"হৃদয়ের ডাক-ইসলাম আমার জীবন"| খালিলা লিস্টার

আমি ও আমার পুরো পরিবার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত ছিলাম। মিউজিজ ইন্ডাস্ট্রিতে সেলিব্রিটির কাছাকাছি গিয়েছিলাম তাদের বেশিরভাগই ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে থাকলে তাদের অবস্থা ছিল বাস্তবে অত্যন্ত করুণ ক্যামেরার সামনে তারা তাদের সত্যি করে কেউ প্রকাশ করে না।

যদি আপনি কিছু একটা করতে বলা হয় সেটা কবুল হয়ে যাবে তাহলে আপনি কি দোয়া করবেন কয়টি রাখি মৃত্যুর আগে তিনি কালিমা শাহাদাত পাঠ করেছেন আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষিত করুন এবং আপনার ব্যাকরণ সম্পর্কে আমাদের সংস্কৃত বল ওয়ালিকুম সালাম এর জন্ম লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উঠেছিলাম এমন একটি পরিবারে যেখানে সবাই নাচ গানের সাথে যুক্ত ছিল আমার কাছে ফোন করেছিল অর্থাৎ এরকমই ছিল আমার জীবনের আমার চারপাশের পরিস্থিতি গিয়েছিলাম খুব ছোটবেলা থেকে আমি নিয়মিত করছিলাম তারপর আমি বললাম মনে হলো আমি কোথাও যেন নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছি না সম্ভবত আমি নিজেকে খুঁজে ফিরছি আমি বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে আমি ছাড়লাম না আবার অনেক সময় লেগেছে আমার পরিবার মিছিলআমার বাবা মা দুজনেই সংশয়বাদী ধর্মে বিশ্বাস করতেন না তাই আমরা বাড়িতে শুকুরের মাংস খেয়ে বড় হয়েছে সেটা মোটেই উৎসব পালন করতাম আমরা এধরণের কোন উৎসব পালন করতাম না এবং আসলে আমি কাউকে বলতে আমি না যে আমরা ইহুদি ইহুদি পরিচয় দিতে আমার কেমন লজ্জা বোধ হতো আমি জানিনা কেন তবে দীর্ঘ সময় ধরে আমি আবার ওই মটি করেছিলাম না কি হতে ধর্মে আমার মোটেই বিশ্বাস ছিল নামে খ্রিস্টধর্মে দৃষ্টিপাত করেছে কিন্তু আমি ধর্ম মোটেই বুঝতে পারিনি আমি বুঝতে পারিনি মনের কথা কিভাবে ধর্ম সর্বাধিক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতাম যখন জীবনটা খুব কঠিন হয়ে গেল আমার এক বন্ধু আত্মহত্যা করল আর এরকম সব 

আমি সব সময় প্রার্থনা করতাম কিন্তু আসলে আমি জানতাম না আমি কার কাছে প্রার্থনা করছি আমি অনেক সেলিব্রেটির কাছে কাছে গিয়েছিলাম এসব ক্ষেত্রে আমি অনেক কাজ করছিলাম কাজ করছিলাম এর উপস্থাপনা এবং অনেক বড় বড় তারকা অনুষ্ঠান হচ্ছে হাজার হাজার দর্শকের সামনে ছিল আমার রুটি-রুজির উপায় দেখে মনের ভিতরটা তো কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকার প্রতিষ্ঠান আমরা আমাদের

আপনার ভাষ্যমতে তারকাদের সাথে সময় থেকে তাদের জীবন খুবই চাকচিক্যময় ভেতর থেকে উঠে সেটা কিরকম এ ব্যাপারে ইন্টারেস্টিং স্টরি আছে কারণ ইন্টারটেইনমেন্টের জগতে একজন হিসেবে আমি সবসময় এমন সব মানুষের কাছাকাছি ছিলাম যাদেরকে দেখা হয় 

