OrdinaryITPostAd

কোলেস্টেরল কমানোর যত উপায়

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা

**কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা**

  • **কোলেস্টেরল** মোমযুক্ত পদার্থ যা আপনার শরীরে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। আপনার কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়, তবে খুব বেশি কোলেস্টেরল হার্ট রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • **আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করতে পারেন:**
* **স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট কম খান** 

কোলেস্টেরল কমানোর যত উপায়
চর্বিগুলি খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট লাল মাংস, পূর্ণ-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এবং নারকেল তেলে পাওয়া যায়। ট্রান্স ফ্যাট কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়, যেমন ফ্রোজেন ডিনার, মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন এবং কুকিজ। এবং ক্র্যাকার। এগুলি ভাল কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমাতে পারে। এগুলি বাদাম, বীজ, অ্যাভোকাডো এবং জলপাই তেলে পাওয়া যায়। এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম। এগুলি মাছ, মুরগি, শিম, ডাল এবং বাদামে পাওয়া যায়।

* **পুষ্টিতে ভরা খাবার খান** 

ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ৷ এগুলি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
* **ওজন কমানোর জন্য যদি আপনার প্রয়োজন হয়** 
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

**কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করার জন্য এখানে একটি নমুনা খাদ্য তালিকা রয়েছে:**

**প্রাতঃরাশ**
  • * **ওটমিল ফল এবং বাদাম সহ**
  • * ** পুরো গমের ব্যাগেল মাখনযুক্ত অ্যাভোকাডো সহ**
  • * **স্ক্র্যাম্বলড ডিম সবজি সহ**
**দুপুরের খাবার**
  • * **গ্রিলড চিকেন বা মাছের সালাদ**
  • * **লেন্টিল স্যুপ**
  •  * **টার্কি এবং সবজির সাথে পুরো গমের রুটির স্যান্ডউইচ**
**ডিনার**
  • * **গ্রিলড স্যামন সবজির সাথে**
  • * **শাকসবজি স্টার-ফ্রাই**
  • * **টোফু স্ক্র্যাম্বল**
**নাস্তা**
  • * **ফল এবং বাদাম**
  • * **দই**
  • * **ট্রেইল মিক্স**
**এই খাদ্যতালিকাটি কেবল নির্দেশিকা। আপনার জন্য সেরা খাদ্যতালিকা তৈরি করতে একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে কথা বলুন।

**## কোলেস্টেরল কমানোর উপায়:

**খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:**

  • * **স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম খান:** লাল মাংস, পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত দ্রব্য, নারকেল তেল, তালের তেল, পাম তেল, বেকড খাবার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে।
  • * **ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণ বাদ দিন:** প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, ভাজা খাবার, বেকড খাবার, ফ্রোজেন খাবার, মার্জারিন ইত্যাদিতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।
  • * **মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি খান:** জলপাই তেল, ক্যানোলা তেল, বাদাম, বীজ, মাছ ইত্যাদিতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
  • * **ফাইবার বেশি খান:** শাকসবজি, ফল, ওটমিল, ডাল, বাদাম ইত্যাদিতে ফাইবার থাকে।
  • * **ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি খান:** চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন: স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল), বাদাম, বীজ ইত্যাদিতে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
  • * **চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান:** কোলা, ফ্যান্টা, স্প্রাইট, বিস্কুট, চিপস, নুডুলস ইত্যাদিতে প্রচুর চিনি থাকে।
টঙ্গী থেকে যশোর বাইক রাইডের রোমাঞ্চকর যাত্রা

**জীবনধারায় পরিবর্তন:**

  • * **নিয়মিত ব্যায়াম করুন:** প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করুন।
  • * **ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন:** যদি আপনার ওজন বেশি হয়, তাহলে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
  • * **ধূমপান ত্যাগ করুন:** ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
  • * **মদ্যপান কমিয়ে দিন:** অতিরিক্ত মদ্যপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
  • * **পর্যাপ্ত ঘুমান:** প্রতিদিন 7-8 ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • * **মানসিক চাপ কমিয়ে দিন:** মানসিক চাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

**ওষুধ:**

কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি হলে ডাক্তার ওষুধ লিখে দিতে পারেন।

**কিছু প্রাকৃতিক উপায়:**
  • * **রসুন:** রসুন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
  • * **ওটমিল:** ওটমিল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
  • * **বাদাম:** বাদাম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
  • * **মাছ:** মাছে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
  • * **সয়া:** সয়াতে থাকা ফাইটোস্টেরল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
**কিছু টিপস:**
  • * **খাবার রান্নার সময় তেল কম ব্যবহার করুন।**
  • * **ভাজা খাবারের পরিহার করুন।**

উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওষুধ

উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওষুধ হল **স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধ। এই ওষুধগুলো "LDL" বা "খারাপ" কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং "HDL" বা "ভালো" কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। 

