আয়রনের অভাব পূরণে করণীয়
"আয়রন" (লোহা) হল ফে চিহ্ন এবং পারমাণবিক সংখ্যা ২৬ সহ রাসায়নিক উপাদান। এই ধাতুটি যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। মাংস, মুরগি, মাছ, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং সবুজ শাক-সবজি সহ অনেক খাবারে আয়রন পাওয়া যায়। খাদ্যতালিকাগত সম্পূরক হিসাবেও পাওয়া যায়। লোহা লাল রক্তকণিকা উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। পেশী এবং এনজাইমগুলির সঠিক কার্যকারিতার জন্যও প্রয়োজন। আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা হতে পারে, যা লাল রক্তকণিকার অভাব দ্বারা চিহ্নিত অবস্থা। রক্তাল্পতার লক্ষণগুলির মধ্যে ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট এবং ফ্যাকাশে ত্বক অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আপনি যদি উদ্বিগ্ন হন যে আপনার আয়রনের ঘাটতি হতে পারে, তবে পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি আয়রনের ঘাটতি ধরা পড়ে, তবে আপনার ডাক্তার চিকিত্সার সুপারিশ করবেন, যার মধ্যে আয়রন সম্পূরক গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণ
আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণ
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য খনিজ যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিন রক্তের প্রোটিন যা অক্সিজেন বহন করে। যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকে, তখন আপনি আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।
আয়রনের অভাবের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি আয়রনের অভাবের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। আপনি যদি সহজেই ক্লান্ত বোধ করেন, এমনকি সহজ কাজ করার পরেও, আয়রনের অভাবের কারণে হতে পারে।
- ত্বক ফ্যাকাশে দেখায় যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকে, তখন আপনার ত্বক ফ্যাকাশে দেখাতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট আপনি যদি সহজেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, আয়রনের অভাবের কারণে হতে পারে।
- মাথাব্যথা মাথা ঘোরা এবং হালকা মাথাব্যথা বোধ হতে পারে।
- হৃদস্পন্দন আপনার হৃৎপিণ্ড দ্রুত বা অস্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে পারে।
- ঠান্ডা হাত ও পা আপনার হাত ও পা ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।
- মাংসপেশিতে ব্যথা আপনার মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে।
- চুল পড়া আপনার চুল অতিরিক্ত পড়তে পারে।
- জিহ্বা ফ্যাকাশে আপনার জিহ্বা ফ্যাকাশে দেখাতে পারে।
- নখ ভেঙে যাওয়া আপনার নখ ভেঙে যেতে পারে।
- ঠান্ডা লাগা আপনি সহজেই ঠান্ডা অনুভব করতে পারেন।
- মনোযোগের অভাব আপনার মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।
- প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
আপনার যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার আয়রনের মাত্রা পরীক্ষা করতে পারেন।
আয়রনের অভাব রোধ করতে
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান লাল মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, ডাল, পালং শাক, ব্রকলি, বাদাম এবং বীজ।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান কমলালেবু, আঙ্গুর, ব্রকলি, এবং স্ট্রবেরি।
- ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন এগুলি আয়রনের শোষণকে বাধা দিতে পারে।
আরও তথ্যের জন্য আয়রনের অভাব - Somoy Tv:
আয়রনের অভাবে কোন রোগ হয়
আয়রনের অভাবে "রক্তাল্পতা" বা "অ্যানিমিয়া" নামক রোগ হয়। হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন প্রয়োজন। হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় (RBC) থাকে এবং শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন বহন করে। আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়, ফলে শরীরের টিস্যুতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না।
রক্তাল্পতার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
- ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা,বুক ধড়ফড়, ঠান্ডা হাত ও পা, ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, চুল পড়া, নখ ভঙ্গুর হওয়া।
আয়রনের অভাবে অন্যান্য কিছু সমস্যাও হতে পারে, যেমন
- দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা, মনোযোগের অভাব, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, বৃদ্ধিতে বাধা।
আয়রনের ঘাটতি রোধ করতে
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া লাল মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, শাকসবজি (যেমন: পালং শাক, লাউ শাক, কলাই), বাদাম, খেজুর, ব্ল্যাকবেরি, ডাল ইত্যাদি।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমলালেবু, আঙ্গুর, পেঁপে, আনারস, ব্রকলি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
- আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
আরও তথ্যের জন্য
আয়রনের ঘাটতি কেন হয়
আয়রনের ঘাটতি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হল:
খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আয়রন গ্রহণ না করা
- অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ
