ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে পরকীয়া
আমাদের সমাজের কিছু মেয়ে রয়েছে সবসময়ই বিবাহিত পুরুষের প্রেমে পরে এবং সে শতভাগ বিশ্বাস বা উপলন্ধি করতে পারে সেই বিবাহিত পুরুষের স্ত্রী তো আছে সন্তানও থাকতে পারে । এই বিষয়টিকে তারা কোনো অপরাধমূলক কাজ তা কিন্তু মনে করে না। তারা মনে করে মানুষটাকে আমার ভালো লাগে তার সঙ্গেতো কথা বলতে পারি। প্রাথমিক ছোটো ছোটো কথা বলা থেকে সম্পর্কের রিলেশনটা বা সখ্যতা আরও গভীর থেকে আরও গভীর হতে শুরু করে তখন সেই জায়গায় থেকে সরে আসার প্রয়োজনতাবোধ মনে করে না। ইভেন্ট চুয়ালি রিলেশনশিপটা এক একটা “পরকীয়ার” কনভার্ট করে। আপনারা বলতেই পারেন শুধুমাত্র মেয়েটি দোষারোপ করছি কি কারণে। আমি বলছি না সব পুরুষ মানুষ ধোয়া তুলসী পাতা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সুন্দর পৃথিবীতে বহু খারাপ পুরুষ আছে। বহু ভালো পুরুষ আছে আমি এখন বলছি কোন সন্দেহ নাই খারাপ মানসিকতার মানুষ না হলে এই ধরনের অপরাধমূলক কোনোভাবে গ্রহণ করত না। এটি একটি ভিন্ন বিষয় তাই অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করবো।
কিন্তু এই গ্রুপটাকে বলতে চাই যারা এই ধরনের রিলেশনশিপে যাওয়াটা কোনো অন্যায় বা অপরাধবোধ কাজ করে না এবং এখানো একটা বোঝা জরুরি সেটা হল এই মানুষগুলোকে আপনি যদি ডাকেন “গোল্ড ডিগার” তাদের আবার গা জ্বালা ধরে যাবে। কিন্তু আপনি যদি ঠাণ্ডা মাথায় খেয়াল করেন এরা সাধারণত কম সাকসেসফুল মানুষকে একটা বিবাহিত মানুষ যার বয়স ধরেন ৩৫ বছর কাছাকাছি মোটামুটি একটা স্ট্যাটাস আছে আবার অনেকের দেখবেন বেশ বড়োসড়ো রকমের টাকা-পয়সা থাকে। আপনারা দেখবেন তাদের একটা ক্যালকুলেশন বা হিসাব থাকে এই ধরণ পুরুষদেরকে আকর্ষণ করার জন্য বেছে নেয়। আমি জানি না আমার পোস্ট এই মুহুর্তে কতজন আপনার পড়ছেন বা পড়বেন।
আমি ও আপনি জানেন আমাদের সমাজের নারী বা মেয়েরা কতটা অসহায় একটা প্রজাতি। মেয়েদের অনেক কষ্ট রয়েছে যা তারা নিজেরা নিজেরাই তৈরি করে থাকে “মেয়েরা মেয়েরা তৈরি করেছে”। পুরুষতান্ত্রিক সোসাইটি কারণে আজ মেয়েদের বা নারীদের এই অবস্থা। আপনি একজন নারী হয়ে অন্য একটি নারীর ঘর ভাঙছেন আমি আগেই বলেছি সবসময়ই সব পুরুষ ধোয়া তুলছি পাতা নয়। এই আলোচনাটাকে একটু দূরে রাখছি। মূলত এই জায়গায় থেকে আপনার ভূমিকা কি ছিল কি ধরনের দায়িত্ব গ্রহণ করার দরকার ছিল। আপনি যখন একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন তখন একজন অন্ধ মানুষও বুঝতে বাকি থাকে না আপনাদের মধ্যে আকর্ষণবোধ কাজ করছে । কারোর