**স্ট্যাটিন** গ্রুপের কিছু জনপ্রিয় ওষুধের নাম:

  • * **Atorvastatin (এটোরভাস্টাটিন)** রক্তের চর্বি বা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। (Medimet Pharmaceuticals Ltd)
  • * **Simvastatin (সিমভাস্টাটিন)** Tablet Name (Novastin, Simplaqor, Simvastatin, Simvatin, Vastocor, Zostin)
  • * **Lovastatin (লোভাস্টাটিন)**
  • * **Pravastatin (প্রাভাস্টাটিন)** Tablet Name (Pravalip - 10 mg or 20 mg)
  • * **Rosuvastatin (রোসুভাস্টাটিন)** Tablet Name ( Amber, Bestcol, Cholcut, Corestin, Corovas, Corvastin, Creston, Creva, Lipiros 10, Nestor, Osovast 10, Prestorin, RTV, Restat, Resva, Rolip) 
**স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধ ছাড়াও, উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য আরও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হয়। 

**কিছু বিকল্প ওষুধ:**

  • * **Ezetimibe (এজেটিমিব)**
  • * **Bile acid sequestrants (বাইল অ্যাসিড সিকোয়েস্ট্র্যান্ট)**
  • * **Niacin (নায়াসিন)**
  • * **Fibrates (ফাইব্রেট)**
**কোন ওষুধটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ভর করে:**
  • * আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা
  • * আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি
  • * আপনার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
  • * আপনার বয়স
  • * আপনার ঔষধের প্রতি সংবেদনশীলতা
আপনার জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

**কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:**

  • * **স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমন পেশীর ব্যথা, যকৃতের ক্ষতি, এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
  • * **স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধ সকলের জন্য উপযুক্ত নয়। 
  • * আপনার যদি গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী হন, তাহলে **স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
  • * **স্ট্যাটিন** গ্রুপের ওষুধ ছাড়াও, উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

**স্বাস্থ্যকর জীবনধারার কিছু উপাদান:**

  • * **স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:** 
  • * **নিয়মিত ব্যায়াম করা:** 
  • * **ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:** 
  • * **ধূমপান ত্যাগ করা:** 
  • * **মদ্যপান কমানো:** 
আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। আপনার ডাক্তার আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা  পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।

কোলেস্টেরল কমানোর হোমিও ঔষধ

কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণত নির্ধারিত কয়েকটির মধ্যে রয়েছে:

* **ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা:** 

ওষুধটি প্রায়শই অতিরিক্ত ওজনযুক্ত বা স্থূল ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হয় উচ্চ কোলেস্টেরল। হজম উন্নত করতে এবং শরীর থেকে চর্বি অপসারণ করতে সহায়তা করতে বলে মনে করা হয়।

* **চোলেস্টেরিনাম:** 

ওষুধটি কোলেস্টেরল থেকে তৈরি এবং উচ্চ কোলেস্টেরল সহ ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হয়। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং প্লাক জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করার জন্য বলে মনে করা হয়।

* **লাইকোপোডিয়াম:** 

ওষুধটি প্রায়শই উচ্চ কোলেস্টেরল সহ ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত হয় যাদের হজমের সমস্যাও রয়েছে। হজম উন্নত করতে এবং শরীর থেকে চর্বি অপসারণ করতে সহায়তা করতে বলে মনে করা হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং প্লাক জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করার জন্য বলে মনে করা হয়। এটি উদ্বেগ এবং চাপ কমাতে সহায়তা করার জন্যও বলে মনে করা হয়, যা উচ্চ কোলেস্টেরলে অবদান রাখতে পারে। লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি এফডিএ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এবং তাদের কার্যকারিতা সমর্থন করার জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আপনি যদি কোলেস্টেরলের জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নেওয়ার কথা বিবেচনা করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

কোলেস্টেরল কমানোর আয়ুর্বেদিক ওষুধ

কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি সবচেয়ে সাধারণ হল:

* **আশ্বগন্ধা** 

অ্যাডাপ্টোজেনিক ভেষজ যা চাপ কমাতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করতে পারে৷ 

* **অর্জুন** 

ভেষজ যা ঐতিহ্যগতভাবে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এলডিএল ("খারাপ") কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং এইচডিএল ("ভাল") কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। 

* **তুলসী** 

ভেষজ যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য দেখানো হয়েছে। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে এবং ওজন হ্রাস করতেও সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। 

* **লবঙ্গ** 

মশলা যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করার জন্য দেখানো হয়েছে। ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করতে পারে। প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করতে পারে।

আয়ুর্বেদিক ওষুধ গ্রহণের আগে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলির নিজস্ব সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য ওষুধের সাথে মিথস্ক্রিয়া হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url