OrdinaryITPostAd

”হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কিনা তা বোঝার উপায় কী? ”

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলি (Heart attack symptoms) জানা থাকা খুবই জরুরি। দ্রুত শনাক্তকরণ এবং সময় মতো চিকিৎসা শুরু করলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব। নিচে কিছু প্রধান লক্ষণ আলোচনা করা হলো-
”হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কিনা তা বোঝার উপায় কী? ”

  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি- বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে অনুভূত হয়। ব্যথা তীব্র হতে পারে এবং কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট- শ্বাসকষ্ট হওয়া হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এটি প্রায়শই বুকের ব্যথার সাথে দেখা যায়।
  • ঘাম- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমি- কিছু ক্ষেত্রে, হার্ট অ্যাটাকের সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা ব্যথা- হার্ট অ্যাটাকের কারণে মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • ক্লান্তি বা দুর্বলতা- হঠাৎ করে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।
এগুলো ছাড়াও, চোয়াল, পিঠ, বাহু বা পেটে ব্যথাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, পিঠে ব্যথা এবং ক্লান্তি বেশি দেখা যেতে পারে।

যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান। সময়মতো চিকিৎসা পেলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

বুকে ব্যথা হলেই কি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে?

না, বুকে ব্যথা হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায় না। বুকে ব্যথা হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন মাংসপেশীর টান, খাদ্যনালীর সমস্যা, বা অন্য কোনো রোগ। তবে, বুকে ব্যথা যদি তীব্র হয় এবং এর সাথে অন্যান্য লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, বা দুর্বলতা দেখা যায়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ, এগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক একটি গুরুতর অবস্থা, এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে জীবনহানিও হতে পারে। তাই, বুকে ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হার্ট অ্যাটাকের সময় কী করা উচিত?

হার্ট অ্যাটাকের সময় দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জীবন বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু করণীয় বিষয় আলোচনা করা হলো-

  • অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন- হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা গেলে দেরি না করে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কল করুন অথবা নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
  • রোগীকে শান্ত করুন- রোগীকে আশ্বস্ত করুন এবং শান্ত থাকার কথা বলুন। অতিরিক্ত উত্তেজনা বা ভয় পেলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
  • রোগীকে বসান বা শুইয়ে দিন- রোগীকে এমনভাবে বসান বা শুইয়ে দিন যাতে তার শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
  • অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট- যদি রোগীর অ্যালার্জি না থাকে, তবে তাকে ৩০০ মিগ্রা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট চিবিয়ে খেতে দিন। অ্যাসপিরিন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে- যদি রোগীর কাছে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে থাকে এবং তিনি এটি ব্যবহার করতে জানেন, তবে স্প্রেটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • CPR- যদি রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, তবে সিপিআর শুরু করুন। সিপিআর হলো কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস এবং বুক সংকোচন পদ্ধতি, যা হার্ট অ্যাটাকের সময় জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
  • সময় নষ্ট করবেন না- হার্ট অ্যাটাকের সময় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। তাই, সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আপনার দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ হয়তো কারো জীবন বাঁচাতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক হলে কতক্ষণ সময় পর্যন্ত বাঁচা যায়?

হার্ট অ্যাটাকের পর কতক্ষণ পর্যন্ত একজন ব্যক্তি বাঁচতে পারে তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। এখানে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো-
  • সময়- হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, তবে বাঁচার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যত দেরি হবে, ততই ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
  • রোগীর অবস্থা- রোগীর বয়স, শারীরিক অবস্থা, এবং পূর্বের কোনো রোগ থাকলে তা বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে।
  • চিকিৎসা- আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বর্তমানে অনেক রোগী হার্ট অ্যাটাকের পরেও সুস্থ জীবনযাপন করছেন। দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা শুরু করলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
  • গোল্ডেন আওয়ার- হার্ট অ্যাটাকের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাকে "গোল্ডেন আওয়ার" বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করলে রোগীর জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন এবং রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কী কী করা উচিত?

