টঙ্গী থেকে যশোর বাইক রাইডের রোমাঞ্চকর যাত্রা
বাইকে করে টঙ্গী থেকে যশোর পর্যন্ত যাত্রা করা মানেই কেবল ১৯৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া নয়; উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জ এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতায় ভরা একটি অ্যাডভেঞ্চারে নিজেকে নিমজ্জিত করতে যাচ্ছি এই কথাটি ভেবে আমি আনন্দে আত্তহারা। যাত্রা দিন ছিল বৃহস্পতিবার তা আমার স্মরণে ছিল না কারণ গতকাল ডিউটি শেষ করে আবার প্রথম বারের মতন লম্বা টুর তাও নিজের বাইকের করে। আর হ্যাঁ, বলে রাখি আমার পরিবার সদস্য রা সোহাগ পরিবহন করে যাবে। আমার প্রথমবারে লং ট্যুর যাত্রা ভালো-মন্দ, আরাম সহ যাবতীয় তথ্য শেয়ার করবো সঙ্গে থাকুন।
অ্যাডভেঞ্চার পরিকল্পনা
বাইকের ভ্রমন করা অনেকের কাছে পুরোপুরি নেশা করা মতন। আমারও বাইক ক্রয় করার পরে ভ্রমন করার নেশায় পড়ে যায়। ঢাকা শহরে মহাসড়কের ও আশপাশে অলিগলি ছোটখাটো ট্যুর করেছি আমার হাত সেট করার জন্য চালিয়েছি। এরপরের পরিকল্পনা নিয়েছি লং রুটে যাওয়ার সেই সুবাদে টঙ্গী থেকে যশোর যাওয়ার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি রওনা হয়েছিলাম। মনে আনন্দ চোখেমুখে উচ্ছাস দুটো ছিল বাইক রাইড করার সময়ে। লং রুটে ভ্রমণে আমার অন্যরকম অনুভূতি ছিল তা লিখে প্রকাশ করতে পারবো না। প্রায় ২০০ কিলোমিটার মহাসড়কের রাইডিং কেমন ছিল সেটার ভালো-মন্দ এই পোস্টে বিস্তারিত জানাবো।
সঠিক বাইক নির্বাচন করা
বাইক নিবার্চন করা অত্যন্ত জরুরী। আমার পছন্দের বাইক (এফজেডএস-ভার্সন ৩)। আপনার পছন্দ অন্যরকম হতে পারে। কিন্তু যে বাইক আপনি পছন্দ করেন না ক্যানো তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপারমাত্র। তবে পরামর্শ হচ্ছে যে বাইক ক্রয় করেন না ক্যানো আগে থেকে রিভিউ কেমন তা খুবই ভালো জেনে নিবেন। আপনার যদি ভ্রমনের ইচ্ছে জাগে তাহলে উপযুক্ত বাইক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা আমি নিজেই আগে থেকে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। লং ট্যুা জন্য বলিষ্ঠ, নির্ভরযোগ্য বাইক বেছে নেওয়াটাও দরকার। আমার বাইক FZS V-3 (Bs6)। বাইকের যাত্রায় কিন্তু আমি দীর্ঘ জানিংতে যা আরামের সাথে আপস না করেই দীর্ঘ দূরত্ব এবং বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ড দেখতে দেখতে গন্তব্যস্থলে পৌছাবো এটা ছিল সবসময় ইচ্ছে আর মহান আল্লাহ তায়ালা এই দোয়া করেছি প্রথমবারে লং ট্যুরে যাত্রায় নিরাপত্তা সহিত পৌছাতে পারি।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্যাকিং
হালকা হবে দক্ষতার সাথে সবকিছুই প্যাক করেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে কিছুই রাখেনি সবকিছুই বাসে আমার পরিবার সঙ্গেই দিয়ে ছিলাম। বাসে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে জল, জলখাবার, প্রাথমিক চিকিৎসা কিট, খুচরা যন্ত্রাংশ, এবং ছোটখাটো মেরামতের জন্য সরঞ্জাম ছিল। আপনারা যারা নতুন এইসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে মোটেই ভুল করবেন না।
রুট ম্যাপিং