মনে রাখতে হবে ওই সময় ইনস্টাগ্রাম ছিল না ছিল শুধু প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য হিসেবে তারা চাচ্ছে তাই খুঁজে পেয়েছে করুণ দশা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বিভ্রান্ত যদি আমি তাকে জিজ্ঞেস করলেন আর আমার মনে হয় না আমার কিছু আছে আমার মনে হয় না আমি এখনো লক্ষ্য অর্জন করেছি তারা কেউই মনে করত না যে তারা সফলতার মাঝেই দাঁড়িয়ে আছে তাদের মনে হতো তারা সাফল্য থেকে একদম দূরে দাঁড়িয়ে আছে সাফল্যকে দেখছে বাইরে থেকে বেশি কিছু থাকা দরকার এটা কিভাবে হয় যে বাইরে থেকে এত মানুষের ভক্তি বাবাই মানুষগুলো তাদের দেখে মানুষ আনন্দে চিৎকার করে ওঠে তারা কিভাবে এত কেউ সুখী হতে পারে আর আমি দ্রুতই উপসংহারে পৌঁছেছে মানুষগুলো সামনে নিজের আসল রূপ প্রকাশ করছে না তারা তুলে ধরেছে নিজেদের বাইরে ধরে এমন আচরন করতে হচ্ছে ঠিক যেমনভাবে সমাজ তাদেরকে দেখতে চাই তারপরে উপস্থিত ছিলেন নাম বলবো না যদি ওখানে আছে আমি তাদের সাথে হেঁটে যেতাম আর তারা সব কাজ শেষ করে বস্তু বলছি তাকে দেখে মনে হতো তিনি যেন জীবনের 

সকল আশা ছেড়ে দিয়েছে সে সময় আমার বয়স ছিল প্রায় 16 বছর আমার মনে আছে তিনি চিৎকার করে আমাকে বলেছিলেন তাকে শয়তান ভর করেছে এবং একমাত্র যে মানুষটি দূর করতে পারি সেটা হলাম আমি এখন আমার বয়স তখন আমার বয়স প্রায় তেমন অর্থাৎ আমাকে সরি বলার পরও একটা মানুষকে সেই মানুষটা পাগলের মত চিৎকার চেঁচামেচি করছে আমার মনে মনে ভেবেছিলাম এই জীবন আমি চাইনা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভেতরে একটা শূন্যতা রয়ে গেছে টাকা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না এটাই ছিল আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় গভীর ভাবে নিজের বয়স ছিল মাত্র 16 তাহলে এসব সেলিব্রিটিদের সাথে আপনি কি করছিলেন এবং তারপর আমি ওই তারকা জীবনবৃত্তান্ত ধরনের কথা বলতাম ম্যানেজমেন্ট এর কাছে থাকতাম না আমি আমার বয়স কম ছিল কিন্তু আমি নিয়োগ পেয়েছিলেন দ্রুতই কারণ মঞ্চের কাছে আমার আগ্রহ আর অভিজ্ঞতা ছিল এবং আমি কবিতা ভালোবাসতাম খুব বাজে কবিতা আবৃত্তি করছিলাম আমি এসব নিয়ে গড়ে উঠেছিল সে সবসময় নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম কি কারনে প্রি নিজের বিশ্বাসের ব্যাপারে সন্দিহান হয়েছিলেন আমি একজনের প্রভাবের কথা বলেছেন সেটা কি কোনো ঘটনা বা ভাবনা এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি সেবারই অর্থাৎ তারা সবসময় পরিস্থিতিতে ছিল খুব ভয়ঙ্কর কোন ধর্ম বিশ্বাস ছাড়া যখন একজন মানুষ মারা যায় মনে করা হয় মৃত্যুই সবকিছুই মনে আছে আমার মনে হচ্ছিল আমার মাথার উপর যেন অন্ধকার নেমে এসেছেন এই দাদা কোথায় গিয়েছিলেন তিনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন মৃত্যুর পর আরও কিছু থাকার কথা শুধুই মনে হয় তখন ভেবেছিলাম মৃত্যুর ওপারে ও কিছু থাকতে পারে এর পরে উঠলাম দরজা খুললাম এই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করার পর আমার ভেতরটা কেঁপে উঠেছিল বড় বড় সেলিব্রিটিদের কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারলাম আমি ছিলনা।  

