যেসব ভুলে হ্যাক হতে পারে আপনার স্মার্টফোন

স্মার্টফোন ডিজিটাল ডাবল-এজড সোর্ড। স্মার্টফোনগুলি,বর্তমানে যদিও অবিশ্বাস্যভাবে সুবিধাজনক ও স্মার্ট এবং সর্বোআধুনিকতার স্পর্শে, আধুনিকয়তা সর্বোচ্চ চূড়াই উঠে গেছে সেই সঙ্গে বেড়েছে হ্যাকিংয়ের জন্যও একটু বেশি ঝুঁকি। আমার আপনার শুধুমাত্র একক ভুল পদক্ষেপ আর্থিক ক্ষতি এবং ব্যক্তিগত ডেটা লঙ্ঘন সহ গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আপনার ডিভাইস রক্ষা করার জন্য, সাধারণ হ্যাকিং কৌশল সম্পর্কে সজাগ এবং সচেতন হওয়া অপরিহার্য জরুরি।

হ্যাকারদের স্মার্টফোনে অনুপ্রবেশের প্রাথমিক উপায় গুলির মধ্যে হল দূষিত অ্যাপের মাধ্যমে। আপনি যদি অপরিচিত উত্স থেকে বা অপরিচিতদের দ্বারা সুপারিশকৃত অ্যাপগুলি ইনস্টল করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সর্বদা অ্যাপটির বৈধতা যাচাই করে করে নিবেন এবং ডাউনলোড করার আগে ব্যবহারকারীর পর্যালোচনাগুলি বা রিভিউ কেমন তা মনোযোগ পড়ে নিবেন।

যদিও VPN গুলি অনলাইন গোপনীয়তা বাড়াতে পারে, কিছু VPN অ্যাপ দূষিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। VPN ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন, বিশেষ করে যেগুলি বিনামূল্যে বা সীমিত খ্যাতি আছে এমনই ধরনের অ্যাপস। ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করা ভালো নয় আমরা সকলে জানি এবং মানি আমি আমরা আপনারা বাঙালি বলে সবকিছুই মাফ। তবে, আমার মতে, প্রয়োজন যদি খুবই বেশি পরিমাণ বা অতিরিক্ত হয় তবে ব্যবহার করবেন কতক্ষণ ? তাই না, শুধুমাত্র প্রয়োজন যতটুকু সেই সময়টা কাজ শেষ করে আবার অ্যাপসটি রিমুভ করে দিতে ভুল করবেন না। জানেন তো, বেশি মিষ্টি অনেক সময় তেতোঁ হয়ে যায় ( ফ্রি ভিপিএন)। 

অ্যাপ ইনস্টল করার সময়, এটি যে অনুমতিগুলির জন্য অনুরোধ করে তার প্রতি গভীর মনোযোগ দিতে ভুল করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পরিচিতি বা অবস্থানে অপ্রয়োজনীয় অ্যাক্সেস দেওয়া এড়িয়ে চলুন। অত্যধিক অনুমতি সম্ভাব্য দুর্বলতা আপনার ডেটা প্রকাশ করতে পারে। আমি বলছি, আপনার নতুন স্মার্টফোন নতুন অবস্থায় যেমন ডিফল্ট সেটিং থাকলে সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে কমে যাবে না। যদি আমরা ব্যবহার করতে করতে অনেক সময় অনেক কিছু অ্যাক্সেস দিয়ে তাইনা সেক্ষেত্রে কি করবেন তাই না, সেক্ষেত্রে আপনার স্মার্টফোন এক থেকে মাস পরপর রিস্টোর সেটিং করে নিবেন তাহলে নতুন অবস্থায় যে সেটিং করা ছিল সেটি পেয়ে যাবেন। আর ছয়মাস অথবা  এক বছরের মধ্যে ফোনটি অবশ্যই রিসেট দিয়ে নিবেন।

আপনার স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ গুলিকে লেটেস্ট সিকিউরিটি প্যাচ সহ আপ-টু-ডেট রাখার চেষ্টা করবেন । এই আপডেট থেকে আপনারা ধারণা করেন অনেকটা সুরক্ষা আপনি পেয়ে গেছেন। আসল কথাটি হল সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ মাত্র মানলেন স্মার্টফোন সুরক্ষার জন্য যতগুলো পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে সবগুলো একসাথে পালন করতে পারলেই  তখন বলা যেতে মোটামুটি ৯৮ শতাংশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে এই আপডেটগুলি প্রায়ই পরিচিত দুর্বলতা খুঁজে হ্যাকারা স্মার্টফোনটি আক্রমণ চালানোর জন্য সবসময় তৈরি থাকে। তাই সবসময় আপডেট থাকুন।

ফিশিং আক্রমণ হল সাধারণ কৌশল যা হ্যাকারদের দ্বারা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার জন্য প্রতারিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সন্দেহজনক ইমেল, টেক্সট মেসেজ বা কল থেকে সতর্ক থাকুন যা ব্যক্তিগত বিশদ জানতে চায় বা লিঙ্কে ক্লিক করার জন্য আপনাল্কেট অনুরোধ করে।

এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে, আপনি উল্লেখযোগ্য ভাবে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারেন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন। আশাকরি, আপনার যেসব ভুলগুলো আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারতো আমি এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা মাধ্যমে সচেনতার বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছি। আপনার সকলকে আমার সালাম ও শুভেচ্ছা রইল।