OrdinaryITPostAd

মস্তিষ্কের আঘাতের প্রভাব লাগলে করণীয়

মস্তিষ্কের আঘাতের প্রভাব লাগলে প্রাথমিক করণীয় যা আমাদের সকলের জানা অতি প্রয়োজন। আমাদের সকলের প্রয়োজন বা বিনা প্রয়োজনীয় ঘরের বাইরে যাওয়ার দরকার । চলতি পথে নানারকম দূঘর্টনা ঘটতে দেখা যায় তাই সকলের উচিত প্রাথমিক চিকিৎসা কি, তা তাৎক্ষণিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগিকে সেবা প্রদান করা যায় তা জানা আবশ্যক। প্রথম ধাপ গুলো আগে নিশ্চিত করবেন। তাহল - ঘটনাস্থল নিরাপদ করবেন, আহত ব্যক্তিকে বিপদ থেকে দূরে সরিয়ে নিবেন, চেতনা পরীক্ষা করুন, সেই ব্যক্তি বা আহত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন, রোগির নাম জিজ্ঞাসা করুন, এবং তাদের চোখ খোলার জন্য বলুন।  যদি তারা সাড়া না দেয়, ঘটনাস্থল আশপাশে কোনো ডাক্তারের খোঁজ করবেন, শ্বাস পরীক্ষা করুন, দেখুন তাদের বুক উঠছে এবং নামছে কিনা, ১০ সেকেন্ডের জন্য তাদের শ্বাস পর্যবেক্ষণ করুন, যদি তারা শ্বাস না নেয়, তাহলে CPR শুরু করে দিবেন, রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করুন, কোনও ক্ষত থেকে রক্তপাত হলে, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চাপ দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করুন। 

মস্তিষ্কের আঘাতের প্রভাব লাগলে করণীয়
দ্বিতীয় ধাপে যা করবেন- ৯৯৯ এ কল করুন, মস্তিষ্কের আঘাতের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা জরুরি, ৯৯৯ এ কল করে অ্যাম্বুলেন্স চাইতে দেরি করবেন না, আহত ব্যক্তিকে স্থির রাখুন,  তাদের মাথা ও ঘাড় স্থির রাখুন, তাদের নাড়াচাড়া করবেন না বা তাদের বসতে দেবেন না, প্রয়োজন অনুসারে সাহস দিন, আহত ব্যক্তিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন,  তাদের সাথে কথা বলুন এবং তাদের আশ্বস্ত করুন।  কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা - আহত ব্যক্তিকে একা ফেলে যাবেন না, তাদের খাবার বা পানীয় দেবেন না, তাদের বমি করানোর চেষ্টা করবেন না, তাদের মাথায় কোনও ঠান্ডা জিনিস রাখবেন না, তাদের ঔষধ দেবেন না, যদি না ডাক্তার নির্দেশ দেন।  মস্তিষ্কের আঘাত লাগে প্রাথমিক যা যা ঘটতে পারে যেমন- চেতনা হারানো, বমি বমি ভাব, বমি, মাথাব্যথা, দৃষ্টি সমস্যা, শ্রবণ সমস্যা, সমন্বয়ের অভাব, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন।

**মস্তিষ্কের আঘাত একটি গুরুতর অবস্থা।** উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

মাথায় আঘাত লাগলে করণীয়

মাথায় আঘাত লাগলে বমি হয় কেন

মাথায় আঘাত লাগলে বমি হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে।

মস্তিষ্কের চাপ বৃদ্ধি:

  • মাথায় আঘাত লাগলে মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে, যার ফলে মস্তিষ্কের চাপ বেড়ে যায়। এই বর্ধিত চাপ বমি বমি ভাব এবং বমির কারণ হতে পারে।
  • মস্তিষ্কের ভেতরে টিউমার বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থাকলেও তা মস্তিষ্কের চাপ বৃদ্ধি করতে পারে এবং বমি হতে পারে।

মস্তিষ্কের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সমস্যা:

মস্তিষ্কের ভেতরে 'cerebellum' নামক অংশটি ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাথায় আঘাত লাগলে এই অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারসাম্য হারিয়ে বমি হতে পারে।

মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন:

মাথায় আঘাত লাগলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর ফলে বমি বমি ভাব এবং বমি 
হতে পারে।