কিন্তু তবু আমি অনেক ধর্ম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলাম ইসলাম ধর্মকে আমি কখনোই বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনে আমার বান্ধবীর সাথে আমি ছিলাম দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দীর্ঘ শব্দের কর্মক্ষেত্র ছিল একই ধরনের আমরা একসাথে কাজ করতাম আমার আসলেই জানা নেই কিন্তু সে মুসলিম হোক আমাকে সে বলেনি যে সে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানেন। 

বলেছিল আমি একজন মুসলিম একথা শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি আমি বিশ্বাস করতে পারিনি আমি মনে মনে বলেছিলাম তুমি তোমার জীবনটা নষ্ট করে তোমায় ছুড়ে ফেলেছে এবং তার ক্যারিয়ার শেষ বেশি আর কিছুই করতে পারবে না তারপর আমি লক্ষ্য করতে লাগলাম কতটা বদলে গেছে আমার জন্য সঠিক ধর্ম সত্য অনুসন্ধান শুরু করি তখন প্রথমেই আমি জেনেছি ধর্ম সম্পর্কে এক সেকেন্ডের জন্য বুঝে উঠতে পারিনি কিভাবে ধর্ম বলেছে যদি হয় না জন্মালে হওয়া যাবে না যারা নিজেদেরকে সত্তিকারের ইহুদি বলে দাবি করে তারা আপনাকে বলবে আপনি হতে পারবেন অর্থাৎ এটা জন্মগত অধিকার এর ব্যাপার এবং তারা সত্যি সত্যি বিশ্বাস করে যে আর কেউ হতে পারবে না আর কেউ এ ধরনের প্রবেশ করতে পারবে না আমি মনে মনে ভাবলাম তাহলে পৃথিবী জুড়ে এত চমৎকার সব সংস্কৃতি এত জাতি এত সুন্দর সব মানুষ সৃষ্টি হয়েছে শুধুই জাহান্নামের আগুনে পোড়ার জন্য এই ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম না আর বোঝাতে চাইলাম না তাই আবার খ্রিস্ট ধর্মের দিকে মনোযোগ দিলাম আমি বরাবরই আমার মনটা ছিল একই সর্বাধিক যদি আমি জানতাম না সৃষ্টিকর্তার আসলে কী আমি বুঝতাম না তিনজন সৃষ্টিকর্তার কথা বলা হলেও তারা আবার কিভাবে একজন হন তিনি মুসলিম হল। 