রাস্তার অবস্থা, উচ্চতা, এবং বিশ্রাম এবং জ্বালানির জন্য পিট স্টপসের মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে আপনিও রুটটি সাবধানতার সাথে পরিকল্পনা করুন। আমি সকালে সবকিছুই গুছিয়ে নিয়েছিলাম কারণ বাইকের যাত্রার নতুন রুট সম্পর্কে আগে থেকে আমার ধারণা ছিল না। তবে আমার বিস্তারিত সব তথ্য জানার মতন সময় হাতে ছিল না বিধায় সংক্ষেপে গুগল ম্যাপ সামান্য কিছু জানতে পেরেছিলাম। নতুন বাইকেরা যারা লং ট্যুরে যাওয়ার চিন্তা করছেন তারা সবাই যে রুটে প্রযোজনীয় তথ্য জেনে নিবেন পারলে সিনিয়র ভাইদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
সেটিং অফ-টঙ্গীর স্টার্টিং পয়েন্ট
আমি টঙ্গী থেকে যাত্রা করার সময়, নিশ্চিত করেছিলাম বাইকের জ্বালানি এবং বাইকের সর্বোত্তম কি অবস্থায় রয়েছে। এরপর আপনি যা করবেন দৃশ্যমানতার জন্য হেলমেট এবং প্রতিফলিত পোশাকের মতো নিরাপত্তা গিয়ার দুবার চেক করুন। আমি বলো এইগুলো সবগুলো নিশ্চিত করেছিলাম।
রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু
আমার সামনে উদ্ভাসিত শ্বাসরুদ্ধকর ল্যান্ডস্কেপ দ্বারা মুগ্ধ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সবুজ থেকে বিচিত্র গ্রাম পর্যন্ত, প্রতিটি বাঁক নতুন দর্শনের দেখার জন্য ছটফট করছিলাম। নতুন বাইকেরা যারা এই ধরনের রোমাঞ্চকর ট্যুর উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই যে রুটে যাবেন সেই রুটের স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে নিতে ভুল করা করবেন না যদি জেনে নেন তাহলে আপনার ভ্রমণে গভীরতা যোগ করবে আশা করছি, আপনি যে অঞ্চলগুলি অতিক্রম করেন সেখানে বসবাসকারীদের জীবন সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। আমার বেলায় কি হয়েছিল তা শেয়ার করছি, যাত্রার আগের দিন রাতে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য ছোট ভাইকে বললাম সে শুধু মাত্র টঙ্গী ও যশোরের আবহাওয়া সর্তকতা সম্পর্কে জানিয়ে ছিল।
আমি টঙ্গী থেকে যশোর যাবে পদ্মাসেতু হয়ে কিন্তু এই রুটে আরও কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে যেতে হবে। আমার উচিত ছিল ঢাকা,মুন্সিগঞ্জ, শরীয়াতপুর, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, মাগুরা জেলার আবহাওয়া স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নেয়া। যাত্রার রুটে এইসমস্ত জেলার তথ্য না জানার কারণে আমাকে মাগুরা আড়পাড়া প্রবল বৃষ্টি সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আমি জোর দিয়ে বলছি না সবসময় আবহাওয়া ও স্থানীয় সংস্কৃতি শতভাগ সঠিক বা সত্যিই হয়। তারপরেও অনাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব উপযুক্ত তথ্য আপনার নলেজের কারণে। যদি ভ্রমনের উদ্দেশ্য যে জেলায় ট্যুরে যাবেন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নোট করে নেন তাহলে যাত্রাটা অনেক আনন্দময়। যেসব তথ্য আপনার জানা দরকার উক্ত জেলায় বা উপজেলায় তেলের পাম্প,মেডিসিন দোকান, সুপানিয় পানি নিশ্চিত করা জরুরী, খাবার ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট বর্তমান পরিস্থিতি, হালকা নাস্তা করা যায় এমন জায়গায় নির্ধারণ করে নেয়াটা অনেক কাজে দিবে, বিরতি দিবেন কোন কোন জায়গায় তা আগে থেকে নোট করে নেওয়া, হাসপাতাল ও থানার জরুরী ফোন নম্বর আপনার ফোনের কললিস্টে রাখা যদি বিপদের পড়েন দ্রুত কল সাহায্য সহযোগিতার জন্য আহ্বান করতে পারেন,ফোনে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স অবশ্যই রাখবেন, ই-ব্যাংকি, বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ,নগদ এমন কয়েকটা একাউন্ট আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন, যদি না অ্যাকাউন্ট যাত্রার করার পূর্বে একাউন্ট করে নিতে ভুল করবেন না। এটিএম বুথ লিস্ট করে নিবেন অতি প্রয়োজনীয় সময়ে সহজে টাকা উঠাতে পারেন।
