ে গড়ে উঠবে বিপণিবিতান এই কাপড়ের মার্কেট। ব্যবসায়ীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের স্থানে ত্রিপল দ্বারা দোকান তৈরি করে অস্থায়ী ব্যবসা চলছে। তবে এখন ব্যবসা ভালো চলছে। খোলা আকাশে নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে চৌকি পেতে ব্যবসা করছে তবে কারোর ভাড়া দিতে হবে জানা যায়। সবগুলো দোকান পবিত্র রোজার ইদের পর অস্থায়ী দোকান সরানোর পরে নতুন বিপণিবিতান নির্মাণের কাজ শুরু হবে। 

বিগত দিনগুলো শীত মৌসুমে বঙ্গবাজার জমজমাট থাকতো এইবার শীতে ব্যবসায়ী চোখে ছিল স্বপ্ন। সব স্বপ্ন শেষ  আগুলে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো। তারপরে পিছনে সব স্বপ্ন পিছনে ফেলে পেটে ভাতে খরচ ওঠানোর আশায় শীতকালীন নতুন নতুন পোশাক তুলেছেন দোকানদারেরা। বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মধ্যে বিরাট একটা অংশ ব্যবসা ফিরতে পারেনি মূলধন সংকট কাটেনি বলে।  বেশিরভাগ ব্যবসীরা  ঋণভারে  জর্জরিত। প্রত্যেক ব্যবসায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছে নিত্যকার দিনের পেটে ভাতে খেয়ে বেঁচে থাকা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী পাশাপাশি কর্মচারীরা রয়েছ অনেক কষ্টে। তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ছিল দুই লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকারও বেশি। আগুনের পুড়ে পরে আগের মতন ক্রেতা মিলছে না বঙ্গবাজারে সেই কারণে ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। বঙ্গবাজারে দুই ধরনের ব্যবসী ছিল পাইকারী ও খুচরা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url