OrdinaryITPostAd

৩৬ হাজার চিকিৎসকের নিবন্ধন নবায়ন না করা

বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ হাজার চিকিৎসক নিজেদের নিবন্ধন নবায়ন না করেই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, এটি একটি গুরুতর সমস্যা। এই সংখ্যাটি বেশ উদ্বেগজনক এবং এর পিছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে।
৩৬ হাজার চিকিৎসকের নিবন্ধন নেই, স্বাস্থ্য খাতে গভীর সংকট
  • আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা অনেক চিকিৎসক হয়তো নিবন্ধন নবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন।
  • দুর্নীতি কিছু চিকিৎসক হয়তো ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছেন বা নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
  • বিএমডিসির দুর্বলতা বিএমডিসির পক্ষে সব চিকিৎসকের নিবন্ধন নবায়ন নিশ্চিত করা এবং ভুয়া চিকিৎসকদের শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।
এই সমস্যার ফলে কিছু গুরুতর পরিণতি হতে পারে-
  • রোগীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে ভুয়া চিকিৎসকরা রোগীর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারেন।
  • স্বাস্থ্য খাতে অবিশ্বাস এই সমস্যা স্বাস্থ্য খাতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।
  • সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য খাতে সঠিক ব্যবস্থা নিতে না পারার কারণে এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি-
  • সচেতনতা সৃষ্টি চিকিৎসকদের নিবন্ধন নবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
  • কঠোর আইন প্রয়োগ ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা।
  • বিএমডিসির ক্ষমতা বৃদ্ধি বিএমডিসিকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসক দের নিবন্ধন তথ্য সহজে যাচাই করা।
এই বিষয়ে আরও কি জানতে চান

বিএমডিসি এই সমস্যা সমাধানে কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে?

বিএমডিসি ৩৬ হাজার চিকিৎসকের নিবন্ধন নবায়ন না করার সমস্যা সমাধানে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন-
  • সচেতনতা সৃষ্টি বিএমডিসি বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসকদের নিবন্ধন নবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছে।
  • অনলাইন পদ্ধতি নিবন্ধন নবায়নের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে অনলাইন পদ্ধতি চালু করেছে।
  • মোবাইল অ্যাপ একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসকরা সহজেই নিজেদের তথ্য আপডেট করতে পারবেন।
  • সমন্বয় বৈঠক বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাথে সমন্বয় বৈঠক করে চিকিৎসকদের নিবন্ধন নবায়নের বিষয়ে আলোচনা করছে।
  • অভিযান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে নিবন্ধনবিহীন চিকিৎসকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
  • শাস্তির বিধান নিবন্ধন নবায়ন না করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে।
তবে এই সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান হয়নি। কারণ-
  • আইন প্রয়োগে দুর্বলতা অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধনবিহীন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
  • দুর্নীতি কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণে নিবন্ধনবিহীন চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে।
  • সচেতনতার অভাব অনেক চিকিৎসক এখনো নিবন্ধন নবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি-
  • আইন আরও কঠোর করা নিবন্ধনবিহীন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো।
  • দুর্নীতি দমন বিএমডিসির অভ্যন্তরে দুর্নীতি দমন করা।
  • সচেতনতা সৃষ্টি জোরদার করা বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসকদের নিবন্ধন নবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন করা।
  • প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রযুক্তির সাহায্যে নিবন্ধন নবায়নের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও দ্রুত করা।
আপনি কি আরও কিছু জানতে চান?

ভুয়া চিকিৎসকদের শনাক্ত করার জন্য কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে?

ভুয়া চিকিৎসকদের শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হল-
  • নিবন্ধন যাচাই যে কোন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার আগে তার নিবন্ধন নম্বর চেয়ে নিন এবং বিএমডিসির ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যাচাই করে নিন।
  • পরিচয়পত্র যাচাই চিকিৎসকের পরিচয়পত্র ভালো করে পরীক্ষা করে দেখুন। তাতে তার নাম, ডিগ্রি, বিশেষজ্ঞতা এবং নিবন্ধন নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • ক্লিনিক বা হাসপাতাল যাচাই যে ক্লিনিক বা হাসপাতালে আপনি চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন সেটি বিএমডিসি দ্বারা অনুমোদিত কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • অন্য রোগীর সাথে কথা বলুন যদি আপনি কোনো চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, তাহলে সেই চিকিৎসকের কাছে আগে চিকিৎসা নেওয়া অন্য কোন রোগীর সাথে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা জেনে নিন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিকিৎসক সম্পর্কে অন্যদের দেওয়া রিভিউ পড়ে দেখুন।
  • বিএমডিসিতে অভিযোগ করুন যদি আপনি কোনো চিকিৎসকের কাছ থেকে ভুয়া চিকিৎসা পাওয়ার শিকার হন, তাহলে বিএমডিসিতে অভিযোগ করুন।
ভুয়া চিকিৎসকদের শনাক্ত করার জন্য সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। কারণ ভুয়া চিকিৎসকরা আপনার স্বাস্থ্যের সাথে চালাতে পারে।

নাগরিক সমাজের ভূমিকা কী হতে পারে?

ভুয়া চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজের ভূমিকা ভুয়া চিকিৎসকদের সমস্যাটি একটি জাতীয় সমস্যা এবং এর সমাধানে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। নাগরিক সমাজ এই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নাগরিক সমাজ কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে

সচেতনতা সৃষ্টি
  • সামাজিক মাধ্যম, সংবাদপত্র, সেমিনারের মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসকদের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।
  • স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্য শিক্ষার পাঠ্যক্রমে ভুয়া চিকিৎসকদের বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা।
অভিযান
  • ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থার সাথে মিলে অভিযান চালানো।
  • ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।
দাবী জানানো
  • সরকারের কাছে ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবী জানানো।
  • স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি দমনের জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন করা।
  • গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির আয়োজন করা।
মিডিয়াকে সচেতন করা
  • মিডিয়াকে ভুয়া চিকিৎসকদের বিষয়ে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য উৎসাহিত করা।
সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ
  • স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা।
নাগরিক সমাজের ভূমিকার গুরুত্ব
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি নাগরিক সমাজ জন সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসক দের কার্যকলাপকে সীমিত করতে পারে।
  • সরকারকে চাপ নাগরিক সমাজ সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারে।
  • স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি নাগরিক সমাজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে এবং ভুয়া চিকিৎসকদের কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে ক্ষতি হয় তা কমাতে পারে।
ভুয়া চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নাগরিক সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং নাগরিক সমাজ যৌথভাবে কাজ করলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।

আপনি কি আরও কোনো বিষয়ে জানতে চান?

আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url