পথ ধরে চ্যালেঞ্জ
যাত্রার লোভ থাকা সত্ত্বেও, চ্যালেঞ্জগুলি অনিবার্য যা আপনার ও আমার জন্য হতে পারে। অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং বিভিন্ন রাস্তার পরিস্থিতি সবসময় এইরকম হবে না। উদাহরণ স্বরুপ আপনাকে আমার দেখা রাজধানী আশপাশে রাস্তা সম্পর্কে সামান্য কিছুু ধারণা দিতে পারি। প্রথমে ভাইরাল জায়গার কথা বলি ৩০০ ফিট এই জায়গাটি কথা জানে না এমন ব্যক্তি সংখ্যা প্রায় শূন্য। এই রাস্তায় খুবই আরামদায়ক রাইড করতে পারবেন কোনোরকম ঝামেলা ছাড়া, এমন আরও কয়েকটি রাস্তার কথা বলি ঢাকা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু, কমলাপুর হইতে পদ্মাসেতু যাওযার রাস্তা বাইক রাইড করবেন অনায়াসে ৮০ উপরে স্পিড উঠে যাবে যা আপনার বাইক চালানোর অভিজ্ঞতার ভিন্ন মাত্রা এনে দিবে আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি। রাজধানী বা ঢাকার যানজট সর্ম্পকে ধারনা সবার রয়েছে। আমি গুগল ম্যাপের সহযোগিতায় অতি সহজে প্রথম বারের মতন ঢাকার যানজট পেরিয়ে পদ্মাসেতু যাওয়ার রাস্তায় উঠেছি আমিতো পুরোপুরি অবাক। এখানো পুরোপুরি ক্রেডিট গুগল ম্যাপ আর আমার প্রিয় বাইক এফেজেডএস ভার্সন থ্রী।
আব্দুল্লাহপুর বাস স্টপ হইতে মালিবাগ রেল গেট বাস স্টপ
আমার বাইকের ৬৫০ টাকার জ্বালানি তেল টঙ্গী বাজার সংলগ্ন ট্যাকিং ফুল করে নিয়েছিলাম। আব্দুল্লাহপুর বাস স্টপ থেকে রওনা হলাম সকাল ০৮:০৮ মিনিটের সময়। আমার মনে ছিল না যে পহেলা ফেব্রুয়ারি সেইদিন বারে ছিল বৃহস্পতিবার। কারণ রাজধানী মানে বৃহস্পতিবার আর শনিবার হচ্ছে যানজটের শহর বলা যায়। প্রায় দুই ঘন্টা জ্যাম টেলে মালিবাগ রেলগেট পার হয়। মাত্র কয়েক কিলোমিটারের রাস্তা পার হতে এতো সময় লাগলো। আমরা আর কতদিন পরে জ্যামের শহর থেকে নিরিবিলি একটা শহরে রাস্তা আদৌও পাবো কিনা জানি না।
অতীশ দীপংকর সড়ক হইতে ভূতের বাড়ি গোলাপবাগ
মালিবাগ বাজার- খিলগাঁও বাগিচা রোড হয়ে শান্তিবাগ মসজিদ রোড (মতিঝিল এলাকা), শাহাজানপুর পানির ট্যাংকিং, আউটার সার্কুলার রোড, রামকৃঞ্চ মিশন সড়ক,কমলাপুর রোড,ভূতের বাড়ি গোলাপ বাগ রাস্তার কথা চিন্তা করলে বাজে সময়গুলো একটা ছিল। আব্দুল্লাহপুর হতে ভূতের বাড়ি গোলাপবাগ আসতে যে সময় লেগেছে তা ছিল অকল্পনীয়। যানজটের বাটে পরে আমি হয়ে গেছি সোজা। আপনার বলুন প্রায় তিন ঘন্টা রাস্তা যানজট পড়েছিলাম জ্যামের সময়টা দিয়ে স্বাভাবিক বাইক চালালেও ১৫০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা রান করা যেতে অনায়াসে।
যশোরে পৌঁছানো
যশোরে পৌছানো আমার সত্যিই অবাক হয়েছি। মহান আল্লাহতায়ালা দরবারে লাখে কোটি শুকরিয়া জনায়েছি (আলহামদুলিল্লাহ) সুস্থতার সহিত যেতে পেরেছি যশোরে। আমি এর আগে কখনো বাইক চালাইনি আর সেই মানুষটি হাইওয়ে রোডে ২৩০ কিলোমিটার একটানা বাইক চালিয়ে আল্লাহ তায়ালা রহমতে বৃষ্টি মাথায় করে ঘরে উঠি। “শুকরিয়া- আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা বিশ্বাস করেন আমার কোনো ক্লান্তিভর করেনি একটা সময়ের জন্য আর এই আরামদায়াক ট্যুরে বা জানিংতে স্বস্তিতে রেখেছিল ইয়ামাহা বাইক।