যারা সবুজ শাক-সবজি, মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খান না তাদের আয়রনের ঘাটতি হতে পারে।
- নিরামিষভোজী
যারা নিরামিষভোজী তাদের আয়রনের ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কারণ উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে তেমন আয়রন থাকে না।
- শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের চাহিদা বেশি
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য আয়রনের চাহিদা বেশি থাকে। তাই তাদের খাদ্যে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষরণ
- ঋতুস্রাব
মেয়েদের প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সময় রক্তক্ষরণ হয়। যদি রক্তক্ষরণ অতিরিক্ত হয়, তাহলে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে।
- অন্ত্রের রোগ
পাকস্থলী বা অন্ত্রের আলসার, পাইলস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের কারণে দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষরণ হতে পারে। আঘাত আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে।
অন্যান্য কারণ
- গর্ভাবস্থা
গর্ভবতী মায়েদের আয়রনের চাহিদা বেশি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা
সিলিয়াক ডিজিজ, ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ (IBD) ইত্যাদি পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারণে আয়রন শোষণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু ওষুধ, যেমন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, আয়রন শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ
- শারীরিক দুর্বলতা, মাথাব্যথা/মাথা ঘোরানো, মনোযোগ কমে যাওয়া, স্মরণশক্তির ঘাটতি, মাংসপেশিতে ব্যথা,অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, চুল পড়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা বা বুক ভার হয়ে থাকা, শ্বাসকষ্ট, স্থূলতা, রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম, গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকা, নখ বেঁকে যাওয়া, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, খাদ্য নয় এমন খাবারে আসক্তি।
- আয়রনের ঘাটতি রোধ আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সবুজ শাক।
আয়রন ট্যাবলেট এর নাম
বাজারে অনেক আয়রন ট্যাবলেট আছে। সবচেয়ে সাধারণ কিছুতে রয়েছে:
- ফেরাস সালফেট
- ফেরাস সালফেট আয়রন ট্যাবলেট
- ফেরাস গ্লুকোনেট ফেরাস গ্লুকোনেট আয়রন ট্যাবলেট
- ফেরিক সাইট্রেট
- পলিস্যাকারাইড আয়রন কমপ্লেক্স
আয়রন ট্যাবলেট
আয়রন ট্যাবলেট নির্বাচন করার সময়, আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত
- আয়রনের ধরন কিছু লোক অন্যান্যের তুলনায় নির্দিষ্ট ধরণের আয়রন শোষণ করে ভাল।
- আয়রনের পরিমাণ ট্যাবলেটে আয়রনের পরিমাণ ব্র্যান্ড এবং ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।
- অন্যান্য উপাদান কিছু আয়রন ট্যাবলেটে ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি এর মতো অন্যান্য উপাদান থাকে।
- খরচ আয়রন ট্যাবলেটের দাম ব্র্যান্ড এবং ফার্মেসির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
আপনার জন্য কোন আয়রন ট্যাবলেটটি সঠিক তা নিয়ে আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট আয়রন ট্যাবলেট ব্র্যান্ডের নাম রয়েছে:
- ফেরো-সি
- ফেরোগ্রাডুমেট
- ন্যাটাল
- সিমপ্লেক্স
- ট্রিফেরন
এই ব্র্যান্ডগুলির সবই বিভিন্ন ফর্মে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল এবং তরল।
আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কে এখানে আরও কিছু তথ্য রয়েছে:
- আয়রন ট্যাবলেট সাধারণত সাথে নেওয়া হয় খাবার। পেট খারাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- আয়রন ট্যাবলেট আপনার মলকে কালো করে দিতে পারে। সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং উদ্বেগের কারণ নয়।
- আপনি যদি গর্ভবতী হন বা স্তন্যদান করান তবে আপনার আয়রন ট্যাবলেট নেওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
শরীরে আয়রন বেশি হলে কি হয়
শরীরে আয়রন বেশি হলে "হেমোক্রোমাটোসিস" নামক রোগ হতে পারে। জিনগত রোগ যার ফলে শরীর খাদ্য থেকে অতিরিক্ত আয়রন শোষণ করে।
হেমোক্রোমাটোসিসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
আপনি যখন এই রোগে আক্রান্ত সম্মুখ বা ইতোমধ্যে রোগের মধ্যে রয়েছেন। আয়রন যদি কোনো কারণে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত সেবন করেন বা নির্দেশিকা বাইরে বেশি করেন সেখানে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। রোগী যেসব চিহ্ন আপনার শরীরের প্রকাশ পেতে ক্লান্তিবোধ,অনেক বেশি দূর্বলতা, পেটে ব্যথা,জয়েন্টে ব্যথা শরীরের যতগুলে জয়েন্ট সেখানে ব্যথা হতে পারে, লিভারের ও হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ডায়ারেটিস সহ ও আপনার ত্বকের রং ভিন্নতা আসা শুরু করে দিতে পারে।
হেমোক্রোমাটোসিসের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে
- রক্তক্ষরণ
- আয়রন-চেলেট থেরাপি
- খাদ্য পরিবর্তন
শরীরে আয়রন বেশি হলে আরও কিছু সমস্যা হতে পারে
- অক্সিডেটিভ স্ট্রেস অতিরিক্ত আয়রন ফ্রি রেডিকেল তৈরি করতে পারে যা কোষের ক্ষতি করতে পারে।
- সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি অতিরিক্ত আয়রন ব্যাকটেরিয়ার জন্য ভাল বৃদ্ধির মাধ্যম তৈরি করতে পারে।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি অতিরিক্ত আয়রন কোষের ক্ষতি করতে পারে যা ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আপনার যদি হেমোক্রোমাটোসিসের ঝুঁকি থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
আয়রন ট্যাবলেট কোনটা ভালো
কোন আয়রন ট্যাবলেট আপনার জন্য ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার আয়রনের ঘাটতির তীব্রতা, আপনার শারীরিক অবস্থা এবং আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের উপর।
কিছু জনপ্রিয় আয়রন ট্যাবলেট
- ফেরাস সালফেট সবচেয়ে সাধারণ এবং কম দামি আয়রন ট্যাবলেট।
- ফেরাস গ্লুকোনেট ফেরাস সালফেটের চেয়ে বেশি শোষিত হয় এবং পেটে কম
- ফেরাস ফুমারেট ফেরাস সালফেটের চেয়ে বেশি শোষিত হয় এবং পেটে কম
- সোডিয়াম ফেরেডেট ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয় এবং তীব্র আয়রন
- হেম টনিক তরল আকারে পাওয়া যায় এবং গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী
আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট খান।
- খালি পেটে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া পেট খারাপের কারণ হতে পারে।
- আয়রন ট্যাবলেট ক্যালসিয়াম, দুগ্ধজাত খাবার, কফি, চা এবং
- আয়রন ট্যাবলেট দীর্ঘ সময় ধরে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- আপনার যদি পেট খারাপ, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া।
আয়রন ট্যাবলেট ছাড়াও, আপনি আপনার খাদ্যে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত
- কিছু আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
- লাল মাংস, লিভার, মাছ, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডাল
- বাদাম, খেজুর
আপনার যদি আয়রন ঘাটতির লক্ষণ থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
আয়রন ঘাটতির লক্ষণ
- ক্লান্তি, দুর্বলতা,শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, মুখ ফ্যাকাশে হওয়া
- ঠান্ডা হাত-পা,ছাতিতে ব্যথা, মাথাব্যথা
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।
- শরীরে আয়রন বেশি হলে কি হয়
- আয়রন ট্যাবলেট এর নাম
আয়রন এর কাজ কি
আয়রনের কাজ
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। আমাদের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
আয়রনের প্রধান কাজ গুলো হল
- ১) হিমোগ্লোবিন তৈরি হিমোগ্লোবিন হলো আমাদের রক্তের লোহিত রক্তকণিকার প্রোটিন যা অক্সিজেন বহন করে। আয়রন হিমোগ্লোবিনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
- ২) শক্তি উৎপাদন আয়রন শরীরের কোষগুলিতে ইলেকট্রন বহন করে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- ৩) কোষের বিপাক আয়রন কোষের বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আয়রন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ৫) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা আয়রন মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ৬) গর্ভাবস্থা গর্ভাবস্থায় আয়রন গর্ভবতী মা ও শিশুর উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
আয়রনের উৎস
- মাংস গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ
- সবজি পালং শাক, লাউ শাক, মেথি শাক, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস
- ফল খেজুর, বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম
- ডাল মুগ ডাল, ছোলা, মসুর ডাল
- শুকনো খেজুর খেজুর, কিসমিস
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার আয়রন-ফোর্টিফাইড খাবার, যেমন সিরিয়াল, রুটি, ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল
আয়রন সম্পর্কে আরও তথ্য
সতর্কতা
আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
আয়রন ইনজেকশনের দাম
আয়রন ইনজেকশনের দাম নির্ভর করে ব্র্যান্ড, ডোজ এবং ফার্মেসির উপর। কিছু জনপ্রিয় আয়রন ইনজেকশনের দাম
- Revofer (500mg) ৳700 - ৳ 3114
- Venofer (500mg) ৳ 700 - ৳ 800
কিছু টিপস
- বিভিন্ন ফার্মেসিতে দাম তুলনা করে ঔষুধ করবেন এতে করে আপনার কিছু টাকা বাঁচাতে পারবেন
- জেনেরিক ওষুধগুলি ব্র্যান্ডেড অনুযায়ী ওষুধের চেয়ে অনেক কম দামি বা বেশি দামের ঔষুধ আপনি ফার্মেসি পেয়ে যাবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে অবশ্যই (এমজি) দেখে ঔষুধ ক্রয় করবেন
- আপনার যদি চিকিৎসা বীমা থাকে, তাহলে আপনার বীমা কোম্পানি কতটা খরচ করবে তা জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন এতে করে কিছু টাকা সাশ্রয়ী হবে।
দ্রষ্টব্য
- ঔষুধদের দাম প্যাকেট বা বক্স এমআর যাই লেখা থাকুক না ক্যানো। ঔষুধ পাইকারী ও খুচরা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে সেই দিকে অবশ্যই লক্ষ্য করবেন।
- আয়রন ইনজেকশন কেবলমাত্র একজন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভর করে দেওয়া উচিত।
আরও তথ্যের জন্য
- আপনার ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলুন
- ঔষধ নাম আপনি নিজেই খুঁজে নিতে পারবেন এবং বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমার দুইটি জনপ্রিয় অ্যাপস patient access app or Arogga - Healthcare App
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url