আমাকে সব বলতে লাগল সে আমার মনকে নাড়া দিল সেটা হচ্ছে যে কেউই মুসলিম হতে পারে মানুষটা কোথাকার সে কত পাপ করেছে এসব কোনো ব্যাপারই নয় এবং বুঝতে পারলাম এটা এমন একটা ধর্ম যেটা আপনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করলে এবং সকল নবী রাসূল কে বিশ্বাস করলে আপনার প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য দেখাবে প্রত্যেকের সুযোগ রয়েছে আমার বোন বলছিল এইটাই হচ্ছে সত্য এটা সত্য নয় পারেন না কেন আমাদের সৃষ্টি করবে জাহান্নামের আগুনে পোড়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রার্থনা করেছিলাম আমি আমার বান্ধবীর সাথে ফজরের নামাজের জন্য উত্তম গ্রামে থাকতাম আর একজন মুসলিম হিসেবে ফজরের নামাজ পড়তাম যদি সত্যি হয় তাহলে তুমি আমি মিনতি করতাম আমাকে একটা নিদর্শন দেখানোর জন্য কিছু একটা চাইতাম আমি মানুষের পতনের জন্য কি দরকার আল্লাহ তা জানেন তারপরও দেখি আমারটা নাড়িয়ে দেয় আর তা সত্বেও আমি বুঝে গেছি আর আমাকে সহ আরো অনেক মানুষকে কারাগারে রাখা হয়েছে মুসলিম হওয়ার কারণে যে মুসলিম হওয়া একটা অপরাধ আমাদের আটকে রাখা হয়েছে কারাগারে আর সেখানে বড় বড় বন্ধু হাসিটা খুবই ভয়ঙ্কর অন্ধকার গহীন একটা স্থান জায়গাটায় ভর্তি একটু ভালো হলে সেল থেকে একটু বের হতে পারলে সামনের আঙ্গিনায় গিয়ে পারি একটু আরাম করা যায় অথবা একটু দৌড়াদৌড়ি করা যায় আর আঙিনার অপরপাশে দেখা যায় একটা বেড়া বেড়ার পেছনে অনেক মুসলিম আছে আর সেই জায়গাটা নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা নিরাপদে নিয়ে প্রতিবাদ করে বলছে যে তারা মুসলিমদের মুক্তি চাই এখান থেকে জুবের এর অপর পাশে যেতে পারলেই সে মুক্তি মুক্তি পাবার উপায় খোঁজার চেষ্টা করছিলাম খানের মুক্তিকামী সবাইকে বললাম যে আমাদের পালনকর্তা। 

আমাদেরকে কিভাবে তা সম্ভব না সেটা আমার মনে নেই কি তোমার মনে আছে যে আমরা ওই আঙিনায় পেরিয়ে এলাম আর পাহারা গানটা বুঝতে পারল না যে আমরা মুসলিম তারা ভাবলো তাতে কি আমি বললাম ওটা জানতে পারবে না তখন হঠাৎ একজন বলে উঠল তখন ব্যাপারটা ঠিক কেমন হলো এখনো আমি সেটা স্পষ্ট ভাবে স্মরণ করতে পারি এটা আমাদের ক্ষেত্রও মশানে থাকে আর তখন আমি উপলব্ধি করি আল্লাহ পারেন আমাকে আল্লাহর রয়েছে সব কিছু করার ক্ষমতা। 

ঘুরে ফিরে যেতে থাকে তারপর ব্যাপারটা আমাকে ছুয়ে গেল সেটা হচ্ছে ওই মুহূর্তে একটা হালকা মৃদু বাতাস আমাদের সকল মুসলিম যখন আমার বন্ধুকে স্বপ্নের কথা বললাম সে কাঁদতে লাগল আমি বললাম কি হয়েছে আমি করিনি আমার প্রচন্ড বাতাসে সে সকল মুসলিমের হাত থেকে রক্ষা করবে ত্রাণ করবে এটাই ওই গভীরতা সত্যি সত্যি বুঝতে পারলাম আমি মনে করলাম আমি আর পারছিনা আমি মরে যেতে পারি আমাকে মুসলিম হতেই হবে কিভাবে ঘটেছিল আর কেমন বোধ করেছিলেন দাঁড়িয়ে ছিল তারাই প্রথমে আমাকে মাথায় স্কার্ফ পরতে সাহায্য করেছিল তিনি আমাকে বলেছিলেন তার সাথে সাথে পাঠ করতে আর তখনই আমি পড়েছিলাম কালিমা শাহাদাত আমার মনে হল আমি পুনরায় জন্ম গ্রহন করলাম আমার মনে হল যেন প্রতিটা প্রতিটা অভিজ্ঞতার উপর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে হয়েছিলাম কারণ আমি জানতাম না কিভাবে আমি চলব কি করবো কোথায় যাবো আর আমার পরিবার এটা কিভাবে নেবে আমি আরও ভয় পেয়েছিলাম কারণ শাহাদাত পাঠ করার সময় ইমাম সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন ঈমানের স্তম্ভ কী এবং সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারনাই ছিল না কিন্তু তিনি বলেছিলেন আপনি যদি সমুদ্রের পানিতে আংগুল রাখেন তাহলে আপনার আঙ্গুলের ফোঁটা পানির ফোঁটা সমুদ্রের তুলনায় তেমন যৎসামান্য তেমনিভাবে সারা জীবন আপনাকে যে জ্ঞান অর্জন করতে হবে সেটা তুলনায় এখনকার জন্য আর কিছুই জানিনা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আমার বোনের বয়স ছিল 14 বছর এবং আমি শাহাদাত পাঠ করার এক মাস পর সরব পাঠ করেছিল ভাবে কাজ করে বেশি এবং তার মধ্যে রয়েছে যুক্তি প্রাধান্য ওই বৈঠকে বুঝাতে সাহায্য করেছে বিজ্ঞানীরা কি অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছিল আমার মা অনেক কেঁদেছিল আমাকে বলেছিলেন 