স্মৃতিচারণ বাইক জানিং
প্রথমে আল্লাহতায়ালা দরবারো আবারো লাখে কোটি শুকরিয়া আদায় করে নিচ্ছি “আলহামদুলিল্লাহ।” সম্ভবত ২ অক্টোবর ২০২৩ সালে উত্তরা খাল গ্রীণ মোটরস FZS-V-3 বুকিং দিয়েছিলাম আর ১৫ অক্টোবর পুরো টাকা পেমেন্ট করে বাইক নিয়ে ঘরে ফিরি রাত তখন রাত ০৯:৩০ মিনিট। তখনও পর্যন্ত আমার পূর্বেকার কোনোরকম ধারণা ছাড়াই বাইক ক্রয় করি। এর আগে কখনো বাইক চালানো হয়নি ফলে আমি দাবি করতে পারি না দক্ষ ড্রাইভার। সংগত কারণে বাইক হাত সেট করার জন্য ভাগ্নে নিয়ে আসছিলাম বাসায়। বাইক শোরুম থেকে ভাগ্নে চালিয়ে আসছিলো। বাসার পরে হালকা নাস্তা ও রাতের খাবার খেয়ে আমার মিশন শুরু বাইক হাতসেটআপ করা অবশ্যই সবার দোয়া নিয়ে শুরু করেছিলাম। রাত্র যখন ১০:৩০ মিনিট প্রথম বারের প্রথম নিজের বাইক গ্যারেজ থেকে বাইরে বের করলাম আমি নিজেই। সবাই দাঁড়িয়ে ছিল। আমাকে নিজেকেই আবিস্কার করলাম অনেক বেশি সাহস যা ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে উপরে থেকে নিজে বাইক নামানোর প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল আমার। কারণ ছিল আমার বাসার গ্যারেজটা ছিল রাস্তা থেকে অনেক উচুঁ। বিসমিল্লাহ বলে বাইক চাবি অন করে গলি পথ ধরে রাস্তায় আসলাম কোনোরকম ঝামেলায় ছাড়াই। আপনার বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আমার পূর্বেকার কোনোধরনের অভিজ্ঞতা ছিল বাইক চালানোর। আমি অন্যকারোর নিকট বাইক চেয়ে দীর্ঘ সময় জন্য বাইক চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। আমিতো অনেক বেশি আনন্দিত যে গলি পথ ধরে রাস্তায় আসতে পেরে। এরপরে প্রথম গ্রিয়ার ফেলে পিকাপ আসতো করে ধরে বাইক রান করলাম গতি প্রথমে ছিল ১২ থেকে ১৫ মধ্যে। আমার ভাগ্নে রাস্তায় আসতে আসতে আমি বেশকিছু দূর বাইক চালালাম তখন ভাগ্নে এসো বললো মামা আপনি চালাতে পারছেন তখন মনের ভিত্তরে আরও সাহস বেড়ে গেল। আমি ছোটো ছোটো টাগের্ট ফিলাপ করতে শুরু করি এইভাবে রাত্র ১২:৩০ মিনিট পর্যন্ত টানা নিজে নিজেই বাইক চালাই কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই। আমার কি যে ভালো লাগছিল তা লিখে বুঝাতে পারবো না আপনাদের। প্রায় দুই ঘন্টা বাইক চালানো প্যাকটিস ছোটো ছোটো টার্গেট নিয়ে বাইক মোটামুটি হাতসেটআপ হয়েছে ততক্ষণে। আমার বাইক হাতসেটআপ করতে সময় লেগেছে মাত্র ০২(দুই) ঘন্টা। এরপরে আমার আশপাশে সব রাস্তায় চালানো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে থাকি আর আমার কি কি ভুল হচ্ছে তা চিহ্নিত করতে থাকি পুরো এক সপ্তাহ। এর মধ্যে অনেক বলেছে এতো ভারি গাড়ি ক্যানো কিনলাম আরও নানাকথা। আমি আমার জায়গায় অনেক বেশি বিশ্বাস তৈরি করেই এই বাইক ক্রয় করেছিলাম তা অন্যের কথায় আমার আর কি মনে হবে বলেন।
উপসংহার স্মৃতির মূল্য লালন
টঙ্গী থেকে যশোর বাইক রাইড শুধুমাত্র গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নয়; এটা যাত্রা নিজেই সম্পর্কে. প্রতিটি বাঁক এবং বাঁক, প্রতিটি চড়াই-উৎরাই যুদ্ধ, এবং বিজয়ের প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতিতে অবদান রাখে যা আজীবন লালন করে যাবো।
FAQs
টঙ্গী থেকে যশোর বাইকে একা একা যাওয়া কি নিরাপদ?
