আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার উপায়
যে ব্যক্তি তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পেরেছে যে ব্যক্তি আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারেনা নাই সে ব্যক্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিভাবে পরিশোধ করবেন তিনটা হাদিস আপনাকে শোনাই এক, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের হাবিব (স.) আল্লাহ এমন কিছু বান্দা আছে যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে যাদের অন্তর টা হবে পাখির মত নরম। কার মতো পাখির মতো নরম।
দুই নাম্বার হাদিস আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন শহীদরা যখন শহীদদের আত্মা যখন আল্লাহর কাছে পৌঁছায় আল্লাহ রব্বুল আলামীন সেই আত্মাগুলোকে সবুজ রঙের কিছু পাখির মধ্যে প্রধান করেন এবং সেই পাখিগুলো আরশের নিচে আলোরদানিতে রয়েছে আর এখানে বসে থাকে এবং তারা জান্নাতের যেকোনো জায়গায় যায় ঘুরে খাবার খায় আবার ফিরে আসে। আল্লাহ তাদেরকে বলেন তোমরা কি চাও ? তোমরা কি চাও ? শহীদ কিছু বলতে পারে না কিছু না কিছু না কি আর কিছু চাও তখন শহীদ চুপ থাকে কিছু বলতে পারেনা। আল্লাহতায়ালা আবারও জিজ্ঞাসা করে তোমরা কিছু চাও। তখন শহীদেরা কিছু না কিছু তো বলতে হবে তখন তারা বলে আমরা আরো একবার পৃথিবীতে যেতে চাই এবং তোমার পথে জীবন দিয়ে আবার ফিরে আসতে চাই। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন তোমাদের আর কিছু চাওয়ার নেই অতএব, তোমরা জান্নাতে বসাবস করতে থাকো।
তিন হাদীস,
তোমরা যদি মানবজাতির মুসলিমরা যদি হও আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করার মতোই তাওয়াক্কুল করতে ভরসা করার মতোই ভরসা করতে আল্লাহ তোমাদেরকে পাখিদেরকে যেমন রিযিক দেন তোমাদেরকেও সেই রিযিক দিতেন। তোমরা কি লক্ষ্য করো না পাখিরা খালি পেটে ঘর বা বাসা বের হয়ে যায় দিনশেষে বা বেলাশেষে কিংবা সন্ধ্যায় ভরা পেটে বাসায় ফিরে আসে। পাখি এদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে বলছেন এবং আরও বলছেন যে পাখিদের মনটা খুব নরম করো এবং পাখিরা আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল পূর্ণমাত্রা করে বলে সকালবেলা খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যা বেলা ভরা পেটে বাসায় ফিরে আসে। আর সবচেয়ে সম্মানিত মৃত্যু শহীদের মৃত্যু। শহীদের মৃত্যুর পরে আত্নাকে পাখি রুপ দিবেন। পাখি এখানে আসেন পাখির মন হচ্ছেন নরম মানে পাখির মন আত্মশুদ্ধিতে পরিপূর্ণ। এখনকার মুসলমাদের দেখবেন রাত তিনটায় ঘুমাতে যায় আর ঘুম উঠে দুপুর রাবোটায়। পাখি খুব ভোরবেলা উঠে ঠিক ফজরের আযান দিচ্ছে ঠিক আগ মূহুর্তে। পাখির কিচিরমিচির শুনছেন তারমানে নামাজ বা সালাতের ওয়াক্ত প্রায় চলে যাচ্ছে। আল্লাহাতায়ালার হুকুমের সহিত পাখির উঠে যায় আরার আল্লাহতায়ালার হুকুমে সূর্য ডুবে বা নিভে যায়। ঠিক এরকম সুন্নত ছিল রাসূল (স.) এর ও সাহাবি কেরাম মধ্যে। আজ মুসলিম জাতি ১৪০০ বছর পরে এই সুন্নাত ভুলে গেছে। আমাদের যুবসমাজ কোনো কারণে ফজরের সালাতে আগে টের পায় ফজরের সালাম আদায় করে আবার ১২টা পর্যন্ত ঘুম।
পাখির মতো মনটা নরম করবেন এবং আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে সহজ হবে এবং সর্বোপরি আত্নাশুদ্ধি অর্জন করবেন তখন দুই ডানা মেলে আকাশে উঠতে পারবেন ওই দূর কোন আকাশে।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url