শীতকালীন রোগবালাই
শীতকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিতে পারে। শীতকালীন সাধারণ রোগগুলো হলো:
সর্দি-কাশি এবং ফ্লু
- কারণ ভাইরাস সংক্রমণ (ইনফ্লুয়েঞ্জা)।
- লক্ষণ গলা ব্যথা, নাক বন্ধ, হাঁচি, জ্বর, শরীর ব্যথা।
- প্রতিরোধ গরম পোশাক পরা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিস
- কারণ: ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ।
- লক্ষণ: কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, উচ্চ জ্বর।
- প্রতিরোধ: উষ্ণ পরিবেশে থাকা এবং ঠান্ডা এড়িয়ে চলা।
শুষ্ক ত্বক ও ত্বকের সমস্যা
- কারণ: শীতের শুষ্ক বাতাস।
- লক্ষণ: ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানি, র্যাশ।
- প্রতিরোধ: ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং পানি পান করা।
হাঁপানি (অ্যাজমা) ও শ্বাসকষ্ট
- কারণ: ঠান্ডা বাতাস এবং ধুলাবালি।
- লক্ষণ: শ্বাস নিতে কষ্ট, বুকে চাপ অনুভব করা।
- প্রতিরোধ: ইনহেলার ব্যবহার করা এবং ঠান্ডা পরিবেশ এড়িয়ে চলা।
আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্ট পেইন
- কারণ: শীতকালে রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া।
- লক্ষণ: জয়েন্টে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়া।
- প্রতিরোধ: গরম পোশাক পরা এবং হালকা ব্যায়াম করা।
গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা
- কারণ: পানি কম পান করা এবং বেশি ভারী খাবার খাওয়া।
- লক্ষণ: বুক জ্বালাপোড়া, পেটে ব্যথা।
- প্রতিরোধ: হালকা খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা।
নাক, কান ও গলার সংক্রমণ
- কারণ: ঠান্ডা আবহাওয়া ও ধুলোবালি।
- লক্ষণ: কানের ব্যথা, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া।
- প্রতিরোধ: গরম পানি দিয়ে গার্গল করা এবং উষ্ণ পরিবেশে থাকা।
সাধারণ পরামর্শ
শীতকালে গরম পোশাক পরা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা এবং হালকা ব্যায়াম করা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url