যদিও একক অ্যাডভেঞ্চার রোমাঞ্চকর আমার জন্য ছিল, নিরাপদ ছিল। আমার কোনোরকম বিরক্ত লাগেনি বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি বা পড়েনি আল্লাহ রহমতে। তবে আমার এখনকার পরামর্শ সহায়তার জন্য কমপক্ষে একজন সহচরের সাথে যাত্রা পথে যদি রাখতে পারেন ভালো হয়। এতে করে আরামদায়ক ফিল হবে।
টঙ্গী থেকে যশোর পর্যন্ত বাইকে যাত্রা সম্পূর্ণ করতে সাধারণত কত সময় লাগে?
যাত্রার সময়কাল আবহাওয়া পরিস্থিতি, রাস্তার ট্র্যাফিক এবং ব্যক্তিগত, বাইকের গতির মতন অনেকগুলো থাকে এইকারণে উক্ত কারণগুলির উপর নির্ভর করে সময় কমবেশি লাগেতে পারে। যানজট ছাড়াই গড়ে, রাইডটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগবে পৌছাতে।
দুঃসাহসিক কাজ শুরু করার আগে কোন নির্দিষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
চমৎকার একটি প্রশ্ন এটি। হ্যাঁ, আপনার বাইকটি সবকিছু ঠিকঠাক অবস্থায় আছে তা নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া এবং আগে থেকেই সিনিয়র বা পরিচিত কারোর কাছ থেকে রুট সর্ম্পকে জেনে নিয়ে নিজেকে খাপেখাপ সেটআপ করা অপরিহার্য। উপরন্তু, হাইড্রেটেড থাকা এবং উপযুক্ত নিরাপত্তা গিয়ার সেইফটি পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টঙ্গী থেকে যশোর রুটে বেশ কিছু মনোরম স্পট এবং ভোজনশালা রয়েছে, যা আশেপাশের পরিবেশে বিশ্রাম, জ্বালানি নেয়া এবং জলখাবার গ্রহণ করা উচিত। কিছু জনপ্রিয় পিট স্টপের মধ্যে রয়েছে রাস্তার পাশের চা স্টল, মনোরম ভিউপয়েন্ট এবং স্থানীয় বাজার।
নতুনরা কি টঙ্গী থেকে যশোর বাইক চালাতে পারবে?
হ্যাঁ পারবে। আমি যদি নতুন বাইকার হয়ে দুঃসাহসিক জানিং করতে পারি তাহলে নতুন বাইকাররা ক্যানো পারবে না। অবশ্যই পারবে। যদিও নতুনদের এই যাত্রা তার অনেক চ্যালেঞ্জগুলো সঙ্গে পরিচিত হতে হবে, নানারকম পরিস্থিতি ফেস করা শিখতে হবে, নিজেকে উপস্থাপন করাও শিখতে হবে যাতে করে চলতি পথে নানারকম যানবাহন বা নানারকম মানুষের সঙ্গে দেখা হবে তাদের সঙ্গে কিরুপ আলাপচারিতা বা ব্যবহার করবেন তাও শিখতে হবে যা নতুন বাইকারদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সমস্ত দক্ষতা স্তরের সাইক্লিস্টরা সঠিক প্রস্তুতি এবং সংকল্পের সাথে এগিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। চলতি পথে অনেক প্রকার বাড়তি ঝামেলা এসে সামনে পড়বে সেইগুলো ওভারকাম করতে সুকৌশলে। মনে রাখতে হবে বাইক চালানো সময়গুলো কোনোরকম নিজেকে উত্তোজিত করা চলবে না। যদি অতিরিক্ত রাগী হলে অবশ্যই অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। নতুনদের উদ্দেশ্য করে বলি, মনে রেখো “যত গতি তত ক্ষতি” এটি মেনে চলার চেষ্টা করবে। নতুনদেরকে ছোট রুট দিয়ে শুরু করার এবং দীর্ঘ দূরত্ব যাওয়ার আগে ধীরে ধীরে তাদের সহনশীলতা তৈরি করার পরামর্শ রইল।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url