আর যদি তুমি আমাকে বলতে তুমি মুসলিম না হয় প্রশ্নটি হচ্ছে তাহলে খুব ভালো হতো আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি ইসলাম সম্পর্কে তার মধ্যে এমন হবে বাস্তব পরিস্থিতি যেমনই যৌথ পরিবার ইসলাম সম্পর্কে এখনো এমন করে তাই তাদের অনেকের কাছেই আমার মুসলিম হওয়াটা একটা মর্মঘাতী খবর কিন্তু আমার ব্যাপারটা আমরা ধর্ম বিশ্বাস। 

তখন আপনার উত্তরটা কি ছিল বল কি আপনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল 

আপনার হয়ে গেছে আমি বললাম কি তিনি বলেন আপনি পেয়ে গেছেন চাকরিটা আমি পেয়ে গেছেন স্টুডিওতে এত সময় কার জন্য আপনার কাজে লেগেছে আপনাকে সিলেক্ট করেছে শত শত মানুষ এই চাকরির জন্য আবেদন করেছে নিয়েছে আমাকে এবং খুব বড় একটা সেলফি পোস্ট করব আমি আগে ও পরে আমাকে যেতে হবে আর কিছু করতে পারবো আমি বিমানের ভাড়া স্বপ্নের মতো ব্যাপার আমি খুবই উচ্চসিত ছিলাম এবং ব্যাপারটা আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি তারপর আলহামদুলিল্লাহ আমি তাকে বললাম আমি ফোনের চেঁচিয়ে বলেছিলেন তুমি তোমার ক্যারিয়ারটা নষ্ট করে ফেলছে করছ নাকি তুমি আমি শুধু জানতাম যে আমি এটা করতে পারব না আমার কোনো ধারনাই ছিল না কিভাবে আমি মুসলিম হয়েও আমার কন্ঠস্বর কে কাজে লাগাতে পারি তাই আমি ওই দিন থেকেই দীর্ঘসময়ের জন্য সবকিছু বন্ধ করে দিলাম আমি বুঝতে পারলাম যে আমি আমার কথা বলা শুরু করতে পারব কিন্তু এবার আমি কথা বলব জন মুসলিম নারী হিসেবে আলহামদুলিল্লাহ। 