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম, যেমন দৌড়ানো, সাঁতার বা সাইকেল চালানো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন ফল, সবজি, শস্য এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। ফাস্ট ফুড ও চিনি যুক্ত খাবার ত্যাগ করুন। ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।

উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলুন। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান বা যোগা করতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং বিশ্রাম নেওয়াও প্রয়োজন।

এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আপনি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।

মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো কি আলাদা হয়?

হ্যাঁ, মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষদের থেকে কিছুটা আলাদা হতে পারে। মহিলাদের মধ্যে বুকে ব্যথা ছাড়াও অন্যান্য লক্ষণ, যেমন - শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, পিঠে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা এবং ক্লান্তি বেশি দেখা যায়। অনেক সময় মহিলারা এই লক্ষণগুলোকে সাধারণ অসুস্থতা ভেবে ভুল করেন এবং ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি করেন। এছাড়াও, মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে পারে এবং তীব্রতা কম হতে পারে। এর ফলে মহিলারা অনেক সময় লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না এবং সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে পারেন না।

মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে হলে তাদের উচিত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা, যেমন - নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা। যদি কোনো মহিলা উপরের লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। সময়মতো চিকিৎসা পেলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।

অল্প বয়সেও কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?

হ্যাঁ, অল্প বয়সেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। যদিও হার্ট অ্যাটাক সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়, তবে বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা বাড়ছে।

  • অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা, ধূমপান ও মদ্যপান করা, এবং অতিরিক্ত ওজন - এসব কারণে অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  • এছাড়াও, কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এবং উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বংশগত ইতিহাসও একটি কারণ হতে পারে। যদি পরিবারের কারো আগে থেকে হৃদরোগ থাকে, তাহলে অন্যদেরও এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
  • যদি কেউ বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বমি বমি ভাব, বা মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ অনুভব করেন, তবে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি কেন?

ডায়াবেটিস রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ডায়াবেটিস রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, যা রক্তনালীর দেয়ালকে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায় এবং রক্ত প্রবাহ কমে যায়।

এছাড়াও, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্থূলতার প্রবণতা বেশি থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো অনেক সময় বোঝা যায় না। একে "সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক" বলা হয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা, এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা।

হার্ট অ্যাটাক হলে ইসিজি কখন করতে হয়?

হার্ট অ্যাটাক হলে যত দ্রুত সম্ভব ইসিজি (ইলেট্রোকার্ডিওগ্রাম) করা উচিত। ইসিজি হলো হার্টের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করার একটি পরীক্ষা। হার্ট অ্যাটাকের সময়, হার্টের মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ইসিজি-তে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তনগুলো হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ, যেমন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, অথবা দুর্বলতা দেখা গেলে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। হাসপাতালে পৌঁছানোর সাথে সাথেই ইসিজি করা উচিত। কারণ, ইসিজি যত তাড়াতাড়ি করা যায়, হার্ট অ্যাটাকের তীব্রতা এবং ক্ষতির পরিমাণ তত তাড়াতাড়ি বোঝা যায় এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা যায়। ইসিজি করার জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। এটি একটি সাধারণ এবং ব্যথাহীন পরীক্ষা। ইসিজি করার সময় রোগীকে শান্ত থাকতে বলা হয়, যাতে নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায়।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত?

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের জন্য সঠিক খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। কিছু খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। নিচে এমন কিছু খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো-
  • ফল ও সবজি- ফল এবং সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ ফল ও সবজি খাওয়া উচিত।
  • শস্য- শস্যে ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। লাল চাল, ওটস, বার্লি এবং কুইনোয়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন- কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগির মাংস এবং শিম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাছ, বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, যেমন স্যামন, টুনা, এবং ম্যাকারেল খাওয়া খুবই উপকারী।
  • স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যেমন জলপাই তেল, অ্যাভোকাডো এবং বাদাম হৃদরোগের জন্য ভালো। এগুলো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
  • কম সোডিয়াম- বেশি সোডিয়াম খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, খাবারে কম লবণ ব্যবহার করুন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্যাগ করুন।
  • কম চিনি- বেশি চিনি খেলে ওজন বাড়তে পারে এবং ডায়াবেটিস হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, চিনি যুক্ত খাবার ও পানীয় ত্যাগ করুন।
এসব খাবার ছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে জল পান করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই জরুরি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url