বুঝার বাকি থাকে না দুজনা প্রেমে জড়িয়ে গেছেন। তখন মেয়েটি রেস্পন্সিবিলিটি কি ছিল কি থাকা দরকার ছিল। আপনি যদি একজন বিবাহিত পুরুষের সাথে কথা বলেন একটা মেয়ে যদি অন্ধ হয় সেও বুঝতে পারে যে একজন পুরুষ তার প্রতি আকর্ষন বোধ করছে। আমাদের সমাজের বসাবসরত এমন কিছু নারী রয়েছে তাদের নারীর সহজাত প্রবৃত্তিটাই নোংরা তাদের জন্য এটা অভ্যাসের ব্যাপার। তবে অনেক নারীর ক্ষেত্রে হতে পারে বোকামি করে কথা বলা শুরু করেছে আস্তে আস্তে রিলেশনশিপ আরও গভীর থেকে গভীর চলে গেছে সত্যিকার অর্থে সেখান থেকে ফিরে আসার প্রয়োজন মনে করেনা। কারণ আমি অনেক দেখেছি আমাদের আশেপাশে আমরা দেখি এটা কি প্রকৃতির প্রতিশোধ বলতে পারেন অথবা আল্লাহর বিচার ও বলতে পারেন হ্যাঁ আপনি যখন এরকম একটা মানুষকে সেই স্ত্রী বা বাচ্চা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। স্ত্রী ও বাচ্চাদের ব্যাপার থেকে সরিয়ে আপনার নিজের করে নিলেন এরকম মানুষের সাথে আমাদের কথা হয় তারা ভীষণ ইনসিকিউরিটি তো ভোগো ঘটনার মধ্যেই ভয়টা খুব গলা শুকিয়ে যায় যায় ভাব আপনি কান্দেন যে মানুষকে বিয়ে করেছেন এবং এই অসম্ভব কাজটা যিনি করেছেন। আপনি সুন্দর ও সামাজিক একটা সম্পর্ক রিলেশন ভেঙে নিজের করে নিয়েছেন।
আপনি এই প্রবাবিলিটি তাকে উড়িয়ে দিতে পারেন না যে কাজটি আপনি করেছেন কিছুদিন মাস বছর আগে সেই কাজটি আপনার স্বামী একুই কাজটি করবে না কি নিশ্চয়তা আছে। সেই ভয়টা আপনার মনে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়াই কারণ কি জানেন আপনি জেনে বুঝে একজন নারীর সংসার ভেঙেছেন তাকে করেছেন স্বামীহারা তার সন্তানকে করেছেন পিতৃহারা। সবসময় মনে রাখবেন প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে একদিন আগে পরে প্রতিশোধ নিবে এটাই চরম সত্যি কথা। আপনার যদি আলাদা ক্ষমতা যদি থাকে সেটা ভিন্ন কথা যা দিয়ে আপনার স্বামীকে আটকে রাখতে পারবেন। আপনার স্পেশাল কোন ক্ষমতা থাকে করার সৌন্দর্য এত সুন্দর যা তাকে আটকাতে ভূমিকা রাখতে পারে। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সুন্দর চেহারা ও বয়স কোনো লুকানো যায় না। এই সত্যি কথাটি আমরা অনেকের জানি এবং মেনে থাকি। একটা সময় সৌন্দর্য্য ছেড়ে পালাবে বয়স আপনার থেকে অনেক অনেক দূরে চলে যাবে কিন্তু আপনার সেই যন্ত্রণা কখনো আপনাকে ছেড়ে যাবে। ঠিক যেমন ডায়বেটিস রোগী না মরে বেঁচে থাকে তেমনটা আপনারও অবস্থা হবে।
পরকীয়া প্রতিরোধে ইসলামী অনুশাসন বিস্তারিত পড়তে এই লিংক করুন।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url