অন্যান্য কারণ:
  • মাথায় আঘাত লাগলে ঘাড়ের হাড়েও আঘাত লাগতে পারে। এর ফলে 'vagus nerve' নামক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা বমি বমি ভাব এবং বমির কারণ হতে পারে।
  • মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের 'vestibular system' ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা বমি বমি ভাব এবং বমির কারণ হতে পারে।
  • মাথায় আঘাতের ফলে 'migraine headache' হতে পারে, যার লক্ষণ হলো বমি।

কখন ডাক্তার দেখাবেন:

  • মাথায় আঘাত লাগলে যদি বমি বমি ভাব বা বমি দীর্ঘস্থায়ী হয়, অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।
  • মাথায় আঘাত লাগলে যদি রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা তীব্র হতে থাকে, অথবা শরীরের কোনো অংশে দুর্বলতা বা অবশতা অনুভব হয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখাবেন।

প্রতিরোধ:

  • মাথায় আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
  • সাবধানে গাড়ি চালানো এবং রাস্তা পারাপার করা উচিত।
  • বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যাতে মাথায় আঘাত না লাগে।

বাচ্চাদের মাথায় আঘাত লাগলে করণীয়

প্রথম ধাপ:
  • শিশুকে শান্ত করুন: শিশুরা আঘাতের পর ভয় পেয়ে যায়। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করুন।
  • আঘাতের স্থান পরীক্ষা করুন: ফোলা, কাটা, বা রক্তপাত আছে কিনা দেখুন।
  • বরফ ব্যবহার করুন: ফোলা কমাতে আঘাতের স্থানে বরফের টুকরা (পাতলা কাপড়ে মোড়ানো) ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট বরফ ব্যবহারের পর ২০ মিনিট বিরতি দিন।
  • শিশুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন: উল্টি, খিঁচুনি, অজ্ঞান হওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ, ঘুমের পরিবর্তন, বমি বমি ভাব, ব্যথা, দৃষ্টি সমস্যা, শ্রবণ সমস্যা, সমন্বয়হীনতা, বক্তৃতা সমস্যা, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

কখন হাসপাতালে নেবেন:

  • শিশু অজ্ঞান হয়ে গেলে
  • ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বমি করলে
  • খিঁচুনি হলে
  • রক্তপাত বন্ধ না হলে
  • মাথায় ফোলা অনেক বেশি হলে
  • উল্লিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা দিলে

সাবধানতা:

  • আপনাকে অবশ্যই যে কাজটি গুরুত্ব সহকারে করতে হবে মাথায় আঘাত পরিমাণ খুব বেশি গুরুতর না হলেও আঘাত পাওয়ার পরে ২৪ শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । শিশুর ওপরে নজর রাখুন।
  • আমি অনেকের দেখেছি শিশুর কান্না থামানো জন্য অহেতুক জোরে জোরে ঝাঁকাই যা কখনো করতে যাবেন।
  • বাইক,স্কেটিং, ক্রিকেট কিংবা বাইসাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করতে মোটেই ভুল করবেন না।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • শিশুদের মাথার খুলি নরম এবং পাতলা হয়, তাই আঘাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • শিশুদের মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে আঘাত লাগতে পারে।
  • মস্তিষ্কের আঘাতের ফলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মস্তিষ্কের আঘাত মারাত্মক হতে পারে।

উপকারী রিসোর্স:

মাথার পিছনে আঘাত লাগলে কি হয়

মাথার পিছনে আঘাত লাগলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর তীব্রতা নির্ভর করে আঘাতের তীব্রতা, আঘাতের স্থান এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর। 

**সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে:**

  • * **মাথাব্যথা:** এটি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। ব্যথা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
  • * **মাথা** মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • * **বমি বমি ভাব:** বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • * **স্মৃতিশক্তি হ্রাস:** সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি মনে রাখতে অসুবিধা হতে পারে।
  • * **ঘুমের সমস্যা:** অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুমাতে পারে।
  • * **মনোযোগ দিতে অসুবিধা:** মনোযোগ ধরে রাখতে বা কাজের উপর মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে।
  • * **মাথার পিছনে ব্যথা:** ব্যথা স্পর্শকাতর হতে পারে এবং ঘাড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • * **কানের সমস্যা:** কানে বেজে যাওয়া, শ্রবণশক্তি হ্রাস, বা কান থেকে রক্তপাত হতে পারে।
  • * **দৃষ্টি সমস্যা:** ঝাপসা দেখা, দ্বি-দৃষ্টি, বা দৃষ্টি ক্ষতি হতে পারে।

**গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে:**

  • * **চেতনা হারানো:** দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান থাকা।
  • * **দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস:** শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে পারে।
  • * **আচরণগত পরিবর্তন:** বিভ্রান্তি, আগ্রাসন, বা ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হতে পারে।
  • * **দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত:** শরীরের এক বা একাধিক অংশে দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত হতে পারে।
  • * **মৃগীরোগ:** আঘাতের পর মৃগীরোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

**মাথার পিছনে আঘাত লাগলে করণীয়:**

  • * **প্রথমে, আঘাতের তীব্রতা পরীক্ষা করুন।** যদি ব্যক্তি অজ্ঞান থাকে, তাহলে অবিলম্বে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিন।
  • * **ব্যক্তিকে শান্ত রাখুন এবং মাথা নড়াচড়া করা থেকে বিরত রাখুন।**
  • * **ব্যথার জন্য ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করুন।**
  • * **ব্যক্তির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করুন এবং কোন নতুন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।**

**চিকিৎসা:**

চিকিৎসা আঘাতের তীব্রতা এবং লক্ষণগুলির উপর নির্ভর করে। হালকা আঘাতের ক্ষেত্রে, বিশ্রাম, ব্যথার ওষুধ এবং ঠান্ডা সেঁক ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

**প্রতিরোধ:**

  • * **মাথায় আঘাত লাগার ঝুঁকি কমাতে হেলমেট পরুন।**
  • * **পতনের ঝুঁকি কমাতে সাবধানে হাঁটুন এবং বাড়িতে নিরাপদ

মাথায় আঘাত লাগলে কি কি সমস্যা হয়

কিছু সাধারণ সমস্যা চিহ্নিত করে নিবেন : 

হালকা আঘাত,মাঝারি আঘাত,গুরুতর আঘাত। মাথায় আঘাত লাগলে কি করবেন। হালকা আঘাত যেমন- বরফের সেঁক দিন, বিশ্রাম নিন, প্রচুর পানি পান করুন, অ্যাসপিরিন বা অন্য ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন, লক্ষণগুলি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন

মাঝারি বা গুরুতর আঘাত - 

দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, রোগীকে স্থির রাখুন, রোগীকে বমি করতে সাহায্য করবেন না, রোগীকে জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত খাবার বা পানি দেবেন না, মাথায় আঘাতের ঝুঁকি কমাতে কিছু 

টিপস:

  • হেলমেট পরুন (যেমন, মোটরসাইকেল চালানোর সময়), সাবধানে গাড়ি চালান
  • পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন
  • খেলাধুলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
মনে রাখবেন, মাথায় আঘাত গুরুতর বিষয়। আঘাতের তীব্রতা নির্বিশেষে, ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি আপনার উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলির কোনটি থাকে।

মাথায় আঘাতে রক্ত জমাট বাঁধলে করণীয়

প্রথমত: আঘাতের তীব্রতা বুঝুন:

আঘাতের পর যদি অজ্ঞান হয়ে যান, বমি হয়, নাক বা কান দিয়ে রক্ত বের হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, চোখ বন্ধ করে রাখতে না পারেন, মাথা ঘুরতে থাকে, দৃষ্টি ঝাপসা দেখা যায়, শরীরের এক দিক অবশ হয়ে যায় অথবা স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান।
প্রাথমিক চিকিৎসা:
  • আঘাতের জায়গা ঠান্ডা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখুন।
  • রোগীকে শুইয়ে রাখুন এবং তার মাথা কিছুটা উঁচু রাখুন।
  • রোগীকে কোন কিছু খাওয়ান বা পান করাবেন না।

দ্বিতীয়ত: ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর:

  • ডাক্তার আঘাতের তীব্রতা পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
  • মাথার সিটি স্ক্যান করা হতে পারে রক্ত জমাট বাঁধা আছে কি না তা জানার জন্য।
  • প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • মাথায় আঘাত কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
  • আঘাতের পর রোগীর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

কিছু সতর্কতা:

  • আঘাতের পর রোগীকে এক করে রাখা উচিত।
  • রোগীকে কোন কিছু চাপ দেওয়া উচিত নয়।
  • রোগীকে ধূমপান করতে দেওয়া উচিত নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url