এটা বুঝতে আমার প্রায় 14 বছর লেগেছিল যে ইতিবাচক উপায় কথা বলেও নিজের কন্ঠস্বর ব্যবহার করা যেতে পারে সেভাবে আমি চমৎকার সব প্লাটফর্মে কাজ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ সম্পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকে আমি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বক্তার সাথে অনেক কাজ করেছি মানুষকে কৌতুক প্রশ্ন করেছে বা কেউ কি আপনার পর্দার কারণে অন্য রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আমাকে অনুষ্ঠানে একজন শ্বেতাঙ্গ মুসলিম পুরুষের সাথে ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারা তিনি আমাকে বলেন এর আগে আমার কখনো কোনো মুসলিম নারীর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি আমার মনে হয় না যে তিনি ছিলেন সেখানে সংস্কৃতি ছিল তার জন্য প্রথম সুযোগেই অনুষ্ঠানে আমি কথা বলছিলাম সেটা ছিল এই ব্যক্তির সাক্ষাৎকার সাথে একজন প্রযোজক ছিলেন তিনি হলিউডে কাজ করতেন এবং ইন্ডাস্ট্রীতে তার অনেক অভিজ্ঞতা ছিল এবং আমার মনে হয় তারা কিছু পূর্ব ধারণা নিয়ে এসেছিলেন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনার এখানে আসার কথা বলাটা কি আপনার পরিবার কিভাবে নিচ্ছিলেন যখন হাসির নাটক তিনি ছিলেন একজন বিজনেসম্যান আপনাকে ভালোবাসি আপনার মত হতে চাই এবং হেসে উঠলেন তিনি একজন ব্যবসায়ী নারী আমাদের নবীজির স্ত্রী ছিলেন আমাদের দেশে এমন আরো অনেক সাথে আমার আমন্ত্রণ হয়েছে তারা আমাকে মেসেজ করে বলেছি এটা আসলেই আমার ভাবনাকে বদলে দিয়েছে এক বিলিয়নেরও বেশি দর্শক তাকে একটা প্লাটফর্ম এরকম একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা এবং নিজেরা কিছু পরিবর্তন আল্লাহ সবসময় আরো ভালো কিছু দেন এবং আমার ক্ষেত্রে সেটা প্রমাণিত হয়েছে আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো কিছু দিয়েছেন যার কাছে প্রশ্ন ইসলাম গ্রহণের পর কি আপনার জীবন নিরানন্দ হয়ে গেছে আমরা ভাবতে পারি বাইরে বেড়ানো পার্টিতে যাওয়া কিংবা এরকম কিছু কথা কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি দিনগুলো ছিল আমার জীবনে অন্ধকার বাইরের চাকচিক্য থাকলেও ওই জীবনটা আসলে তেমন কিছু নয় কারণ তাতে ভেতরটা মনে হয় কিন্তু এত কঠিন সমস্যার মধ্যেও আবার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কি খাব সেটা নিয়ে সমস্যায় পড়া সত্ত্বেও এত এত কঠিন পরিস্থিতিতেও ইসলামের নির্দেশনা আমার হৃদয় কে রেখেছিলো ঈমানের সুখের জায়গা দখল করতে পারে না কোনকিছুই ঈমানের সুখের সাথে কোনো কিছুরই তুলনা চলে না সংগ্রাম সবসময়ই চলবে এই দুনিয়ার কোনো কিছুরই তুলনা সময় আল্লাহর সান্নিধ্য বোধ করেছেন আমাদের সাথে শেয়ার করুন স্বামী ছাড়া একজন নারীর পক্ষে একা একা সন্তান লালন পালন করাটা খুবই কঠিন পর্দানশিন নারীর জীবনে কিছুই করা যাবে না এরকম ধারনা ভেতরে কাজ করে মনে হয় ঘর ভেঙে যাওয়া মানে বাচ্চাদের জীবন ভেঙেচুরে যাবে আমি আল্লার কাছে কারণ আমি জানতাম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে যাবে তাহলে আপনি কি দোয়া করবেন আমার দাদা এখন খুব অসুস্থ তাই আমি দোয়া করছি যেন তিনি পথ খুঁজে পান কিন্তু না আমাকে আমার পরিবারকে এবং আমার সকল প্রিয় জনকে জান্নাত দান করুন আমীন এটাই আমার চাওয়া আমি জীবনে জড়াতে চাই না এটা নিশ্চিত যে পরিস্থিতি সেটা হচ্ছে আপনার প্রিয়জনদের সাথে আমার জন্য জান্নাতের সাক্ষাৎ হয় আপনাদের ইচ্ছা মত কার কাজের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।